গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বিদ্যুৎচালিত সেচযন্ত্র চালু করতে গিয়ে করুণভাবে প্রাণ হারিয়েছেন বাবা ও ছেলে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরের দিকে উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের পশ্চিম বাছহাটি গ্রামে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন— শহিদুল ইসলাম (৪০) ও তার ছেলে শিয়াব মিয়া (১৪)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সর্বানন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জহুরুল ইসলাম। নিহতের পরিবারের বরাতে চেয়ারম্যান জানান, সকালে ধানক্ষেতে পানি দেওয়ার জন্য শহিদুল ইসলাম ও তার ছেলে বিদ্যুৎচালিত সেচযন্ত্র নিয়ে পুকুরপাড়ে যান। সকাল ১০টার দিকে তারা সেচের কাজ শুরু করেন। এর ঘণ্টাখানেক পরে ছেলে ও স্বামীর খোঁজ নিতে পুকুরপাড়ে যান চায়না বেগম। সেখানে গিয়ে তিনি ছেলের মরদেহ দেখতে পান এবং চিৎকার দিলে স্থানীয়রা ছুটে এসে শিয়াবের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর শহিদুল ইসলামের খোঁজে আবারও পুকুরপাড়ে যান স্বজনরা। তখন দেখা যায়, তিনিও পুকুরে পড়ে আছেন। পরে স্থানীয়রা তার মরদেহ উদ্ধার করেন। সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাকিম আজাদ বলেন, “বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাবা-ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে যমুনা রেলসেতুর কয়েকটি পিলারে ফাটলের ছবি। উদ্বোধনের মাত্র এক বছরের মাথায় এমন চিত্র সামনে আসায় নির্মাণ ত্রুটি, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছেন অনেকেই। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) থেকে এমন অবস্থা হলেও যমুনা রেলসেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, এটা ফাটল নয় বরং প্রচণ্ড গরমের কারণে সৃষ্ট হেয়ারক্রাক বা চুল আকৃতি ফাঁকা। যমুনা রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী নাইমুল হক বলেন, রেলসেতুর পশ্চিম প্রান্তের ৮-১০টি পিলারের নিচের অংশে কিছু জায়গায় চুল আকৃতি ফাঁকা বা হেয়ার ক্র্যাক দৃশ্যমান হয়েছে। যা ঘষে রেজিন বা আঠার প্রলেপ দিয়ে মেরামতের প্রক্রিয়া চলছে। ফেসবুকে কেউ অসৎ উদ্দেশে চুল আকৃতি ফাঁকা স্থানগুলো আরো বড় দেখিয়ে ছবিগুলো পোস্ট করে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, এটি নির্মাণ কাজের কোনো ক্রটি নয়, আবার হানিকম্ব হয়েছে সেটাও নয়। মূলত প্রচণ্ড গরম বা বৈরী আবহাওয়ায় সেতুর পিলারে শূন্য দশমিক এক থেকে তিন মিলিমিটার পর্যন্ত ক্ষুদ্র আকৃতির হেয়ার কাট বা চুল আকৃতির ফাঁকা সৃষ্টি হয়েছে। যা মোটেও সেতুর কংক্রিটের অবকাঠামো বা স্থাপনার জন্য ক্ষতিকর নয়। এতে ট্রেন চলাচলে কোনো প্রভাব পড়বে না। চলতি বছরের ১৮ মার্চ দেশের দীর্ঘতম প্রথম ডাবল ট্রাকের ডুয়েল গেজের ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ রেল সেতুর উদ্বোধন করা হয়। এতে রেলপথের সম্ভাবনাময় অগ্রযাত্রার এক নতুন দ্বার উন্মোচন হয়। সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা। যার ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ ঋণ হিসেবে দিয়েছে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) এবং বাকি অর্থ দিয়েছে সরকার। জাপানের ওটিজি এবং আইএইচআই যৌথভাবে সেতুটি নির্মাণ করেছে।
সিলেটের বেশ কিছু এলাকায় আগামী শনিবার (২৫ অক্টোবর) পাঁচ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার কাজের কারণে। বিষয়টি বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২। বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবদুর রাজ্জাক। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১১ কেভি ফিডার লাইনের জরুরি মেরামত, সংরক্ষণ ও রাইট অব ওয়ে এলাকায় গাছপালা অপসারণ এবং বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এসব কাজ সম্পন্ন করা হবে। এজন্য শনিবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বালুচর ফিডার লাইনের আওতাধীন এলাকাগুলোয় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকবে না সেগুলো হলো— বালুচর, শান্তিবাগ আবাসিক এলাকা, সোনার বাংলা আবাসিক এলাকা, নতুন বাজার, আল-ইসলাহ, আরামবাগ, বালুচর ছড়ারপাড়, ফোকাস ও আশপাশের অঞ্চল। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, নির্ধারিত সময়ের আগেই যদি কাজ শেষ হয়ে যায়, তবে তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করা হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে কাজ চলাকালীন সময়ে লাইন বন্ধ হিসেবে গণ্য করতে বলা হয়েছে। গ্রাহকদের সাময়িক এই অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।
ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আট প্রবাসী বাংলাদেশির মরদেহ দেশে ফিরেছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তাদের লাশ চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। লাশবাহী ফ্লাইটটি অবতরণ করার সঙ্গে সঙ্গেই স্বজনদের কান্নায় বিমানবন্দরজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিবারের সদস্যরা প্রিয়জনদের মরদেহ গ্রহণ করেন। এরপর সাতজন নিহতের মরদেহ সাগর পাড়ি দিয়ে তাদের জন্মভূমি সন্দ্বীপের উদ্দেশ্যে নেওয়া হয় সীতাকুণ্ডের কুমিরা ফেরিঘাটে। রোববার সকালে লাশগুলো সন্দ্বীপে পৌঁছাবে বলে জানা গেছে। নিহতরা হলেন সারিকাইতের আমিন মাঝি, মো. আরজু, মো. রকি, সাহাব উদ্দিন ও মো. বাবলু; মাইটভাঙার মো. জুয়েল; রহমতপুরের মো. রনি এবং রাউজানের চিকদাইর ইউনিয়নের ইউসুফের ছেলে। বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সন্দ্বীপের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মংচিংনু মারমা জানিয়েছেন, রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় পূর্ব সন্দ্বীপ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একসঙ্গে সবার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মরদেহগুলো নিজ নিজ এলাকায় দাফন করা হবে। উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টার দিকে ওমানের দুখুম সিদ্দা এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় সন্দ্বীপ উপজেলার সাত প্রবাসীসহ আটজন নিহত হন। তারা মাছ পরিবহনের একটি গাড়িতে ছিলেন। বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বেপরোয়া গতির ট্রাক তাদের গাড়িটিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই সবাই প্রাণ হারান। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে দ্রুত মরদেহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করায় ওমানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, রাষ্ট্রদূত এবং ওমান সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।
জরুরী উন্নয়ন কাজের জন্য শনিবার (১৮ অক্টোবর) সিলেটের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প সিলেটের ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুৎ শেখঘাট উপকেন্দ্রের বিকল্প সোর্স লাইন নির্মাণের উদ্দেশ্যে এই উপকেন্দ্রের আওতাধীন এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে না। এদিন সকাল ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যনন্ত নগরীর লালদিঘীরপাড়, পুলিশ লাইন, ভাতালিয়া, পশ্চিম শেখঘাট, নবীন আ/এ, ভাঙ্গাটিকর, কুয়ারপাড়, ইঙ্গুলাল রোড, লামাবাজার, বিলপাড়, শেখঘাট সরকারি কলোনি, লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ি, ওসমানী মেডিকেল রোড, কাজল শাহ, মুন্সিপাড়া, পুলিশ লাইন, দরগা মহল্লা, শাপলার গলি, মধুশহীদ, রিকাবীবাজার, উদ্যম আ/এ, নয়াপাড়া, ভাতালিয়া, দক্ষিণ কাজলশাহ, ইসকন মন্দির, সৌরভ আ/এ, নবাব রোড, বর্নমালা পয়েন্ট, মনিপুরি বস্তি, সাগরদিঘীরপাড়, সুরমা আ/এ, প্রেস ক্লাব, মীরের ময়দান, কেওয়াপাড়া, ডিজিএফআই অফিস, এসএমপি ও আশপাশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। আগামীকাল সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৩৩/১১ কেভি আম্বরখানা উপকেন্দ্রের আওতাধীন ১১ কেভি এমসি কলেজ ফিডারের শাহমীর মসজিদ ও আব্দুল মতিন ট্রেডার্স সংলগ্ন এলাকায়ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। কাজ শেষ হয়ে গেলে তাৎক্ষনিক বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। সাময়িক এ অসুবিধার জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের-১ এর প্রকৌশলী গ্রাহকদের দুঃখ প্রকাশ করে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার আট নং চর কাদিরা ইউনিয়নের চরবসু এলাকায় ৬৫ বছর বয়সি বশির সর্দারের যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছেন পাঁচ বছরের এক শিশু। শিশুটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। মাদ্রাসা থেকে সামান্য দূরে দোকানে চিপস কিনতে যাওয়ার সময় তাকে এ শ্লীলতাহানি করা হয়। ঘটনার পর অভিযুক্ত পালিয়ে গেছে। শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় চরবসু বাজারের এক চা-দোকানের পিছনে এ ঘটনা ঘটে। বশির ওই এলাকার মৃত আলী হোসেনের ছেলে ও পেশায় চা বিক্রেতা। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহল ঘটনাটি ঢাকতে চেষ্টার পর সোমবার (১৩ অক্টোবর) সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পায়। শিশুটির পরিবার জানায়, মাদ্রাসা থেকে ফিরে শিশুটি আচরণে অসংলগ্ন ছিল এবং পরে দেখা যায় তার যৌনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের সামনে ঘটনাটি জানার আগেই বশির পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের একাংশ বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেয়, যার কারণে তখন থানায় অভিযোগ করা হয়নি। এখন শিশুটির পরিবার ন্যায়বিচারের জন্য মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার বিরতির সময় চিপস কিনতে গিয়ে বশির তাকে দোকানের পিছনে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি করেছে। স্থানীয়রা জানান, বশির এর আগেও এলাকায় অনুরূপ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন। শিশুটির শ্লীলতাহানির ঘটনায় পুরো এলাকা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাকে ধরার চেষ্টা করেছিল, তবে তিনি পালিয়ে যান। তারা অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন। কমলনগর থানার ওসি তহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি সম্পর্কে তারা অবগত হয়েছেন। তবে ভুক্তভোগী পরিবার এখনো থানায় অভিযোগ করেননি। অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লালমনিরহাট থেকে চীনাবাদাম বলে পাঠানো এক বস্তা পার্সেল খুলে মিলল ১৪ কেজি গাঁজা! ঘটনাটি ঘটেছে পাবনার ঈশ্বরদীতে। শনিবার (১১ অক্টোবর) করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে লালমনিরহাট থেকে ‘চীনাবাদাম’ লেখা একটি বস্তা পার্সেল পাঠানো হয় পাবনার ঈশ্বরদী শাখায়। প্রাপকের ঠিকানা দেওয়া ছিল করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসের ঈশ্বরদী অফিসেই। রোববার (১২ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে ঈশ্বরদীর রেলওয়ে মালগুদাম সংলগ্ন করতোয়া কুরিয়ার সার্ভিসে পৌঁছায় পার্সেলটি। সন্দেহজনক মনে হওয়ায় বস্তাটি খোলা হলে দেখা যায়, ভেতরে চীনাবাদামের পরিবর্তে রয়েছে ১৪ কেজি গাঁজা! খবর পেয়ে রাতেই র্যাব-১২, পাবনা ক্যাম্পের একটি দল কুরিয়ার অফিসে অভিযান চালিয়ে বস্তাভর্তি গাঁজাটি উদ্ধার করে এবং ঘটনাস্থল থেকে দুলাল হোসেন (৪০) নামে এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার দুলাল হোসেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার দূরাকুঠি গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে। র্যাব কর্মকর্তারা জানান, লালমনিরহাট থেকে এক মাদক ব্যবসায়ী চীনাবাদামের কথা বলে করতোয়া কুরিয়ারে বস্তাভর্তি গাঁজা পাঠান। পাবনার ঈশ্বরদী শাখা থেকে সেটি সংগ্রহ করার দায়িত্ব ছিল দুলাল হোসেনের। বর্তমানে ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে এবং মাদক চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
রাজশাহীর চারঘাটে মায়ের ওপর অভিমান করে বখতিয়ার (১২) নামে এক স্কুলছাত্র ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রোববার (১২ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার মোক্তারপুর মন্ডলপাড়া গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। বখতিয়ার মোক্তারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৫টার দিকে বখতিয়ার তার বড় বোন দিপ্তির বাড়িতে বেড়াতে যায়। এ বিষয়টি নিয়ে মা দিলারা বেগম তাকে বকাঝকা করেন। এতে অভিমান করে বখতিয়ার কিছু না বলেই মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়তে যায়। নামাজ শেষে বাড়ি ফিরে নিজ ঘরে অবস্থান করছিল বখতিয়ার। পরে এশার নামাজ পড়তে ডাকতে গিয়ে তার বাবা শরিফুল ইসলাম ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান। অনেক ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখতে পান, ঘরের তীরের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছে বখতিয়ারের নিথর দেহ। তৎক্ষণাৎ স্থানীয়দের সহায়তায় বখতিয়ারকে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ছেলের মৃত্যুতে শোকে পাথর মা দিলারা বেগমসহ পরিবার। বোন দিপ্তি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘কে জানতো আমার বাড়িতে আসাটাই ভাইয়ের শেষ আসা হবে! মায়ের ওপর রাগ করে ভাইটা চিরতরে চলে গেল।’ বাবা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘কে জানতো মায়ের সামান্য বকুনি সহ্য করতে না পেরে আমার কলিজার টুকরো সবাইকে কাঁদিয়ে চলে যাবে।’ চারঘাট মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চাঁদপুর হাজীগঞ্জে মাদ্রাসা থেকে পালাতে গিয়ে পঞ্চম তলায় এক শিশু আটকা পড়ে। পরে জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে আট বছরের ওই শিশুটিকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। রোববার (৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার আলীগঞ্জ আল ইহসান মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে। জাতীয় জরুরি সেবা-‘৯৯৯’এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, আলীগঞ্জ আল ইহসান মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র আট বছর বয়সি এক শিশু পালানোর জন্য পাঁচতলার রান্নাঘরের ভেন্টিলেটর দিয়ে বের হয়ে নিচে নামার চেষ্টা করে। এ সময় ওই শিশু এসির ক্যারিয়ারে আটকে পড়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকে। সকাল সাড়ে ১১টায় এক ব্যক্তি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে এমন তথ্য জানান। ‘৯৯৯’ কলটেকার কনস্টেবল শারমিন কলটি গ্রহণ করে তাৎক্ষণিকভাবে হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধারের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলে। এই উদ্ধার তৎপরতা তদারক এবং সমন্বয় করছিলেন ৯৯৯ ডিসপাচার ফায়ার ফাইটার মো. হানজালাল। খবর পাওয়ার পরপরই হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একটি উদ্ধারকারী দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে নিরাপদে উদ্ধার করে তার অভিভাবকের কাছে বুঝিয়ে দেয়। সূত্র: বাসস
মাদারীপুরে ডাকাত দলের ১৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১ অক্টোবর) দুপুরে রাজৈর থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মাদারীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) সালাহ উদ্দিন কাদের। গ্রেপ্তার ডাকাতরা হলেন ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার খাটরা গ্রামের শাহ আলম শেখ (৪০), একই উপজেলার পরারন গ্রামের কবির চোকদার (৪৫), সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুরের জাকির খাঁ (৫০), ভাঙ্গার কাউলীবেড়া গ্রামের ইকরাম আলী মুন্সী (৩৫), পাতরাইল গ্রামের হৃদয় বয়াতি (২৩), নগরকান্দা উপজেলার মীরাকান্দা গ্রামের সুমন হোসেন মাতুব্বর (২৬), ঢাকার কেরানীগঞ্জের পুরান পাঁচদোনা আল আমিন (৪৫), কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর এলাকার হাবিব (২৫), নগরকান্দার ছোট নাওডোবার ইকবাল হোসেন (৩৬), মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার শংকরদী গ্রামের সুজন মাতুব্বর (২৭), কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুশ্বা গ্রামের সোহাগ ওরফে নোবেল (২৬), একই উপজেলার সাইটুটা গ্রামের ডালিম সরকার (৩০) ও একই গ্রামের স্বপন (২৫)। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে খুলনার তেরখাদা থেকে তরমুজ নিয়ে মাদারীপুরের মস্তফাপুর ফলের আড়তে যাচ্ছিল একটি পিকআপ। পথিমধ্যে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার আমগ্রাম ব্রিজ এলাকার গঙ্গাবর্দী স্থানে আসলে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ওপর থেকে চালক-হেলপারকে মারধর করে তরমুজভর্তি পিকআপটি নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাত দল। ওইদিন রাতেই রাজৈর থানায় ডাকাতি মামলা করা হয়। পরেরদিন (২৪ সেপ্টেম্বর) ডাকাত দলের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে রাজৈর থানার পুলিশ। এ সময় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেওয়া তথ্যমতে ভাঙ্গা, সদরপুর, নগরকান্দা, কেরানীগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় অভিযান চালিয়ে আরও ছয় ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জেলহাজতে প্রেরণ করে পুলিশ। একইদিন রাতে আবার অভিযান চালিয়ে আরও পাঁচ ডাকাতসহ মোট ১৩ জন ডাকাত দলের সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একইসঙ্গে তাদের তথ্য অনুযায়ী গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে ডাকাতি করা পিকআপটি উদ্ধার করে। পরে রাজৈর থানা থেকে পিকআপ মালিককে খবর দেওয়া হয়। উদ্ধার পিকআপটির মালিক খুলনার রুপসা উপজেলার শিরগাতি গ্রামের সরদার জাহাঙ্গীর আলম (৬২)। তিনি দেশের বিভিন্ন জেলায় ফলের ব্যবসা করেন। পিকআপ মালিক ও ফল ব্যবসায়ী সরদার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার ডাকাতি হওয়া পিকআপটি রাজৈর থানার পুলিশ অনেক কষ্ট করে উদ্ধার করেছে। একইসঙ্গে ডাকাতদেরও গ্রেপ্তার করেছে। আমি রাজৈর থানা-পুলিশের জন্য দোয়া করি ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। গ্রেপ্তার ডাকাতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এ বিষয়ে মাদারীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) সালাহ উদ্দিন কাদের গণমাধ্যমকে বলেন, আমগ্রাম থেকে তরমুজভর্তি পিকআপ ডাকাতির ঘটনায় বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ধাপে ধাপে এই পর্যন্ত মোট ১৩ জন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি এবং তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পিকআপটিও উদ্ধার করেছি। এরা মূলত মহাসড়কে ঘুরে ঘুরে ডাকাতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। এর আগে, আটজনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি এবং আজকে আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ডাকাতি করা তরমুজগুলো ঢাকার যাত্রাবাড়ী নিয়ে বিক্রি করে দেয় ডাকাতরা। এরপর গাজীপুরের জয়দেবপুর নিয়ে পিকআপটি লুকিয়ে রাখে।
পাবনায় পূজার ছুটিতে বাড়ি গিয়ে এক কলেজছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১ অক্টোবর) ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের বেতুয়ান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম সৈয়দ মারুফ বুখারী (২৪)। তিনি ওই গ্রামের সৈয়দ আব্দুস সবুর মজনু বুখারীর ছেলে এবং খুলনা পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষার্থী। জানা গেছে, কলেজে পূজার ছুটি শুরু হলে মারুফ বাড়িতে আসেন। গত কয়েকদিন বাড়ির বিভিন্ন কাজ করছিলেন। এক পর্যায়ে বুধবার দুপুরে পানির ট্যাংক পরিষ্কার করতে বাড়ির ছাদে ওঠেন। এর কিছু সময় পার হলেও তিনি নিচে না নামায় বাড়ির অন্য সদস্যরা ডাকতে যান। এ সময় বাড়ির লোকজন মারুফকে ছাদের ওপরে জমানো বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুতের তারে আটকে থাকতে দেখেন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরিবারের সদস্যরা জানান, বাড়ির ছাদের ওপর দিয়ে বিদ্যুতের লাইনের তার টাঙানো ছিল। এতে বৃষ্টির পানি জমা হলে পানি বিদ্যুতায়িত হয়। এ অবস্থায় পানির ট্যাংক পরিষ্কার করার জন্য ছাদের ওপর উঠলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারুফ মারা যায়। বেতুয়ান গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আরজু খান বলেন, ওই কলেজছাত্রের মৃত্যুতে বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রতিবেশীরা সবাই তাদেরকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা গ্রামের স্বপন হাওলাদার ইট-বালুর ব্যবসা করে সংসার চালাতেন। সংসারে অভাব ছিল না। কিন্তু দালালের আশ্বাসে সব বিক্রি করে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করলে লিবিয়ায় নিয়ে তাকে বন্দিশিবিরে আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়। সেখানে তিনি পঙ্গুত্ববরণ করেন। পরে দীর্ঘ তদবির ও অর্থ ব্যয়ের মাধ্যমে দেশে ফিরলেও স্বপনের সংসার আজ নিঃস্ব। পঙ্গু স্বামীকে নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন তার স্ত্রী। তিনি বলেন, আমি এখন সমাজের কাছে বোঝা হয়ে গেছি। আমি পুরোপুরি নিঃস্ব। একই গ্রামের এলেম ফকিরের ছেলে সিরাজুল ফকিরকে ইতালি পাঠানোর জন্য তিনি ঋণ করেন এবং জমি বন্ধক রাখেন। দালালের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দেওয়ার পরও তিন মাস ধরে সিরাজুল লিবিয়ার একটি বন্দিশিবিরে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। এলেম ফকির বলেন, আমি দালালের কাছে টাকা দিয়েছি সরল বিশ্বাসে। আমার ছেলে এখনও যেতে পারেনি। অন্যদিকে মোতালেব হাওলাদারের ছেলে মামুন দেশে ট্রাক চালিয়ে সংসার চালাতেন। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর দালালের মাধ্যমে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করলে তারও ভাগ্যে মেলে না কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। ধারদেনা করে দেওয়া টাকা এখন তার পরিবারের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাদারীপুরে অসংখ্য পরিবারের বাস্তবতা এটি। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র সাধারণ মানুষকে বিদেশে কর্মসংস্থানের আশ্বাস দিয়ে প্রতারণা করছে। অনেক পরিবার নিঃস্ব হলেও প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। মামলা করেও সুরাহা হচ্ছে না বলে জানান ভুক্তভোগীরা। এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিয়া শাবাব বলেন, অনেকেই উন্নত জীবনের আশায় বিদেশে যেতে গিয়ে দালালের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছেন। আমরা তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সরকারের নীতিমালা মেনে বৈধভাবে বিদেশ যেতে উৎসাহিত করি। তিনি বলেন, বৈধ পথে বিদেশ গমন নিশ্চিত করতে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রশিক্ষণ ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পাশাপাশি অবৈধ দালাল চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিদেশে আটক শ্রমিকদের উদ্ধারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও নিয়মিত তৎপর রয়েছে। সূত্র: বাসস
এক নারীকে স্ত্রী দাবি করে দুই স্বামীর হাতাহাতি-টানাটানি। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ থানায় নিয়েও কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি। অগত্যা তিনজনকেই পাঠানো হয়েছে কারাগারে। এই তিনজন হলেন ফরিদপুরের কানাইপুর এলাকার বিকাশ অধিকারী, ফরিদপুর সদরের বাসিন্দা পলাশ কুন্ডু ও একই এলাকার সীমা অধিকারী। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে যশোর শহরের চারখাম্বার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। যশোর কোতোয়ালি থানা সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে শহরের চারখাম্বার মোড়ে কমলা রঙের সালোয়ার কামিজ পরিহিত এক নারীকে নিয়ে টানাটানি করছিলেন দুই ব্যক্তি। তারা দুজনই ওই নারীকে নিজের স্ত্রী বলে দাবি করছিলেন। একপর্যায়ে শুরু হয় হাতাহাতি। দুজনের টানাটানি ও হাতাহাতি দেখে ভিড় করেন উৎসুক জনতা। কেউ কেউ ভিডিও করতেও শুরু করেন। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তিনজনকেই নিয়ে যায় থানায়। এরপর সেখানেই শুরু হয় নাটকের পরবর্তী অংশ। থানা চত্বরেই তারা কয়েক দফা নিজেদের মধ্যে শুরু করেন টানাটানি-হাতাহাতি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ তিনজনকেই ১৫১ ধারায় (নিরাপদ হেফাজত) মামলায় আটক দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। পরে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পুলিশ ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফরিদপুরের কানাইপুরের বাসিন্দা বিকাশ অধিকারী। তার সঙ্গে সীমা অধিকারীর প্রায় ৩৬ বছরের সংসার। এই সংসারে তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। কিন্তু সেই সংসার ছেড়ে সীমা অধিকারী ফরিদপুর সদরের বাসিন্দা পলাশ কুন্ডুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। শুধু তাই নয়, বিকাশ অধিকারীর ঘর ছেড়ে পলাশের হাত ধরে তিনি ভারতে চলে যান এবং সেখানে তারা বিয়েও করেন। এরপর সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে তারা যশোরে এসে একটি হোটেলে ওঠেন। বিষয়টি জানতে পেরে বিকাশের সন্দেহ হয় এবং তিনি সেই হোটেলে যান। এরপরই ত্রিমুখী এই ঝামেলা গড়ায় থানা পর্যন্ত। সীমার দ্বিতীয় স্বামী পলাশ কুন্ডু জানান, সীমার সঙ্গে তার তিন বছরের সম্পর্ক। তারা দুজনেই স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন। এখন একসঙ্গে থাকতে চান। কিন্তু তাদের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিকাশ। এ বিষয়ে সীমা অধিকারী বলেন, বিকাশের সংসারে তিনি নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতেন। সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তিনি বাধ্য হয়ে বিকাশকে ছেড়ে পলাশকে বিয়ে করেছেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি আর বিকাশের সঙ্গে সংসার করবেন না। তবে প্রথম স্বামী বিকাশ অধিকারীর দাবি, সীমার পরকীয়ায় কারণে তাদের সাজানো সংসার ভেঙে যাচ্ছে। সীমা শুধু বাড়ি ছাড়েননি, বরং পালিয়ে যাওয়ার সময় নগদ টাকা ও গয়নাও নিয়ে গেছেন। তিনি সীমাকে যে কোনো মূল্যে বাড়িতে ফিরিয়ে নিতে চান। এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল জানান, ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। থানায় দীর্ঘক্ষণ তাদের সঙ্গে কথা বলেও কোনো সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। পরে ১৫১ ধারায় তাদের আটক দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। যশোর আদালতের কোট পরিদর্শক রোকসানা খাতুন বলেন, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক শান্তনু কুমার মন্ডল তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে ইন্টার্নি চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার কারণে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্বজনরা ইন্টার্ন চিকিৎসক নূর নবীকে গণধোলাই দেন। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০টার দিকে বুকে ব্যথার সমস্যা নিয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় মো. মিল্লাত মিয়া (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে তার স্বজনরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। তিনি নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ লক্ষারচর উত্তর পাড়ার বাসিন্দা এবং ইট ও বালু ব্যবসায়ী ছিলেন। কিন্তু জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত এমবিবিএস চিকিৎসকের পরিবর্তে ইন্টার্নি চিকিৎসক নূরনবী রোগীকে চিকিৎসা দেন। অভিযোগ রয়েছে, নূরনবী এমবিবিএস ডিগ্রিধারী নন। তিনি রোগীর ইসিজি পরীক্ষা করেন এবং ব্যথানাশক ও গ্যাস্ট্রিকের দুটি ইনজেকশন প্রয়োগ করেন। অথচ রোগীর প্রকৃত সমস্যা ছিল হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকজনিত। বেলা ১টার দিকে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে নূরনবী তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেন। স্বজনরা রোগীকে চাষাড়ার ইসলাম হার্ট সেন্টারে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান, রোগীর মৃত্যু অনেক আগেই ঘটেছে। নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করেন, “ভুল চিকিৎসার কারণে আমাদের রোগীকে হত্যা করা হয়েছে। জরুরি বিভাগে এমবিবিএস চিকিৎসক থাকা সত্ত্বেও কেন একজন ইন্টার্নি চিকিৎসা দিলেন? এমন ঘটনা যেন আর কারও সঙ্গে না ঘটে, সে জন্য আমরা বিচার চাই।” অভিযুক্ত ইন্টার্নি চিকিৎসক নূরনবী বলেন, “আমি রোগীকে কোমরের ব্যথা ও গ্যাস্ট্রিকের জন্য ইনজেকশন দিয়েছিলাম। ইসিজি পরীক্ষার পর তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় রেফার করি। পথে তিনি মারা যান। এরপর স্বজনরা আমাকে অন্যায়ভাবে মারধর করেছেন।” নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “ঘটনার সময় আমি দায়িত্বে ছিলাম না। তখন ডাক্তার মো. নাজমুল হোসেন বিপুল দায়িত্বে ছিলেন, আর নূরনবী তার সহকারী হিসেবে কাজ করছিলেন। ইন্টার্নি চিকিৎসকের দ্বারা রোগী দেখা উচিত হয়নি, এটা ভুল হয়েছে। তিনি রোগীর যথাযথ চিকিৎসা দিতে পারেননি।” এ ঘটনায় হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে। সচেতন নাগরিকরা এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা গ্রামে ঘটেছে এক অমানবিক ঘটনা। মরদেহ দাফনের প্রস্তুতির সময় মৃত ব্যক্তির পরিবারের কাছে সুদের টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে গ্রামজুড়ে সৃষ্টি হয় উত্তেজনা। ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিন্দার ঝড় উঠেছে। পরে টাকা বুঝে পাওয়ার পর দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়। গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে উপজেলার চিৎলার নতুনপাড়ার বাসিন্দা রাজমিস্ত্রি হারুন (৪৫) মেয়ের বাড়িতে হঠাৎ স্ট্রোক করে মারা যান। পরদিন সকালে মরদেহ গ্রামে পৌঁছলে শোকে ভেঙে পড়েন স্বজনরা। আসরের নামাজের পর জানাজা ও দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। ঠিক সেই সময় এমন এক অপ্রত্যাশিত কাণ্ড ঘটে, যা উপস্থিত সবাইকে হতবাক করে তোলে। প্রতিবেশী মর্জিনা খাতুন দাবি করেন, মৃত হারুনের কাছে তার সুদের ১৫ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। তিনি সরাসরি শর্ত জুড়ে দেন টাকা পরিশোধ না করলে মরদেহ দাফন করতে দেওয়া হবে না। হঠাৎ এমন দাবিতে দিশেহারা হয়ে পড়ে হারুনের পরিবার। শোকার্ত পরিবেশ মুহূর্তেই পরিণত হয় তর্ক-বিতর্কে। প্রায় ২ ঘণ্টা টানাপোড়েন চলার পর সন্ধ্যার দিকে পরিবার বাধ্য হয়ে টাকা পরিশোধ করে। টাকা হাতে পেয়ে মর্জিনা ঘটনাস্থল থেকে সরে পড়লেও গ্রামবাসীর ক্ষোভ থামেনি। ইতোমধ্যে ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় ফেসবুকসহ অনলাইনে সমালোচনার ঝড় ওঠে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আতিয়ার রহমান বলেন, হারুন জীবিত থাকতেই আসল টাকা শোধ করেছিলেন। মৃত্যুর পর মরদেহ আটকে রেখে সুদের টাকা আদায় ঘৃণ্য ও লজ্জাকর কাজ। গ্রামের প্রবীণরা ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, আমরা নানা ঘটনা দেখেছি, কিন্তু মরদেহ আটকে টাকা আদায়ের মতো নির্মমতা কখনও দেখিনি। এটি শুধু লোভ নয়, সমাজের জন্য কলঙ্ক। এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর জানান, এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ঘোয়াল ঘরে কয়েল জ্বালাতে গিয়ে বিষাক্ত সাপের কামড়ে লিমা আক্তার (১৪) নামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত লিমা ওই এলাকার আব্দুল লতিফ ও রোজিনা বেগম দম্পতির মেয়ে এবং নগরাজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। নিহত লিমার পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাতে শিক্ষার্থী লিমা আক্তার ঘোয়াল ঘরে কয়েল জ্বালানোর জন্য তার বাবাকে গ্যাসলাইট দিতে যান। এসময় বিষাক্ত সাপের কামড়ে শিক্ষার্থী লিমা আক্তার মারাত্মক আহত হয়। পরে রাত সাড়ে ৩ টায় আহত শিক্ষার্থীকে দ্রুত কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে বিষাক্ত সাপের ভ্যাকসিন না থাকায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে শনিবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। নগরাজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম আনোয়ারুল হক জানান, ‘লিমা বিদ্যালয়ের একজন নিয়মিত ছাত্রী ছিল। সে কখনও স্কুল ফাঁকি দিত না এবং অত্যন্ত মেধাবী ছিল। তার এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।’ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফুলবাড়ী থানার ওসি শওকত আলী সরকার জানান, ‘মরদেহের সুরতহাল শেষে লাশ দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।’
বিয়ের দাওয়াতে যাওয়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্বে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক গৃহবধূ। কুমিল্লার দেবীদ্বারে এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত সালমা আক্তার বালিবাড়ি গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির কেফায়েতুল্লাহ রুবেলের (৩৩) স্ত্রী। তার রাইসা (১০) ও হারায়নি (৬) নামে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় স্বামীর বাড়িতে রুমের দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন সালমা। তার স্বামী কেফায়েতুল্লাহ রুবেল কুমিল্লা ইপিজেডে চাকরি করেন। রুবেলের বাবা মজিবুর রহমান বাবুল ভূঁইয়া বলেন, আজ আমার ভাই আবুল হোসেন ভূঁইয়ার মেয়ে তাহমিনার বিয়ে ছিল। আমার পুত্রবধূ নিজেই বিয়ের সব আয়োজন শেষ করে ঘরে এসে গোসল করেন এবং পরে দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। সংসারে কোনো অভাব ছিল না, স্বামীর সঙ্গেও ঝগড়া-বিবাদ ছিল না। কেন এমন করল বুঝতে পারছি না। এদিকে নিহতের বড় মেয়ে রাইসা জানায়, মা-বাবার মধ্যে ঝগড়ার পর মা ঘরের দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যা করেন। স্থানীয় নজরুল ইসলাম জানান, রুবেলের চাচা আবুল হোসেন ভূঁইয়ার সঙ্গে তার পারিবারিক সম্পর্ক ভালো না থাকায়, রুবেল স্ত্রীকে বিয়েতে যেতে নিষেধ করেছিলেন। এতে অভিমানে সালমা আত্মহত্যা করেন। এ বিষয়ে দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, স্বামী পাশের ঘরের বিয়েতে যেতে নিষেধ করায় তিনি আত্মহত্যা করেন। অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় পুকুরের পানিতে ডুবে দাদা ও নাতির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার শিবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- চিতলমারী থানার উত্তর শিবপুর গ্রামের নৃর জামানের ছেলে নূর কাদের মোল্লা (৯) ও তার দাদা শাহজাহান মোল্লার (৮০)। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুরে পুকুরে গোসল করতে নামে দাদা বাড়িতে বেড়াতে আসা শিশু নূর কাদের মোল্লা। পুকুর থেকে শিশুটি উঠতে পারছিল না দেখে দাদা শাহাজাহান মোল্লা উঠাতে আসলে তিনিও পানিতে ডুবে যান। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা দাদা ও নাতিকে উদ্ধার করে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। চিতলমারী থানার উপ পরিদর্শক এস আই মোঃ ফয়সাল বলেন, স্থানীয়রা তাদের দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। পারিবারিক কবর স্থানে তাদের দাফনের প্রস্তুতি চলছে।
জিয়াউর রহমান একজন শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের দলীয় কার্যালয়ে বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ চাই না, জয় বাংলা চাই। আমরা শেখ হাসিনাকে চাই না, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ চাই। এটার বিরুদ্ধে যারা যাবেন যান, অসুবিধা নাই। আর যদি বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ এটা বিশ্বাস করে রাজনীতি করেন, আমরা সঙ্গে আছি। কাদের সিদ্দিকী বলেন, মুক্তিযোদ্ধাকে গালি দিলে বঙ্গবন্ধুকে যেমন গালি দেওয়া হয়, তেমনি জিয়াউর রহমানকেও গালি দেওয়া হয়। জিয়াউর রহমান একজন শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা। জিয়াউর রহমানকে নিয়ে হাজার কথা বলতে পারে আওয়ামী লীগ। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে, তার সম্পর্কে আমার বিন্দুমাত্র কোনো রকম সন্দেহ নাই। জিয়াউর রহমান আমার চেয়ে বড় মুক্তিযোদ্ধা। আমি যদি ওই কালুরঘাট বেতারে বক্তৃতা করতাম তাও আমি জিয়াউর রহমানের সমান হতাম না। তিনি বলেন, যুদ্ধের সময় মানুষ মিলিটারিদের খুঁজছিল। মিলিটারিদের কথা শুনতে চেয়েছিল। আমাদের নেতা তো অনেকেই বক্তৃতা করছে, তাদেরটা ধরতে পারে নাই। মিলিটারিদের বক্তব্য মানুষের উৎসাহ জাগছে ও বুকে সাহস জাগছে। সেই জন্যই সে শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা। কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, শেখ হাসিনা যতদিন ছিল, তারেক রহমানের একটা কথাও আমার পছন্দ হইতো না। শেখ হাসিনা যাওয়ার পরে তারেক রহমানের একটা কথাও আমি অপছন্দ করতে পারতেছি না। সবই পছন্দ হয়, আমি কী করুম? কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সখীপুর উপজেলা শাখার সভাপতি আলহাজ আব্দুস সবুর খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুর রহমান, টাঙ্গাইল জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক এ টি এম সালেক হিটলু, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সখীপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন সজীব, যুগ্ম সম্পাদক আশিক জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে একটি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে গেছে। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোররাতের দিকে উপজেলার চাষিরহাট ইউনিয়নের সোনাইমুড়ী থেকে কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের চাষিরহাট বাজার সংলগ্ন কচুয়া কান্দি রাস্তার মাথা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলা শহর মাইজদী থেকে ভোররাতের দিকে একটি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। যাত্রা পথে গাড়িটি সোনাইমুড়ী থেকে কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের চাষিরহাট বাজার সংলগ্ন কচুয়া কান্দি রাস্তার মাথা এলাকায় পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খালে পড়ে যায়। পরে মরদেহের সঙ্গে থাকা স্বজনেরা স্থানীয়দের সহায়তায় অন্য গাড়িতে করে লাশ নিয়ে ঢাকা চলে যায়। চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোবারক হোসেন ভূঁইয়া বলেন, চালকের চোখে ঘুম থাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সোমবার সকালের দিকে অ্যাম্বুলেন্সটি পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। লিখিত কোন অভিযোগ থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে বাসের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই মহাসড়কের বাংলাদেশ হাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেইে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। আরেক মোটরসাইকেল আরোহীকে গুরুতর অবস্থায় কালুখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মারা যান। প্রাথমিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। বিস্তারিত আসছে...
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১৬ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এক নজরে নিয়োগের বিস্তারিত প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) বিভাগের নাম: অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদসংখ্যা: ০১ জন শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ১ বছর চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয় বয়সসীমা: নির্ধারিত নয় বেতন: ৪৫,০০০ টাকা কর্মস্থল: ঢাকা আবেদন প্রক্রিয়া: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ তারিখ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে নিয়োগ দেশের অন্যতম মানবিক সংগঠন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে একজন যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা ২১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। পদসংক্রান্ত তথ্য প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পদের নাম: টেকনিক্যাল অফিসার পদসংখ্যা: ১ জন যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি বা ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ২ বছর বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৪০ বছর বেতন ও চাকরির ধরন বেতন: ৫০,০০০ টাকা চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন কর্মস্থল: কুড়িগ্রাম আবেদন প্রক্রিয়া আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ওয়েবসাইটে ক্লিক করুন।
ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির তত্ত্বাবধানে নতুন সমন্বিত ব্যাংক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এই নিয়োগের আওতায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক-এ সিনিয়র অফিসার (সাধারণ) পদে ৩৯৮ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। পদসংক্রান্ত তথ্য প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক পদের নাম: সিনিয়র অফিসার (সাধারণ) পদসংখ্যা: ৩৯৮টি শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রার্থীদের যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা চার বছর মেয়াদি স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) বা সমমানসহ তদূর্ধ্ব পর্যায়ের পরীক্ষাগুলোর মধ্যে অন্তত দুইটিতে প্রথম বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে। কোনো পর্যায়েই তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি গ্রহণযোগ্য নয়। বয়সসীমা ১ জুলাই ২০২৫ তারিখে প্রার্থীর বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩২ বছর হতে হবে। আবেদন সংক্রান্ত তথ্য আবেদন ফি: ২০০ টাকা (অনগ্রসর নাগরিক গোষ্ঠীর প্রার্থীদের জন্য ৫০ টাকা)। আবেদনের শেষ সময়: ১০ নভেম্বর ২০২৫। আবেদন পদ্ধতি আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে এবং আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন।
আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াটারএইড বাংলাদেশ জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ‘টেকনিক্যাল এক্সপার্ট’ পদে নতুন কর্মী নেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে ২৮ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। নিয়োগের বিস্তারিত প্রতিষ্ঠানের নাম: ওয়াটারএইড বাংলাদেশ পদের নাম: টেকনিক্যাল এক্সপার্ট পদের সংখ্যা: নির্ধারিত নয় চাকরির ধরন: ফুল টাইম প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই কর্মস্থল: খুলনা যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি বা স্নাতক (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং/এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে) অভিজ্ঞতা: সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫ বছর বয়সসীমা: নির্ধারিত নয় বেতন ও সুবিধা বেতন: প্রতি মাসে ৯২,৫০০ টাকা আবেদন প্রক্রিয়া আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ তারিখ: ২৮ অক্টোবর ২০২৫
মায়ের অসুস্থতার কারণে কেন্দ্রে দেরিতে আসায় পরীক্ষা না দিতে পারা সেই আনিসা আহমেদ এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করেছেন। তিনি বাংলা ও ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে ফেল করেন। আনিসা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তিনি মানবিক বিভাগের পরীক্ষাথী। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনই (২৬ জুন) ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরীক্ষার্থী আনিসা মায়ের অসুস্থতার কারণে সময়মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছুতে পারেননি। দেরি হওয়ায় তাকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেননি দায়িত্বরতরা। এসময় ওই ছাত্রী পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। গেটের বাইরে দীর্ঘসময় অপেক্ষায় থেকে তিনি সেদিন ফিরে যান। ওই ছাত্রীর পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাঙলা কলেজ। আনিসার কান্না-আকুতি তখন নাড়িয়ে দেন বহু মানুষের বিবেক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন উঠে—আইন কি মানবিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে? নেটিজেনরা দাবি তোলেন—মানবিক বিবেচনায় হলেও তাকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। অন্তর্বর্তী সরকারও সেই দাবি আমলে নেয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে তখন শিক্ষা উপদেষ্টার বরাতে জানানো হয়, ‘পরীক্ষা দিতে না পারা আনিসার বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’