জাতীয়

আরও দুটি লম্বা ছুটি পেতে যাচ্ছেন চাকুরীজীবীরা
আরও দুটি লম্বা ছুটি পেতে যাচ্ছেন চাকুরীজীবীরা

চলতি বছরে একাধিক দীর্ঘ ছুটি উপভোগ করেছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। সবশেষ শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা চারদিনের ছুটি কাটানোর পর এবার সামনে আসছে আরও একটি লম্বা সরকারি ছুটি।   বুধবার (২২ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ছুটির ক্যালেন্ডার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তিকে চাকরিজীবীরা আরও দুটি সাধারণ ছুটি পাবেন। এর মধ্যে একটির সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি মিলে টানা তিন দিনের ছুটি ভোগ করতে পারবেন তারা।   জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের বাকি সময়ের দুটি সাধারণ ছুটি হলো— ১৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) বিজয় দিবস ২৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন বা বড়দিন এর মধ্যে বড়দিনের ছুটি বৃহস্পতিবার পড়ায় এর পরের দুই দিন শুক্রবার ও শনিবারের সাপ্তাহিক বন্ধ মিলে টানা তিন দিনের ছুটি উপভোগ করবেন সরকারি চাকরিজীবীরা।   এর আগে, চলতি বছরের শারদীয় দুর্গাপূজায় ১ অক্টোবর নির্বাহী আদেশে ছুটি, ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীর ছুটি এবং ৩ ও ৪ অক্টোবর শুক্র-শনিবারের সাপ্তাহিক বন্ধ মিলিয়ে টানা চারদিনের ছুটি কাটান তারা।   চলতি বছর সবচেয়ে বড় ছুটি আসে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায়। ঈদুল ফিতরে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা ৯ দিন, আর ঈদুল আজহায় টানা ১০ দিন ছুটি কাটিয়েছেন।   বছরের শেষ দিকে বড়দিনের টানা ছুটি সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বছরের সমাপ্তিকে আরও আনন্দময় করে তুলবে বলে অনেকে মনে করছেন।

অক্টোবর ২৩, ২০২৫ 0
৮৮৫০ জনকে আত্মরক্ষামূলক প্রশিক্ষণ দেবে সরকার, দেওয়া হবে ভাতা
৮৮৫০ জনকে আত্মরক্ষামূলক প্রশিক্ষণ দেবে সরকার, দেওয়া হবে ভাতা

জাতীয় প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করতে দেশের ৮ হাজার ৮৫০ জন তরুণ-তরুণীকে আত্মরক্ষামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় সরকার ও যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।   মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, দেশের ৭টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ৮২৫০ জন যুবক ও ৬০০ জন যুবতীকে জুডো, কারাতে, তায়কোয়ানডো এবং শ্যুটিং বিষয়ে মৌলিক আত্মরক্ষামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।   প্রশিক্ষণ শুরু: আগামী ২২ নভেম্বর সময়কাল: ১৫ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র: বিকেএসপি ঢাকা: ৬০০ জন (নারীদের জন্য নির্ধারিত) কক্সবাজার কেন্দ্র: ২৯৭০ জন চট্টগ্রাম কেন্দ্র: ৬৪০ জন খুলনা কেন্দ্র: ১১২০ জন বরিশাল কেন্দ্র: ১২০০ জন সিলেট কেন্দ্র: ১২০০ জন দিনাজপুর কেন্দ্র: ১১২০ জন যোগ্যতা: বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে শারীরিক ও মানসিকভাবে সক্ষম শিক্ষাগত যোগ্যতা: ন্যূনতম এসএসসি পাস সুবিধা: প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য বিকেএসপি কর্তৃক আবাসন, আহার, ট্র্যাকসুট, টি-শার্ট ও কেডস সরবরাহ করা হবে। সফলভাবে প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারীরা ৪,২০০ টাকা ভাতা এবং সার্টিফিকেট পাবেন।   আবেদন: অনলাইনে bkspds.gov.bd ওয়েবসাইটে আবেদন করা যাবে।   আবেদন শুরু হয়েছে: ১৭ অক্টোবর থেকে।

অক্টোবর ২৩, ২০২৫ 0
নতুন বেতন কাঠামোতে সুখবর পাচ্ছেন বেসরকারি চাকরিজীবীরাও
নতুন বেতন কাঠামোতে সুখবর পাচ্ছেন বেসরকারি চাকরিজীবীরাও

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য নতুন জাতীয় বেতন কাঠামো প্রণয়নে উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় বেতন কমিশন ইতোমধ্যে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও সমিতির সঙ্গে বৈঠক করেছে, যেখানে সংশ্লিষ্ট পক্ষ তাদের মতামত, প্রস্তাবনা ও উদ্বেগ তুলে ধরেছেন। এবার এই প্রক্রিয়ায় বেসরকারি খাতের বেতন কাঠামো নিয়েও প্রস্তাব জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) মহাসচিব মো. আলমগীর।   মো. আলমগীর বুধবার (২২ অক্টোবর) দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, “এফবিসিসিআই বর্তমানে বেতন কাঠামো সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা তৈরি করছে, যা শিগগিরই জাতীয় বেতন কমিশনে উপস্থাপন করা হবে। বেসরকারি খাতে বেতন সুবিধা মূলত মালিক ও শ্রমিকের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপর নির্ভরশীল। ন্যূনতম বেতন ২৫–৩০ হাজার টাকার মধ্যে হওয়া উচিত, যাতে একজন কর্মজীবীর পরিবারের চার সদস্যের মৌলিক জীবনযাত্রার নিশ্চয়তা দেওয়া যায়।”   তিনি আরও বলেন, “প্রাইভেট সেক্টর সবসময় কম খরচে বেশি উৎপাদন চায়, তবে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ন্যূনতম জীবনের নিশ্চয়তা দেওয়া জরুরি। বেতন কাঠামো এমন হওয়া উচিত যাতে একজন মানুষ উচ্চ বিলাসী না হলেও সম্মানজনক ও স্থিতিশীল জীবনযাপন করতে পারেন। বেতন নির্ধারণে শুধু বাজার চাহিদি নয়, মূল্যস্ফীতিও বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন।”   এফবিসিসিআই মহাসচিব উল্লেখ করেন, “বিদেশি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে বেতন কাঠামো তুলনামূলক ভালো হলেও অধিকাংশ দেশীয় কোম্পানিতে এটি এখনও দুর্বল। দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো ও সংস্কৃতির কারণে এ বৈষম্য তৈরি হয়েছে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ পরিস্থিতি বদলাবে। প্রতি বছর মূল্যস্ফীতি অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি করলে কর্মীরা কিছুটা স্বস্তি পাবেন।”   তিনি বেসরকারি খাতে বেতন বৃদ্ধির কম হওয়ার কারণ হিসেবে বলেন, “চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় প্রতিষ্ঠান সহজেই বিকল্প নিয়োগ দিতে পারে, ফলে শ্রমিকরা চাপের মুখে থাকে। এছাড়া সঠিক অডিট ও শ্রমিক অধিকার রক্ষায় তদারকির অভাবও একটি বড় সমস্যা। এটি আধুনিক যুগের শোষণ হিসেবে দেখা যেতে পারে।”   মো. আলমগীর আরও যোগ করেন, “নাগরিকের মানবিক মর্যাদা রক্ষা ও ন্যায্য জীবিকার নিশ্চয়তার জন্য শুধু সরকারি-বেসরকারি ভেদ নয়, একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়সঙ্গত বেতন কাঠামো তৈরি করা জরুরি। তা না হলে বৈষম্য ও দুর্নীতি বৃদ্ধি পাবে।”

অক্টোবর ২২, ২০২৫ 0
আইএমএফের ঋণ পেতে দুই খাতে সংস্কারের শর্ত বাংলাদেশের সামনে
আইএমএফের ঋণ পেতে দুই খাতে সংস্কারের শর্ত বাংলাদেশের সামনে

বাজেট সহায়তার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ। তবে, এই ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দুটি খাতে সংস্কারের শর্ত জুড়ে দিয়েছে সংস্থাটি।   সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলারের এই ঋণ কর্মসূচির পরবর্তী পর্যালোচনার জন্য শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসছে আইএমএফের একটি দল।    স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সংস্থাটির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন।   আইএমএফের ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি জানান, কর্মসূচির পরবর্তী পর্যালোচনার জন্য আইএমএফের একটি দল শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবে। এবার দুটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে সংস্কারের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। একটি হচ্ছে রাজস্ব আহরণ বাড়ানোর মাধ্যমে রাজস্ব খাতে সংস্কার। অন্যটি আর্থিক খাতের সংস্কার।   কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন বলেছেন, বাংলাদেশকে রাজস্ব ও আর্থিক খাতের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোতে সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। চলমান কর্মসূচির সফলতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে সংস্কারের মূল ক্ষেত্রগুলোতে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।   এদিকে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত আইএমএফের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের আঞ্চলিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাস প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি কিছুটা ঘুরে দাঁড়াবে। এ সময় বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছাতে পারে, যা আগের অর্থবছরে ছিল ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।   এছাড়া, প্রতিবেদনে মূল্যস্ফীতির বিষয়েও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আইএমএফের মতে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের গড় মূল্যস্ফীতি কমে ৮ দশমিক ৪২ শতাংশে নামতে পারে এবং পরের অর্থবছরে তা আরও কমে ৫ দশমিক ০৬ শতাংশে নেমে আসবে।   ওয়াশিংটন ভিত্তিক এই সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, সংস্কার বাস্তবায়নের গতি ও প্রত্যাশার তুলনায় ধীর মূল্যস্ফীতি হ্রাসের বিষয়টি বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে।   এছাড়া, আইএমএফ জ্বালানি সরবরাহে সীমাবদ্ধতা এবং বৈশ্বিক নীতিগত অনিশ্চয়তার কারণে সম্ভাব্য বাণিজ্য ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকির কথাও তুলে ধরেছে। 

অক্টোবর ১৮, ২০২৫ 0
বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রেস উইংয়ের বিবৃতি
বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রেস উইংয়ের বিবৃতি

দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের প্রতিটি ঘটনা নিরাপত্তা বাহিনী গভীরভাবে তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নাশকতা বা অগ্নিসংযোগের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে সরকার তাৎক্ষণিক ও কঠোর পদক্ষেপ নেবে।   শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।   বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে—অন্তর্বর্তী সরকার বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলো প্রতিটি ঘটনা বিস্তারিতভাবে তদন্ত করছে এবং মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে।   এতে আরও বলা হয়, যদি কোনো ঘটনার পেছনে নাশকতা বা অগ্নিসংযোগের প্রমাণ মেলে, সরকার তাৎক্ষণিকভাবে দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে। কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বা উসকানির মাধ্যমে জনজীবন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে দেওয়া হবে না।   বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই—যদি এসব অগ্নিকাণ্ড নাশকতা হিসেবে প্রমাণিত হয় এবং এর উদ্দেশ্য হয় আতঙ্ক বা বিভাজন সৃষ্টি করা, তবে তারা সফল হবে কেবল তখনই, যখন আমরা ভয়কে আমাদের বিবেচনা ও দৃঢ়তার ওপর প্রাধান্য দিতে দেব।”   অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, বাংলাদেশ অতীতেও বহু কঠিন সময় অতিক্রম করেছে। ঐক্য, সংযম ও দৃঢ় সংকল্প নিয়ে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় যেকোনো হুমকির মোকাবিলা করা হবে। “আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই,”—বিবৃতিতে যোগ করা হয়।   এরই মধ্যে শনিবার দুপুরে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট কাজ করে, সঙ্গে যোগ দেয় নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, সিভিল অ্যাভিয়েশন, দুই প্লাটুন বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। সন্ধ্যার দিকে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।   এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার একটি তোয়ালে কারখানায় এবং ১৪ অক্টোবর রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়ির একটি রাসায়নিক গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

অক্টোবর ২১, ২০২৫ 0
কী আছে জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায়?
কী আছে জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায়?

বহুল আকাঙ্ক্ষিত জুলাই জাতীয় সনদে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা এবং রাজনৈতিক দলের নেতারা স্বাক্ষর করেছেন।   শুক্রবার বিকালে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এ স্বাক্ষর গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায় কী আছে তা যুগান্তরের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:    জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ বাস্তবায়নের অঙ্গীকারনামা   গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রকাশিত জনগণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা নিম্নস্বাক্ষরকারীগণ এই মর্মে অঙ্গীকার ও ঘোষণা করছি যে-   ১।  জনগণের অধিকার ফিরে পাওয়া এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুদীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে হাজারো মানুষের জীবন ও রক্তদান এবং অগণিত মানুষের সীমাহীন ক্ষয়ক্ষতি ও ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত সুযোগ এবং তৎপ্রেক্ষিতে জন-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রণীত ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত নতুন রাজনৈতিক সমঝোতার দলিল হিসেবে জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এর পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করব।   ২।  যেহেতু জনগণ এই রাষ্ট্রের মালিক, তাদের অভিপ্রায়ই সর্বোচ্চ আইন এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সাধারণত জনগণের অভিপ্রায় প্রতিফলিত হয় রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে সেহেতু রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহ সম্মিলিতভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে জনগণের অভিপ্রায়ের সুস্পষ্ট অভিব্যক্তি হিসেবে জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ গ্রহণ করেছি বিধায় এ সনদ পূর্ণাঙ্গভাবে সংবিধানে তফশিল হিসেবে বা যথোপযুক্তভাবে সংযুক্ত করব।   ৩।  জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ এর বৈধতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করব না, উপরন্তু উক্ত সনদ বাস্তবায়নের প্রতিটি ধাপে আইনি ও সাংবিধানিক সুরক্ষা নিশ্চিত করব।   ৪।  গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের দীর্ঘ ১৬ বছরের নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম এবং বিশেষত ২০২৪ সালের অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক তাৎপর্যকে সাংবিধানিক তথা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করব।   ৫।  গণঅভ্যুত্থানপূর্ব বাংলাদেশে ১৬ বছরের আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রামে গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানকালে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার, শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও শহীদ পরিবারকে এবং জুলাই আহতদের রাষ্ট্রীয় বীর, আহত জুলাই বীর যোদ্ধাদের যথোপযুক্ত সহায়তা প্রদান যেমন মাসিক ভাতা, সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন ব্যবস্থা এবং শহীদ পরিবার ও আহত বীর যোদ্ধাদের আইনগত দায়মুক্তি, মৌলিক অধিকার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো।   ৬।  জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-এ বাংলাদেশের সামগ্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা তথা সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশি ব্যবস্থা ও দুর্নীতি দমন ব্যবস্থা সংস্কারের বিষয়ে যেসব সিদ্ধান্ত লিপিবদ্ধ রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সংবিধান এবং বিদ্যমান আইনগুলোর প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন বা নতুন আইন প্রণয়ন, প্রয়োজনীয় বিধি প্রণয়ন বা বিদ্যমান বিধি ও প্রবিধির পরিবর্তন বা সংশোধন করব।   ৭।  জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫ এর ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত যেসব সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাস্তবায়নযোগ্য সেগুলো কোনো ধরনের কালক্ষেপণ না করেই দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করবে।

অক্টোবর ১৭, ২০২৫ 0
জুলাই সনদ পৃথিবীর জন্য উদাহরণ: প্রধান উপদেষ্টা
জুলাই সনদ পৃথিবীর জন্য উদাহরণ: প্রধান উপদেষ্টা

জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে ‘নতুন বাংলাদেশের সূচনা’ হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আমরা বর্বরতা থেকে সভ্যতার জগতে এলাম।    শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকালে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।   বক্তব্যের শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আজকের দিনের মতো এ রকম ঘটনা ঘটবে আমরা চিন্তাও করতে পারি নাই।   ঐকমত্য কমিশনের যাত্রা শুরুর সময় কতদূর ঐকমত্য হবে তা নিয়েও দ্বিধা বা সংশয়ের কথা উল্লেখ করেন তিনি। কিন্তু সবার অংশগ্রহণ এবং এর মধ্য দিয়ে এক ধরনের ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছেন।   ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ঐকমত্য কমিশনে যে সৌহার্দ্যের সঙ্গে আলোচনা হলো আপনারা যারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে আছেন, বিভিন্ন জায়গায় আছেন, তারা দেখেছেন, টেলিভিশনে এটা প্রচার হচ্ছিল, কীভাবে তারা যার যার নীতিগুলো তুলে ধরছেন, বক্তব্যগুলো তুলে ধরেছেন। সেটা সব মানুষ শুনতে পেয়েছে। শুনতে পেয়েছে শুধু না, তারা অংশ নিতে পেরেছে, মনে মনে অংশ নিয়েছে, ঘরের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক করেছে।    এ সনদ শুধু দেশের জন্য না পুরো পৃথিবীর জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টা।   তিনি বলেন, কীভাবে ঐকমত্যে আসা হয়েছে তা তরুণদের জানাতে পাঠ্যপুস্তকে থাকবে।   আজকের মতো ঐক্যের সুর নিয়ে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি। সে নির্বাচনও বিশ্বের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকার কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

অক্টোবর ১৭, ২০২৫ 0
‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে, এর সঙ্গে কোনো কম্প্রোমাইজ করা হবে না’
‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে, এর সঙ্গে কোনো কম্প্রোমাইজ করা হবে না’

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আপনারা সবাই মিলে জাতীয় সনদ তৈরি করেছেন। এখন সরকারের দায়িত্ব হলো উৎসবমুখর নির্বাচন করে দেওয়া।    বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।   প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবেই। উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে। তার জন্য যা যা করতে হয়, সাধ্য অনুযায়ী আমরা সবকিছু করব। এর সঙ্গে কোনো কম্প্রোমাইজ করা হবে না। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে জুলাই সনদ সই হবে ১৭ অক্টোবর। জাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রয়েছে। উৎসবমুখরভাবে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) আমরা সেখানে যাব এবং দলিলে (জুলাই সনদ) সই করব।   প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জুলাই সনদ সই হয়ে গেলেই শেষ হয়ে যাবে না। এটা মস্ত বড় একটা অধ্যায় শেষ হলো। কিন্তু আরও বহু অধ্যায়ের সূত্রপাত হবে। কাজেই সেইভাবে আমরা আগাবো, যাতে এটা কোথাও হারিয়ে না যায়। পাঠ্যবইসহ নানা জায়গায় এটাকে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ করতে হবে।   ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, যে দলিলগুলো আপনারা তৈরি করেছেন সেগুলো হারিয়ে যাবে না। আমি যতদিন পারি চেষ্টা করব এগুলো যেন প্রত্যেকের কাছে যায়। যেন সবার মনের মধ্যে থাকতে পারে কেন আমরা একমত হতে পেরেছি। একমত হওয়া এক জিনিস, এটাকে সঞ্চারিত করা আরেক জিনিস। এই সঞ্চারণের দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে সরকার হিসেবে, আমরা প্রক্রিয়া শুরু করব। বিষয়গুলো জনগণের কাছে প্রচার করার মতো ভাষায় প্রচার করতে হবে। আমি বলে রেখেছি, আপনারা যে বিতর্কগুলো করেছেন এগুলো অমুল্য সম্পদ। এইগুলোকে বিষয়ভিত্তিকভাবে ভিডিও করে, বই করে আমাদের কাছে থাকবে, যাতে হারিয়ে না যায়। সামাজিক মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রচার করলে সবার কাছে পরিষ্কার হবে।   প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যে অসম্ভবকে আপনারা সম্ভব করেছেন সেটা শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে না পৃথিবীর রাজনৈতিক ব্যবস্থার ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকবে। আপনারা কঠিন কঠিন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং সমাধানে এসেছেন। নিজেরা সবাই আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছেন, একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছেন। এজন্য আজকে জুলাই সনদ রচিত হয়েছে। সেজন্য আমি একা নই, জাতির সবাই অভিভূত হয়েছে।   তিনি বলেন, আজকে যেই পয়েন্টে এসেছি, সেটা একটা অবিশ্বাস্য কাণ্ড। মানুষ চিরদিন স্মরণ করবে, বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে গর্ববোধ করছে। আমি একজন ব্যক্তি হিসেবে গর্ববোধ করছি, যে এই কাজের সঙ্গে আমি শরিক ছিলাম, অংশীদার ছিলাম। যেই অসম্ভব কাজ আপনারা করলেন এটা যুগযুগ ধরে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ইতিহাসের স্বর্ণ অক্ষরে লিখে রাখার মতো একটা দিন।   বৈঠকে অংশ নেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণসংহতি আন্দোলন, জেএসডি (রব), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, এবি পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।

অক্টোবর ১৫, ২০২৫ 0
আইএমএফ। ফাইল ছবি
কঠিন শর্তে আইএমএফের ঋণ নেবে না বাংলাদেশ

করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক ধাক্কায় রিজার্ভের ধারাবাহিক পতন শুরু হলে ২০২২ সালে আইএমএফের (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল) দারস্থ হয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। সে সময় নানা শর্তে ঋণ চুক্তি হয় ৪৭০ কোটি ডলারের। চুক্তি অনুযায়ী, তিন কিস্তিতে ২৩০ কোটি টাকা পায় বাংলাদেশ। কিন্তু, ২০২৪ সালে জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বন্ধ হয়ে যায় আইএমএফের ঋণের বাকি কিস্তি ছাড়। নানা শর্তের বেড়াজালে আটকে যায় অন্তর্বর্তী সরকার।   তবে, কয়েক দফায় আলোচনার পর আইএমএফ অবশেষে আগামী বছরের জুনে ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একসঙ্গে ছাড় করতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সেইসঙ্গে আরও ৮০ কোটি ডলারের আরেকটি ঋণ চুক্তি হয়েছে আইএমএফের সঙ্গে। কিন্তু, এর জেরে সংস্কার প্রশ্নে আরও বাড়তি কঠিন শর্ত জুড়ে দিতে চাইছে সংস্থাটি।   এ অবস্থায় প্রতিশ্রুত ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আইএমএফ যদি আরও নতুন বা কঠোর কোনো শর্ত আরোপ করে, তাহলে আইএমএফকে বাদ দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ঋণের বিকল্প উৎস চিন্তা করবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ।   মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বার্ষিক সভায় দ্বিতীয় দিনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।   অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আইএমএফের (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল) নতুন কোনো শর্ত আরোপ বা কঠোর হিসাব নির্ধারণ করা হলে সরকার তা পুনর্বিবেচনা করবে। আমরা বিকল্প উৎস নিয়ে চিন্তা করব, কারণ আমাদের অর্থনীতি আগের থেকে অনেক স্থিতিশীল।   তিনি জানান, বাজেট সহায়তা নেওয়া হবে কি না—তা এখনো চূড়ান্ত নয়। তবে আইএমএফের শর্তসমূহ যদি দেশের জন্য অনুকূল না হয়, তাহলে সরকার বিকল্প উৎস থেকে সহায়তা নেওয়ার দিকেই নজর দেবে।   অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা এখন চেষ্টা করছি বিকল্প বাজেট সহায়তার ব্যবস্থা করতে—এডিবি, এআইআইবি’র মতো সংস্থাগুলোর সহযোগিতা নেওয়ার সুযোগ আছে।   তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমরা আইএমএফের চলমান প্রোগ্রামে আছি, তবে নতুন প্রোগ্রামে যাব কি না, সেটি সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।   তবে, বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বার্ষিক সভার পাশাপাশি একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে দাবি করে উপদেষ্টা বলেন, আমরা এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি, ওপেকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে উন্নয়ন ঋণ, অনুদান ও বাজেট সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যৎ সহযোগিতা ও সংস্কার কর্মসূচি নিয়েও মতবিনিময় চলছে।   অর্থ উপদেষ্টা জানান, সম্প্রতি এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে এবং আরও কয়েকটি বৈঠক নির্ধারিত রয়েছে। এছাড়া তিনি কমনওয়েলথ ফাইন্যান্স ব্রিজ ফোরাম-এ অংশ নিয়ে বাংলাদেশের আর্থিক অগ্রগতি ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নেওয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেছেন।   সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গত বছর যেখানে আমরা ছিলাম, তার চেয়ে এখন বাংলাদেশের অবস্থান অনেক ভালো। অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা এসেছে, বৈদেশিক মুদ্রাবাজার ও রিজার্ভের অবস্থান উন্নত হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা কমেছে এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমে গতি ফিরেছে।   অর্থনৈতিক উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকার ব্যাংকিং খাতসহ বিভিন্ন সেক্টরে ব্যাপক সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে, যা উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে বিস্তারিতভাবে আলোচিত হয়েছে। ‌‘সংস্কার কার্যক্রম এখনো চলমান এবং রেগুলেটরি কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করতে কিছু সময় লাগবে।   তিনি উল্লেখ করেন, সংস্কারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং পরবর্তী সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার দিকনির্দেশনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। নতুন প্রজন্ম যেন এসব সংস্কারের সুফল পায়, সেদিকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।   সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের অর্থনীতির ইতিবাচক রূপান্তর এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দৃশ্যমান। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে দুটি নতুন প্রকল্পের নকশা চূড়ান্ত হয়েছে, যা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। চলমান স্থিতিশীলতা ও সংস্কার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের অর্থনীতি আগামী বছরগুলোতে আরো ভালো হবে।

অক্টোবর ১৫, ২০২৫ 0
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘোষণা
কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘোষণা

কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।   গতকাল রোববার (১২ অক্টোবর) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিএ-১ শাখা থেকে যুগ্মসচিব আহমেদ জামিল স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আজ সোমবার বিষয়টি জানা গেছে।   প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, Sub-rule (1)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার The Civil Aviation Rules, 1984 এর Rule16 অনুযায়ী কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ঘোষণা করল।   জনস্বার্থে জারি করা এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

অক্টোবর ১৩, ২০২৫ 0
ইসরায়েল থেকে মুক্তি পেয়ে তুরস্কের পথে শহিদুল আলম
ইসরায়েল থেকে মুক্তি পেয়ে তুরস্কের পথে শহিদুল আলম

ইসরায়েলের বন্দিদশা থেকে অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন খ্যাতনামা আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে তিনি টার্কিশ এয়ারলাইন্সের টিকে-৬৯২১ ফ্লাইটে ইসরায়েল থেকে ইস্তাম্বুলে পৌঁছান।   দিনের বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, তুর্কি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটায় শহিদুল আলমকে বহনকারী বিমানের ইস্তাম্বুলে অবতরণের কথা রয়েছে।   ইসরায়েলে আটক হওয়ার পর শহিদুল আলমের নিরাপত্তা নিয়ে দেশে-বিদেশে গভীর উদ্বেগ দেখা দেয়। তিনি সম্প্রতি গাজায় মানবিক সহায়তা নিয়ে যাওয়া একটি ফ্লোটিলা অভিযানে অংশ নিতে গিয়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক হন।   তার মুক্তির পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক বার্তায় শহিদুল আলমের মুক্তি ও দেশে প্রত্যাবর্তনে সহযোগিতার জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানান।   মানবাধিকার রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করা শহিদুল আলমের মুক্তি সংবাদে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বস্তি ও আনন্দ প্রকাশ করছেন তার সহকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীরা।

অক্টোবর ১০, ২০২৫ 0
চীনের কাছ থেকে যুদ্ধবিমান কেন কিনতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার?
চীনের কাছ থেকে যুদ্ধবিমান কেন কিনতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার?

চীনের কাছ থেকে অত্যাধুনিক ২০টি যুদ্ধবিমান কেনার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। আর এতে খরচ হবে ১৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। মূলত নির্বাচনের ম্যান্ডেট নিয়ে আসা ক্ষণস্থায়ী এই সরকার হঠাৎ কেন এত বড় একটি ক্রয় চুক্তি করতে যাচ্ছে, তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে সামাজিক মাধ্যম ও বিভিন্ন মহলে।   অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ফেসবুক প্রোফাইলে এক স্ট্যাটাসেও সম্প্রতি এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, চীনের তৈরি ২০টি জে -১০ সিই মাল্টিরোল যুদ্ধবিমান কেনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।   চলতি ২০২৫-২৬ এবং ২০২৬-২৭ অর্থবছরে এই চুক্তিটি বাস্তবায়নের আশা করা হচ্ছে বলেও এই স্ট্যাটাসে উল্লেখ করা হয়েছে। একইসঙ্গে যুদ্ধবিমান ক্রয়ের প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলা হয়েছে, সরাসরি ক্রয় অথবা জিটুজি পদ্ধতিতে চীন সরকারের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে এগুলো কেনা হবে।   তবে প্রশ্ন উঠেছে, প্রতিরক্ষার মতো এত গুরুত্বপূর্ণ খাতের কেনাকাটার ক্ষেত্রে কেন সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার? তাছাড়া, যখন নির্বাচনের আর মাত্র পাঁচ মাস বাকি, এমন সময়ে প্রতিরক্ষা খাতে অন্তর্বর্তী সরকারের এমন গুরুত্বপূর্ণ ক্রয় সিদ্ধান্ত ভাবাচ্ছে সামরিক খাতের বিশেষজ্ঞদেরও।   স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া স্ট্যাটাসে অবশ্য যুদ্ধবিমান কেনার কারণ ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে একটি লাইন উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আধুনিকায়ন এবং জাতীয় আকাশ প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করতেই ২০টি যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।   তবে সরাসরি কেনা হবে, নাকি জিটুজি পদ্ধতিতে যুদ্ধবিমান ক্রয়ের চুক্তি হবে, সেটি পরিষ্কার করা হয়নি তার স্ট্যাটাসে।   উল্লেখ্য, গত বছর অগাস্টে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে গত মার্চে চীন সফর করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও এই সরকারের মেয়াদকালে দফায় দফায় চীন সফর করেছেন।   এরই মধ্যে আগামী বছর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ঘোষণা অনুযায়ী ভোটের আগে এই সরকারের হাতে আছে মাত্র চার মাসের মতো।   ফলে, নির্বাচনের পূর্বমুহূর্তে প্রতিরক্ষা খাতে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার ক্রয়চুক্তি করা এই সরকারের জন্য কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে সন্দিহান সামরিক খাতের বিশেষজ্ঞরা।   তবে, প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ও যুদ্ধের প্রস্তুতি সংক্রান্ত নিরাপত্তা সক্ষমতা (ডেফারেন্স) বজায় রাখতে বাংলাদেশের যুদ্ধবিমান কেনা প্রয়োজন বলেও স্বীকার করেন তারা।   নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আ.ন.ম মুনীরুজ্জামান বিবিসি বাংলাকে বলেন, যে কোনো দেশকে হুমকি মোকাবিলায় প্রতিরক্ষার জন্য যুদ্ধবিমানসহ সব ধরনের প্রস্তুতি রাখতে হয়।   তবে তিনি মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকার নয়, বরং নির্বাচিত সরকারেরই এই ক্রয় সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া উচিত।   বিবিসি বাংলাকে তিনি আরও বলেন, কোনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যারা সাময়িকভাবে দেশের শাসনভার নিয়েছেন এবং তারা তাদের তাদের মেয়াদের শেষ প্রান্তে চলে আসছেন, বলতে গেলে ইলেকশনের থেকে খুব কাছাকাছি সময় এরকম বড় ধরনের কোনো কেনাকাটার দিকে সেই সরকারের হস্তক্ষেপ করা উচিত না বলে আমি মনে করি।   আ.ন.ম মুনীরুজ্জামান বলেন, এই যুদ্ধবিমানগুলো কিনতে প্রায় দুই দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে, অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা লাগবে। কাজেই এতো বড় একটা ক্রয় যেটা তারা করার সিদ্ধান্ত নেয়, সেটা পরবর্তী যে নির্বাচিত সরকার আসবে তাদের ঘাড়ে গিয়ে পড়বে। কাজেই এই ধরনের সিদ্ধান্তটা সাধারণত এই শেষ মুহূর্তে এসে কোনো সরকারের নেওয়া উচিত হবে না।   তিনি মনে করেন, যেহেতু একটা নির্বাচিত সরকারের দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ, সেক্ষেত্রে তাদের ওপরই এই সিদ্ধান্তের ভার দেওয়া উচিত।   ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকারের আমলেও অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে বেশ তোড়জোড় ও আলোচনা হতে দেখা গিয়েছিল। ২০১৬ সাল থেকে বাংলাদেশের যুদ্ধবিমান ক্রয় সংক্রান্ত আলোচনা শুরু হয় বলে জানান সামরিক খাতের বিশেষজ্ঞরা।   সেসময় বাংলাদেশ ফ্রান্সের তৈরি রাফাল, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইউরো ফাইটার টাইফুন এবং যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬; এই তিনটি থেকে কোন যুদ্ধবিমান কেনা হবে; সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পরে, ২০২৩ সালের ১০ই সেপ্টেম্বর দুইদিনের সফরে ঢাকায় এসেছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো। সেসময় ফ্রান্সের তৈরি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয় বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।   তবে, করোনা মহামারীর সময় আর্থিক সংকটে এসব আলোচনা থমকে গিয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে আবার যুদ্ধবিমান কেনার আলোচনা সামনে এলো।

অক্টোবর ৯, ২০২৫ 0
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-বিশ্বরোড মোড়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বেহাল অংশ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। ছবি: সংগৃহীত
বাসাবাড়িতে আর পাইপ লাইনের গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা

পাইপ লাইনের মাধ্যমে আবাসিক বাসাবাড়িতে আর নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।   বুধবার (৮ অক্টোবর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-বিশ্বরোড মোড়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বেহাল অংশ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।   জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, আবাসিক বাসাবাড়িতে আর কোনো দিন গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে না। গ্যাসের কথা ভুলে যান। আমাদের নিজস্ব গ্যাস কমে গেছে। এখন আমরা ৬০-৬৫ টাকা করে গ্যাস আমদানি করি। সুতরাং এই টাকা দিয়ে কোনো অবস্থাতেই গ্যাস দেওয়া সম্ভব হবে না।   তিনি বলেন, আবাসিক বাসাবাড়িতে সিলিন্ডার গ্যাসে অভ্যস্থ হয়ে যেতে হবে। পাইপলাইনের গ্যাস শুধু শিল্পকারখানা ছাড়া আর কোথাও দেওয়া যাবে না।   এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম, পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক প্রমুখ। সূত্র: বাসস

অক্টোবর ৮, ২০২৫ 0
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯। ছবি: সংগৃহীত
বিপদে মানুষের ভরসা ৯৯৯

বিপদের সময় একটি ফোন কল যা জীবন বাঁচায়, সাহস যোগায় এবং মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়। নম্বরটি হলো জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯। শুধু মায়ের সন্তান প্রসব কিংবা আগুনে ঝলসে যাওয়া নয়, বরং নৈরাশ্যে থাকা মানুষকে পুলিশের সাহসী পদক্ষেপ ও মাদকবিরোধী অভিযানে উদ্ধারসহ নানা জরুরি সেবা নিশ্চিত করে ৯৯৯। এটি এখন এদেশের মানুষের জীবনের এক অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠেছে।   গত বছর যশোরের রূপদিয়া রেলস্টেশনে এক নারী প্রসব বেদনায় কাতর হয়ে পড়েন। স্টেশন মাস্টার বাবুল আক্তার ৯৯৯-এ কল করে অবিলম্বে সহায়তা চাইলেন। সেই কল পেয়ে কোতোয়ালি থানার কনস্টেবল দ্বীন ইসলাম এবং ফায়ার সার্ভিসের দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রসূতি ও নবজাতককে নিরাপদে হাসপাতালে পৌঁছে দেয়। মানবিক এই সেবার উদাহরণ প্রমাণ করে, কীভাবে ৯৯৯ বিপদের মুহূর্তে মানুষের ভরসা হয়ে ওঠে।   অন্যদিকে, ঢাকা শহরের কদমতলী এলাকার বাসিন্দা রিনা বেগম জানান, মধ্যরাতে পরিচিত দুই ব্যক্তি বাসায় ঢুকে প্রথমে কথা বলার অজুহাতে অবস্থান নিয়েছিল, কিন্তু পরে তারা মাদক সেবনে লিপ্ত হয়। বাড়ির ভেতরে থাকা অবস্থায় তাদের হাতে ছুরি দেখে তিনি আতঙ্কিত হন এবং ৯৯৯-এ ফোন করেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদকসেবীরা পালিয়ে যায়।    জরুরি ফোন কল ৯৯৯ সম্পর্কে কীভাবে জানেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার কিছু দিন আগে শুনেছিলাম বিপদে পড়ে এই নাম্বারে কল করলে পুলিশের সহযোগিতা পাওয়া যায়। তাই কল করেছিলাম।   ভুক্তভোগী জানান, অপরাধীরা বাসায় মাদকদ্রব্য ঢুকিয়ে তাদের ফাঁসানোর চেষ্টাও করে। পুলিশের তাৎক্ষণিক সহায়তায় অপরাধীরা পালিয়ে যায় এবং কোনো বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি।   জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭ সালে  প্রতিষ্ঠার পর থেকে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর  পর্যন্ত ৬ কোটি ৬০ লাখ ৩৮ হাজার ৮৪৩টি জরুরি কল করা হয়েছে এই নম্বরে। এর মধ্যে ২ কোটি ৯০ লাখ ৩৯ হাজার ২৪১টি কলে সেবা দেওয়া হয়। সেবার হার ৪৩ দশমিক ৯৭। বাকি ৩ কোটি ৬৯ লাখ ৯৯ হাজার ৬০২টি কল জরুরি সেবার বাইরে হওয়ায় কলারকে সংশ্লিষ্ট বিভাগে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়।    ওই সময়ে সবচেয়ে বেশি পুলিশিং সেবা দেওয়া হয়েছে। যাতে কল সংখ্যা ছিল ১৯ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ টি। যা মোট কলের ৮৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম কলের অনুরোধ এসেছিল ফায়ার সার্ভিসে ১ লাখ ৮১ হাজার ৬৭১টি। যা ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। আর অ্যাম্বুলেন্স সেবা দেওয়ার হার ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ যাতে কল সংখ্যা ছিল ২ লাখ ২ হাজার ২১৩ টি।   জরুরি সেবাদানকারী জাতীয় হেল্পলাইন ‘৯৯৯’-এর সার্বিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য একাধিক পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পূর্বাচলে অতিরিক্ত ১০০টি ওয়ার্কস্টেশন স্থাপন এবং ডেমরার আমুলিয়ায় প্রায় ৫৫২ কোটি টাকার একটি বৃহৎ ওয়ার্কস্টেশন প্রকল্পের প্রস্তাবনা রয়েছে। তবে এগুলোর অনুমোদন এখনো বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি যাচাই-বাছাইয়ের মধ্যে রয়েছে।   বর্তমানে ৯৯৯-এ প্রতিদিন প্রায় ২৪ হাজারের মতো কল আসে, যেখানে মাত্র ৮০ জন কল টেকার এবং ২০ জন ডিসপ্যাচার দিয়ে এই বিপুল সংখ্যক জরুরি কল পরিচালনা করা হয়, যা একটি অত্যন্ত চাপসৃষ্টিকারী বাস্তবতা।   এছাড়াও প্রায় ৫৬ শতাংশ কল অপ্রয়োজনীয় বা বিরক্তিকর হওয়ায় প্রকৃত জরুরি কলগুলোর সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। কল টেকাররা নানাভাবে মানসিক চাপে পড়ছেন, বিশেষত যখন কলগুলিতে অশালীন ভাষা, গালিগালাজ বা হয়রানি থাকে।   এই সমস্যা মোকাবিলায় ৯৯৯ কর্তৃপক্ষ জনসচেতনতা বাড়াতে মিডিয়া ক্যাম্পেইন চালু করেছে এবং নতুনভাবে প্রশিক্ষিত, শিক্ষিত, তরুণ এবং পেশাদার কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এছাড়া কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থাকে ব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও সমাজভিত্তিক প্রচারণা চালানোর পরিকল্পনাও করা হয়েছে।   বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা ওয়ার্কস্টেশন বাড়ানো এবং প্রয়োজনীয় জনবল ও প্রযুক্তি সহায়তা পাওয়া, যাতে ৯৯৯ তার জাতীয় জরুরি সেবা আরও দক্ষভাবে দেওয়া যায়।   ৯৯৯-এর প্রধান ও পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মহিউল ইসলাম বলেন, ‘৯৯৯-এর সেবাগুলো দিন দিন জনগণের মধ্যে আস্থার জায়গা তৈরি করেছে। তবে একদিকে সেবার পরিধি বাড়ছে, অন্যদিকে আমাদের সক্ষমতা এখনো সীমিত। পূর্বাচলে ১শ’টি নতুন ওয়ার্কস্টেশন স্থাপনের প্রস্তাব এবং আমুলিয়ায় বড় পরিসরে ৫শ’ ওয়ার্কস্টেশনের একটি কেন্দ্র নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে যা বাস্তবায়িত হলে আমরা নাগরিকদের আরও দ্রুত, নির্ভুল ও সুরক্ষিত সেবা দিতে পারবো।   তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন আসা ২৪ হাজার কলের মধ্যে বেশিরভাগই অপ্রয়োজনীয়। এই অপ্রয়োজনীয় কলগুলো শুধু আমাদের কলটেকারদের মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে না, বরং প্রকৃত জরুরি কলগুলোকে বিলম্বিত করে যা অনেক সময় জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ হতে পারে। আমরা এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন মিডিয়া ক্যাম্পেইন চালাচ্ছি। পাশাপাশি, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তরুণ ও শিক্ষিত কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে কল হ্যান্ডলিং আরও পেশাদার ও সংবেদনশীলভাবে পরিচালনার চেষ্টা করছি।   জাতীয় জরুরি সেবার গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা  আনোয়ার সাত্তার বলেন, বর্তমানে আমাদের কল গ্রহণ সক্ষমতা ৮০টি ইনকামিং লাইনে সীমিত, যেখানে প্রতিদিন অপ্রয়োজনীয় কল একটি বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। এই কলগুলোর কারণে সত্যিকারের বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির সহায়তা পেতে দেরি হয়ে যায়।   সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ৯৯৯-এ কল না করে প্রকৃত সেবাপ্রত্যাশীদের সহায়তার সুযোগ দিন।’ সূত্র: বাসস

অক্টোবর ৮, ২০২৫ 0
শ্রমবাজার সম্প্রসারণে ভিসা জটিলতা দূর করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
শ্রমবাজার সম্প্রসারণে ভিসা জটিলতা দূর করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে ভিসা জটিলতা দ্রুত নিরসনের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।   বুধবার (৮ অক্টোবর) স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে বাংলাদেশের উত্তরণকে মসৃণ ও টেকসই করতে গঠিত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির সভায় তিনি এই নির্দেশনা দেন।   বৈঠকের বিস্তারিত তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘কিছু কিছু দেশে আমাদের ভিসা প্রক্রিয়ায় জটিলতা রয়েছে, যা আগের সরকারের সময় থেকেই চলমান। প্রধান উপদেষ্টা চান, এই সমস্যা দ্রুত সমাধান হোক। এজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অতিরিক্ত উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।’   তিনি জানান, পূর্ব ইউরোপের কয়েকটি দেশে বাংলাদেশের নতুন শ্রমবাজার তৈরির সুযোগ তৈরি হচ্ছে। সম্প্রতি নিউইয়র্ক সফরে প্রধান উপদেষ্টা কসোভো ও আলবেনিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং কসোভোর প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে আলোচনায় শ্রমিক নেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক ইঙ্গিত পেয়েছেন। তবে এসব দেশে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস না থাকায় ভিসা প্রক্রিয়ায় জটিলতা তৈরি হচ্ছে।   প্রেস সচিব বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের ভিসার জন্য নয়াদিল্লিতে গিয়ে আবেদন করতে হয়। প্রধান উপদেষ্টা চান, এসব জটিলতা দ্রুত দূর হোক।’   ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, বৈঠকে ফার্মাসিউটিক্যালস, পোশাক ও অন্যান্য ব্যবসা খাতের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। সেখানে আমদানি নীতি, গ্যাস সরবরাহ, ব্যাংকিং খাতের চ্যালেঞ্জ, আইসিটি খাতের প্রণোদনা ও মানবসম্পদ উন্নয়নসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়।   বিশেষভাবে, ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ গ্যাস সরবরাহ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন। তারা বলেন, ম্যানমেড ফাইবারসহ শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য ধারাবাহিক গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা জরুরি। এ জন্য রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট সম্প্রসারণসহ নতুন ল্যান্ড বেস টার্মিনাল স্থাপনের দাবি উত্থাপন করা হয়। তারা উল্লেখ করেন, এ ধরনের উদ্যোগ শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আকর্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।   প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চলছে। দরকষাকষির সক্ষমতা বাড়াতে সরকার এডিবি ও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে কাজ করছে।’   আইসিটি খাত প্রসঙ্গে তিনি জানান, প্রচলিত খাতে প্রণোদনা কমিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি নির্ভর খাতে প্রণোদনা বাড়ানোর বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা এই খাতের কর্মসংস্থান ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য শিগগিরই একটি রোডম্যাপ উপস্থাপনের কথা বলেছেন।   বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর দেশের ব্যাংকিং খাত, মূল্যস্ফীতি ও রিজার্ভ পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তিনি জানান, রিজার্ভ এখন পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান এবং মুদ্রাস্ফীতি ১২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমে ৮ দশমিক ৩ শতাংশে নেমেছে। সূত্র: বাসস

অক্টোবর ৮, ২০২৫ 0
আমাদের ভবিষ্যতের মা, কন্যাশিশুদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশ শিশু, যাদের প্রায় অর্ধেকই কন্যাশিশু। তাই, আমাদের ভবিষ্যতের মা, ভবিষ্যতের নাগরিক-এই কন্যাশিশুদের নিরাপত্তা, মানসম্মত শিক্ষা ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদেরকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে।    তিনি বলেন, এই কন্যাশিশুরাই আগামীর স্বপ্ন, যারা দেশ মাতৃকার কল্যাণে অকুতোভয়ে কাজ করবে, বিশ্বের সামনে বাংলাদেশকে নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।     বুধবার (৮ অক্টোবর) ‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি কন্যাশিশু-স্বপ্ন গড়ি, সাহসে লড়ি, দেশের কল্যাণে কাজ করি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশব্যাপী ‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২৫’ উদ্‌যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এটি অত্যন্ত সময়োপযোগী প্রতিপাদ্য বলে আমি মনে করি। এই দিনে আমি বাংলাদেশের সকল কন্যাশিশু ও তাদের অভিভাবকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।’    এ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচি বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষায় জুলাই-আগস্টে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সম্মুখ সারিতে ছিল আমাদের কিশোরী ও নারীরা। তারা আমাদেরকে এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছে।   প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নারী-পুরুষ নির্বিশেষে দেশের সকল নাগরিকের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের সমাজে কন্যাশিশু ও ছেলে শিশুর সমতার লক্ষ্যে সরকার নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশসহ বেশ কিছু সাংবিধানিক ও কাঠামোগত সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।   তিনি ‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন। সূত্র: বাসস

অক্টোবর ৭, ২০২৫ 0
নির্বাচনে কোনো কর্মকর্তা দলীয় আচরণ করলে কঠোর ব্যবস্থা: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা যেন দলীয় আচরণ বা পক্ষপাতমূলক মনোভাব না দেখাতে পারেন, সেটি নিশ্চিত করবে নির্বাচন কমিশন।   তিনি বলেন, ‘দলীয় বা দলদাসের মতো আচরণ কেউ করতে পারবেন না, সেটা আমরা কঠোরভাবে নিশ্চিত করব। কেউ যদি মনের মধ্যে রাজনৈতিক অভিলাষও রাখেন, সেটার প্রতিফলন কাজের মধ্যে ঘটতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে অ্যাকশন নেওয়া হবে।’   মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।   সিইসি বলেন, ‘আগে এমন একটা সংস্কৃতি ছিল যে কর্মকর্তাদের ওপর চাপ থাকত-একটা নির্দিষ্ট পক্ষে কাজ করতে হবে। এখন সেই পরিবেশ আর থাকবে না। আগে মেসেজ ছিল, আমার পক্ষে কাজ না করলে তোমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এখন মেসেজ হবে-তুমি যদি কোনো পক্ষের হয়ে কাজ কর, তাহলে তোমার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন মেসেজটা একদম স্পষ্ট। আমরা এ কথা একাধিকবার বলেছি এবং বারবার বলব।’   তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাজ হলো নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা। এজন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ওপর কোনো রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক প্রভাব কাজ করবে না, এটা নিশ্চিত করা হবে। আগে অনেক সময় কর্মকর্তাদের রাতে গিয়ে প্রভাবিত করা হতো, ভয় দেখানো হতো, কিংবা নানা উপায়ে প্ররোচিত করে ভোট আদায় করা হতো। কিন্তু এখন সেই ভয় আর থাকবে না। আমরা যত রকম প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব, সব নেব, যাতে কেউ দলীয় আচরণ করতে না পারে।   নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা চাই এই নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি হোক। দেশের মানুষ দেখুক, এবার নির্বাচন সত্যিই স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্যই হলো, আয়নার মতো স্বচ্ছ একটি নির্বাচন উপহার দেওয়া।’   সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে চারজন নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় সভায় অংশ নেন ১০ জন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, যারা সবাই সাবেক নির্বাচন কর্মকর্তা।   নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে আমাদের সামনে নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ আসছে। একদিকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে, অন্যদিকে একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ধরনের সরকারের অধীনে আমাদের নির্বাচনে যেতে হচ্ছে। দেশের এই ক্রান্তিকালে এই নির্বাচনকে আমি জীবনের শেষ সুযোগ হিসেবে দেখছি। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। আমাদের আর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আমাদের একটাই লক্ষ্য-একটি সুন্দর, গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া। তবে এটি নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সর্বস্তরের জনগণ, গণমাধ্যম, রাজনীতিবিদ, নাগরিক সমাজ-সবাইকে সঙ্গে নিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে চাই।’   তিনি বলেন, ‘আপনারা যারা আজ উপস্থিত আছেন, সবাই অভিজ্ঞ নির্বাচন কর্মকর্তা ছিলেন। আপনারা জানেন কোথায় কোথায় গ্যাপ থেকে যায়, কোথায় দিয়ে কারচুপি বা ম্যানিপুলেশন হতে পারে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আপনারা আমাদের পরামর্শ দিন, যেন আমরা আগেভাগে ব্যবস্থা নিতে পারি। নির্বাচন যাতে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হয়, সেটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’   আজকের এই সংলাপে আলোচনার পাশাপাশি নির্বাচন কমিশন বিকেলে নারী নেত্রীদের সঙ্গে আরেক দফা মতবিনিময় সভা করেছে। দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সোমবার দেশের প্রধান প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপে বসে ইসি।   ইসি জানিয়েছে, একটি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দল, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, পর্যবেক্ষক, নারী নেত্রী ও মুক্তিযোদ্ধাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ করা হচ্ছে।   গত ২৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে অংশীজনদের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। প্রথম দিন সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও শিক্ষাবিদরা সংলাপে অংশ নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান জানান এবং নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার পরামর্শ দেন।   সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এই নির্বাচন শুধু একটি রাজনৈতিক ইভেন্ট নয়, এটি একটি জাতীয় দায়িত্ব। আমরা এমন একটি প্রক্রিয়া তৈরি করতে চাই যা আগামী দিনের নির্বাচনগুলোর জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে। আমাদের উদ্দেশ্য একটাই-দেশবাসীর আস্থা ফিরে আনা, একটি শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজন করা।’ সূত্র: বাসস

অক্টোবর ৭, ২০২৫ 0
প্রধান উপদেষ্টার নিউইয়র্ক সফর অত্যন্ত সফল: বিদায়ী সাক্ষাতে প্রশংসা গুইন লুইসের
প্রধান উপদেষ্টার নিউইয়র্ক সফর অত্যন্ত সফল: বিদায়ী সাক্ষাতে প্রশংসা গুইন লুইসের

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুইন লুইস বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন।    মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।   সাক্ষাতে গুইন লুইস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে অংশ নিতে অধ্যাপক ইউনূসের নিউইয়র্ক সফর ‘অত্যন্ত সফল মিশন’- ছিল বলে প্রশংসা করেন।   তিনি বলেন, ওই সফরে প্রধান উপদেষ্টা বেশকিছু সংখ্যক বিশ্বনেতার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন এবং রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে জাতিসংঘের ঐতিহাসিক সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছেন।   লুইস বলেন, এ সফরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলে প্রথমবারের মতো প্রধান রাজনৈতিক দলের ছয় নেতার অন্তর্ভুক্তি জাতীয় ঐক্যের এক শক্তিশালী উদাহরণ স্থাপন করেছে।   সাক্ষাতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের টেকসই সহযোগিতা, উদ্ভাবন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।   নিজের দায়িত্বকাল নিয়ে গুইন লুইস বলেন, ‘গত সাড়ে তিন বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষের সেবা করা আমার কর্মজীবনের অন্যতম বড় সম্মান ও সৌভাগ্য।’   তিনি আরও বলেন, ‘আমি সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছি—এই দেশের মানুষের দৃঢ়তা, সৃজনশীলতা ও উদারতা। সরকার, নাগরিক সমাজ ও উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করা ছিল গভীরভাবে অনুপ্রেরণাদায়ক অভিজ্ঞতা।’   অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে লুইস বলেন, ‘সামাজিক উদ্ভাবন ও ন্যায়বিচারের প্রতি অধ্যাপক ইউনূসের আজীবন নিষ্ঠা বিশ্বজুড়ে কোটি মানুষকে অনুপ্রাণিত করছে। তার নেতৃত্ব অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের ধারণাকে নতুন মাত্রা দিয়েছে।’   তার দায়িত্বকালে জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন সহযোগিতা কাঠামোর আওতায় বাংলাদেশের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে নানা ফলপ্রসূ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।   এই সহযোগিতার পাঁচটি কৌশলগত অগ্রাধিকার ছিল—অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সবার জন্য সমতাভিত্তিক মানবকল্যাণ, পরিবেশগত সহনশীলতা, অংশগ্রহণমূলক শাসনব্যবস্থা এবং লিঙ্গসমতা।   লুইসের দায়িত্বকালীন সময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন ছিল ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার হাই কমিশনারের কার্যালয় উদ্বোধন। এর মাধ্যমে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যক্রম আরও শক্তিশালী এবং অধিকারভিত্তিক উন্নয়ন সহযোগিতা গভীরতর হয়েছে।   জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের প্রস্তুতিতে সহায়তা এবং শ্রম, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে সংস্কারমূলক উদ্যোগে অংশীদারিত্ব করেছে।   জলবায়ু কার্যক্রম ছিল জাতিসংঘের সব প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দু। পরিবেশগত টেকসই ও দুর্যোগ প্রস্তুতি জোরদারে সমন্বিত কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে।   লুইস বৈশ্বিক উদ্যোগগুলোতে বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন-যেমন ‘সবার জন্য আগাম সতর্কবার্তা’, ‘শিক্ষা রূপান্তর উদ্যোগ’ এবং ‘খাদ্য ব্যবস্থা সম্মেলন’। এসব ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।   তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘের অংশীদারিত্ব যৌথ মূল্যবোধ এবং একটি সমৃদ্ধ, জলবায়ু-সহনশীল ভবিষ্যতের স্বপ্ন ভিত্তিক।’   গুইন লুইস আরো বলেন, ‘আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ-কাউকে পিছিয়ে না রেখে লিঙ্গসমতা ও মানবাধিকারের মূল্যবোধকে আমাদের সকল কর্মকাণ্ডে প্রতিফলিত করতে।’  সূত্র: বাসস

অক্টোবর ৭, ২০২৫ 0
আবরার ফাহাদ স্মৃতি স্মরণে আগ্রাসনবিরোধী আট স্তম্ভ উদ্বোধন

বুয়েট শিক্ষার্থী শহীদ আবরার ফাহাদ স্মৃতি স্মরণে আগ্রাসনবিরোধী ‘আট স্তম্ভ’ উদ্বোধন করা হয়েছে।   মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বুয়েট সংলগ্ন পলাশী গোলচত্বরে আট স্তম্ভ উদ্বোধন করা হয়।   আগ্রাসনবিরোধী অবস্থানের কারণে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার সদস্যরা।    শহীদ আবরারের স্মৃতি ও আগ্রাসন বিরোধী চেতনাকে সমুজ্জ্বল রাখতে ‘শহীদ আবরার ফাহাদ স্মৃতি স্মরণে পলাশী গোলচত্বরে আগ্রাসন বিরোধী আট স্তম্ভ নির্মাণ ও পলাশী ইন্টারসেকশন উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের অংশ হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন আগ্রাসন বিরোধী আট স্তম্ভ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছে।   আটটি স্তম্ভ হচ্ছে- সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, গণপ্রতিরক্ষা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা, দেশীয় শিল্প- কৃষি-নদী-বন-বন্দর রক্ষা, সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা ও মানবিক মর্যাদাকে নির্দেশ করে।   উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘আট স্তম্ভের অবয়বের চেয়ে, আট স্তম্ভে লিখে রাখা বিষয়গুলো অধিক গুরুত্বপূর্ণ। এই শব্দগুলোর বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই বদ্বীপের প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জিত হবে।’    ফ্যাসিবাদের সময়ে হাজার-হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ফ্যাসিবাদ টিকিয়ে রাখার বিভিন্ন ভাস্কর্য-প্রকল্প নির্মিত হলেও বর্তমান সময়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির পক্ষে কিছু করলেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের সম্মুখীন হতে হয় উল্লেখ করে উপদেষ্টা জানান, আগ্রাসন বিরোধী আট স্তম্ভ নির্মাণে মাত্র ৩৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে।   স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, ‘আবরার ফাহাদের স্মৃতিকে ঘরে-ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করবে।’   ডিএসসিসি প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘আবরার ফাহাদ কেবল একজন ব্যক্তি নয়, আবরার ফাহাদ একটি চেতনা, একটি আদর্শ।’   আবরার ফাহাদ ২০১৯ সালে যে বীজ বপন করেছিলেন, সেটি একটি মহীরুহ হয়ে ২০২৪ সালের ৩৬ শে জুলাইয়ে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার পরামর্শক্রমে ডিএসসিসি এই স্তম্ভ নির্মাণ করেছে।   উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম, বুয়েটের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরী, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, শহীদ আবরার ফাহাদের পিতা মো. বরকত উল্লাহ, ভাই আবরার ফাইয়াজ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সূত্র: বাসস

অক্টোবর ৭, ২০২৫ 0
অধ্যাপক আলী রীয়াজ। ছবি : সংগৃহীত
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো একমত: আলী রীয়াজ

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’ বাস্তবায়নে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং তাদের সম্মতির জন্য একটি গণভোট অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সকল রাজনৈতিক দল-ই একমত হয়েছে।    রোববার (৫ অক্টোবর) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে চতুর্থ দিনের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি একথা জানান।   এ সময় কমিশনের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।   জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে এটি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রথম পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করে অন্যান্য বিষয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এভাবে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।   ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে যে আইনসভা গঠিত হবে এবং সে আইনসভা জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে যে সমস্ত সংস্কার করবে তা যেন টেকসই হয়, সে ব্যাপারেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কার্যত ঐকমত্য রয়েছে বলে জানান অধ্যাপক আলী রীয়াজ।   এছাড়া জাতীয় ঐকমত্য তৈরিতে, বিশেষ করে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে সচেষ্ট হয়ে দলগত অবস্থান থেকে অনেক রাজনৈতিক দল সরে আসায় তিনি দলগুলোর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে কমিশন খুব শীঘ্রই সনদ বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট সুপারিশ তৈরি করে সরকারের কাছে দিতে পারবে।’   তিনি বলেন, বিদ্যমান সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদের আওতায় সুপ্রীম কোর্টের মতামত নেওয়ার জন্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। আজকের আলোচনায় সনদ বাস্তবায়নে ১০৬ অনুচ্ছেদের আওতায় সুপ্রীম কোর্টের মতামত নেওয়ার প্রয়োজন নাও হতে পারে বলে মনে করছে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল।   আজকের আলোচনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি-সহ ২৮টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। সূত্র: বাসস

অক্টোবর ৫, ২০২৫ 0
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিশ্ববিখ্যাত আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলম। ছবি: সংগৃহীত
শহিদুল আলম বাংলাদেশের অবিচল মনোবলের এক উজ্জ্বল প্রতীক: প্রধান উপদেষ্টা

গাজা অভিমুখী ঐতিহাসিক নৌবহরে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের, বিশেষ করে বিশ্ববিখ্যাত আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলমের অবস্থা ও নিরাপত্তা সরকার নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।   শনিবার ( ৪ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান।   প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ২০১৮ সালে হাসিনা সরকারের সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য ১০৭ দিন কারাবাসের যে সাহস, দৃঢ়তা ও অবিচল মানসিকতা শহিদুল আলম দেখিয়েছিলেন, সেই একই চেতনা ও সাহস নিয়ে তিনি এই অভিযানে অংশ নিচ্ছেন। তিনি আজ বাংলাদেশের অবিচল মনোবলের এক উজ্জ্বল প্রতীক।   গত মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া নিজের বক্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, অন্যের দুর্ভোগ ও পীড়নের প্রতি ঔদাসীন্য বহু দশকের পরিশ্রমে আমরা যে অগ্রগতি অর্জন করেছি তা ধ্বংস করে দিচ্ছে।   ড. ইউনূস বলেন, এর সবচেয়ে মর্মান্তিক চিত্র আমরা দেখছি গাজায়। শিশুরা না খেয়ে অকাল মৃত্যুবরণ করছে, বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে, হাসপাতাল, স্কুলসহ একটি গোটা জনপদ নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হচ্ছে।   তিনি বলেন, আমরা শহিদুল আলমের পাশে আছি, গাজার পাশে আছি— এখন এবং চিরকাল। সূত্র: বাসস

অক্টোবর ৫, ২০২৫ 0
Popular post
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে চাকরির সুযোগ, বেতন ৪৫ হাজার

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১৬ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।   এক নজরে নিয়োগের বিস্তারিত   প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) বিভাগের নাম: অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদসংখ্যা: ০১ জন শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ১ বছর চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয় বয়সসীমা: নির্ধারিত নয় বেতন: ৪৫,০০০ টাকা কর্মস্থল: ঢাকা   আবেদন প্রক্রিয়া: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ তারিখ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫

৫০ হাজার টাকা বেতনে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে চাকরির সুযোগ

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে নিয়োগ   দেশের অন্যতম মানবিক সংগঠন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে একজন যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা ২১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।   পদসংক্রান্ত তথ্য   প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পদের নাম: টেকনিক্যাল অফিসার পদসংখ্যা: ১ জন   যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি বা ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ২ বছর বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৪০ বছর   বেতন ও চাকরির ধরন বেতন: ৫০,০০০ টাকা চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন কর্মস্থল: কুড়িগ্রাম   আবেদন প্রক্রিয়া   আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ওয়েবসাইটে ক্লিক করুন।

কৃষি ব্যাংকে চাকরি, নেবে ৩৯৮ জন

ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির তত্ত্বাবধানে নতুন সমন্বিত ব্যাংক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এই নিয়োগের আওতায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক-এ সিনিয়র অফিসার (সাধারণ) পদে ৩৯৮ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে।   পদসংক্রান্ত তথ্য   প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক পদের নাম: সিনিয়র অফিসার (সাধারণ) পদসংখ্যা: ৩৯৮টি   শিক্ষাগত যোগ্যতা   প্রার্থীদের যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা চার বছর মেয়াদি স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) বা সমমানসহ তদূর্ধ্ব পর্যায়ের পরীক্ষাগুলোর মধ্যে অন্তত দুইটিতে প্রথম বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে। কোনো পর্যায়েই তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি গ্রহণযোগ্য নয়।   বয়সসীমা   ১ জুলাই ২০২৫ তারিখে প্রার্থীর বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩২ বছর হতে হবে।   আবেদন সংক্রান্ত তথ্য   আবেদন ফি: ২০০ টাকা (অনগ্রসর নাগরিক গোষ্ঠীর প্রার্থীদের জন্য ৫০ টাকা)। আবেদনের শেষ সময়: ১০ নভেম্বর ২০২৫।   আবেদন পদ্ধতি   আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে এবং আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন।

৯২ হাজার টাকা বেতনে চাকরির সুযোগ

আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াটারএইড বাংলাদেশ জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ‘টেকনিক্যাল এক্সপার্ট’ পদে নতুন কর্মী নেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে ২৮ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।   নিয়োগের বিস্তারিত প্রতিষ্ঠানের নাম: ওয়াটারএইড বাংলাদেশ পদের নাম: টেকনিক্যাল এক্সপার্ট পদের সংখ্যা: নির্ধারিত নয় চাকরির ধরন: ফুল টাইম প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই কর্মস্থল: খুলনা   যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি বা স্নাতক (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং/এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে) অভিজ্ঞতা: সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫ বছর বয়সসীমা: নির্ধারিত নয় বেতন ও সুবিধা বেতন: প্রতি মাসে ৯২,৫০০ টাকা   আবেদন প্রক্রিয়া আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ তারিখ: ২৮ অক্টোবর ২০২৫

জানা গেল সেই আনিসার ফলাফল

মায়ের অসুস্থতার কারণে কেন্দ্রে দেরিতে আসায় পরীক্ষা না দিতে পারা সেই আনিসা আহমেদ এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করেছেন। তিনি বাংলা ও ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে ফেল করেন।   আনিসা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তিনি মানবিক বিভাগের পরীক্ষাথী।   বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।   এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনই (২৬ জুন) ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরীক্ষার্থী আনিসা মায়ের অসুস্থতার কারণে সময়মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছুতে পারেননি। দেরি হওয়ায় তাকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেননি দায়িত্বরতরা। এসময় ওই ছাত্রী পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। গেটের বাইরে দীর্ঘসময় অপেক্ষায় থেকে তিনি সেদিন ফিরে যান। ওই ছাত্রীর পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাঙলা কলেজ।   আনিসার কান্না-আকুতি তখন নাড়িয়ে দেন বহু মানুষের বিবেক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন উঠে—আইন কি মানবিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে? নেটিজেনরা দাবি তোলেন—মানবিক বিবেচনায় হলেও তাকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া উচিত।   অন্তর্বর্তী সরকারও সেই দাবি আমলে নেয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে তখন শিক্ষা উপদেষ্টার বরাতে জানানো হয়, ‘পরীক্ষা দিতে না পারা আনিসার বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’

Top week

৯২ হাজার টাকা বেতনে চাকরির সুযোগ
চাকরি

৯২ হাজার টাকা বেতনে চাকরির সুযোগ

অক্টোবর ২৩, ২০২৫ 0