দেশের স্বর্ণবাজারে আবারও বড় দফায় মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা এসেছে। টানা ষষ্ঠবারের মতো সোনার দাম বাড়িয়ে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সর্বশেষ ঘোষণায় ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ভরিতে ৪ হাজার ১৯৯ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার ২৮২ টাকা, যা দেশের বাজারে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই মূল্যবৃদ্ধির তথ্য জানায় বাজুস। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এই দাম বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়। এর আগে দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ছিল ২ লাখ ২২ হাজার ৮৩ টাকা। পাশাপাশি ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা বিক্রি হচ্ছিল ২ লাখ ১১ হাজার ৯৯৩ টাকায়, ১৮ ক্যারেটের সোনার দাম ছিল ১ লাখ ৮১ হাজার ৭২৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম নির্ধারিত ছিল ১ লাখ ৫১ হাজার ৩৯৯ টাকা। বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যোগ করতে হবে। তবে গহনার নকশা ও মানভেদে মজুরির পরিমাণ পরিবর্তিত হতে পারে। এদিকে সোনার পাশাপাশি দেশের বাজারে রুপার দামও বেড়েছে। ভরিতে ১৭৫ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ১৩২ টাকা। এর আগে এই দাম ছিল ৪ হাজার ৯৫৭ টাকা।
দেশের স্বর্ণবাজারে নতুন করে রেকর্ড গড়ল সোনার দাম। টানা তৃতীয় দফায় সোনার মূল্য বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সর্বশেষ ঘোষণায় ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৮ হাজার ১১৭ টাকা, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাতে বাজুসের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই মূল্যবৃদ্ধির তথ্য জানানো হয়। নতুন এই দাম সোমবার (২২ ডিসেম্বর) থেকে দেশের বাজারে কার্যকর হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম বেড়ে যাওয়ায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে স্বর্ণের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট সোনার দাম দাঁড়াবে ২ লাখ ১৮ হাজার ১১৭ টাকা। এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর টানা দ্বিতীয় দফায় সোনার দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৭ টাকা। সব মিলিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত মোট ৮৮ বার দেশের বাজারে সোনার দাম সমন্বয় করেছে বাজুস। এর মধ্যে ৫৯ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে মাত্র ২৭ বার। অন্যদিকে, গত বছর সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল মোট ৬২ বার—যার মধ্যে ৩৫ বার দাম বেড়েছিল এবং ২৭ বার কমানো হয়েছিল।
দেশের স্বর্ণবাজারে আবারও ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। প্রতি ভরিতে সোনার দাম বেড়েছে ৩ হাজার ৪৫২ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেট সোনার নতুন মূল্য দাঁড়িয়েছে ভরি প্রতি ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৯৭ টাকা। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। নতুন এই দাম আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হবে। বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য বৃদ্ধির কারণে সোনার দামে এই সমন্বয় করা হয়েছে। নতুন দামে সোনার মূল্য— ২২ ক্যারেট: প্রতি ভরি ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৯৭ টাকা ২১ ক্যারেট: প্রতি ভরি ২ লাখ ৫ হাজার ৮০০ টাকা ১৮ ক্যারেট: প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৫ টাকা সনাতন পদ্ধতি: প্রতি ভরি ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮৩৮ টাকা বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ৬ শতাংশ ন্যূনতম মজুরি যোগ করতে হবে। তবে গয়নার নকশা ও মানভেদে মজুরি ভিন্ন হতে পারে। এদিকে, রুপার দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বর্তমানে ২২ ক্যারেট রুপার দাম ভরি প্রতি ৪ হাজার ২৪৬ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ৪ হাজার ৪৭ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের দাম ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া সনাতন পদ্ধতির রুপার ভরি মূল্য ২ হাজার ৬০১ টাকা অপরিবর্তিত রয়েছে।
নবম পে-স্কেলের চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। তাদের দাবি, আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন বেতন কাঠামোর গেজেট প্রকাশ না হলে ১৭ ডিসেম্বর থেকে তারা মাঠে নামতে বাধ্য হবেন। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নতুন পে-স্কেল ঘোষণা করা কোনো সহজ প্রক্রিয়া নয়—এতে অনেক জটিল বিষয় জড়িত। তিনি স্পষ্ট জানান, চাকরিজীবীদের দেওয়া আলটিমেটামের মধ্যকার এত অল্প সময়ে গেজেট প্রকাশ সম্ভব নয়। “আমরা কাজ করছি,” যোগ করেন তিনি। এর আগে রাজধানীর এক হোটেলে সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এসডিএফ) আয়োজিত সেমিনারে যোগ দেন অর্থ উপদেষ্টা। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশে দারিদ্র্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর অন্যতম কারণ ভালো প্রকল্প থাকা সত্ত্বেও সঠিকভাবে সেগুলোর বাস্তবায়ন না হওয়া। আইনগত দুর্বলতা, দুর্নীতি এবং প্রশাসনিক জটিলতাও এ সমস্যার পেছনে দায়ী। উদ্যোক্তা সৃষ্টির গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “ঋণ নিয়ে উদ্যোক্তা হওয়া ইতিবাচক পদক্ষেপ। নারীরা বেশি হিসাবী, উদ্যমী এবং পরিবারকল্যাণে বেশি ব্যয় করে—তাই তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।” তিনি আরও বলেন, শহরে প্রপার্টির বিস্তার ঘটছে, কিন্তু উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন ডিসেন্ট্রালাইজেশন। “শহর যেমন দরকার, তেমনি গ্রামকেও আরও আকর্ষণীয় ও উন্নত করে তুলতে হবে। এসডিএফকে আরও শক্তিশালী ভূমিকা নিতে হবে, সুবিধাভোগীর পরিধি বাড়াতে হবে, মানুষ ও দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা আরও বাড়াতে হবে।” উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের সুযোগ-সুবিধা পর্যালোচনার জন্য গঠিত পে কমিশনকে ছয় মাসের মধ্যে সুপারিশ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সে হিসেবে কমিশনের হাতে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় রয়েছে।
বছরের শেষ মাসের শুরুতেই দেশে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রবাহ শক্তিশালী দেখা গেছে। ডিসেম্বরের প্রথম ৮ দিনে দেশে এসেছে ১০০ কোটি ৮০ লাখ ডলার, যা গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১২ কোটি ৬০ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, গত বছরের একই সময়ে দেশে এসেছিল ৮৩ কোটি ১০ লাখ ডলার, তাই বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। একদিনের হিসেবে, গত ৮ ডিসেম্বর প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১৩ কোটি ১০ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে এসেছে ১ হাজার ৪০৪ কোটি ৬০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ১৮.৪০ শতাংশ বৃদ্ধি। এর আগে, গত নভেম্বর মাসে এসেছে চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার ডলার। অক্টোবর ও সেপ্টেম্বর মাসে যথাক্রমে দেশে এসেছে ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার এবং ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এছাড়া, আগস্ট ও জুলাইয়ে এসেছিল ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার এবং ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। মোট মিলিয়ে, ২০২৪-২৫ অর্থবছর জুড়ে দেশে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৩০.৩২ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৩২৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
ডিসেম্বরের শুরুতেই প্রবাসী আয়ে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। মাসের প্রথম ৭ দিনেই প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৮৭ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স, যা দৈনিক গড়ে দাঁড়ায় ১২ কোটি ৫১ লাখ ডলার। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গত বছরের একই সময়ে ৬১ কোটি ৬০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল, অর্থাৎ চলতি বছরে রেমিট্যান্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি আরও জানান, শুধু ৭ ডিসেম্বর একদিনেই প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৩৯১ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা বছরওয়ারি হিসেবে ১৮ দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি। এর আগে চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে গত নভেম্বরে—২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার ডলার। অক্টোবর, সেপ্টেম্বর, আগস্ট ও জুলাইয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল যথাক্রমে ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার, ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার, ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার এবং ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪–২৫ অর্থবছর জুড়ে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন মোট ৩০ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার (৩ হাজার ৩২ কোটি ৮০ লাখ), যা দেশের ইতিহাসে কোনো অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহ।
বাংলাদেশে ৫০০ টাকার নতুন নোট বাজারে আসতে যাচ্ছে। নতুন নোটে থাকবে আধুনিক নকশা ও উন্নত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য, যা জাল নোট প্রতিরোধে সহায়ক হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের স্বাক্ষরিত এই নোট বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে প্রচলনে আসবে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক এই তথ্য তাদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। প্রাথমিকভাবে নতুন নোটটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল শাখা থেকে বিতরণ শুরু হবে। পরে ধাপে ধাপে দেশের অন্যান্য শাখা থেকেও এটি পাওয়া যাবে। নোটের নকশা ও বৈশিষ্ট্য নতুন নোটের আকার: ১৫২ মিমি লম্বা × ৬৫ মিমি চওড়া। নোটে সবুজ রঙের আধিক্য রয়েছে। সন্মুখভাগে: বাম পাশে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ছবি মাঝখানে প্রস্ফুটিত শাপলার ব্যাকগ্রাউন্ডসহ পাতা ও কলি ডানদিকে রঙ পরিবর্তনশীল ‘৫০০’ পেছনভাগে: বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ছবি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মুখ জলছাপ, উজ্জ্বল ইলেকট্রোটাইপে ‘৫০০’, এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যসমূহ রঙ পরিবর্তনশীল উন্নতমানের নিরাপত্তা কালি: নোট নাড়ালে ‘৫০০’ সবুজ থেকে নীল রঙে পরিবর্তিত হয় লাল ও স্বর্ণালী বারের সমন্বিত নিরাপত্তা সুতা: আলোতে ধরলে ‘৫০০ টাকা’ লেখা দেখা যায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য স্পর্শে অনুভূত ৫টি ছোট বৃত্ত ইন্টাগ্লিও কালিতে মুদ্রিত অংশসমূহ উঁচু অনুভূত হবে মাইক্রোপ্রিন্টে বারবার লেখা ‘BANGLADESH BANK’ শাপলার অংশে UV fluorescence (Magenta) ইঙ্ক See-through image-এ ‘৫০০’ দৃশ্যমান নোটের কাগজে লাল, নীল ও সবুজ রঙের অসংখ্য ফাইবার উভয় পৃষ্ঠে UV curing varnish, যা নোটকে চকচকে করবে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, নতুন নোট প্রচলনে আসলেও বর্তমানে ব্যবহৃত সব ধরনের কাগুজে নোট ও ধাতব মুদ্রা আগের মতোই বৈধ থাকবে। উন্নত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যযুক্ত নতুন ৫০০ টাকার নোট জাল নোট প্রতিরোধে আরও কার্যকর হবে।
বাংলাদেশে ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসতে চলেছে। বহুল ব্যবহৃত আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ে ‘পেপ্যাল’ খুব শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। এতে দেশের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার ও অনলাইনভিত্তিক ব্যবসায়ীরা বৈশ্বিক মার্কেটের সঙ্গে সহজে যুক্ত হতে পারবেন। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর এ তথ্য জানান। অনুষ্ঠানে কৃষিখাতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ৮ জন ব্যক্তি ও ৩টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি খোলার জটিলতা ছোট উদ্যোক্তাদের আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য রপ্তানিতে বড় বাধা সৃষ্টি করে। পেপ্যাল চালু হলে তারা ইউরোপ, আমেরিকা ও অন্যান্য দেশে সহজে পণ্য পাঠাতে পারবেন এবং দ্রুত মূল্য গ্রহণ করতে সক্ষম হবেন। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক পেমেন্ট গেটওয়ের অভাবে অনেক ফ্রিল্যান্সার ও আউটসোর্সিংকর্মী বিদেশ থেকে টাকা আনার সময় নানা ঝামেলায় পড়েন এবং কখনও কখনও পাওনা টাকাও পান না। পেপ্যাল চালুর মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান হবে। পেপ্যাল বিশ্বব্যাপী ২০০টিরও বেশি দেশে ব্যবহৃত একটি ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা—যা দিয়ে অনলাইনে টাকা পাঠানো, গ্রহণ, বিল পরিশোধ এবং আন্তর্জাতিক কেনাকাটা করা যায়। নগদ লেনদেন কমানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে গভর্নর বলেন, দেশে দুর্নীতির অন্যতম উৎস হলো ক্যাশ লেনদেন; তাই ধাপে ধাপে নগদ লেনদেন সীমিত করার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তিনি জানান, টাকা ছাপানো ও ব্যবস্থাপনায় বছরে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। কৃষি খাতে ঋণ বর্তমানে মাত্র ২ শতাংশ বলে উল্লেখ করে গভর্নর জানান, এই হার বাড়িয়ে ১০ শতাংশে উন্নীত করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, স্বাধীনতার পর খাদ্যশস্য উৎপাদন ছিল ১ কোটি ৩০ লাখ টন, যা এখন প্রায় ৪ কোটি টন—জনসংখ্যা দ্বিগুণ হলেও উৎপাদন তিনগুণ বৃদ্ধি পাওয়া দেশের বড় অর্জন।
চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আয় নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। সদ্য শেষ হওয়া নভেম্বর মাসে প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, যা চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ মাসিক রেমিট্যান্স। টাকার হিসেবে এ অঙ্ক দাঁড়ায় ৩৫ হাজার ২৫২ কোটি ১৪ লাখ ৪০ হাজার (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। সোমবার (১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদন অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে প্রায় ৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। বিভাগভিত্তিক হিসাব বলছে— রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক দিয়ে এসেছে ৫৮ কোটি ৭৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার বিশেষায়িত ব্যাংক দিয়ে এসেছে ২৯ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার ডলার বেসরকারি ব্যাংক দিয়ে এসেছে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার বিদেশি ব্যাংক দিয়ে এসেছে ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার বাংলাদেশ ব্যাংকের বিস্তারিত তথ্যে দেখা যায়, নভেম্বরে প্রতি সপ্তাহেই রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল উল্লেখযোগ্য— ২৩–৩০ নভেম্বর: ৭৫ কোটি ৪৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার ১৬–২২ নভেম্বর: ৬১ কোটি ২২ লাখ ৭০ হাজার ডলার ৯–১৫ নভেম্বর: ৭৬ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার ২–৮ নভেম্বর: ৭১ কোটি ১০ লাখ ৭০ হাজার ডলার ১ নভেম্বর: ৪ কোটি ৩১ লাখ ৮০ হাজার ডলার এর আগে অক্টোবর ও সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল যথাক্রমে ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার এবং ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আগস্টে দেশে এসেছিল ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার। গত ২০২৪–২৫ অর্থবছরেই সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহের রেকর্ড গড়েছিল বাংলাদেশ—তখন পুরো বছরে প্রবাসী আয় ছিল ৩০.৩২ বিলিয়ন ডলার, যা দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ।
দেশের স্বর্ণবাজারে ফের দামের ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দর বেড়ে যাওয়ার প্রভাব স্থানীয় বাজারেও পড়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২২ ক্যারেট সোনার প্রতি ভরিতে দাম বাড়ছে সর্বোচ্চ ১,৫৭৫ টাকা। ফলে নতুন দর দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ১২ হাজার ১৪৫ টাকা। সোমবার (১ ডিসেম্বর) বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংশোধিত এই দাম মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) থেকে কার্যকর হবে। বাজুস জানায়, স্থানীয়ভাবে তেজাবি সোনার দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববাজারে স্বর্ণদরের তীব্র উত্থান সমন্বয় করেই নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৪,২২২ ডলার ছাড়িয়েছে, যা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। নতুন তালিকা অনুযায়ী— ২২ ক্যারেট সোনা (ভরি): ২,১২,১৪৫ টাকা ২১ ক্যারেট সোনা (ভরি): ২,০২,৪৯৯ টাকা ১৮ ক্যারেট সোনা (ভরি): ১,৭৩,৫৭২ টাকা সনাতন পদ্ধতির সোনা (ভরি): ১,৪৪,৪২৪ টাকা সোনার দাম বাড়লেও রুপার বাজারে কোনো পরিবর্তন হয়নি। রুপার বর্তমান দাম— ২২ ক্যারেট রুপা (ভরি): ৪,২৪৬ টাকা ২১ ক্যারেট রুপা (ভরি): ৪,০৪৭ টাকা ১৮ ক্যারেট রুপা (ভরি): ৩,৪৭৬ টাকা সনাতন রুপা (ভরি): ২,৬০১ টাকা
বাংলাদেশ ব্যাংক বিদেশে সরাসরি পণ্য রপ্তানির পথ খুলে দিয়েছে, যা দেশের রপ্তানিকারকদের জন্য নতুন বাজার ও সুযোগ তৈরি করবে। এখন থেকে বাংলাদেশ থেকে পণ্য অ্যামাজন, আলিবাবা, ইবে, ইটসি বা যেকোনো আন্তর্জাতিক সাবসিডিয়ারি বা তৃতীয় পক্ষের ওয়্যারহাউসের মাধ্যমে সরাসরি বিক্রি করা যাবে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে। নতুন নীতি ও সুবিধা অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলো এ ধরনের রপ্তানি লেনদেন প্রক্রিয়াজাত করতে পারবে, যেখানে বিদেশি কনসাইনি চূড়ান্ত ক্রেতা না হয়ে মধ্যবর্তী প্ল্যাটফর্ম বা মার্কেটপ্লেস হিসেবে কাজ করবে। রপ্তানিকারকদের নিবন্ধনের প্রমাণ সংশ্লিষ্ট বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্ম বা ওয়্যারহাউসে জমা দিতে হবে। বিটুবিটুসি কাঠামোতে সাধারণ বিক্রয় চুক্তি না থাকায় প্রফর্মা ইনভয়েসের ভিত্তিতে পণ্যের ন্যায্যমূল্য ঘোষণা করা যাবে। কনসাইনি শুধুমাত্র সেবা প্রদানকারী হলে, তাদের নামে প্রস্তুত শিপিং ডকুমেন্টও ব্যাংক গ্রহণ করবে। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, রপ্তানি থেকে প্রাপ্ত অর্থ স্বাভাবিক ব্যাংকিং চ্যানেল ছাড়াও আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সার্ভিস অপারেটরের মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য হবে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মভিত্তিক রপ্তানিতে একাধিক চালানের অর্থ একত্রিত হতে পারে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যাংকগুলো ‘ফার্স্ট-ইন, ফার্স্ট-আউট’ নীতিতে রপ্তানি আয় সমন্বয় করতে পারবে। খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্ত আন্তঃসীমান্ত ই-কমার্সকে আরও গতিশীল করবে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি রপ্তানিকারকদের জন্য নতুন বাজার উন্মুক্ত করবে এবং বিশ্বব্যাপী অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে। ডিজিটাল খুচরা বিক্রির আন্তর্জাতিক চ্যানেলে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশের পণ্যের বহুমুখী রপ্তানি বৃদ্ধিতেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
দেশের ব্যাংকিং খাতে আমানতকারীদের সুরক্ষা ও জন-আস্থা বাড়ানোর জন্য সরকার নতুন করে ‘আমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করেছে। এই অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কোনো ব্যাংক বা ফিন্যান্স কোম্পানি বন্ধ বা অবসায়ন হলে সাধারণ আমানতকারীরা সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা পর্যন্ত তাত্ক্ষণিকভাবে ফেরত পাবেন। আগের নিয়মে এই সীমা ছিল এক লাখ টাকা। রোববার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন অধ্যাদেশের মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যাংক ও ফিন্যান্স কোম্পানিতে আমানত রাখা ব্যক্তিদের অর্থ ফেরতের নিশ্চয়তা দেওয়া। নতুন অধ্যাদেশের কাঠামো ও কার্যক্রম সুরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আওতায় আলাদা আমানত সুরক্ষা বিভাগ গঠন করা হবে। এই বিভাগ নিয়মিত প্রিমিয়াম সংগ্রহ, তহবিল ব্যবস্থাপনা, সদস্য প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন, আমানত পরিশোধ এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নভেম্বরের প্রথম ২৩ দিনেই প্রবাসী আয়ের প্রবাহে নতুন গতি দেখা গেছে। এ সময়ের মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা প্রবাসীরা মোট ২২৭ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৯ কোটি ৮৭ লাখ ডলার দেশে এসেছে, যা চলমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে স্বস্তির বার্তা দিচ্ছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিকী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, চলতি বছরের নভেম্বরের প্রথম ২৩ দিনে দেশে এসেছে ২২৭ কোটি ১০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। গত বছরের একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল ১৭২ কোটি ৬০ লাখ ডলার। অর্থাৎ বছর ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এ ছাড়া গত ২৩ নভেম্বর একদিনেই প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার। আরও জানা যাচ্ছে— চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ২৪২ কোটি ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ বেশি। এর আগে অক্টোবর ও সেপ্টেম্বরে দেশে এসেছে যথাক্রমে ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার এবং ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার। আগস্ট ও জুলাই মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার এবং ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার। উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৩০ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার, যা দেশের ইতিহাসে কোনো অর্থবছরে সর্বোচ্চ।
বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক অস্থিরতা, মূল্যস্ফীতি ও ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়লেও নিরাপদ সম্পদ হিসেবে সোনার গুরুত্ব অপরিবর্তিত রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর রিজার্ভ নীতিতেও সোনা এখনও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সর্বশেষ তথ্য বলছে, বিশ্বের সর্বাধিক সোনা রিজার্ভের মালিক যুক্তরাষ্ট্র। তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের রিজার্ভে রয়েছে ৮,১৩৩.৪৬ টন সোনা—যা দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা দেশের মোট সোনার রিজার্ভের চেয়েও বেশি। তালিকার পরবর্তী অবস্থানগুলোতে রয়েছে জার্মানি (৩,৩৫৫.১৪ টন), ইতালি (২,৪৩৬.৯৯ টন), ফ্রান্স (২,৪৩৬.৩৮ টন), রাশিয়া (২,৩৩২.৭০ টন) এবং চীন (২,২৭৯.৬ টন)। বিশেষ করে চীন ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে অতিরিক্ত ৩৩১ টন সোনা রিজার্ভে যোগ করেছে। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য রিজার্ভধারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ভারত (৮৭৬.২ টন), জাপান (৮৪৬ টন), তুরস্ক (৫৯৫.৪ টন) ও সৌদি আরব (৩২৩.১ টন)। এসব দেশের বড় অংশের সোনা রিজার্ভ সংগ্রহ করা হয়েছিল ১৯৪০ থেকে ১৯৭০ সালের ব্রেটন উডস যুগে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে বর্তমানে রয়েছে ১৪.৮ টন সোনা—যা বৈশ্বিক তুলনায় কম হলেও দেশের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সম্পদ। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আস্থা বজায় রাখা এবং সামগ্রিক আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় এই রিজার্ভ ভূমিকা রাখছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকি বাড়তে থাকলেও মূল্য স্থায়ীত্ব এবং দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তার কারণে সোনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর রিজার্ভে প্রধান সম্পদ হিসেবে টিকে রয়েছে।
টানা ২ দফায় কমানোর পর আবারও দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে এক লাফে ২ হাজার ৬১২ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৯ হাজার ৫২০ টাকা। বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাতে বাজুসের এক বিজ্ঞপ্তিতে দাম বাড়ানোর বিষয়টি জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে। নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ২ লাখ ৯ হাজার ৫২০ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭১ হাজার ৪২৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪২ হাজার ৫৯২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে, বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে। এর আগে, সবশেষ গত ১৮ নভেম্বর দেশের বাজারে সোনার দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৩৬৪ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ৬ হাজার ৯০৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৯ হাজার ২৯১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪০ হাজার ৭৬১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল ১৯ নভেম্বর থেকে। এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৭৯ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো সোনার দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৫৪ বার, আর কমেছে মাত্র ২৫ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার। সোনার দাম বাড়ানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০১ টাকায়। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৯ বার সমন্বয় করা হয়েছে রুপার দাম। এর মধ্যে বেড়েছে ৬ বার, আর কমেছে মাত্র ৩ বার। আর গত বছর সমন্বয় করা হয়েছিল ৩ বার।
দেশের বাজারে সোনার দাম আরও একবার কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে ১ হাজার ৩৬৪ টাকা হ্রাস করে ২২ ক্যারেটের ভালো মানের সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৬ হাজার ৯০৮ টাকা। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে বাজুস। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নতুন দাম আগামী বুধবার (১৯ নভেম্বর) থেকে সারাদেশে কার্যকর হবে। বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। এই পরিস্থিতি বিবেচনা করে সোনার নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এবার গ্রাহকদের জন্য বেশ কয়েকটি সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ব্যাংকটি আর সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড বিক্রি করবে না। পাশাপাশি আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে গ্রাহকদের ছেঁড়া বা নষ্ট নোট বদল, সরকারি চালান গ্রহণ এবং চালানের ভাংতি টাকা দেওয়ার মতো সেবাও বন্ধ করে দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। শুরুতে এই সিদ্ধান্ত শুধু মতিঝিল অফিসে কার্যকর হবে, পরে ধীরে ধীরে অন্যান্য শাখাতেও এসব সেবা আর পাওয়া যাবে না। সোমবার (১৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাখ্যা, এসব কাজ যেন নির্বিঘ্নে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো করতে পারে— সেজন্য তাদের তদারকি আরও জোরদার করা হবে। গ্রাহকদের সঞ্চয়পত্রে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ থাকলেও নিরাপত্তা ও নীতিগত কারণে এ পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সরাসরি বাণিজ্যিক সেবা দেওয়া উচিত নয়, কারণ এতে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়। তবে এসব সেবা বন্ধের ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকে যেন মানুষের ভোগান্তি না বাড়ে, সে দিকেও নজর রাখতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, বিশ্বের কোনো কেন্দ্রীয় ব্যাংকই সরাসরি কাউন্টার সেবা দেয় না। তাই গ্রাহকসেবা বন্ধ হলেও ইএফটিএন ব্যবস্থার মাধ্যমে সঞ্চয়পত্রের সুদ ও আসল পরিশোধসহ প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চালু থাকবে।
দেশের বাজারে আবারও বাড়ছে সোনার দাম। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) নতুন করে প্রতি ভরিতে ২ হাজার ৫০৭ টাকা বৃদ্ধি করে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম নির্ধারণ করেছে ২ লাখ ৪ হাজার ২৮৩ টাকা। সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। নতুন দাম মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) থেকে সারা দেশে কার্যকর হবে। বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী— ২২ ক্যারেট স্বর্ণ প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২,০৪,২৮৩ টাকা ২১ ক্যারেট স্বর্ণ প্রতি ভরি ১,৯৪,৯৯৯ টাকা ১৮ ক্যারেট স্বর্ণ প্রতি ভরি ১,৬৭,১৪৫ টাকা সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ প্রতি ভরি ১,৩৮,৯৪২ টাকা এছাড়া, বাজুস জানিয়েছে—স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ৫% ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬% মজুরি যোগ করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে। এই নিয়ে চলতি বছরে একাধিকবার সোনার দাম বাড়ানো হলো, যা আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্য ও স্থানীয় বাজারের চাহিদা বৃদ্ধির প্রতিফলন বলে জানিয়েছে বাজুস।
চলতি অর্থবছরের নভেম্বরের প্রথম ৯ দিনে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেড়েছে প্রায় ৪৮.৭ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (১০ নভেম্বর) পর্যন্ত প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ৯৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছরের একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল ৬৫৫ মিলিয়ন ডলার। চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১১,১২৩ মিলিয়ন ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের ৯,৫৯৩ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুসারে, মাসভিত্তিক প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিল— জুলাইয়ে ২.৪৭ বিলিয়ন ডলার, আগস্টে ২.৪২ বিলিয়ন ডলার, সেপ্টেম্বরে ২.৬৮ বিলিয়ন ডলার, আর অক্টোবরে ২.৫৬ বিলিয়ন ডলার। হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৩০.৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ২৭ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই অঙ্ক ছিল ২৩.৭৪ বিলিয়ন ডলার—যা দেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহ হিসেবে রেকর্ড গড়েছে। প্রবাসী আয়ের এ ধারাবাহিক বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ও ডলার সরবরাহে স্বস্তি এনে দিয়েছে।
সম্প্রতি রেমিট্যান্সের বাতাসের উড়ছে পুরোদেশ। চলমান নভেম্বরের প্রথম ৪ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৬ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ১১ কোটি ৫৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। বুধবার (৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, নভেম্বরের প্রথম ৪ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৬ কোটি ১০ লাখ ডলার। আর গত বছরের একই সময়ে এসেছিল ২৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার। অর্থাৎ বছর ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। এ ছাড়া গত ৪ নভেম্বর একদিনে প্রবাসীরা দেশে ১৩ কোটি ১০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে এসেছে ১ হাজার ৬১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স। বছর ব্যবধানে যা বেড়েছে ১৪ দশমিক ৯০ শতাংশ। এর আগে গত অক্টোবর ও সেপ্টেম্বরে দেশে এসেছে যথাক্রমে ২৫৬ কোটি ৩৪ লাখ ৮০ হাজার ও ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত আগস্ট ও জুলাইয়ে যথাক্রমে দেশে এসেছিল ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার ও ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। এদিকে, গত ২০২৪-২৫ অর্থবছর জুড়ে দেশে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৩০ দশমিক ৩২ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৩২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স, যা দেশের ইতিহাসে কোনো নির্দিষ্ট অর্থবছরে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়ের রেকর্ড।
আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত পাঁচটি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক মার্জার বা একীভূত করতে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলোকে অকার্যকর ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রস্তাব এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সুপারিশের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বুধবার (৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে। স্থগিত হওয়া ব্যাংকগুলো হলো— ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি, এক্সিম ব্যাংক পিএলসি এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি পৃথক পৃথক চিঠিতে বলা হয়েছে, আজ ৫ নভেম্বর থেকে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদের কার্যক্রম স্থগিত করা করেছে। এখন থেকে এসব ব্যাংক চলবে ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশের আওতায়। প্রশাসক হিসেবে কোন ব্যাংকে কাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে এবং তাদের কাজ কী হবে, তা ঠিক করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রশাসকেরা দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম ধাপে প্রত্যেক আমানতকারীকে আমানত সুরক্ষা তহবিল থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ফেরত দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, একীভূত করে একটি নতুন সরকারি মালিকানাধীন ইসলামি ব্যাংক গঠন করা হবে। যার নাম হবে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আজকে পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এদিকে বুধবার ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের জরুরি তলব করেছেন গভর্নর। জানা গেছে, বৈঠকে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়গুলো জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে ইতোমধ্যে ব্যাংকগুলোর কোম্পানি সচিবদের এ সংক্রান্ত বিষয়গুলো বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১৬ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এক নজরে নিয়োগের বিস্তারিত প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) বিভাগের নাম: অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদসংখ্যা: ০১ জন শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ১ বছর চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয় বয়সসীমা: নির্ধারিত নয় বেতন: ৪৫,০০০ টাকা কর্মস্থল: ঢাকা আবেদন প্রক্রিয়া: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ তারিখ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫
দেশের মেধাবী কিন্তু আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা করতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে ‘স্পন্দনবি’। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে অধ্যয়নরত স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ইমদাদ সিতারা খান ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এবারও বৃত্তি প্রদান করবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এই সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিষয়ে পড়ুয়া প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী এই বৃত্তির সুযোগ পাবেন। আগ্রহীরা আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ডাক, কুরিয়ার বা সরাসরি উপস্থিত হয়ে আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কারা আবেদন করতে পারবেন? বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের এইচএসসি উত্তীর্ণ এবং বর্তমানে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত নিম্নোক্ত বিষয়ের মেধাবী, আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন— বিএসসি অনার্স বিএসসি অনার্স (কৃষি, পশুপালনসহ সব অনুষদ) এমবিবিএস বিডিএস বিএসসি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং বিএ অনার্স বিএসএস অনার্স বিবিএ আবেদনপত্র সংগ্রহ আবেদনকারীরা নিচের যেকোনো মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন— 🔗 https://spaandanb.org/projects/imdad-sitara-khan-scholarship/ 🔗 https://www.facebook.com/share/g/1FXJc2NhHe অথবা ই-মেইলে যোগাযোগ করেও ফর্ম সংগ্রহ করা যাবে— mostafiz14@yahoo.com rajib.bd@spaandanb.org tuhin.bd@spaandanb.org sajedul1233@gmail.com zabbarbd5493@gmail.com আবেদন পাঠানোর ঠিকানা স্পন্দনবি বাংলাদেশ অফিস বাসা-৭/২, শ্যামলছায়া-১, ফ্ল্যাট-বি/২, গার্ডেন স্ট্রিট, রিং রোড, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, ঢাকা। যোগাযোগ বৃত্তি সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য অফিস সময়ে যোগাযোগ— ☎️ ০২-৪৮১১৪৪৯৯ 📱 ০১৭১৩-০৩৬৩৬০ 📱 ০১৭৭৩-৬১০০০৯ 📱 ০১৯৩৩-৫৬০৬৬৫ 📱 ০১৭৯৬-১০২৭০০
পোশাক প্রস্তুতকারক ও বিপণন প্রতিষ্ঠান আড়ং নতুন কিছু পদে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। পদের বিবরণ: পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট বিভাগ: হেলথ সিকিউরিটি স্কিম (HSS), সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স অ্যান্ড প্রোডিউসার ডেভেলপমেন্ট (SCPD) পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয় যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অন্য যোগ্যতা: এমএস এক্সেল এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে দক্ষতা ডকুমেন্টেশন ও ফাইল ব্যবস্থাপনায় পারদর্শিতা অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ১–২ বছর চাকরির ধরণ ও অন্যান্য তথ্য: চাকরির ধরন: ফুলটাইম কর্মক্ষেত্র: অফিসে প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন বয়সসীমা: উল্লেখ নেই কর্মস্থল: ময়মনসিংহ (ত্রিশাল) বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে অন্যান্য সুবিধা: প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি, উৎসব বোনাস, স্বাস্থ্য ও জীবন বিমা এবং প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী অন্যান্য সুবিধা আবেদন করার নিয়ম: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে আবেদন করতে পারেন।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে নিয়োগ দেশের অন্যতম মানবিক সংগঠন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে একজন যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা ২১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। পদসংক্রান্ত তথ্য প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পদের নাম: টেকনিক্যাল অফিসার পদসংখ্যা: ১ জন যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি বা ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ২ বছর বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৪০ বছর বেতন ও চাকরির ধরন বেতন: ৫০,০০০ টাকা চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন কর্মস্থল: কুড়িগ্রাম আবেদন প্রক্রিয়া আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ওয়েবসাইটে ক্লিক করুন।
দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান যমুনা গ্রুপ নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্লাজা সেলস বিভাগে ‘এক্সিকিউটিভ’ পদে ১০০ জন যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা ৮ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। পদসংক্রান্ত তথ্য প্রতিষ্ঠানের নাম: যমুনা গ্রুপ বিভাগ: প্লাজা সেলস পদের নাম: এক্সিকিউটিভ পদসংখ্যা: ১০০টি যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা প্রার্থীকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী হতে হবে। এ পদে অভিজ্ঞতা প্রয়োজন নেই, তাই নবীন প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। অন্যান্য তথ্য চাকরির ধরন: ফুল-টাইম বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে প্রার্থীর ধরন: নারী ও পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন বয়সসীমা: ন্যূনতম ২২ বছর কর্মস্থল: দেশের যেকোনো স্থানে আবেদন সংক্রান্ত তথ্য আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ সময়: ৮ নভেম্বর ২০২৫।