বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এবং রাশিয়া ও চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞা জারির প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম আবারও বেড়েছে। নিরাপদ বিনিয়োগের আশ্রয় হিসেবে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ায় দাম বৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত রয়েছে। রয়টার্সের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকালে স্পট মার্কেটে প্রতি আউন্স সোনার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ১১৪ ডলার, যা আগের দিনের তুলনায় ০.৫ শতাংশ বেশি। এর আগের দিন দুই সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে বড় দরপতন হয়েছিল বৈশ্বিক সোনার বাজারে। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে ডিসেম্বর সরবরাহের জন্য ফিউচার মার্কেটে সোনার দাম ১.৬ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্সে ৪ হাজার ১২৮.৪০ ডলারে লেনদেন হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন চীনের ওপর নতুন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপের কথা বিবেচনা করছে, যেখানে সফটওয়্যারচালিত পণ্য, ল্যাপটপ ও জেট ইঞ্জিন অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। এটি চীনের বিরল খনিজ রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবেই দেখা হচ্ছে। এছাড়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছেন, যা দেশটির প্রধান তেল কোম্পানি লুকওয়েল ও রোসনেফটকে সরাসরি লক্ষ্যবস্তু করেছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত সোনার দাম প্রায় ৫৭ শতাংশ বেড়েছে। গত সোমবার এটি ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৩৮১ ডলার ছুঁয়েছিল। বিশ্লেষকদের মতে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সোনা কেনা এবং সুদের হার হ্রাসের আশঙ্কা—সব মিলিয়ে এই মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। বাজারে ধারণা করা হচ্ছে, আসন্ন ফেডারেল রিজার্ভ বৈঠকে ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে, যা সাধারণত সোনার দামকে আরও উর্ধ্বমুখী করে। ইউবিএস-এর প্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা মার্ক হ্যাফেলি বলেন, “আমরা সোনাকে এখন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময় পোর্টফোলিও ডাইভারসিফায়ার হিসেবে দেখছি। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে সোনার দাম ৪ হাজার ৭০০ ডলার পর্যন্ত উঠতে পারে।” অন্যদিকে, স্পট মার্কেটে রুপার দাম ১.৩ শতাংশ বেড়ে প্রতি আউন্সে ৪৯.১৪ ডলার, প্লাটিনাম ১,৬৪৩ ডলার এবং প্যালাডিয়াম ১,৪৫৬ ডলারে লেনদেন হচ্ছে।
রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নিলাম পদ্ধতিতে ডলার কেনার কারণে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে আশাব্যঞ্জক বৃদ্ধি দেখা দিয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশের গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে হিসাব অনুযায়ী, রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। এর আগে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ হিসাব অনুযায়ী ২৭ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, “রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিলামের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ডলার কেনায় রিজার্ভ বাড়ছে। বর্তমানে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।” চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে এ পর্যন্ত নিলাম পদ্ধতির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২১২ কোটি ৬০ লাখ ডলার কিনেছে। গত ১৩ জুলাই থেকে এই নিলাম কার্যক্রম শুরু হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত দেশে ৯১৫ কোটি ৯০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। গত বছর একই সময়ে রেমিট্যান্স ছিল ৮০৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছরের মাসভিত্তিক প্রবাসী আয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী—জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ, আগস্টে ২৪২ কোটি ১৯ লাখ এবং সেপ্টেম্বরে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার এসেছে দেশে।
টানা ৮ বারের দাম বৃদ্ধির পর অবশেষে দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৮ হাজার ৯৯৬ টাকা, যা আগের দামের তুলনায় ভরিতে ৮,৩৮৬ টাকা কম। বাজুস বুধবার (২২ অক্টোবর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে। নতুন দাম বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) থেকে কার্যকর হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম হ্রাস পাওয়ায় এবং স্থানীয় বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) বাজারমূল্যও কমেছে, যা নতুন দামের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৫৫০ কোটি ডলার ঋণের ষষ্ঠ কিস্তি ছাড় পাওয়ার আশায় ছিল বাংলাদেশ। তবে, এই ঋণ ছাড়ের ক্ষেত্রে রাজস্ব ও আর্থিক খাতে সংস্কারের কঠিন শর্ত জুড়ে দিয়েছিল সংস্থাটি। আর সেই লক্ষ্যে কাজও করে যাচ্ছিল শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু, এবার আইএমএফ বাংলাদেশকে জানিয়ে দিয়েছে, নির্বাচিত সরকার ছাড়া ঋণের ষষ্ঠ কিস্তির অর্থ ছাড় করবে না তারা। নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করবে। এরপর চলমান সংস্কার কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষার প্রতিশ্রুতি আদায় করেই ঋণের অর্থ ছাড় করতে চায়। ষষ্ঠ কিস্তি বাবদ আইএমএফ-এর কাছ থেকে ৮০ কোটি ডলারের কিছু বেশি অর্থ পাওয়ার কথা বাংলাদেশের। সম্প্রতি ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ-এর বার্ষিক সভা চলার সময় সাইডলাইনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আইএমএফ-এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে গভর্নরের কাছে এমন ইঙ্গিতই দিয়েছে আইএমএফ। বৈঠকে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আইএমএফকে জানিয়েছেন, নির্বাচনের আগেই ডিসেম্বরে ঋণের ষষ্ঠ কিস্তি ছাড় হওয়ার কথা রয়েছে। নীতিনির্ধারণী বিষয়গুলো যদি বাংলাদেশ পূরণ করে, তবে ষষ্ঠ কিস্তি অর্থ ছাড় দেওয়া উচিত। কিন্তু আইএমএফ জানিয়েছে, আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার আসবে। চলমান সংস্কার ও ঋণের শর্তের বিষয়ে তাদের মতামত কী, সেটা দেখা দরকার। চলমান সংস্কার বাস্তবায়নে আইএমএফ নতুন সরকারের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়েই অর্থ ছাড় করতে চায়। এদিকে ওয়াশিংটনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর গণমাধ্যমকে বলেছেন, আইএমএফ-এর ঋণের কিস্তির টাকা এখন বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য কিছু নয়। এখন রিজার্ভ ভালো, ডলারের পরিস্থিতি স্থিতিশীল। এ অবস্থায় আইএমএফ-এর অর্থ না হলে তেমন কোনো সমস্যা হবে না। তবে আইএমএফ-এর অর্থ না হলেও তাদের নীতিসহায়তা বাংলাদেশের জন্য দরকার। গভর্নর আরও বলেছেন, আইএমএফ-এর ঋণ কর্মসূচির মধ্যে সব সময় থাকতে হবে-এমন কোনো কথা নেই। কারণ, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এছাড়া, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ওয়াশিংটনে গণমাধ্যমকে বলেছেন, আগামী দিনে ঋণের কিস্তি ছাড়ের ক্ষেত্রে আইএমএফ যদি কঠোর কোনো শর্ত আরোপ করে, তবে তা বাংলাদেশ মেনে নেবে না। তাদের কঠিন শর্ত মেনে ঋণের অর্থ ছাড় করার মতো পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ আর নেই। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খাদের কিনারা থেকে ওঠে এসেছে। এখন চলতে শুরু করেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচনের আগে ঋণের কিস্তি ছাড় না করলে সংকটে পড়তে পারে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ইমেজ। ঋণের কিস্তি স্থগিত মানেই হচ্ছে, সরকার আইএমএফ-এর শর্ত পালন করতে পারছে না। এমন বার্তাটিই বৈশ্বিক অঙ্গনে দিতে চাচ্ছে সংস্থাটি। মূলত, আইএমএফ-এর বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে, নানাভাবে চাপ দিয়ে যতদূর সম্ভব নিজেদের আরোপিত শর্তগুলো বাস্তবায়ন করানো। এজন্য সংস্থাটি সুযোগ খুঁজে। এখন আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। ওই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার এলে আইএমএফ তাদের কঠিন শর্তগুলো বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি আদায় করবে। প্রতিশ্রুতি না দিলে ঋণের কিস্তি স্থগিত করতে পারে। তখন নতুন সরকার আরও বড় ধরনের চাপে পড়বে। এসব বিবেচনায় আইএমএফ সুযোগটি কাজে লাগাতে চাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। সূত্র জানায়, আইএমএফ এমন চাপ এর আগেও একাধিকবার দিয়েছে। ২০০১ সালে নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা ছাড়ার সময় দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১০০ কোটি ডলারের নিচে নেমে এসেছিল। রিজার্ভ সংকটের কারণে পরবর্তী সময়ে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানির বকেয়া দেনা পরিশোধ করতে পারেনি। ফলে ওই কিস্তির অর্থ আকু থেকে ‘সোয়াপ’ বা ঋণ হিসাবে নিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ওই অর্থ পরিশোধ করেছিল। ওই নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় এসে আইএমএফ-এর ঋণ চেয়েছিল। ওই ঋণ অনুমোদন করতে দরকষাকষি হয়েছিল। ওয়াশিংটন থেকে আইএমএফ মিশনকে কমপক্ষে দুই দফা ঢাকায় আসতে হয়েছিল। বৈশ্বিক মন্দা মোকাবিলার জন্য সহায়ক হিসাবে ২০২২ সালে আইএমএফের কাছে ঋণ সহায়তা চায় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আইএমএফ কঠিন শর্ত আরোপ করে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে। ওই বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনেই ঋণের প্রথম কিস্তি ছাড় করে দাতা সংস্থা আইএমএফ। কিন্তু এ ঋণ অনুমোদনের আগেই চাপ দিয়ে ঋণের বেশকিছু শর্ত বাস্তবায়ন করে নিয়েছিল আইএমএফ। এর মধ্যে একদফায় জ্বালানি তেলের দাম সর্বোচ্চ ৫২ শতাংশ বাড়িয়েছিল সরকার। পাশাপাশি গ্যাস ও সারের দামও বৃদ্ধি করেছিল। ওই সময়ে দেশের মুদ্রার (টাকা) এমনভাবে অবমূল্যায়ন করা হয়েছিল যে প্রকৃত বিনিময় হারের চেয়ে তা অনেক বেশি ছিল। যে কারণে মূল্যস্ফীতি অতিমাত্রায় বেড়েছিল। টাকার বাড়তি অবমূল্যায়নের কারণেই মূল্যস্ফীতিতে এখনো বড় ধাক্কা লেগে আছে। এদিকে ঋণের ষষ্ঠ কিস্তির অর্থ ছাড়ের শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে ২৯ অক্টোবর ঢাকায় আসছে আইএমএফ-এর একটি মিশন। দুই সপ্তাহ দেশে অবস্থান করে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে তারা। এরপর ওয়াশিংটনে ফিরে গিয়ে প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন দেবে মিশনটি। এর ওপর নির্ভর করবে কিস্তি ছাড়ের বিষয়টি। উল্লেখ্য, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করে আইএমএফ। নতুন সরকারের সময় এ ঋণ কর্মসূচি আরও ৮০ কোটি ডলার বাড়িয়ে ৫৫০ কোটি ডলারে উন্নীত করে। ইতোমধ্যে ঋণের পাঁচ কিস্তি বাবদ ৩৬০ কোটি ডলার ছাড় করেছে সংস্থাটি।
প্রতিদিনই এক রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ডের পেছনে ছুটছে সোনার দাম। বিশেষ করে, গেল এক সপ্তাহে যে হারে মূল্যবান এ ধাতুটির দাম বেড়েছে, এমনটা ইতিহাসে আর দেখা যায়নি কখনও। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে শুক্রবারও (১৭ অক্টোবর) নতুন আরেকটি মাইলফলক অতিক্রম করে ফেলেছে সোনার দাম। বিশ্ববাজারে এদিন সকালে সোনার দাম আউন্স প্রতি ৪ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের স্পট মার্কেটে প্রতি আউন্স সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩২৭ মার্কিন ডলার। বিশ্লেষকরা বলছেন, ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, মার্কিন সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শক্তিশালী ক্রয়, একটি বৃহত্তর ডি-ডলারাইজেশন প্রবণতা এবং শক্তিশালী এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড তহবিল প্রবাহের কারণে এই বছর এখন পর্যন্ত সোনার দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে। অ্যাক্টিভ ট্রেডস বিশ্লেষক রিকার্ডো ইভাঞ্জেলিস্টার মতে, মার্কিন সরকারের শাটডাউন দীর্ঘায়িত হওয়া, ফেড কর্মকর্তাদের আরও বেশি নোংরা মন্তব্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা বৃদ্ধির ফলে বছরের শেষ নাগাদ আরও বাড়বে সোনার দাম। এদিকে, বিশ্ববাজারে দাম বাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই এর প্রভাব পড়তে যাচ্ছে দেশের বাজারেও। ধারণা করা হচ্ছে, যেকোন সময় আরও এক দফায় দেশের বাজারে বাড়তে পারে সোনার দাম। তবে, গত দুইদিনে বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়লেও দেশের বাজারে দাম বাড়ায়নি বাজুস। বর্তমানে দেশের বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের; অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা বিক্রি হচ্ছে ২ লাখ ১৬ হাজার ৩৩২ টাকায়। পাশাপাশি ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ২ লাখ ৬ হাজার ৪৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৭৭ হাজার ১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনা ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৫১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে দেশে বর্তমানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৬ হাজার ২০৫ টাকায়। যা দেশের ইতিহাসে রুপার সর্বোচ্চ দাম। এছাড়াও ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম ৫ হাজার ৯১৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি রুপার দাম ৫ হাজার ৭৪ টাকা এবং সনাতনি প্রতি ভরি রুপার দাম এখন ৩ হাজার ৮০২ টাকা।
দেশের বাজারে আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে সোনার দাম। এ যাত্রায় ভরিপ্রতি দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬১৪ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৬ হাজার ৩৩৩ টাকা, যা দেশের ইতিহাসে মূল্যবান এই ধাতুর সর্বোচ্চ দাম। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। বুধবার (১৫ অক্টোবর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ২ লাখ ১৬ হাজার ৩৩৩ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৭ হাজার ১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৫২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোনার পর এবার দেশের বাজারে বাড়ানো হয়েছে রুপার দামও। ভরিতে ১ হাজার ২২৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ২০৫ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে। নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি রূপার দাম ১ হাজার ২২৪ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ২০৫ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ১ হাজার ১৬৭ টাকা বাড়িয়ে ৫ হাজার ৯১৪ টাকা করা হয়েছে। আর ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ১ হাজার ৩ টাকা বাড়িয়ে ৫ হাজার ৭৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রূপার দাম ৭৪৬ টাকা বাড়িয়ে ৩ হাজার ৮০২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে রুপার মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রুপার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
আবারও দেশের বাজারে বাড়ানো হয়েছে সোনার দাম। এবার ভরিতে ৪ হাজার ৬১৮ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। যা দেশের ইতিহাসে মূল্যবান এই ধাতুর সর্বোচ্চ দাম। সোমবার (১৩ অক্টোবর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এ দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে। নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনা দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৭১৯ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ৪ হাজার ৪০৯ টাকা বাড়িয়ে ২ লাখ ৪ হাজার ৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ৩ হাজার ৬৭৬ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৭৪ হাজার ৮৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ৩ হাজার ২১৯ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৫২০ টাকা। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
সপ্তাহের সর্বোচ্চ দামে পৌঁছানোর পর অবশেষে বিশ্ববাজারে কিছুটা কমেছে জ্বালানি তেলের মূল্য। গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির ফলে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা কমে যাওয়ায় ব্যবসায়িক ঝুঁকি হ্রাস পেয়েছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে বৈশ্বিক তেলবাজারে। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ২৪ সেন্ট বা ০.৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৬৪.৯৮ ডলার, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) তেলের দাম ২০ সেন্ট বা ০.৩ শতাংশ কমে হয়েছে ৬১.৩১ ডলার। এর আগে বুধবার (৮ অক্টোবর) রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় অচলাবস্থা দেখা দেওয়ায় এক সপ্তাহে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছিল তেলের দাম। তাতে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয় এবং বাজারে নতুন অস্থিরতা দেখা দেয়। তবে বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই হওয়ার পর পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হয়, যা শুক্রবার বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিশ্লেষকদের মতে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমে আসায় স্বল্পমেয়াদে তেলের বাজারে আরও স্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে।
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দেশের বাজারে আবারও বাড়ানো হয়েছে সোনার দাম। এবার ভরিতে ৬ হাজার ৯০৬ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ৯ হাজার ১০১ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। যা দেশের ইতিহাসে মূল্যবান এই ধাতুর সর্বোচ্চ দাম। বুধবার (৮ অক্টোবর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ লাখ ৯ হাজার ১০১ টাকা। ২১ ক্যারেটের প্রতিভরি সোনার দাম ১ লাখ ৯৯ হাজার ৫ টাকা ও ৯৪ ক্যারেটের প্রতিভরি সোনার দাম ১ লাখ ৭১ হাজার ৮৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার ৩০১ টাকা। এদিকে, বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
দেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির জন্য ছয়টি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির চলতি বছরের ৪০তম সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে সরকার সৌদি আরবের এসএবিআইসি এগ্রি-নিউট্রিএন্টস কোম্পানি থেকে ১৫৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকায় ৩য় লটের ৩০ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্রানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করবে। যার প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ৪৩৫ মার্কিন ডলার। কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় চীনের ব্যানিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং লিমিটেড থেকে ৩৭৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকায় (প্রতি মেট্রিক টন ৭৬৮.৭৫ ডলার) ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার (৪র্থ লট), ৩৭৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকায় (প্রতি মেট্রিক টন ৭৬৮.৭৫ ডলার) ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার (৫ম লট), ৩৭৬ কোটি ৩৮ লাখ টাকায় (প্রতি মেট্রিক টন ৭৬৮.৭৫ ডলার) ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার (৬ষ্ঠ লট) আমদানি করা হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের আরেকটি প্রস্তাবের ভিত্তিতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের মা’আদেন থেকে ৩৮৩ কোটি ৮৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকায় দশম লটের ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার কিনবে। যার প্রতি মেট্রিক টন সারের মূল্য ৭৮৪ মার্কিন ডলার। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অপর এক প্রস্তাবের ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় বিএডিসি কানাডার কানাডিয়ান কমার্সিয়াল কর্পোরেশন (সিসিসি) থেকে ১৭৪ কোটি ৪২ লাখ টাকায় ৮ম লটের ৪০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার ক্রয় করবে। যার প্রতি মেট্রিক টন সারের মূল্য ৩৫৬ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার। সূত্র: বাসস
২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৪ দশমিক ৮ শতাংশে এবং ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৩ শতাংশে পৌঁছাবে। ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ বিশ্বব্যাংকের ‘সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট’-এর অংশ। প্রতিবছর দুইবার এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এটি দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, সম্ভাবনা এবং দেশগুলোর নীতিগত চ্যালেঞ্জ বিশ্লেষণ করে। ‘চাকরি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বাণিজ্য’ শীর্ষক অক্টোবর-২০২৫ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশে শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জও রয়েছে। প্রতিবেদনে পরীক্ষা করা হয়েছে, বাণিজ্য উন্মুক্তকরণ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার কীভাবে দেশগুলোতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সহায়ক হতে পারে। ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে উল্লেখযোগ্য পুনরুদ্ধারের দিকে অগ্রসর হয়। এর পেছনে মূল কারণ ছিল শক্তিশালী রপ্তানি, রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দেশটি মধ্য মেয়াদে প্রবৃদ্ধির একটি ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় রাখতে সক্ষম হবে। তবে টেকসই প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিশেষত যুবক ও নারীদের জন্য জরুরি সংস্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজারভিত্তিক বিনিময় হার নীতির কারণে বৈদেশিক চাপ কমেছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল হয়েছে এবং চলতি হিসাব ঘাটতি কমেছে। এছাড়া, রপ্তানিও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। কঠোর মুদ্রানীতি, প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের কম আমদানি কর এবং ভালো ফলনের কারণে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে কম রাজস্ব আদায়, বেশি ভর্তুকি এবং ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে বাজেট ঘাটতি সম্প্রসারিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দারিদ্র্য বেড়েছে। মোট শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ কমে ৬০ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশে নেমেছে, যেখানে নারীরা বেশি প্রভাবিত হয়েছেন। শ্রমবাজারের বাইরে থাকা ৩০ লাখ অতিরিক্ত কর্মক্ষম মানুষের মধ্যে ২৪ লাখ নারী। বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের বিভাগীয় পরিচালক জ্যঁ পেম বলেন, ‘অর্থনীতি দৃঢ়তা দেখিয়েছে, কিন্তু এটিকে স্বাভাবিক ধরে নেওয়া যায় না।’ তিনি বলেন, ‘শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখতে এবং আরও ভালো ও বেশি কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে সাহসী সংস্কার ও দ্রুত বাস্তবায়নের পথে এগোতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আয় বাড়ানো, ব্যাংক খাতের দুর্বলতা দূর করা, জ্বালানি ভর্তুকি কমানো, নগরায়ণের পরিকল্পনা করা এবং বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত করা।’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দুই দশকে শিল্পখাতের চাকরি ঢাকায় ও চট্টগ্রামে কেন্দ্রীভূত হয়েছে, যা আঞ্চলিকভাবে সমান উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার দিকটি তুলে ধরে। এতে দেশব্যাপী সার্বজনীন চাকরি সৃষ্টি নিশ্চিত করতে স্থানীয় উন্নয়ন কৌশল পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জুট বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যাপক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা রয়েছে। তবে প্রবৃদ্ধির ঝুঁকিগুলো মোকাবিলায় দেশগুলোকে সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা সর্বাধিকভাবে কাজে লাগানো এবং বিশেষ করে মধ্যবর্তী পণ্যের জন্য বাণিজ্য বাধা কমানোর মাধ্যমে দেশগুলো উৎপাদনশীলতা বাড়াতে পারবে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে এবং অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান শ্রমশক্তির জন্য নতুন চাকরি সৃষ্টি করতে পারবে।’ প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতি এখনও বিদেশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য খুব বেশি উন্মুক্ত নয়। অনেক খাতে উচ্চ শুল্ক থাকায় সেগুলোতে চাকরি কমছে। অন্যদিকে, কম শুল্কযুক্ত খাত, যেমন সেবা খাত, গত দশকে নতুন চাকরির বড় অংশ তৈরি করেছে। বিশ্ব ব্যাংক আরও বলেছে, যদি ধাপে ধাপে পরিকল্পিতভাবে শুল্ক কমানো যায়, বিশেষ করে বড় ধরনের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আওতায়, তাহলে তা বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে পারে। এতে প্রতিযোগিতা বাড়বে, উৎপাদনশীলতা বাড়বে এবং নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সূত্র: বাসস
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা ‘অফিস অব টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেল’ (ওটেক্সা)-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বব্যাপী পোশাক আমদানির পরিমাণ ৫.৩০ শতাংশ কমেছে। তবে একই সময়ে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক আমদানির পরিমাণ ২৬.৬২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তুলনামূলকভাবে দেখা যায়, বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশ চীনের রপ্তানি কমেছে ১৮.৩৬ শতাংশ। বিপরীতে, ভিয়েতনাম ও ভারতের রপ্তানি যথাক্রমে ৩২.৯৬ শতাংশ ও ৩৪.১৩ শতাংশ বেড়েছে। ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানি কমেছে ১৯.৮২ শতাংশ এবং কম্বোডিয়ার রপ্তানি বেড়েছে ১০.৭৮ শতাংশ। উল্লেখযোগ্যভাবে, বাংলাদেশের আমদানি ভলিউম ২৬.৬২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইউনিট মূল্যের ক্ষেত্রে, বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি কমেছে ১.৭১ শতাংশ। চীন ও ভারতের ইউনিট মূল্য যথাক্রমে ৩৩.৮০ শতাংশ ও ৪.৫৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার ইউনিট মূল্য যথাক্রমে ৬.৬৪ শতাংশ ও ৭.৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং কম্বোডিয়ার ইউনিট মূল্য বেড়েছে ৩৮.৩১ শতাংশ। বাংলাদেশে এই বৃদ্ধি হয়েছে ৭.৩০ শতাংশ। ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ বর্তমানে এমন একটি ইউনিট মূল্য ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক গড় মূল্যের কাছাকাছি। বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, যখন আমরা আমাদের নিকটতম প্রতিযোগী যেমন ভিয়েতনাম ও ভারতের সঙ্গে তুলনা করি, তখন স্পষ্ট হয় যে বাংলাদেশের ইউনিট মূল্য আরও বাড়ানোর যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এই উন্নতি রপ্তানির পরিমাণ না বাড়িয়েও মোট রপ্তানি আয় বাড়াতে সহায়ক হতে পারে। তিনি বলেন, ২০২৪ সালে চীন ও ভিয়েতনামের রপ্তানি মূল্য প্রায় সমান ছিল, অথচ ভিয়েতনামের রপ্তানি পরিমাণ ছিল চীনের অর্ধেকেরও কম। কারণ, ভিয়েতনাম উচ্চ মূল্যের পণ্য রপ্তানি করে। তিনি আরও বলেন, কম দামি পণ্য থেকে বেশি দামি পণ্যের দিকে আমাদের মনোযোগ বাড়াতে হবে। সূত্র: বাসস
সবশেষ গত সোমবার সোনার দাম বাড়িয়েছিল বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ৪১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। এতে এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮৪ টাকা হয়েছে। সেই হিসেবে বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দেশের বাজারে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮৪ টাকা ভরিতে বিক্রি হবে সোনা। নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে ভালো মানের এক ভরি, অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের হলমার্ক করা সোনা কিনতে খরচ করতে হবে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮৪ টাকা। এ ছাড়া প্রতি ভরি ২১ ক্যারেট সোনা ১ লাখ ৮৬ হাজার ৪৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ১ লাখ ৩২ হাজার ৭২৫ টাকায় বিক্রি হবে। গত সোমবার পর্যন্ত প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনা ১ লাখ ৯২ হাজার ৯৬৯ টাকা, ২১ ক্যারেট সোনা ১ লাখ ৮৪ হাজার ১৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনা ১ লাখ ৩১ হাজার ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সে হিসাবে ২২ ক্যারেট সোনার দাম ভরিতে ২ হাজার ৪১৫ টাকা, ২১ ক্যারেটে ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটে ১ হাজার ৯৭১ টাকা দাম বাড়বে। এ ছাড়া সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৬৮০ টাকা বাড়বে।
দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে সোনার দাম। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ৪১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এতে এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮৪ টাকা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিংকমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এই দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সবশেষ গত মঙ্গলবার দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়িয়েছিল বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। নতুন দামে ২২ ক্যারেট সোনার মূল্য দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৫৯ টাকা। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে বাজুস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। এরপর টানা দুইদিন স্থির রয়েছে সোনার দাম। সেই হিসেবে শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) একই দামে সোনার বিক্রি হবে। বাজুস জানিয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সোনার দামে এই সমন্বয় করা হয়েছে। আজকের বাজারদর— • ২২ ক্যারেট : ভরিপ্রতি ১,৯৪,৮৫৯ টাকা • ২১ ক্যারেট : ভরিপ্রতি ১,৮৬,০০৬ টাকা • ১৮ ক্যারেট : ভরিপ্রতি ১,৫৯,৪২৪ টাকা • সনাতন পদ্ধতি : ভরিপ্রতি ১,৩২,৩৫১ টাকা বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে ৫ শতাংশ সরকার নির্ধারিত ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ৬ শতাংশ ন্যূনতম মজুরি যোগ করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরি ভিন্ন হতে পারে। এদিকে সোনার পাশাপাশি এবার রুপার দামও বেড়েছে। ভরিতে ১৫২ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৬২৮ টাকা। নতুন দাম তালিকা (ভরি প্রতি): ২২ ক্যারেট: ৩ হাজার ৬২৮ টাকা ২১ ক্যারেট: ৩ হাজার ৪৫৩ টাকা ১৮ ক্যারেট: ২ হাজার ৯৬৩ টাকা সনাতন পদ্ধতি: ২ হাজার ২২৮ টাকা দেশের ইতিহাসে এই প্রথমবার একসঙ্গে সোনা-রুপা উভয়ই সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে।
দেশের বাজারে একদিনের ব্যবধানে আবারও সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে। এবার ভরিতে ৩ হাজার ৬৬৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৫৯ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে, সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সোনা ভরিতে ১ হাজার ৮৮৯ টাকা বাড়ায় বাজুস। বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ২২ দিনে দেশে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে ২০৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ২৫ হাজার ৫৫৯ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। এর মধ্যে গতকাল (২২ সেপ্টেম্বর) এসেছে ৭৮০ কোটি ৮০ লাখ টাকা। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানান। তিনি জানান, গত বছরের সেপ্টেম্বরের প্রথম ২২ দিনে ১৭৬ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। সে হিসাবে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৩২ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার বা ১৮ দশমিক ৪০ শতাংশ। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ৬৯৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে এসেছিল ৫৯০ কোটি ৬০ লাখ ডলার। গত বছরের তুলনায় চলতি বছর প্রবাসী আয় বেড়েছে ১০৮ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ১৬ দিনে ১৬৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার ৪১০ কোটি ৬০ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানান। তিনি জানান, সেপ্টেম্বরের ১৬ দিনে ১৬৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে যা ৩৭ কোটি ১০ ডলার বেশি। গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩০ কোটি ২০ লাখ ডলার। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখ পর্যন্ত ৬৫৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার এসেছে। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যা এসেছিল ৫৪৪ কোটি ডলার। অর্থবছর হিসাবে গত অর্থবছরে একই সময়ের চেয়ে ১৩৩ কোটি ৩০ ডলার বেশি এসেছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০ দশমিক ৮০ শতাংশ। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে এসেছিল ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩০ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। আর সদ্য বিদায়ী আগস্টের পুরো সময়ে এসেছিল ২৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার বা ২৯ হাজার ৫৪৮ কোটি ৪০ লাখ।
দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে এখন ৩১০০৩ দশমিক ১০ মিলিয়ন বা ৩১ বিলিয়ন ডলার বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্যানুযায়ী, ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ৩১০০৩ দশমিক ১০ মিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২৬০৮৭ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩০৮৮৬ দশমিক ৯৮ মিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৫৯৮৪ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সবশেষ গত ৩ সেপ্টেম্বর ৩১ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভের কথা জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তথ্য অনুযায়ী, গত ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩১৪৩২ দশমিক ০৮ মিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৬৪৫০ দশমিক ০৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে এরপর গত ৭ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, জুলাই ও আগস্ট মাসের আকুর বিল পরিশোধ করা হয়েছে ১ হাজার ৫০৩ দশমিক ৫০ মিলিয়ন বা ১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলার। এতে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩০৩০৭ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছিল ২৫৩৯৭ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরপর রিজার্ভ ওঠানামা করলেও ৩১ বিলিয়ন ডলারের ঘরে পৌঁছাতে পারেনি। সবশেষ আজ (১৭ সেপ্টেম্বর) ৩১ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভের খবর জানালো কেন্দ্রীয় ব্যাংক। উল্লেখ্য, নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের বিপিএম-৬ পরিমাপ অনুসারে। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।
টানা ৮ দফায় বাড়ানোর পর দেশের বাজারে অবশেষে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৪৭০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৮৮ হাজার ১৫২ টাকা নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দেয় বাজুস। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) থেকে নতুন এই দরে সোনা ক্রয়-বিক্রয় হবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ৮৮ হাজার ১৫২ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫৩ হাজার ৯৪১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ২৭ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এদিকে, বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে। এর আগে, সবশেষ গত ১৬ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে সোনার দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬২২ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। যা এতোদিন ছিল দেশের ইতিহাসে সোনার সর্বোচ্চ দাম। এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৫৪ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো সোনার দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৩৭ বার, আর কমেছে মাত্র ১৭ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার। সোনার দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৪৭৬ টাকায়। যা দেশের ইতিহাসে রুপার সর্বোচ্চ দাম। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৩১৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৮৪৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ১৩৫ টাকায়।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১৬ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এক নজরে নিয়োগের বিস্তারিত প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) বিভাগের নাম: অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদসংখ্যা: ০১ জন শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ১ বছর চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয় বয়সসীমা: নির্ধারিত নয় বেতন: ৪৫,০০০ টাকা কর্মস্থল: ঢাকা আবেদন প্রক্রিয়া: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ তারিখ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে নিয়োগ দেশের অন্যতম মানবিক সংগঠন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে একজন যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা ২১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। পদসংক্রান্ত তথ্য প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পদের নাম: টেকনিক্যাল অফিসার পদসংখ্যা: ১ জন যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি বা ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ২ বছর বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৪০ বছর বেতন ও চাকরির ধরন বেতন: ৫০,০০০ টাকা চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন কর্মস্থল: কুড়িগ্রাম আবেদন প্রক্রিয়া আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ওয়েবসাইটে ক্লিক করুন।
ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির তত্ত্বাবধানে নতুন সমন্বিত ব্যাংক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এই নিয়োগের আওতায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক-এ সিনিয়র অফিসার (সাধারণ) পদে ৩৯৮ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। পদসংক্রান্ত তথ্য প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক পদের নাম: সিনিয়র অফিসার (সাধারণ) পদসংখ্যা: ৩৯৮টি শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রার্থীদের যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা চার বছর মেয়াদি স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) বা সমমানসহ তদূর্ধ্ব পর্যায়ের পরীক্ষাগুলোর মধ্যে অন্তত দুইটিতে প্রথম বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে। কোনো পর্যায়েই তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি গ্রহণযোগ্য নয়। বয়সসীমা ১ জুলাই ২০২৫ তারিখে প্রার্থীর বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩২ বছর হতে হবে। আবেদন সংক্রান্ত তথ্য আবেদন ফি: ২০০ টাকা (অনগ্রসর নাগরিক গোষ্ঠীর প্রার্থীদের জন্য ৫০ টাকা)। আবেদনের শেষ সময়: ১০ নভেম্বর ২০২৫। আবেদন পদ্ধতি আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে এবং আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন।
আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াটারএইড বাংলাদেশ জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ‘টেকনিক্যাল এক্সপার্ট’ পদে নতুন কর্মী নেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে ২৮ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। নিয়োগের বিস্তারিত প্রতিষ্ঠানের নাম: ওয়াটারএইড বাংলাদেশ পদের নাম: টেকনিক্যাল এক্সপার্ট পদের সংখ্যা: নির্ধারিত নয় চাকরির ধরন: ফুল টাইম প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই কর্মস্থল: খুলনা যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি বা স্নাতক (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং/এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে) অভিজ্ঞতা: সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫ বছর বয়সসীমা: নির্ধারিত নয় বেতন ও সুবিধা বেতন: প্রতি মাসে ৯২,৫০০ টাকা আবেদন প্রক্রিয়া আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ তারিখ: ২৮ অক্টোবর ২০২৫
মায়ের অসুস্থতার কারণে কেন্দ্রে দেরিতে আসায় পরীক্ষা না দিতে পারা সেই আনিসা আহমেদ এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করেছেন। তিনি বাংলা ও ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে ফেল করেন। আনিসা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তিনি মানবিক বিভাগের পরীক্ষাথী। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনই (২৬ জুন) ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরীক্ষার্থী আনিসা মায়ের অসুস্থতার কারণে সময়মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছুতে পারেননি। দেরি হওয়ায় তাকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেননি দায়িত্বরতরা। এসময় ওই ছাত্রী পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। গেটের বাইরে দীর্ঘসময় অপেক্ষায় থেকে তিনি সেদিন ফিরে যান। ওই ছাত্রীর পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাঙলা কলেজ। আনিসার কান্না-আকুতি তখন নাড়িয়ে দেন বহু মানুষের বিবেক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন উঠে—আইন কি মানবিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে? নেটিজেনরা দাবি তোলেন—মানবিক বিবেচনায় হলেও তাকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। অন্তর্বর্তী সরকারও সেই দাবি আমলে নেয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে তখন শিক্ষা উপদেষ্টার বরাতে জানানো হয়, ‘পরীক্ষা দিতে না পারা আনিসার বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’