জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। আর্থিক লেনদেনকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হওয়ায় এই উত্তেজনায় একজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলে এই ঘটনা ঘটে। এতে স্থানীয়রা জানান, কনভেনশন হলে তৃতীয় তলায় ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলা এনসিপির সমন্বয় সভা চলছিল। ঠিক তখনই দ্বিতীয় তলায় মোহাম্মদপুর ও বংশাল থানার নেতাকর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে তা হাতাহাতি ও সংঘর্ষে পরিণত হয়। বংশাল থানার কর্মী ইউসুফ আহত হন। জানা গেছে, প্রায় তিন মাস আগে বংশাল থানার কয়েকজন নেতা মোহাম্মদপুরের একটি কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করেন। বিষয়টি ঢাকা মহানগর উত্তরের শোয়েব নামে এক নেতাকে জানানো হলে তিনি মোহাম্মদপুর থানার রিয়ানকে বিষয়টি দেখাশোনার দায়িত্ব দেন। অভিযোগ রয়েছে, রিয়ান বংশালের নেতাদের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নেন এবং তাদের আটকে রাখার চেষ্টা করেন। পরে নেতারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এরপর বংশালের নেতারা টাকা ফেরত চাইতে গেলে রিয়ানের সঙ্গে মীমাংসা করতে ব্যর্থ হন। শুক্রবার কনভেনশন হলে মুখোমুখি হওয়া দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়। একপর্যায়ে হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সবঠিক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে চলতি মাসে ২০০ আসনের প্রার্থীদের গ্রিন সিগন্যাল দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, এনসিপির সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা হচ্ছে। তবে বিএনপি আর এনসিপি জোটভুক্ত হবে কি না, সেটা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে। যদিও জোটভুক্ত হওয়ার বিষয়ে এনসিপির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি বলেও জানান তিনি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, জোটভুক্ত হলে দলগুলো অন্য রাজনৈতিক দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারতেন। এটি পরিবর্তনে সম্মতি ছিল অধিকাংশ দলের। আমরা আশ্বস্ত ছিলাম, কিন্তু যেভাবে আরপিও পাস হলো, তাতে আকারে ছোট দলগুলো জোটবদ্ধ হতে উৎসাহিত হবে না।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের প্রায় ১৪ মাস হতে চলেছে, কিন্তু এখনও দেশে ফিরতে পারেননি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলীয় নেতারাও তার জন্য অপেক্ষা করছে অনেকদিন ধরেই। অবশেষে জানা গেল তারেক রহমানের দেশের ফেরার সময়। আগামী নভেম্বরের মধ্যেই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসায় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। । তিনি বলেন, এনসিপির সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু বিএনপি আর এনসিপি জোটভুক্ত হবে কিনা, সেটি দেখতে অপেক্ষা করতে হবে। তবে জোটভুক্ত হওয়ার বিষয়ে এনসিপির সঙ্গে এখনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধনের অনুমোদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আরপিও সংশোধনে অনেকগুলো বিষয়ে আমরা সম্মত হয়েছিলাম। তবে ২০/১ উপধারা অনুযায়ী জোটভুক্ত হলে দলগুলো অন্য রাজনৈতিক দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারতেন, এটি পরিবর্তনে সম্মতি ছিল অধিকাংশ দলের। ‘আমরা আশ্বস্ত ছিলাম, কিন্তু যেভাবে আরপিও পাস হলো, তাতে আকারে ছোট দলগুলো জোটবদ্ধ হতে উৎসাহিত হবে না। এমন হলে ছোট দলের বড় নেতারা সুযোগ পাবেন না।’ একতরফাভাবে আরপিও সংশোধনী পাস হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বহুদলীয় সমৃদ্ধ সংসদ দেখতে চায় বিএনপি। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে এটি (আরপিও সংশোধনী) পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান। এ সময় বিষয়টিতে আপত্তি জানিয়ে বিএনপি চিঠি দেবে বলেও জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) দলের শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত ৭ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে তাদের প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরিয়ে দিয়েছে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও নীতি-আদর্শবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে পূর্বে বহিষ্কৃত ৭ নেতাকে তাদের আবেদন ও দলীয় সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক সদস্য পদে পুনর্বহাল করা হয়েছে। প্রাথমিক সদস্য পদ ফিরে পাওয়া বিএনপির ওই ৭ নেতা হলেন—জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ও ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলার ভালুকা উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ফখর উদ্দিন আহমেদ বাচ্চু, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিবুল উদ্দিন সরকার পাপ্পু, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক রুহুল আমিন দুলাল, নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট, রংপুর জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মোকাররম হোসেন সুজন এবং রংপুর জেলা বিএনপিরই আরেক সাবেক সদস্য মো. আলি সরকার। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই সাতজন নেতার বিরুদ্ধে গৃহীত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে তাদের প্রাথমিক সদস্য পদ পুনঃবহাল করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম দাবি করেছেন, নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। কমিশনের গঠন প্রক্রিয়া এবং বর্তমান আচরণ আমাদের কাছে নিরপেক্ষ বা স্বচ্ছ মনে হচ্ছে না। এটি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হওয়ার পরও যেসব কাজ করার কথা ছিল, সেগুলো করছে না।” তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন কমিশনের আচরণে পক্ষপাতিত্ব দেখা যাচ্ছে এবং কিছু রাজনৈতিক দলের প্রতি অসম ন্যায়সঙ্গত আচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি নিরপেক্ষ কমিশন অত্যাবশ্যক। নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে দায় সরকারের উপরই পড়বে। তাই আমরা সরকারকে এই বিষয়ে সতর্ক করেছি। আমাদের মতে, এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন প্রয়োজন।” এনসিপি আহ্বায়ক জানান, বৈঠকে জুলাই গণহত্যার বিচারের বিষয়ও আলোচনার অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকজন সেনা সদস্যকে আদালতে আনা হয়েছে, যা আমরা স্বাগত জানাই। ন্যায়বিচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ এগোচ্ছে।” নাহিদ ইসলাম আরও বলেছেন, “সারা দেশে শহীদ ও আহত পরিবারের পক্ষ থেকে যে মামলা হয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ কী হবে তা প্রকাশ করা উচিত। জামিনে আসামি ছাড়া পাচ্ছে এবং পরিবার ও আহতদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরা চাই এই মামলাগুলোর রোডম্যাপ স্পষ্টভাবে জানানো হোক।” তিনি জুলাই সনদ সম্পর্কেও বলেন, “সনদে কেবল কাগজের মূল্য নয়, বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা পাওয়ার পরই আমরা স্বাক্ষর করব। এছাড়া জনপ্রশাসনের বদলিতে কি দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, তা নিয়েও আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে যারা প্রশাসনের বিভিন্ন পদ ভাগাভাগি করছে, তা সরকারের নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।”
অন্তর্বর্তী সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ঘনিয়ে আসছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়। সব ঠিকঠাক থাকলে শিগগিরই প্রচারণায় নামবে রাজনৈতিক দলগুলো। আর এবারের নির্বাচনী প্রচারের মাঠে সবচেয়ে বড় চমক হয়ে আবির্ভূত হতে পারেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। শারীরিকভাবে দুর্বল হলেও এবারের নির্বাচনী প্রচারের মাঠে তার সক্রিয় উপস্থিতি থাকবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। সেইসঙ্গে দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে আসতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ভোট চাইতে আর ডিজিটাল মাধ্যম নয়; এবার সরাসরি জনসাধারণের সান্নিধ্যে এসে তাদের মন জয়ের চেষ্টায় নামবেন তিনি। আর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এই নির্বাচনী প্রচারের নিরাপত্তায় বিএনপিকে বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি সিনিয়র নেতাদের নিরাপত্তার জন্য বুলেটপ্রুফ মিনি বাস কেনারও অনুমতি দেওয়া হয়েছে দলটিকে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিএনপিকে একটি বুলেটপ্রুফ বাস কেনার অনুমতি দেওয়া হয় চলতি মাসের শুরুর দিকে। এর আগে, গত জুন মাসে একটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে, কোন দেশ থেকে এবং কোন মডেলের বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনা হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে, দলীয় এক সূত্র জানিয়েছে, জাপান থেকে গাড়িগুলো কেনার বিষয়ে আলোচনা চলছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর এ ব্যাপারে বলেন, নির্বাচনের সময় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান জনসংযোগ করতে সারা দেশ ভ্রমণ করবেন; মানুষের সঙ্গে মিশবেন। একদিকে তাদের নিরাপত্তা, অন্যদিকে জনসম্পৃক্ততা। এই সময়ে তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জরুরি। এ কারণেই বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনা হচ্ছে। এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বেসরকারিভাবে কিংবা ব্যক্তিগত উদ্যোগে কেউ বুলেটপ্রুফ গাড়ি আনতে পারেন না; এর জন্য সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হয়। আর রাজনৈতিক দলের জন্য বুলেটপ্রুফ গাড়ির অনুমতি সাধারণত দেওয়া হয় না। অতীতে কেবল রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিদেশি দূতাবাস বা আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের জন্যই এ ধরনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর এ ব্যাপারটি এরই মধ্যে রাজনৈতিক মহলের পাশাপাশি ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে জনসাধারণের মধ্যে। বিএনপি সমর্থকদের কাছে বিষয়টি খুব আবেগপূর্ণ হলেও অন্য দলগুলোর সমর্থকদের কাছে সরকারের এ অনুমতি ভালো ঠেকছে না। সমালোচকদের অনেকেই বলছেন, প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি ছাড়া দেশের অন্য নাগরিকদের যেখানে বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার সুযোগ অতীতে দেওয়া হয়নি, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নিরাপত্তার জন্য সেই সুবিধা দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার মূলত চরম বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত নিলো। অনেকে আবার বলছেন, এ অনুমতি দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার বুঝিয়ে দিয়েছে ক্ষমতা যাচ্ছে কার হাতে! নির্বাচনের আগেই খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে দেওয়া হলো বলেও অভিমত অনেকের। বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সূত্রে জানা গেছে, জাপান, কানাডা ও জার্মানি সাধারণত বুলেটপ্রুফ গাড়ি তৈরি করে। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এবং ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর তার জন্য বুলেটপ্রুফ গাড়ি আনা হয়েছিল জাপান থেকে। বারভিডার সভাপতি আবদুল হক বলেন, বেসরকারিভাবে কেউ বুলেটপ্রুফ গাড়ি আনতে পারেন না, এটি সরকারিভাবে অনুমোদিত হতে হয়। একেকটি গাড়ির দাম পড়ে প্রায় ২ লাখ ডলার, আর ৮০০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে আনলে মোট খরচ দাঁড়ায় প্রায় ২২ কোটি টাকা। শুধু বুলেটপ্রুফ গাড়িই নয়; আসন্ন নির্বাচনের প্রচারে নামার আগে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের জন্যও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে বিএনপি। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, একটি শটগান ও দুটি পিস্তলের লাইসেন্সের অনুমতি চাওয়া হয়েছে বিএনপিরপক্ষ থেকে। তবে, লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়টি এখনও বিবেচনাধীন আছে। ২০০৮ সাল থেকে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি দ্রুত দেশে ফিরবেন এবং নির্বাচনে অংশ নেবেন। এ অবস্থায় পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) তাদের প্রতিবেদনে জানায়, নির্বাচনী প্রচারে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান হামলার ঝুঁকিতে থাকতে পারেন। এ অবস্থায় প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের আক্রমণ বা সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা বিবেচনায় বুলেটপ্রুফ গাড়ির অনাপত্তি দেওয়া হয়েছে। বুলেটপ্রুফ গাড়ির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে এসবির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সারা দেশে নির্বাচনী প্রচারে সম্পৃক্ত হবেন। দুজন নির্বাচনী জনসভায় অংশগ্রহণ করবেন। নির্বাচনী জনসভায় তাঁদের গমনাগমনের পথে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দল ও তাদের নিয়োগ করা এজেন্ট অথবা সন্ত্রাসীদের কারণে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, তাদের পরিবারের সদস্যদের জীবননাশের হুমকি আছে। দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কোন্দল ও প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর শত্রুভাবাপন্ন মনোভাবের কারণে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা জনসভা, রোডমার্চ বা রাজনৈতিক শোডাউনের সময় আক্রমণের শিকার হতে পারেন। খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের বহুমাত্রিক নিরাপত্তা হুমকি বা ঝুঁকি থাকায় তাঁদের সার্বক্ষণিক ব্যবহারের জন্য একটি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কিনতে সংস্থার (এসবি) অনাপত্তি প্রদান করা হলো। প্রসঙ্গত, পুলিশ প্রটোকলের পাশাপাশি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিজস্ব নিরাপত্তাব্যবস্থাও আছে। এটি চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স (সিএসএফ) নামে পরিচিত। খালেদা জিয়া কোথাও গেলে তার নিরাপত্তায় বিশেষ পোশাকে সিএসএফের সদস্যদের দেখা যায়।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগার ঘটনায় বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব উদ্বেগ প্রকাশ ও দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, তিনি ঘটনাটি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে তার দোয়া জানিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন সবাই নিরাপদে আছেন এবং ঘটনার স্বচ্ছ ও দ্রুত অনুসন্ধান হওয়া উচিত। তারেক রহমান পোস্টে ফায়ার সার্ভিস, সশস্ত্র বাহিনী ও উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া অন্যান্য সংস্থার তৎপরতাকে সাধুবাদ জানান। তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিককালে মিরপুরের রাসায়নিক গুদাম ও পোশাক কারখানা এবং চট্টগ্রামের সিইপিজেড অঞ্চলের আগুনসহ একের পর এক অগ্নিকাণ্ড উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব ঘটনার দায়-কারণ নির্ণয় ও ভবিষ্যতে জননিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে পুর্নাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্ত জরুরি বলে তাঁর দাবি। একই ঘটনায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও উদ্বেগ প্রকাশ করে সন্ধ্যায় একটি বিবৃতি জারি করেন। সেখানে তিনি সুষ্ঠু তদন্তের পাশাপাশি জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের বিভিন্ন অগ্নিকাণ্ড ‘এক সূত্রে গাঁথা’ থাকতে পারে বলে জনগণের মধ্যে সংশয় বিরাজ করছে এবং তিনি এসব ঘটনা যাতে আবারও দেশকে অস্থিতিশীল করতে ব্যবহৃত না হয় তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল আরও বলছেন, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক মুক্তির প্রেক্ষাপটে দেশের স্বৈরাচারবিরোধী অনুপ্রেরণাকে ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের চেষ্টা চলছে; সেজন্য সাধারণ মানুষকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। বৃহত্তর প্রতিক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিএনপি নেতৃত্ব ঘনিষ্ঠভাবে ঘটনার তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা দাবি করে চলেছে। কর্তৃপক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হলে তাতে পাওয়া ফলাফলই ভবিষ্যতে ঘটনার প্রকৃতি ও কারণ স্পষ্ট করবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের চার নেতাকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এ বহিষ্কারাদেশ অনুমোদন করেছেন। কারা বহিষ্কৃত বহিষ্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন— নিউটন দত্ত, সাবেক সহসভাপতি নকিব হোসেন চৌধুরী, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু শাহদাত মোহাম্মদ আদিল, সাবেক নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন, যিনি সাম্প্রতিক চাকসু নির্বাচনে এজিএস পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রথম তিনজনকে সংগঠন থেকে প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, আর আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের অবস্থান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন জানান, “আব্দুল্লাহ আল মামুন আমাদের সদস্য ছিলেন, কিন্তু তিনি চাকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া, তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগও রয়েছে। বাকি তিনজন আগের কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেছেন, তারাও সাংগঠনিক নিয়ম ভঙ্গ করেছেন—এ কারণেই কেন্দ্রীয় কমিটি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।” চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে এখন ক্যাম্পাসের রাজনীতিতে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে।
ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগে রাজধানীর আরও পাঁচটি মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন ঢাকার এক আদালত। উচ্চ আদালতের নির্দেশে বুধবার (৮ অক্টোবর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে এ মামলাগুলোর দায় হতে অব্যাহতি প্রদান করেন। মামলাসমুহের মধ্যে ২০১৩ সালের রাজধানীর পল্টন থানার ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় করা একটি মামলায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান তাকে অব্যাহতি প্রদান করেন। ২০১২ সালের রাজধানীর সূত্রাপুর থানার ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় করা মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান তাকে অব্যাহতি প্রদান করেন। ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় ২০১৫ সালের রাজধানীর পল্টন থানার পৃথক তিনটি মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইন তাকে অব্যাহতি প্রদান করেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আইনজীবী জাকির হোসেন জুয়েল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দেওয়া হয়। এসব মিথ্যা মামলায় তাকে একাধিকবার গ্রেপ্তার করে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। দিনের পর দিন তাকে থাকতে হয় জেল হাজতে। জাকির হোসেন আরও বলেন, আমরা তখন আদালতকে বারবার বলেছি যে এসব মামলা মিথ্যা ও হয়রানিমূলকভাবে করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে করা পাঁচ মামলায় আজ ঢাকার আদালত অব্যাহতি দিয়েছেন। এর আগেও তার বিরুদ্ধে করা একাধিক মামলায় খালাস ও অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই আইনজীবী আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা রয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই তিনি সব মামলা থেকে অব্যাহতি ও খালাস পাবেন। এর আগে, ৫ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন থানার বিস্ফোরক দ্রব্যাদি আইনে করা মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে অব্যাহতি প্রদান করেন মহানগর দায়রা জজ সাব্বির ফয়েজ। সূত্র: বাসস
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার একটি গভীর ও পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে দেশকে একদলীয় শাসনের দিকে ঠেলে দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে, যার বিরুদ্ধে দেশের শিক্ষক সমাজসহ সচেতন নাগরিকদের সতর্ক থাকতে হবে। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আন্তর্জাতিক শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বিএনপি সমর্থিত শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট আয়োজিত শিক্ষক মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ফখরুল ইসলাম বলেন, দেশের মানুষ আজ গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও ন্যায়বিচারের জন্য লড়ছে। এ অবস্থায় শিক্ষক সমাজের দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি। কারণ শিক্ষকরা শুধু পেশাজীবী নন, তারা জাতির বিবেক। তাই আসন্ন নির্বাচনে কেউ যেন অগণতান্ত্রিক শক্তির হাতের খেলায় পরিণত হতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, ‘আজকে একটি গভীর ষড়যন্ত্র চলছে- যে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নির্বাচনের ফলাফলকে আগেই নির্ধারিত করার চেষ্টা চলছে। প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন ও কিছু প্রভাবশালী গোষ্ঠীর মাধ্যমে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠানোর এই অপচেষ্টা ব্যর্থ করতে হবে জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য একটাই- শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের সেই সুখী, সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাসম্পন্ন বাংলাদেশ গড়া। এমন একটি বাংলাদেশ যেখানে জনগণ প্রকৃত অর্থে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে, যেখানে শিক্ষা ও ন্যায়বিচার সবার জন্য সমানভাবে নিশ্চিত থাকবে।’ শিক্ষকদের দাবি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থা, অবসর বয়স ৬৫ বছর নির্ধারণ, নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ-এই দাবিগুলো আমরা সমর্থন করি এবং এগুলো আমাদের দলের ৩১ দফা কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত। বিএনপি বিশ্বাস করে-যদি শিক্ষক সমাজ মর্যাদা ও নিরাপত্তা না পান, তাহলে একটি প্রজন্মও সঠিকভাবে গড়ে উঠতে পারবে না।’ তিনি বলেন, শিক্ষকরা যদি তাদের অবস্থান থেকে নৈতিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন, তাহলে গোটা সমাজ আলোকিত হবে। আমরা চাই শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন সংস্কার, যেখানে শুধু পাস নম্বর নয়, মানবিক মূল্যবোধ ও দেশপ্রেম শেখানো হবে। মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া এবং সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত মহাসচিব জাকির হোসেন। সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, যে শিক্ষক জাতিকে শিক্ষিত করেন, তাদের ন্যায্য দাবি মানতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করা আজ সময়ের দাবি। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও ভয় ও নিয়ন্ত্রণের রাজনীতি চাপিয়ে দিয়েছে। এর অবসান ঘটাতে হবে। অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, জাতি তখনই আলোকিত হবে, যখন শিক্ষক মর্যাদাপূর্ণভাবে জীবনযাপন করতে পারবেন। সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনম এহছানুল হক মিলন বলেন, আমরা শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও মানবিক করে তুলতে চাই। এছাড়া বক্তব্য দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এএসএম আমানুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার এবং শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুগিসউদ্দিন চৌধুরী। সমাবেশে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, আফরোজা বেগম রীতা, কেন্দ্রীয় নেতা, শিক্ষক সংগঠনের শীর্ষ প্রতিনিধি এবং দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। বিকেল থেকে শিক্ষক ও কর্মচারীদের ঢল নামে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। ব্যানার, ফেস্টুন, ও নানা দাবি আদায়ের স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে সমাবেশ প্রাঙ্গণ। উপস্থিত শিক্ষকরা সরকারের নীতির সমালোচনা করে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি ও মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানান। সূত্র: বাসস
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, 'আমরা চাই অন্তর্বর্তী সরকার সফল হোক।' তিনি আরও বলেন, 'আমরা আশা করি সরকার তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবে এবং দেশের জন্য একটি সুষ্ঠু, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে সক্ষম হবে।' মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে প্রায় দুই দশক পর বিবিসি বাংলার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে ‘সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন’ এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান এসব কথা বলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিষয়টি তো রাজনৈতিক, কোনো ব্যক্তির বিষয় নয়। প্রথম থেকেই বলেছি, আমরা চাই এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সফল হোক। কিছু সংস্কারের বিষয় আছে। একইসঙ্গে প্রত্যাশিত সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, স্বাধীন নির্বাচনের বিষয়ও আছে। আমরা আশা করি, তারা তাদের মূল দায়িত্ব সঠিকভাবে সম্পাদন করবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা রাখি, তারা কাজটি সুন্দরভাবে করবেন। আর তারা কতটা ভালোভাবে করতে পারবেন, সেটার ওপরই সম্পর্কের উষ্ণতা বা শীতলতা নির্ভর করবে।’ অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে আগের মন্তব্যের প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, ‘যখন আমি সে কথা বলেছিলাম, তখন পর্যন্ত তারা নির্বাচনের বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেয়নি। সে কারণে শুধু আমার নয়, প্রায় সবার মধ্যেই সন্দেহ ছিল। পরে অন্তর্র্বতী সরকার প্রধান ড. ইউনূস রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। পাশপাশি নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ায় সন্দেহ ধীরে ধীরে কেটে গেছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘আমি মনে করি, তারা যতক্ষণ পর্যন্ত দৃঢ় থাকবেন, তাদের বক্তব্য ও কাজে সেই দৃঢ়তা বজায় রাখবেন, ততই এই সন্দেহ দূর হবে।’ লন্ডনে ড. ইউনূসের সঙ্গে তার বৈঠক নিয়েও সাক্ষাৎকারে কথা বলেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘তিনি (ড. ইউনূস) অত্যন্ত স্বনামধন্য ও বিজ্ঞ মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের সৌজন্যমূলক কথাবার্তা হয়েছে। তিনি আমার কাছে জানতে চান, জনগণ আমাদের সুযোগ দিলে আমরা দেশের জন্য কী পদক্ষেপ নেব? দেশের মানুষ ও ভবিষ্যৎ উন্নয়ন নিয়ে আমাদের কিছু পরিকল্পনা তার সঙ্গে শেয়ার করেছি।’ অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরের কার্যক্রমের মূল্যায়ন প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মানে তো ক্ষণস্থায়ী বিষয়। একটি বিশাল জনবহুল দেশ পরিচালনা করতে জনগণের ম্যান্ডেটসহ শক্তিশালী রাজনৈতিক সরকারের প্রয়োজন। তারপরও আমি মনে করি, তারা অনেক ক্ষেত্রে চেষ্টা করেছেন। সবখানে সফল হওয়া সম্ভব নয়, সীমাবদ্ধতা থাকাটাই স্বাভাবিক।’ সূত্র: বাসস
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ১০ কেন্দ্রীয় নেতাকে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ জন্য তাদের দলের পূর্ববর্তী দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১ অক্টোবর) এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রংপুর বিভাগের দায়িত্ব পেয়েছেন ড. আতিক মুজাহিদ, রাজশাহীতে ইমরান ইমন, সিলেটে এহতেশাম হক, ময়মনসিংহে আশেকিন আলম, ঢাকায় সাইফুল্লাহ হায়দার, ফরিদপুরে নিজাম উদ্দীন, চট্টগ্রামে এস এম সুজা উদ্দিন, কুমিল্লায় মো. আতাউল্লাহ, খুলনায় ফরিদুল হক এবং বরিশালে অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী এক মাসের মধ্যে এই নেতাদের নেতৃত্বে দেশের সব মহানগর ও জেলায় আহ্বায়ক কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হলো।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াইলরামাদান। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় এই সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার জানান, সাক্ষাৎকালে বেগম খালেদা জিয়া ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং ব্যাপক হতাহতের ঘটনায় শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। এ সময় বেগম খালেদা যুদ্ধ বন্ধেরও জোর দাবি জানান। সাক্ষাৎকালে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, শহীদ জিয়ার আমলে বাংলাদেশে ফিলিস্তিনি অ্যাম্বেসির জন্য বিনামূল্যে জমি প্রদান করা হয় এবং বেগম খালেদা জিয়ার সরকারের আমলে বিএনপি সরকারের অনুদানে ভবন নির্মাণ করা হয়। যা ছিল ফিলিস্তিনি সরকারের প্রতি বিএনপি সরকার ও জিয়া পরিবারের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী এবং চেয়ারপার্সনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার।
গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন ফারুক হাসান। শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে গণঅধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গণঅধিকার পরিষদ উচ্চতর পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দলীয় গঠনতন্ত্রের ৩৬(১) ধারার ভিত্তিতে দলের সভাপতি নুরুল হক নুরের চিকিৎসাজনিত কারণে বিদেশে অবস্থান করায় সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক হাসান সভাপতির রুটিন দায়িত্ব পালন করবেন। এর আগে, গণঅধিকার পরিষদে মুখপাত্র (উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও সিনিয়র সহ-সভাপতি পদমর্যাদায়) হিসেবে যোগ দেন ফারুক হাসান। দলটির সভাপতি নুরুল হক নুর ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান তাকে এই পদে মনোনীত করেন। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে গণ অধিকার পরিষদে যোগ দেন ফারুক হাসান।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে জামায়াত-বিএনপির দাপটের মধ্যেও আলাদাভাবে উচ্চারিত হচ্ছে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় তরুণদের নিয়ে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপির নাম। অথচ, নির্বাচনে কোন প্রতীকে দলটি লড়বে, এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হয়নি তা। দলটির চাওয়া ‘শাপলা’ প্রতীক হলেও এ নিয়ে তৈরি হয়েছে আইনি জটিলতা। এরপরও এই ‘শাপলা’ প্রতীক পেতে নির্বাচন কমিশনে দৌঁড়ঝাপ চলছেই তাদের। তবে, এবার শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দেওয়া হলো, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শাপলা প্রতীক পাওয়ার কোনো সুযোগই থাকছে না। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ। ইসি সচিব বলেন, এনসিপি শাপলা প্রতীক পাচ্ছে না, কারণ হচ্ছে যে আমাদের ১১৫টা প্রতীকের যে শিডিউলটা করা হয়েছে, সেখানে শাপলা প্রতীক নেই। নিয়মটা হচ্ছে প্রতীক যেগুলো বরাদ্দ আছে, তার ভেতর থেকে একটা নিতে হবে। সেখানে যদি শাপলা প্রতীক না থাকে, তাহলে দেওয়ার সুযোগটা কোথায়? গতকাল সোমবারও এনসিপির দলীয় প্রতীক হিসেবে শাপলা বরাদ্দের বিষয়ে দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী দেখা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে। সাক্ষাৎ পরবর্তী সংবাদ ব্রিফিংয়ে এনসিপির এ নেতা বলেন, তার দল এনসিপি শাপলা ছাড়া অন্য প্রতীক নেবে না। দলের অনড় অবস্থান তুলে ধরে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, প্রতীকের বিষয়ে আমরা আজকেও বলে এসেছি। শাপলা, সাদা শাপলা, এবং লাল শাপলার বিষয় থেকে আমরা সরছি না। আমরা সেই জায়গাতে এখনো আছি। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে ষড়যন্ত্রের খবর পাচ্ছি। তবে নির্বাচনটা যে প্রতীকে হবে, সেটা অবশ্যই শাপলা, সাদা শাপলা অথবা লাল শাপলা, এই তিনটির মাধ্যমে হতে হবে। এর ব্যত্যয় করা যাবে না। এনসিপির মুখ্য সমন্বয়কের এমন বক্তব্যের পর মঙ্গলবার তাদের প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে আবার নির্বাচন কমিশনের অবস্থান তুলে ধরেন ইসি সচিব। দিকে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করবে ইসি। এ প্রসঙ্গে সংবাদ ব্রিফিংয়ে ইসি সচিব বলেন, বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার যারা আছেন, সিভিল সোসাইটি, শিক্ষাবিদ, নারী নেতারা, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ, জুলাই যোদ্ধা তাঁদের সঙ্গে আমরা পর্যায়ক্রমিকভাবে আমাদের আলোচনা শুরু করব। কমিশন প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে ২৮ তারিখ থেকে সংলাপ শুরু হবে। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের নথি পর্যালোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে বলেও এসময় জানান ইসি সচিব। তিনি বলেন, কার্যক্রম শেষ হলে কমিশন সেটা জানাবে। এ ছাড়া নির্বাচনী আচরণবিধি, আরপিও নিয়ে ইসি কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমালেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা নেবেন নুর। তার সঙ্গে রয়েছেন চিকিৎসক বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও পিজি হাসপাতালের অর্থোপেডিক ও স্পাইন সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ হোসেন রাসেল। উল্লেখ্য, গত ২৯ আগস্ট রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লাঠিপেটায় আহত হন নুরসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী। ঘটনাস্থল থেকে নুরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, নুরের মুখ থেকে বুক পর্যন্ত রক্তাক্ত। পরদিন সকালে নুরের জ্ঞান ফেরে। এরপর দুসপ্তাহের বেশি সময় হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি।
আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের যেকোনো সিদ্ধান্তে একমত থাকা এবং অপরটি হচ্ছে ব্যক্তিস্বার্থে কেউ যেন বিএনপিকে ব্যবহার করতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নেতাকর্মীদের এই প্রতিজ্ঞা করান তিনি। তাদের রহমান বলেন, আজ আমরা সম্মিলিতভাবে যেভাবে এই কাউন্সিলকে সফল করেছি, আমরা যদি আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি, একটি সফল জনরায় আমাদের পক্ষে আনতে সক্ষম হবো। সেই সঙ্গে সবাইকে দলের যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার কথা জানান তিনি। তারেক রহমানের ভাষ্য, একটি পরিবারের মুরব্বি যখন কোনো সিদ্ধান্ত নেয় তখন সেই পরিবারের সব সদস্য সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়, পাশে এসে দাঁড়িয়ে যায়। দলের নীতি-নির্ধারকমণ্ডলী হচ্ছে বিএনপি নামক বৃহৎ দলের মুরব্বি। তারা যখন কোনো সিদ্ধান্ত নেন তখন নেতাকর্মীদের দায়িত্ব হচ্ছে সেই সিদ্ধান্ত নেমে নেওয়া। তিনি বলেন, আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে। কেউ যেন আমাদের নাম ব্যবহার করে, দলের নাম ব্যবহার করে, বিএনপির নাম ব্যবহার করে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করতে না পারে। কেউ যেন আমাদের নাম ব্যবহার করে জনগণের মধ্যে আমাদের সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে। এ ব্যাপারে প্রত্যেকের কর্তব্য পালন করতে হবে। তারেক রহমান বলেন, আজ যারা দলীয় পদ পাওয়ার জন্য নির্বাচন করছেন তাদের কাছে কাউন্সিলররা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি আগামী নির্বাচনে জনগণ গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য জনগণের সঙ্গে থাকতে হবে, তাদের পাশে থাকতে হবে, পাশে রাখতে হবে। তিনি আরও বলেন, দুটি বিষয়ে প্রতিজ্ঞা করতে হবে। একটি হলো, যেকোনো মূল্যে দলের সিদ্ধান্তে আমরা একমত থাকব। একই সঙ্গে দলকে যেন কেউ ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করতে না পারে সে ব্যাপারে সচেতন থাকব। জেলা স্টেডিয়ামে আয়োজিত এই সম্মেলনে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তারেক রহমান। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া দলের কেন্দ্রীয় নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যা করেছিল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। সে সময় এই ঘটনা পুরো দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। তদন্ত শেষে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। তবে সম্প্রতি আবরার হত্যা নিয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক এমপি নিলুফার চৌধুরী মনি । তার দাবি করে, আবরার ফাহাদকে হত্যা করেছে শিবিরে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেল আয়োজিত টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এই দাবি করেন। নিলুফার চৌধুরী মনি বলেন, বর্তমান সরকার আসার পর মানুষ বলতো এটি একটি এনজিওগ্রাম সরকার। এখন সেটা রূপান্তরিত হয়ে হয়েছে আন্তঃজামায়াত অন্তর্বর্তী সরকার। কারণ এই সরকার জামায়াত দ্বারা পরিবেষ্টিত সরকার, সেটাই আমি বলার চেষ্টা করছি। ‘জামায়াতের চাঁদাবাজি হেলমেট পরিহিত ওই শিবিরের মতো। আমরা ছাত্রলীগকে হেলমেট বাহিনী বলতাম। আসলে ছাত্রলীগ ওইরকম ছিল না। আসলে তারা ছিল শিবির, নিজেদের গোপন রেখে এ কাজগুলো করেছে।’ প্রমাণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি যদি একটা প্রমাণ দেই, আবরার যে মারা গেল, তাকে মেরে ফেললো যারা তাদের আসামিদের উকিল কারা। তিনি হচ্ছেন শিশির মনির। আপনি বুঝেন, আসামিদের উকিল। তাহলে বুঝেন তাকে মারছে কারা।’’ নিলুফার চৌধুরী মনি বলেন, এখান থেকে বুঝায় যে আসামিদের উকিল হওয়াটা চাট্টিখানি কথা না। আবরারকে মারছে কে? এই হেলমেট বাহিনী, শিবির বাহিনীরা। প্রসঙ্গত, বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। চলতি বছরের ১৬ মার্চ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, তার দল কোনো জোটে যাবে না। নিজস্ব অবস্থানে থেকেই রাজনীতি করবে। জামায়াতের সঙ্গে আন্দোলনের বিষয়টিও তিনি নাকচ করেন। নাহিদ বলেন, জামায়াত সংসদের উভয়পক্ষে পিআর পদ্ধতি চায়। আর এনসিপি শুধু উচ্চকক্ষে পিআরের পক্ষে। তবে জাতীয় পার্টিসহ আওয়ামী লীগের দোসরদের নিষিদ্ধের বিষয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর শাহবাগে শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে দলের সমন্বয় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। নাহিদ বলেন, জাতীয় ও গণপরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছি। নির্বাচনের আগে গণহত্যায় জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গ্রামে গঞ্জে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। জাতীয় পার্টিসহ ফ্যাসিবাদের দোসরদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। এনসিপি নেতা বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। এ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে আমরা সারা দেশেন তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করবো। তিনি জানান, নতুন সংবিধানসহ এনসিপির ২৪ দফা কর্মসূচি নিয়ে দেশের উপজেলা পর্যায়েও কর্মসূচি পালন করবে তার দল। শিগগিরই এ ব্যাপারে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। সমন্বয় সভায় এনসিপির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্যগণ, অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং জেলা, মহানগর, উপজেলা ও থানা কমিটির সমন্বয়কারীরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানীর বিভিন্ন ট্রাফিক পুলিশ বক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা সুবিধার জন্য ফার্স্ট এইড বক্স দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ ছাত্রদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক ডা. এম এ তাইফুল হক। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার ২৬ নম্বর দফায় ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য ও সার্বজনীন চিকিৎসা ব্যবস্থা’ নিশ্চিত করার অঙ্গীকারের অংশ হিসেবেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। ডা. তাইফুল হক বলেন, প্রতিদিন রাস্তায় নানা দুর্ঘটনার শিকার হন সাধারণ মানুষ। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে পুলিশ সদস্যরাও শারীরিকভাবে আহত হন। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগে জরুরি মুহূর্তে যাতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি আরও বলেন, জনকল্যাণমুখী কার্যক্রমে বিএনপি ও ছাত্রদল সবসময় জনগণের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। স্বাস্থ্যসেবা সবার দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। প্রাথমিক চিকিৎসার এসব বক্সে ব্যান্ডেজ, ওষুধ, জীবাণুনাশকসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ রাখা হয়েছে। এগুলো সরাসরি ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের হাতে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ ছাত্রদলের নেতা মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
যারা বিপ্লব করতে চান, তাদের মানুষের কাছে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলা একাডেমির সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক শোকসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আজ যারা বিপ্লব করতে চান, সমাজ বদলাতে চান, যারা সাধারণ মানুষের অবস্থার পরিবর্তন করতে চান, তাদেরকে অবশ্যই সেই সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। আরও মজবুত করতে হবে। একেবারে মানুষের কাছে চলে যেতে হবে, তাহলেই সেটা সম্ভব হবে। তিনি আরও বলেন, আলোচনা সভায় একটা কথা এখানে খুব জোরেসোরে এসেছে, তা হলো সংগঠন। আমার মনে হয়, ব্যক্তিগত ধারণা থেকে বিপ্লব তখনই সফল হয়, যখন সংগঠন থাকে। আজকে যে একটা হতাশা এসেছে। এই হতাশার মূল কারণটা হচ্ছে সংগঠনের অভাব। বিপ্লবী সংগঠন যদি না থাকে তাহলে বিপ্লব হয় না। বিএনপি মহাসচিব বলেন, বদরুদ্দীন উমর জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তার আদর্শ, সংগ্রামের সঙ্গে কখনো কম্প্রোমাইজ করেননি। আমরা আজকের রাজনীতি যারা করছি, আমরা অত্যন্ত শ্রদ্ধাবোধ করি। কারণ তিনি কখনো কম্প্রোমাইজ করেননি। আর যারা নতুন প্রজন্মের, তারা উমর সাহেবের কাছ থেকে কতটুকু নিতে পেরেছে সেটা আমার ঠিক জানা নেই। শোকসভায় অন্যান্যের মধ্যে মাহবুবউল্লাহ, কমরেড খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া, ড. আকমল হোসেন, কমরেড সজীব রায়, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১৬ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এক নজরে নিয়োগের বিস্তারিত প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) বিভাগের নাম: অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদসংখ্যা: ০১ জন শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ১ বছর চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয় বয়সসীমা: নির্ধারিত নয় বেতন: ৪৫,০০০ টাকা কর্মস্থল: ঢাকা আবেদন প্রক্রিয়া: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ তারিখ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে নিয়োগ দেশের অন্যতম মানবিক সংগঠন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে একজন যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা ২১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। পদসংক্রান্ত তথ্য প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পদের নাম: টেকনিক্যাল অফিসার পদসংখ্যা: ১ জন যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি বা ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ২ বছর বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৪০ বছর বেতন ও চাকরির ধরন বেতন: ৫০,০০০ টাকা চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন কর্মস্থল: কুড়িগ্রাম আবেদন প্রক্রিয়া আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ওয়েবসাইটে ক্লিক করুন।
ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির তত্ত্বাবধানে নতুন সমন্বিত ব্যাংক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এই নিয়োগের আওতায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক-এ সিনিয়র অফিসার (সাধারণ) পদে ৩৯৮ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। পদসংক্রান্ত তথ্য প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক পদের নাম: সিনিয়র অফিসার (সাধারণ) পদসংখ্যা: ৩৯৮টি শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রার্থীদের যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা চার বছর মেয়াদি স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) বা সমমানসহ তদূর্ধ্ব পর্যায়ের পরীক্ষাগুলোর মধ্যে অন্তত দুইটিতে প্রথম বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে। কোনো পর্যায়েই তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি গ্রহণযোগ্য নয়। বয়সসীমা ১ জুলাই ২০২৫ তারিখে প্রার্থীর বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩২ বছর হতে হবে। আবেদন সংক্রান্ত তথ্য আবেদন ফি: ২০০ টাকা (অনগ্রসর নাগরিক গোষ্ঠীর প্রার্থীদের জন্য ৫০ টাকা)। আবেদনের শেষ সময়: ১০ নভেম্বর ২০২৫। আবেদন পদ্ধতি আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে এবং আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন।
আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াটারএইড বাংলাদেশ জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ‘টেকনিক্যাল এক্সপার্ট’ পদে নতুন কর্মী নেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে ২৮ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। নিয়োগের বিস্তারিত প্রতিষ্ঠানের নাম: ওয়াটারএইড বাংলাদেশ পদের নাম: টেকনিক্যাল এক্সপার্ট পদের সংখ্যা: নির্ধারিত নয় চাকরির ধরন: ফুল টাইম প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই কর্মস্থল: খুলনা যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি বা স্নাতক (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং/এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে) অভিজ্ঞতা: সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫ বছর বয়সসীমা: নির্ধারিত নয় বেতন ও সুবিধা বেতন: প্রতি মাসে ৯২,৫০০ টাকা আবেদন প্রক্রিয়া আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ তারিখ: ২৮ অক্টোবর ২০২৫
মায়ের অসুস্থতার কারণে কেন্দ্রে দেরিতে আসায় পরীক্ষা না দিতে পারা সেই আনিসা আহমেদ এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করেছেন। তিনি বাংলা ও ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে ফেল করেন। আনিসা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তিনি মানবিক বিভাগের পরীক্ষাথী। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনই (২৬ জুন) ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরীক্ষার্থী আনিসা মায়ের অসুস্থতার কারণে সময়মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছুতে পারেননি। দেরি হওয়ায় তাকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেননি দায়িত্বরতরা। এসময় ওই ছাত্রী পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। গেটের বাইরে দীর্ঘসময় অপেক্ষায় থেকে তিনি সেদিন ফিরে যান। ওই ছাত্রীর পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাঙলা কলেজ। আনিসার কান্না-আকুতি তখন নাড়িয়ে দেন বহু মানুষের বিবেক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন উঠে—আইন কি মানবিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে? নেটিজেনরা দাবি তোলেন—মানবিক বিবেচনায় হলেও তাকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। অন্তর্বর্তী সরকারও সেই দাবি আমলে নেয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে তখন শিক্ষা উপদেষ্টার বরাতে জানানো হয়, ‘পরীক্ষা দিতে না পারা আনিসার বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’