সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম (ফেসবুক, টিকটক ও অন্যান্য) ব্যবহার নিয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। বুধবার (২২ অক্টোবর ২০২৫) মাউশির সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) খালিদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা জারি করা হয়। আদেশে বলা হয়েছে, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)’ এবং ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর নিয়ম অনুযায়ী অনলাইন আচরণবিধি লঙ্ঘন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হানিকর ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা সামাজিকমাধ্যমে এমন কোনো তথ্য, ছবি বা মন্তব্য প্রকাশ করতে পারবেন না যা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে, প্রশাসনিক গোপনীয়তা ভঙ্গ করে বা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একটি মিডটার্ম পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার ঘটনা এবং HSC খাতা মূল্যায়নের ভিডিও টিকটকে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এসেছে। উভয় ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মাউশি স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ব্যক্তিগত ফেসবুক, টিকটক বা ইউটিউব আইডিতে মত প্রকাশের সময় সরকারি চাকরির শৃঙ্খলা মেনে চলবেন। শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে স্কুল-কলেজ প্রশাসনকে সক্রিয় নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে, যাতে পরীক্ষার প্রশ্ন, ফলাফল বা গোপন নথি সামাজিক মাধ্যমে ছড়াতে না পারে। অধিদপ্তর মনে করছে, দায়িত্বশীল আচরণ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষকদের উপস্থিতি এখন বড় ঝুঁকিতে পরিণত হয়েছে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘ডিজিটাল নৈতিকতা’ ও ‘সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা’ বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মশালা আয়োজনেরও সুপারিশ করা হয়েছে।
মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়াসহ তিন দফা দাবিতে আমরণ অনশনসহ টানা ১০ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। তাদের দাবিগুলোর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও। এ অবস্থায় শিক্ষকদের ক্লাসে ফেরাতে শেষ পর্যন্ত তাদের বাড়িভাড়া মূল বেতনের ১৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। অবশ্য, এখানেও জুড়ে দেওয়া হয়েছে শর্ত; এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে দুই ধাপে দেওয়া হবে বাড়িভাড়ার এই অর্থ। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষক নেতাদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা থেকে বেরিয়ে শিক্ষক নেতা দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেছেন, বিষয়টির সুন্দরভাবে সমাধান হয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) থেকে শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরে যাবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা খালিদ মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, আজকের এই মুহূর্তটা শিক্ষা বিভাগের জন্য সত্যিই ঐতিহাসিক। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য চলতি বছরের নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া (ন্যূনতম দুই হাজার টাকা) এবং ২০২৬ সালের জুলাই থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ মোট ১৫ শতাংশ বাড়িভাড়া কার্যকর হবে। সম্মানিত শিক্ষকদের দাবি অনুযায়ী শতাংশ হারে এই ভাতা নিশ্চিত করতে পেরে একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষা উপদেষ্টা নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, শিক্ষকরা আরও অধিক সম্মানের দাবিদার এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নে রাষ্ট্রের সচেষ্ট থাকা দরকার। এতে আরও বলা হয়, এই পথটা সহজ ছিল না। নানা মতভেদ, বিতর্ক, অভিযোগ সবকিছুই ছিল। কোনো বিতর্কের উত্তর না দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ক্রমাগত একটা ন্যায্য, টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করে গেছে। নেপথ্যে থেকে শিক্ষা উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, উপদেষ্টা পরিষদ, আর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কাজ করে গেছেন। যেন শিক্ষকদের দাবি শোনা হয়, বোঝা হয়। মন্ত্রণালয় মনে করে এটি কারও একার জয় নয়। এটি যৌথ সাফল্য। এছাড়া শিক্ষকদের আন্দোলন আমাদের বাস্তবতা বুঝিয়েছে। সরকার দায়িত্বশীলভাবে সাড়া দিয়েছে। আর সবাই মিলে আমরা আজ এমন এক অবস্থানে এসেছি যেখানে সম্মান, সংলাপ আর সমঝোতাই জিতেছে। এখন সময় ক্লাসে ফিরে যাওয়া। শিক্ষার্থীদের কাছে আমাদের আসল কাজের জায়গা এটি। আজকের এই সমঝোতা হোক নতুন সূচনা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বোঝাপড়া ও শিক্ষাকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর প্রতিশ্রুতি নিয়ে। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা আর গুণগত মানসম্মত শিক্ষার বিস্তার ঘটিয়ে বাংলাদেশকে আমরা একটি মর্যাদাসম্পন্ন জায়গায় নিয়ে যেতে পারবো। এর আগে, গত রোববার আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা ৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে, শিক্ষকরা ওই দাবি না মেনে আন্দোলন চালিয়ে যান।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) এর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এক শিক্ষার্থী (২২) শনিবার ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় ধর্ষণে জড়িতদের বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিরপুর-১২ বাসস্ট্যান্ডে মানববন্ধন করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাতে, যখন ভুক্তভোগী টিউশন শেষ করে বাসায় ফেরার পথে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর এলাকায় তিনজন ব্যক্তি তাকে তুলে নিয়ে নির্জন এলাকায় নিয়ে যান এবং দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেন। মামলার তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্তরা হলেন: সোহেল রোজারিও (৩৭), তিলক রোজারিও (৪০) এবং মিঠু বিশ্বাস (৩৫)। স্থানীয়দের মতে, তারা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা ও অন্যান্য অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত। ভুক্তভোগীর পরিবার সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানতে চাইলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারম্যান শায়লা সোলায়মান বলেন, “ভুক্তভোগী বর্তমানে আমাদের শিক্ষার্থী নন। তিনি অনার্স শেষ না করেই বাড়ি চলে গেছেন। তবে ধর্ষণের ঘটনা আমরা সম্প্রতি জানতে পেরেছি। আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব সহায়তা করা হবে।”
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফলে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটেছে। ইংরেজিসহ ৩টি সাবজেক্টে শিক্ষার্থীরা খারাপ করেছে। যারা ফল ভালো করেননি তাদের ফল পুনঃনিরীক্ষণের সুযোগ আছে। ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন আজ থেকে শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিক্ষার্থীরা ১৭ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে হবে ওয়েবসাইট থেকে। কোনো ম্যানুয়াল আবেদন গ্রহণ করা হবে না। আবেদনের সময় শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন নম্বর দিতে হবে। পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশিত হলে ওই নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে। প্রতিটি পত্রের জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা। দ্বিপত্রবিশিষ্ট বিষয়ের ক্ষেত্রে উভয়পত্রের জন্য আবেদন করতে হবে। ফি পরিশোধ করা যাবে বিকাশ, নগদ, সোনালী সেবা, উপায়, রকেট ও টেলিটক সিমের মাধ্যমে। HSC রেজাল্ট চ্যালেঞ্জ ২০২৫: এক নজরে ফল পুনঃনিরীক্ষণের নিয়ম HSC Result 2025 পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ। টেলিটক সিম ছাড়াই শুধুমাত্র অনলাইন পোর্টালে গিয়ে আপনি এই কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন। প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে অনুসরণ করুন: স্টেপ-১: https://rescrutiny.eduboardresults.gov.bd - এ প্রবেশ ও তথ্য প্রদান করতে হবে। পোর্টালে লগইন : পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আপনাকে প্রথমে এই অফিশিয়াল পোর্টালে প্রবেশ করতে হবে: https://rescrutiny.eduboardresults.gov.bd তথ্য পূরণ: নির্ধারিত স্থানে আপনার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর পূরণ করুন এবং বোর্ড ড্রপ ডাউন মেনু থেকে আপনার শিক্ষা বোর্ড নির্বাচন করুন। সাবমিট: সব তথ্য নির্ভুলভাবে দেওয়ার পর "Submit" বাটনে ক্লিক করুন। স্টেপ-২: মোবাইল নম্বর ও বিষয় নির্বাচন পরবর্তী স্ক্রিনে আপনার তথ্য যাচাই হয়ে গেলে, আপনার সাথে যোগাযোগের মাধ্যমটি দিতে হবে। মোবাইল নম্বর প্রদান: একটি সক্রিয় মোবাইল নম্বর দিন। পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশিত হলে এই নম্বরে এসএমএস (SMS) পাঠানো হবে। বিষয় নির্বাচন: আপনার বর্তমান বিষয় ভিত্তিক রেজাল্ট স্ক্রিনে দেখাবে। আপনি যে এক বা একাধিক বিষয়ে রেজাল্ট চ্যালেঞ্জ করতে চান, সেই বিষয়গুলো নির্বাচন করে ‘ফি প্রদান করুন’ বাটনে ক্লিক করুন। স্টেপ-৩: ফি প্রদান ও চূড়ান্ত জমা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য ফি পরিশোধ করা এই প্রক্রিয়ার শেষ ধাপ। আবেদন ফি: প্রতিটি পত্রের জন্য ১৫০ টাকা (TK 150/-) হারে ফি প্রযোজ্য হবে। পেমেন্ট মাধ্যম : ফি পরিশোধের জন্য আপনি বিকাশ, নগদ, সোনালী সেবা, ডিবিবিএল রকেট অথবা টেলিটক মোবাইল সিমের যেকোনোটি ব্যবহার করতে পারেন। আবেদন নিশ্চিতকরণ: সফলভাবে ফি পরিশোধ করার পর আবেদনের পোর্টালে ফিরে এসে অবশ্যই ‘জমা দিন’ (Submit) বাটনে ক্লিক করে আবেদনটি নিশ্চিত করুন। ফল পুনঃনিরীক্ষণ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা ফি ফেরত নেই : একবার ফি জমা দিলে আবেদনকৃত বিষয়গুলো আর বাতিল করা যাবে না এবং কোনো অবস্থাতেই ফি ফেরত দেওয়া হবে না। সময়সীমা : আবেদন শুরু হবে ১৭ অক্টোবর থেকে এবং চলবে ২৩ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে অবশ্যই আবেদন শেষ করতে হবে। অতিরিক্ত বিষয় যোগ : ফি দিয়ে একবার জমা দেওয়ার পরেও চাইলে আরও কয়েকটি বিষয়ে আবেদন যুক্ত করা যাবে। সেক্ষেত্রে নতুনভাবে তথ্য পূরণ করতে হবে না। ফল প্রকাশ : পুনঃনিরীক্ষণের ফল সাধারণত আবেদন শেষ হওয়ার প্রায় ৩০ দিনের মধ্যে প্রকাশিত হয়।
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে গড় পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ। এবার গত বছরের তুলনায় পাসের হার কমেছে ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন শিক্ষার্থী। সে হিসাবে এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন। এদিকে ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হবে। শিক্ষার্থীরা ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য আগেই জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে (https://rescrutiny.eduboardresults.gov.bd) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। আবেদন প্রক্রিয়ার বিস্তারিত নির্দেশনা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এতে আরও জানানো হয়, পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুধুমাত্র অনলাইন মাধ্যমে করা যাবে। শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো অফিসে সরাসরি আবেদন গ্রহণ করা হবে না। rescrutiny.eduboardresults.gov.bd
মায়ের অসুস্থতার কারণে কেন্দ্রে দেরিতে আসায় পরীক্ষা না দিতে পারা সেই আনিসা আহমেদ এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করেছেন। তিনি বাংলা ও ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে ফেল করেন। আনিসা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তিনি মানবিক বিভাগের পরীক্ষাথী। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনই (২৬ জুন) ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরীক্ষার্থী আনিসা মায়ের অসুস্থতার কারণে সময়মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছুতে পারেননি। দেরি হওয়ায় তাকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেননি দায়িত্বরতরা। এসময় ওই ছাত্রী পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। গেটের বাইরে দীর্ঘসময় অপেক্ষায় থেকে তিনি সেদিন ফিরে যান। ওই ছাত্রীর পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাঙলা কলেজ। আনিসার কান্না-আকুতি তখন নাড়িয়ে দেন বহু মানুষের বিবেক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন উঠে—আইন কি মানবিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে? নেটিজেনরা দাবি তোলেন—মানবিক বিবেচনায় হলেও তাকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। অন্তর্বর্তী সরকারও সেই দাবি আমলে নেয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে তখন শিক্ষা উপদেষ্টার বরাতে জানানো হয়, ‘পরীক্ষা দিতে না পারা আনিসার বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’
২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে গড় পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ। এবার গত বছরের তুলনায় পাসের হার কমেছে ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এ বছর জিপিএ৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন শিক্ষার্থী। সে হিসাবে এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়ছেন ২৬ হাজার ৬৩ জন, রাজশাহীতে ১০ হাজার ১৩৭ জন, কুমিল্লায় ২ হাজার ৭০৭ জন, যশোরে ৫ হাজার ৯৯৫ জন, চট্টগ্রামে ৬ হাজার ৯৭ জন, বরিশালে ১ হাজার ৬৭৪ জন, সিলেটে ১ হাজার ৬০২ জন, দিনাজপুরে ৬ হাজার ২৬০ জন, ময়মনসিংহে ২ হাজার ৬৮৪ জন, মাদরাসা বোর্ডে ৪ হাজার ২৬৮ জন এবং কারিগরিতে ১ হাজার ৬১০ জনসহ মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড একযোগে নিজেদের মতো করে ফল প্রকাশ করেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেন। তাদের মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন ছাত্রী। সারা দেশে মোট ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেননি। আর এবারও ফল তৈরি হয়েছে ‘বাস্তব মূল্যায়ন’ নীতিতে। গত জুলাই মাসে প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার মতো এবার এইচএসসির ফল প্রকাশ ঘিরে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা রাখা হয়নি।
এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে ধস দেখা দিয়েছে। বিগত ১০ বছরের মধ্যে এবার পাসের হার সর্বনিম্ন। ফেল করেছেন পাঁচ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী। আবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও ব্যাপক হারে কমেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ভয়াবহ এ ফল বিপর্যয়ের নেপথ্যে রয়েছে ইংরেজিতে ফেল। এবার অধিকাংশ শিক্ষা বোর্ডে ইংরেজিতে পাসের হার ৬০ শতাংশের মধ্যে। শুধু ঢাকা ও বরিশাল বোর্ডের শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে পাসের হার ৭০ শতাংশের ঘরে। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, এবার পাসের হারে সবচেয়ে তলানিতে থাকা কুমিল্লা বোর্ডে ইংরেজিতে পাস করেছেন ৬৫ দশমিক ২৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। এছাড়া রাজশাহী বোর্ডে ইংরেজিতে ৬৮ দশমিক ৮২ শতাংশ, যশোরে ৫৪ দশমিক ৮২ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৬৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ, সিলেটে ৬৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ, দিনাজপুরে ৬৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং ময়মনসিংহে ৬১ দশমিক ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। ইংরেজিতে সবচেয়ে ভালো করেছে বরিশাল বোর্ডের শিক্ষার্থীরা। এ বোর্ডে ইংরেজিতে পাসের হার ৭৫ দশমিক ১৬ শতাংশ। তারপরেই রয়েছে ঢাকা বোর্ড। এ বোর্ডে ইংরেজিতে ৭৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, ‘ইংরেজিতে শিক্ষার্থীরা খারাপ করেছে। বিশেষ করে যশোর বোর্ডে ইংরেজিতে সবচেয়ে বেশি ফেল করেছে। সেখানে ইংরেজিতে ফেলের হার ৪৫ শতাংশের বেশি। ঢাকা ও বরিশাল ইংরেজিতে কিছুটা ভালো করলেও অন্য বোর্ডগুলোতে খারাপ করায় গড় ফলাফলে পিছিয়ে গিয়েছি আমরা।’ এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। বিপরীতে পাসের হারে সবচেয়ে পেছনে রয়েছে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড। সবচেয়ে বেশি পাস করা ঢাকা শিক্ষা রোর্ডে মোট পাসের হার ৬৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম পাস করা কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৪৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, এবছর গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ, অর্থাৎ ফেল করেছেন ৪১ দশমিক ১৭ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন শিক্ষার্থী। দেশের ২০২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি। অর্থাৎ এসব প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের পাসের হার শূন্য। গত বছর শতভাগ ফেল করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৬৫টি। এবারও পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে সব দিক দিয়ে এগিয়ে ছাত্রীরা। এ বছর ছাত্রীদের পাসের হার প্রায় ৬৩ শতাংশ। আর ছাত্রদের পাসের হার প্রায় ৫৫ শতাংশ।
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেশের ৯টি সাধারণ ও কারিগরি এবং মাদরাসা বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় পাসের হার কমেছে ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সব শিক্ষা বোর্ড থেকে একযোগে এ ফল প্রকাশ করা হয়। পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বোর্ডের ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবেন। এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ ছাত্রী। সারাদেশে ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়। তবে এ পরীক্ষায় প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এবার অংশ নেন ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬১ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন শিক্ষার্থী। গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আর ফেল করেছেন ৫ লাখ ৮ হাজার ৭০১ জন। গড় ফেলের হার ৪১ দশমিক ১৭ শতাংশ। এবার সারা দেশে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন এক লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন। সে হিসাবে এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন। পরীক্ষার ফলাফলে এবারও পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে সব দিক দিয়ে এগিয়ে ছাত্রীরা। এ বছর পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রী ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৬ জন। আর ছাত্র ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৪ জন। ছাত্রীদের গড় পাসের হার ৬২.৯৭ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৫৪.৬০ শতাংশ। জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতেও এগিয়ে রয়েছেন ছাত্রীরা। মোট জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৬৯ হাজার ৯৭ জনের মধ্যে ছাত্রী ৩৭ হাজার ৪৪ জন এবং ছাত্র ৩২ হাজার ৫৩ জন।
৪৯তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষা-২০২৫ এর আসন বিন্যাস ও নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়েছে। এমসিকিউ ধরনের এ লিখিত পরীক্ষা আগামী ১০ অক্টোবর, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। শুধুমাত্র ঢাকা কেন্দ্রে এ পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (বিপিএসসি) জানিয়েছে, পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত মোট ১৮২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কমিশনের নিজস্ব দুইটি হলরুমে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রার্থীদের সুবিধার্থে আসন বিন্যাস, সময়সূচি ও পরীক্ষা পরিচালনার নির্দেশনা বিপিএসসি’র সরকারি ওয়েবসাইটে (www.bpsc.gov.bd) প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা তুলে ধরা হয়েছে, এগুলো হলো— পরীক্ষার দিন সকাল ৯টার মধ্যে কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ সম্পন্ন করতে হবে। প্রবেশের সময় প্রবেশপত্র ও বৈধ ছবি সংবলিত পরিচয়পত্র (জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স) সঙ্গে রাখতে হবে। এ সময় মোবাইল ফোন সেট, ঘড়ি, ক্যালকুলেটর বা স্মার্ট ডিভাইসসহ যে কোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস বহন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পরীক্ষার হলে ওএমআর শিট সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে এবং উত্তরপত্র যাতে নষ্ট না হয়, সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। কোনো প্রকার অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত পাওয়া গেলে, পরীক্ষার্থীকে তাৎক্ষণিকভাবে বহিষ্কার করা হবে। বিপিএসসি কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার্থীদের নিয়ম মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেছে, ৪৯তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষা-২০২৫ সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে আয়োজনের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সূত্র: বাসস
রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ (টিএমএস) বিভাগ এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘টিএমএস শর্ট ফিল্ম স্ক্রিনিং ২০২৫’। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) তেজগাঁও কলেজ অডিটোরিয়াম-১ এ সকাল ১১টায় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ও সভাপতিত্ব করেন তেজগাঁও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক শামীমা ইয়াসমিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, তেজগাঁও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের বিদ্যোৎসাহী সদস্য ড. মোহাম্মদ জহিরুল হুদা (জালাল) এবং অন্যান্য সিনিয়র শিক্ষকরা। অনুষ্ঠানে বিভাগের শিক্ষার্থীদের নির্মিত ১০টি শর্ট ফিল্ম প্রদর্শিত হয়। প্রদর্শিত ফিল্মগুলোর মধ্যে ছিল— হারমোনিকা (শেখ সায়েম হোসেন), হোয়াই? (শাহাদৎ হোসেন তন্ময়), বোঝা (মো: ইবনে সাকিব), স্মাইল (সানজিদা আক্তার), অপেক্ষা (সাজিদ হাসান), ডিসিশন (মো: জাহিদুল ইসলাম), সাইকোসিন্ড্রোম (এম সাইফুর রহমান), লেট মি ইন (ইয়াসির আদনান অদ্রি ও ফজলে রাব্বি মুন্না), মার্ডার (মো: নয়ন ইসলাম লিংকন) এবং ইন্টারোগেশন (মাশরাফি সজিব)। আয়োজনে অতিথিরা শিক্ষার্থীদের নির্মিত চলচ্চিত্রগুলোতে সৃজনশীলতা, সমাজবোধ এবং শিল্পচেতনার প্রশংসা করেন।
আগামী ২১ ডিসেম্বর থেকে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা (২০২৫) শুরু হবে। সূচি অনুযায়ী ২৪ ডিসেম্বর এ পরীক্ষা শেষ হবে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত পরীক্ষার রুটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রকাশিত রুটিনে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদেরকে পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে পরীক্ষা আরম্ভের কমপক্ষে সাত দিন আগে সংগ্রহ করবেন। পরীক্ষার্থীরা তাদের নিজ-নিজ উত্তরপত্রের ওএমআর ফরমে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্তভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না। পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন। কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি-পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোনসহ অন্য কোন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সঙ্গে আনতে পারবেন না। বিশেষ প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ এ সময়সূচি পরিবর্তন করতে পারবে। জানা গেছে, অনলাইনে ফরম পূরণ চলবে ৫ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত এবং সোনালী সেবার মাধ্যমে ফি জমা দেয়ার শেষ তারিখ ১২ অক্টোবর। প্রশ্নপত্র বণ্টন ও যাচাইকরণের কাজ হবে ২৬ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। ১৬ থেকে ২৩ নভেম্বরের মধ্যে প্রশ্নপত্র জেলা প্রশাসকদের প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র বোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে ১০ ডিসেম্বর। ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২০২৬ সালের ৩১ জানুয়ারি। এর আগে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ধরন ও নম্বর বণ্টন প্রকাশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড। এতে বলা হয়েছে, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলা, ইংরেজি, গণিতে ১০০ করে, বিজ্ঞানে ৫০ এবং বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়ে ৫০ নম্বর করে মোট ৪০০ নম্বরে পরীক্ষা হবে। প্রতিটি পরীক্ষার সময় ৩ ঘণ্টা। গত ৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার নীতিমালা ২০২৫ প্রকাশ করে। নীতিমালা অনুযায়ী, মাধ্যমিক বা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ৮ম শ্রেণির সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী (৭ম শ্রেণির সব প্রান্তিকের সামষ্টিক মূল্যায়নের ফলের ভিত্তিতে) জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি সময়ে সময়ে এ সংখ্যা পুনঃনির্ধারণ করতে পারবেন। শিক্ষার্থীদের ২ ধরনের বৃত্তি দেয়া হবে। ট্যালেন্টপুল বৃত্তি ও সাধারণ বৃত্তি। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে। সব ধরনের বৃত্তির ৫০ শতাংশ ছাত্রদের এবং ৫০ শতাংশ ছাত্রীদের জন্য নির্ধারিত থাকবে। তবে নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে ছাত্রের বৃত্তি ছাত্রী দ্বারা এবং ছাত্রীর বৃত্তি ছাত্র দ্বারা পূরণ করা যাবে। নীতিমালায় আরো বলা হয়েছে, যদি কোনো শিক্ষার্থী বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র গ্রহণের মাধ্যমে অন্য বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে থাকে তাহলে তাকে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার অনুমতি দেয়া যাবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর পূর্ববর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মেধাক্রম বিবেচনা করে তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে। ভোটগ্রহণ শেষে সঙ্গে সঙ্গেই ভোট গণনার কাজ শুরু হয়। ডাকসু নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, রাত ১২টার মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্থাপিত এলইডি স্ক্রিনে শিক্ষার্থীরা সরাসরি ভোট গণনার কার্যক্রম দেখতে পারবেন। নির্বাচন ঘিরে শিক্ষার্থীদের মাঝে বেশ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। সারাদিনের ভোটগ্রহণে বড় কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি, যা সবার মাঝে স্বস্তি ফিরিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এবার ডাকসু নির্বাচনে গড়ে প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে। নির্বাচনে মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে পাঁচটি ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ জন এবং ১৩টি ছাত্র হলে ২০ হাজার ৯১৫ জন ভোটার রয়েছেন। ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৪৭১ জন প্রার্থী, যাদের মধ্যে ৬২ জন ছাত্রী। তবে বিভিন্ন পদের মধ্যে মূল আকর্ষণ সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ১৯ জন, সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ২৫ ও মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন প্রার্থী লড়ছেন। এর বাইরে কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১৯ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক ১১ জন এবং ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে ১৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া ১৩টি সদস্য পদের বিপরীতে সর্বোচ্চ ২১৭ জন লড়ছেন।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১৬ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এক নজরে নিয়োগের বিস্তারিত প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) বিভাগের নাম: অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদসংখ্যা: ০১ জন শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ১ বছর চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয় বয়সসীমা: নির্ধারিত নয় বেতন: ৪৫,০০০ টাকা কর্মস্থল: ঢাকা আবেদন প্রক্রিয়া: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ তারিখ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে নিয়োগ দেশের অন্যতম মানবিক সংগঠন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে একজন যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা ২১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। পদসংক্রান্ত তথ্য প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পদের নাম: টেকনিক্যাল অফিসার পদসংখ্যা: ১ জন যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি বা ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ২ বছর বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৪০ বছর বেতন ও চাকরির ধরন বেতন: ৫০,০০০ টাকা চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন কর্মস্থল: কুড়িগ্রাম আবেদন প্রক্রিয়া আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ওয়েবসাইটে ক্লিক করুন।
ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির তত্ত্বাবধানে নতুন সমন্বিত ব্যাংক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এই নিয়োগের আওতায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক-এ সিনিয়র অফিসার (সাধারণ) পদে ৩৯৮ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। পদসংক্রান্ত তথ্য প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক পদের নাম: সিনিয়র অফিসার (সাধারণ) পদসংখ্যা: ৩৯৮টি শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রার্থীদের যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা চার বছর মেয়াদি স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) বা সমমানসহ তদূর্ধ্ব পর্যায়ের পরীক্ষাগুলোর মধ্যে অন্তত দুইটিতে প্রথম বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে। কোনো পর্যায়েই তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি গ্রহণযোগ্য নয়। বয়সসীমা ১ জুলাই ২০২৫ তারিখে প্রার্থীর বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩২ বছর হতে হবে। আবেদন সংক্রান্ত তথ্য আবেদন ফি: ২০০ টাকা (অনগ্রসর নাগরিক গোষ্ঠীর প্রার্থীদের জন্য ৫০ টাকা)। আবেদনের শেষ সময়: ১০ নভেম্বর ২০২৫। আবেদন পদ্ধতি আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে এবং আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন।
আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াটারএইড বাংলাদেশ জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ‘টেকনিক্যাল এক্সপার্ট’ পদে নতুন কর্মী নেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে ২৮ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। নিয়োগের বিস্তারিত প্রতিষ্ঠানের নাম: ওয়াটারএইড বাংলাদেশ পদের নাম: টেকনিক্যাল এক্সপার্ট পদের সংখ্যা: নির্ধারিত নয় চাকরির ধরন: ফুল টাইম প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই কর্মস্থল: খুলনা যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি বা স্নাতক (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং/এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে) অভিজ্ঞতা: সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫ বছর বয়সসীমা: নির্ধারিত নয় বেতন ও সুবিধা বেতন: প্রতি মাসে ৯২,৫০০ টাকা আবেদন প্রক্রিয়া আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ তারিখ: ২৮ অক্টোবর ২০২৫
মায়ের অসুস্থতার কারণে কেন্দ্রে দেরিতে আসায় পরীক্ষা না দিতে পারা সেই আনিসা আহমেদ এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করেছেন। তিনি বাংলা ও ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে ফেল করেন। আনিসা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তিনি মানবিক বিভাগের পরীক্ষাথী। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনই (২৬ জুন) ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরীক্ষার্থী আনিসা মায়ের অসুস্থতার কারণে সময়মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছুতে পারেননি। দেরি হওয়ায় তাকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেননি দায়িত্বরতরা। এসময় ওই ছাত্রী পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। গেটের বাইরে দীর্ঘসময় অপেক্ষায় থেকে তিনি সেদিন ফিরে যান। ওই ছাত্রীর পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাঙলা কলেজ। আনিসার কান্না-আকুতি তখন নাড়িয়ে দেন বহু মানুষের বিবেক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন উঠে—আইন কি মানবিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে? নেটিজেনরা দাবি তোলেন—মানবিক বিবেচনায় হলেও তাকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। অন্তর্বর্তী সরকারও সেই দাবি আমলে নেয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে তখন শিক্ষা উপদেষ্টার বরাতে জানানো হয়, ‘পরীক্ষা দিতে না পারা আনিসার বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’