ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজধানীর সায়েন্সল্যাবে ঢাকা কলেজের দুটি বাস ভাঙচুর করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামীকাল বুধবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে ঢাকা কলেজের সব রুটে বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক একে এম ইলিয়াস মঙ্গলবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার স্বার্থে কলেজের সব রুটে চলাচলকারী বাস, এমনকি বিআরটিসির দুইতলা বাসও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে মিরপুর সড়কের ধানমন্ডি ল্যাবএইড হাসপাতালের বিপরীত পাশে। ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা ‘বিজয় ৭১’ ও ‘শঙ্খনীল’ নামের দুটি ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুর করেন। এতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং যান চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ থাকে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে দুই কলেজের উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশ দুটি সাউন্ড গ্রেনেড ও ৫ রাউন্ড টিয়ারশেল ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উল্লেখ্য, গত ৯ নভেম্বর নিউমার্কেট থানার মধ্যস্থতায় ঢাকা কলেজ ও ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে শান্তিচুক্তি হয়। সেই অনুষ্ঠানে ভবিষ্যতে সংঘর্ষে না জড়ানোর অঙ্গীকার করা হলেও, এক মাসের মধ্যেই পুনরায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্কুল ভর্তি নিয়ে দীর্ঘদিনের জটিলতা শেষ হলো। দেশের সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির বয়সসীমা সম্পূর্ণ বাতিল করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। ফলে যারা বয়সের সীমাবদ্ধতার কারণে আবেদন করতে পারছিলেন না, তারা এখন অনায়াসেই ভর্তি আবেদন করতে পারবেন। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) মাউশির এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। মাউশির সংশোধিত নীতিমালায় বলা হয়েছে, পূর্বের ভর্তিনীতির সেই অংশ—যেখানে উল্লেখ ছিল ‘প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের বয়স পরবর্তী শ্রেণিগুলোতেও ধারাবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে’—এটি তুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত আর কোনো বয়সসীমা কার্যকর থাকবে না। তবে সতর্ক করে বলা হয়েছে, শিক্ষা বোর্ডের রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে নির্ধারিত বয়সসীমা ভবিষ্যতে প্রযোজ্য হবে, তাই অভিভাবকদের সেই নিয়ম মাথায় রেখে আবেদন করতে হবে। এছাড়া ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রথম শ্রেণির ভর্তিতে বয়সসীমা পূর্বের নিয়মেই থাকবে। সংশোধিত নির্দেশনা অনুযায়ী— সর্বনিম্ন বয়স: ৫ বছর (জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি ২০২১ বা তার আগে) সর্বোচ্চ বয়স: ৭ বছর (জন্ম তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত) ভর্তির সময় অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের সত্যায়িত কপি জমা দেওয়ার নির্দেশনাও অপরিবর্তিত আছে। আর বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা বয়সে অতিরিক্ত ৫ বছরের ছাড় পাবেন। বয়সসীমা পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যা করে মাউশির মাধ্যমিক শাখার সহকারী পরিচারক (মাধ্যমিক–১) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী বলেন, “বয়সসীমা নিয়ে অভিভাবকদের অনেক অভিযোগ আসছিল। অনেকেই তাঁদের সন্তানের আবেদন করতে পারছিলেন না। সেই জটিলতা দূর করতেই দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণির বয়সসীমা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।” নতুন এই নীতিমালা অভিভাবকদের ভর্তিজনিত সমস্যাকে অনেকটাই সহজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে জাল সনদ ব্যবহার করে চাকরি করা শিক্ষকদের সংখ্যা আবারও নতুন করে আলোচনায় এসেছে। পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ) সম্প্রতি এক হাজার ১৭২ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে জাল বা অগ্রহণযোগ্য সনদধারী হিসেবে শনাক্ত করেছে। এসব জাল সনদের কারণে বেতন-ভাতা, ভুয়া নিয়োগ, অর্থ আত্মসাৎ, ভ্যাট ও আয়কর অনিয়মসহ বিভিন্ন খাতে মোট ২৫৩ কোটি টাকা ফেরত নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার প্রস্তুতিও চলছে। ডিআইএ পরিচালক অধ্যাপক এম এম সহিদুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন, শনাক্ত হওয়া সব জাল সনদধারীর নামের তালিকা তৈরি করে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হচ্ছে। তালিকা পাওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেও তিনি জানান। ডিআইএর রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজশাহী বিভাগে সর্বোচ্চ ৭৭৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর সনদ জাল পাওয়া গেছে। এছাড়া মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে ১২০ জন, ঢাকা বিভাগে ৭০ জন, খুলনা বিভাগে ১৭৯ জন এবং চট্টগ্রাম বিভাগে ২৪ জনের সনদ জাল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। শনাক্ত হওয়া ১১৭২ জনের মধ্যে ৪০০ জনের সনদ সম্পূর্ণ ভুয়া, আর প্রায় ৩০০ জনের সনদ অগ্রহণযোগ্য বলে ডিআইএর নথিতে উল্লেখ রয়েছে। প্রথম ধাপে ওই ৪০০ ভুয়া সনদধারীর তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোরালো সুপারিশ করা হচ্ছে।
দেশের মেধাবী কিন্তু আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা করতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে ‘স্পন্দনবি’। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে অধ্যয়নরত স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ইমদাদ সিতারা খান ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এবারও বৃত্তি প্রদান করবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এই সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিষয়ে পড়ুয়া প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী এই বৃত্তির সুযোগ পাবেন। আগ্রহীরা আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ডাক, কুরিয়ার বা সরাসরি উপস্থিত হয়ে আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কারা আবেদন করতে পারবেন? বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের এইচএসসি উত্তীর্ণ এবং বর্তমানে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত নিম্নোক্ত বিষয়ের মেধাবী, আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন— বিএসসি অনার্স বিএসসি অনার্স (কৃষি, পশুপালনসহ সব অনুষদ) এমবিবিএস বিডিএস বিএসসি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং বিএ অনার্স বিএসএস অনার্স বিবিএ আবেদনপত্র সংগ্রহ আবেদনকারীরা নিচের যেকোনো মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন— 🔗 https://spaandanb.org/projects/imdad-sitara-khan-scholarship/ 🔗 https://www.facebook.com/share/g/1FXJc2NhHe অথবা ই-মেইলে যোগাযোগ করেও ফর্ম সংগ্রহ করা যাবে— mostafiz14@yahoo.com rajib.bd@spaandanb.org tuhin.bd@spaandanb.org sajedul1233@gmail.com zabbarbd5493@gmail.com আবেদন পাঠানোর ঠিকানা স্পন্দনবি বাংলাদেশ অফিস বাসা-৭/২, শ্যামলছায়া-১, ফ্ল্যাট-বি/২, গার্ডেন স্ট্রিট, রিং রোড, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, ঢাকা। যোগাযোগ বৃত্তি সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য অফিস সময়ে যোগাযোগ— ☎️ ০২-৪৮১১৪৪৯৯ 📱 ০১৭১৩-০৩৬৩৬০ 📱 ০১৭৭৩-৬১০০০৯ 📱 ০১৯৩৩-৫৬০৬৬৫ 📱 ০১৭৯৬-১০২৭০০
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে কয়েক দফা ভূমিকম্পে উদ্বেগ বেড়েছে সাধারণ মানুষের। বিশেষ করে ২১ নভেম্বরের শক্তিশালী ভূমিকম্প ঢাকাসহ সারাদেশকে প্রবলভাবে কাঁপিয়ে তোলে। স্মরণকালের অন্যতম বড় ওই ভূকম্পনে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ধারাবাহিক এসব ঘটনার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার করতে একাধিক নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। সোমবার (২৪ নভেম্বর) দেশের সব অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নিরাপত্তা নির্দেশনা সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে জানানো হয়েছে, সাম্প্রতিক ভূমিকম্পের প্রেক্ষাপটে সারাদেশের মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট সতর্কতামূলক নির্দেশনা অনুসরণের আহ্বান জানানো হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট সবার জন্য ভূমিকম্প সম্পর্কে সচেতনতা তৈরিতে নির্দেশনাগুলো মানার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মাউশির নির্দেশনা অনুযায়ী করণীয়— ১. ভূমিকম্পের সময় শান্ত ও ধীরস্থির থাকা; আতঙ্কে না ছুটোছুটি করা। ২. ভবনের ভেতরে থাকলে টেবিল বা ডেস্কের নিচে আশ্রয় নেওয়া। ৩. বাইরে থাকলে খোলা স্থানে সরে যাওয়া, যেখানে ভবন বা গাছপালা নেই। ৪. ভূমিকম্পের সময় লিফট ব্যবহার না করা। ৫. ভূমিকম্পের পর বাইরে যাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা—ভবন বা দেয়াল ধসে পড়তে পারে। ৬. প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন পানি, খাদ্য, ফার্স্ট এইড কিট সংগ্রহে রাখা। ৭. কলামযুক্ত পাকা ঘরে কলামের গোড়ায় নিরাপদে দাঁড়ানো। ৮. ভবনের ওপর তলায় থাকলে কম্পন থামা পর্যন্ত অপেক্ষা করা; লাফ দিয়ে নামার চেষ্টা না করা। ৯. কম্পন থেমে গেলে দ্রুত সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে গ্যাস-বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ করা ও আগুন নেভানো। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন-স্থাপনার ক্ষেত্রে করণীয়— ১. বিদ্যালয় ভবনগুলো নিয়মিত পরিদর্শন করে ঝুঁকিপূর্ণ অংশ শনাক্ত করা। ২. ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো দ্রুত সংস্কার করা। ৩. ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে দৃশ্যমান সতর্কতা চিহ্ন লাগানো। ৪. প্রয়োজনে অস্থায়ী ক্লাসরুম বা অনলাইন ক্লাস চালুর মতো বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
ঢাকা আলিয়া মাদরাসায় শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার (২২ নভেম্বর) রাতে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে পুরো ক্যাম্পাসে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পরে সেনা সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতের একটি পর্যায়ে ক্যাম্পাসের হলে দুই পক্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা থেকে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং তা দ্রুত সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রাত পৌনে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের হলের ভেতরে এখনো কয়েকজন শিক্ষার্থী অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের নিরাপদে বের করে আনতে প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ক্যাম্পাসজুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত সেনা সদস্য মোতায়েন থাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
৩১ ঘণ্টায় চারবার ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ায় সারাদেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তার দাবিতে শনিবার (২২ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে মাটিতে শুয়ে প্রতিবাদ জানান। এরই মাঝে ভূমিকম্প-পরবর্তী জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। ঝুঁকি এড়াতে রোববার বিকেল ৫টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসসমূহ স্বাভাবিকভাবেই খোলা থাকবে। ঢাবি সিন্ডিকেটের এক জরুরি ভার্চুয়াল সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সিন্ডিকেট সদস্যদের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরাও যুক্ত ছিলেন। সভায় জানানো হয়— সাম্প্রতিক ভূমিকম্প ও ধারাবাহিক আফটারশকের কারণে শিক্ষার্থীদের শারীরিক-মানসিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আবাসিক হলগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ ঝুঁকি মূল্যায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে। বুয়েটের বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তর ও প্রধান প্রকৌশলীর মতামত বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত হয়, হলগুলোর অবস্থা যাচাই ও প্রয়োজনীয় সংস্কারের স্বার্থে বর্তমানে সেগুলো খালি রাখতে হবে। এই কারণেই ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত রাখা এবং আবাসিক হলসমূহ খালি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ভূমিকম্পের পর উদ্ভূত ঝুঁকি মোকাবিলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে রোববার (২৩ নভেম্বর) বিকেল ৫টার মধ্যে আবাসিক হল খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২২ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের জরুরি সভা উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সিন্ডিকেট সদস্যদের পাশাপাশি চিকিৎসা অনুষদের ডিন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং প্রধান প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন। সভায় জানানো হয়— সাম্প্রতিক ভূমিকম্প এবং পরবর্তী আফটারশকের কারণে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে। বুয়েটের বিশেষজ্ঞ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অফিস এবং প্রধান প্রকৌশলীর মতামত বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হয় যে, আবাসিক হলগুলোর পুঙ্খানুপুঙ্খ ঝুঁকি মূল্যায়ন ও প্রয়োজনীয় সংস্কার দরকার। এই মূল্যায়ন সম্পন্ন করতে হলে হলগুলো সাময়িকভাবে খালি করা ছাড়া উপায় নেই। তাই আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখা এবং আবাসিক হলসমূহ খালি করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। রোববার (২৩ নভেম্বর) বিকেল ৫টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার ব্যবস্থা গ্রহণে প্রাধ্যক্ষদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসসমূহ স্বাভাবিকভাবেই খোলা থাকবে।
সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হতে যাচ্ছে। আগামীকাল শুক্রবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে অনলাইনে শুরু হবে আবেদন প্রক্রিয়া। আগামী ৫ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। এবার প্রতিটি আবেদনের জন্য ১০০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। জানা গেছে, এ বছর বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে অনলাইন আবেদনপ্রক্রিয়ায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। আবেদন করতে gsa.teletalk.com.bd-এ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এর পর আবেদনপত্র পূরণ ও টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন ফি পরিশোধ করে আবেদনের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। আবেদনপত্রের নির্দেশনামতে প্রার্থীকে তার সব তথ্য পূরণ করতে হবে। এ ছাড়া যেসব প্রার্থী বিভিন্ন কোটায় আবেদন করবেন তাদের প্রযোজ্য কোটার বক্সে অবশ্যই টিক চিহ্ন দিতে হবে। অন্যথায় কোটা বিবেচনা করা সম্ভব হবে না। অনলাইনে আবেদনপত্রে প্রার্থী তার রঙিন ছবি (দৈর্ঘ্য ৩০০× প্রস্থ ৩০০ পিক্সেল) স্ক্যান করে JPEG ফরম্যাটে নির্ধারিত স্থানে আপলোড করতে হবে। বিনামূল্যে ছবি রিসাইজ করতে পারবেন Image Resizer এই ওয়েবসাইটে। যথাযথভাবে পূরণ করে নির্দেশনামতে আবেদনপত্র Submit সম্পন্নের পর কম্পিউটারে ছবিসহ Application Preview দেখা যাবে। নির্ভুলভাবে আবেদনপত্র Submit সম্পন্ন হলে প্রার্থী একটি User ID-সহ Applicant's copy পাবেন। আবেদন ফি পরিশোধের নিয়ম Applicant's কপিতে প্রাপ্ত User ID নম্বর ব্যবহার করে প্রার্থী যেকোনো টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল নম্বর থেকে দুটি SMS করে আবেদন ফি বাবদ প্রতিটি Application এর জন্য ১০০ টাকা জমা দিতে হবে। প্রথম SMS: GSAUser ID (Web Application হতে প্রাপ্ত) লিখে 16222 নম্বরে Send করতে হবে। উদারহণ-GSAABCDEF লিখে Send করতে হবে 16222 নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে শিক্ষার্থীর নামসহ একটি PIN নম্বর পাওয়া যাবে। এটি ব্যবহার করে দ্বিতীয় SMS-টি করতে হবে। ভর্তিসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ও স্কুলভিত্তিক আসন সংখ্যা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ড অথবা https://gsa.teletalk.com.bd ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।
রাজধানীর বাড্ডা আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির একটি ভবন থেকে পড়ে মুসফিকুজ্জামান (২৪) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির ম্যাথমেটিকস অব ফিজিক্যাল সায়েন্স বিভাগের প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি একটি ভবন থেকে পড়ে যান তিনি এবং ঘটনাস্থলেই মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেছি। তিনি ক্যাম্পাসে এসে ক্লাস করেন। পরে ক্লাস থেকে বের হয়ে ছাদে উঠেন। তিনি ছাদে উঠার ১ ঘণ্টার আগে ও পরে অন্য কাউকে সেই ছাদে উঠতে দেখা যায়নি। আমাদের কাছে সংবাদ পাওয়ার পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। শিক্ষার্থীর মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে এটা আত্মহত্যা মনে হচ্ছে। কারণ আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখেছি, ওই শিক্ষার্থী ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পড়ে যান। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। ঢাকা মেডিকেলে নিহত মুশফিকুজ্জামানের চাচা মনিরুজ্জামান মনির বলেন, তাদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ি উপজেলার পাচগাঁও গ্রামে। বর্তমানে বাবা বিএম মোখলেসুর রহমান ও মা স্কুল শিক্ষিকা কমলা আক্তারকে নিয়ে খিলগাঁও থানার পাশে থাকতো। এবং ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি আরও বলেন, বিকালে পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারি মুশফিকুজ্জামান ইউনিভার্সিটির কোন একটা ভবনের দশতলা থেকে নিচে পড়ে মারা গেছে। দ্রুত সেখানে গিয়ে মরদহ দেখতে পাই। সে লাফিয়ে পরে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে কেউ ফেলে দিয়েছে, নাকি এমনি এমনি পড়ে গিয়েছে তদন্ত করে বের করতে হবে।
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আন্দোলনে সহকারী শিক্ষকদের ৩ দফা দাবি জানানো হয়েছে। দাবিগুলো হলো: দশম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড সমস্যার সমাধান শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আন্দোলনে অংশ নিচ্ছে: বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (কাশেম-শাহিন) বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি (শাহিন-লিপি) সহকারী শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ আরও কয়েকটি প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন শিক্ষক সংগঠনগুলোর তথ্যমতে, ২০ হাজার শিক্ষকের উপস্থিতি আশা করা হচ্ছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। বর্তমানে দেশে ৬৫,৫৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত। গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ২৪ এপ্রিল এক আদেশে ১১তম গ্রেডে বেতন পাওয়া প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে এবং ১৩তম গ্রেডে বেতন পাওয়া শিক্ষকদের বেতন ১২তম গ্রেডে উন্নীত করার কথা জানিয়েছিল। তবে সহকারী শিক্ষকরা এতে সন্তুষ্ট নন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের ছয়টি বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আবেদন প্রক্রিয়া ৮ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলবে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) প্রথম ধাপে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের ১০,২১৯টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে ২০টি শর্তাবলি উল্লেখ রয়েছে। এর মধ্যে ১০ নম্বরে বলা হয়েছে, বিবাহিত নারী প্রার্থীরা স্বামী অথবা বাবার স্থায়ী ঠিকানার যেকোনো একটিতে আবেদন করতে পারবেন। তবে যে ঠিকানাটি উল্লেখ করবেন, সেই উপজেলা/শিক্ষা থানার জন্য প্রার্থিতা বিবেচিত হবে। প্রার্থী যে উপজেলা/শিক্ষা থানার স্থায়ী বাসিন্দা, তিনি সেই উপজেলার শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিবেচিত হবেন। আবেদনপত্রে জেলা বা থানা/উপজেলা ভুল হলে প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে। দ্বিতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। এর আগে চলতি বছরের ২৮ আগস্ট রাতে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ জারি করা হয়। তিন দিন পর ৩১ আগস্ট গঠিত হয় আট সদস্যের ‘কেন্দ্রীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ কমিটি’। কমিটির চেয়ারম্যান: প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সদস্যসচিব: অধিদপ্তরের (পলিসি ও অপারেশন) পরিচালক অন্যান্য সদস্য: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো ও সরকারি কর্ম কমিশনের প্রতিনিধি পরবর্তীতে ২ নভেম্বর সংশোধিত বিধিমালা প্রকাশ করা হয়। এতে সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক পদ বাতিল করা হয়েছে এবং কিছু ‘শব্দগত পরিবর্তন’ আনা হয়েছে।
বেসরকারি স্কুল-কলেজে কর্মরত এমপিওভুক্ত পৌনে চার লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর অক্টোবর মাসের বেতনের প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আজ বা কাল (সোমবার) বেতনের সরকারি আদেশ (জিও) জারি হতে পারে। এরপর তারা অক্টোবর মাসের বেতন পাবেন বলে জানা গেছে। রোববার (২ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সেল সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। জানা যায়, অক্টোবর মাসের বেতনের জিও আজ অথবা আগামীকাল সোমবার জারি হতে পারে। এরপর এটি বাংলাদেশ ব্যাংক হয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের চেক যাবে। আগামী মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ব্যাংক থেকে টাকা তোলা যাবে। কোনো কারণে ওইদিন টাকা তুলতে না পারলে পরদিন বুধবার পৌনে চার লাখ শিক্ষক-কর্মচারি অক্টোবর মাসের বেতন-ভাতা তুলতে পারবেন। জানা গেছে, প্রতি মাসে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের প্রস্তাব পাঠায় প্রতিষ্ঠান প্রধান। অনলাইন বিল দাখিলের পর তা যাচাই-বাছাই শেষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে বেতনের অর্থ ছাড়ের ব্যবস্থা করা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদনের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ব্যাংকে পাঠানো হয়। উল্লেখ্য, এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা নিয়মিত প্রদান নিশ্চিত করতে সরকার ডিজিটাল বিল দাখিল ও অনুমোদনের প্রক্রিয়া চালু করেছে, যার ফলে এখন বেতন-ভাতা প্রক্রিয়াকরণ আরো দ্রুত ও স্বচ্ছ হচ্ছে।
তেজগাঁও কলেজ সাংবাদিক সমিতির (তেকসাস) আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন যায়যায়দিন পত্রিকার নয়ন কুমার বর্মন এবং সদস্য সচিব হয়েছেন আরটিভির মো. সাঈদুর রহমান। আগামী তিন মাসের জন্য এই আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) তেজগাঁও কলেজ সাংবাদিক সমিতির উপদেষ্টা মণ্ডলীর সিদ্ধান্তে এ আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করা হয়। জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সাংগঠনিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তেজগাঁও কলেজ সাংবাদিক সমিতির (টেক্সাস) কার্যক্রম পূর্বের কমিটিতে বৈষম্যের শিকার হয়েছিল। তাই সর্বোচ্চ পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক পরিচালিত হলেও সংগঠনকে পুনরায় সুসংগঠিত করা ও দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে একটি কার্যকরী কমিটি গঠনের লক্ষ্যে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। নবগঠিত কমিটিতে যায়যায়দিন পত্রিকার নয়ন কুমার বর্মনকে আহ্বায়ক এবং আরটিভির মো, সাঈদুর রহমানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। ১৩ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, যুগ্ম আহ্বায়ক– ইসমাইল সরদার (বাংলা এডিশন), আব্দুর রহমান (এনপিবি নিউজ), আব্দুল কাদের (রূপালী বাংলাদেশ) ও সাকিব আহমেদ সোহান (খবরের কাগজ)। সদস্য– মোঃ সাকিবুল হাসান (একাত্তর টিভি), আবু রায়হান আকাশ (ডেইলী নোট ২৪), মোঃ নিয়াজ করিম রাকিব (সংবাদ টিভি), জান্নাতুন নেছা বুশরা (এনবিবি), মাহির আল মাহবুব (দৈনিক ঘোষণা), মোঃ তুহিন ইসলাম রাতুল (দেশের কন্ঠ) ও মোঃ রাকিব হাসান (আজকের পেপার)। তেকসাসের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির দায়িত্ব হবে আগামী তিন মাসের মধ্যে সংগঠনকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করা, সদস্যদের পুনর্গঠন সম্পন্ন করা এবং একটি নির্বাচিত কার্যকরী কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা।
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সের ভর্তি পরীক্ষার নীতিমালা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)। নীতিমালা অনুযায়ী, বাংলাদেশি আবেদনকারীকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান দুটি পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮.৫০ নিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। এককভাবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ-৪ এর কম থাকলে আবেদনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ওয়েবসাইটে এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়। এতে সই করেন বিএমডিসির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডা. মো. লিয়াকত হোসেন। এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হওয়ার পাশাপাশি এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগসহ পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান পাঠ্য থাকতে হবে। একই সঙ্গে জীববিজ্ঞানে কমপক্ষে ৩.৫০ জিপিএ থাকতে হবে। সরকারি মেডিকেলে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আবেদনের ক্ষেত্রে এসএসসি (যে দেশে এসএসসি পর্যায়ে পাবলিক পরীক্ষা নেই, সে দেশের ক্ষেত্রে দশম শ্রেণি) এবং এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ ৫.০০ স্কেলে সর্বনিম্ন মোট জিপিএ ৮.৫০ পয়েন্ট এবং জীববিজ্ঞানে জিপিএ ৩.৫০ পয়েন্ট থাকতে হবে। এককভাবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৪.০০ পয়েন্টের কম থাকলে আবেদনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তির জন্য বিদেশি শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে এসএসসি (যে দেশে এসএসসি পর্যায়ে পাবলিক পরীক্ষা নেই সে দেশের ক্ষেত্রে দশম শ্রেণি) এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় সর্বনিম্ন মোট জিপিএ ৭.০০ পয়েন্ট এবং জীববিজ্ঞানে জিপিএ ৩.৫০ পয়েন্ট থাকতে হইবে। তবে এককভাবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৫০ পয়েন্টের কম থাকলে আবেদনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হইবে। তবে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ ৮.০০ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া জীববিজ্ঞানে জিপিএ ৩.৫০ পয়েন্ট থাকতে হবে। তবে এককভাবে কোনো পরীক্ষায় জিপিএ ৩.৫০ পয়েন্টের কম থাকতে পারবে না। অন্যদিকে, ‘ও’ লেভেল বা ‘এ’ লেভেল অথবা বিদেশি শিক্ষাব্যবস্থায় সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদেরকে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে তাদের নম্বরপত্র সমতাকরণ করতে বলা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, ২০২৪ ও ২০২৫ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। তবে ২০২২ সালের আগে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা অংশ নিতে পারবেন না।
সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম (ফেসবুক, টিকটক ও অন্যান্য) ব্যবহার নিয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। বুধবার (২২ অক্টোবর ২০২৫) মাউশির সহকারী পরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) খালিদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশনা জারি করা হয়। আদেশে বলা হয়েছে, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা ২০১৯ (পরিমার্জিত সংস্করণ)’ এবং ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর নিয়ম অনুযায়ী অনলাইন আচরণবিধি লঙ্ঘন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হানিকর ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা সামাজিকমাধ্যমে এমন কোনো তথ্য, ছবি বা মন্তব্য প্রকাশ করতে পারবেন না যা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে, প্রশাসনিক গোপনীয়তা ভঙ্গ করে বা জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একটি মিডটার্ম পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার ঘটনা এবং HSC খাতা মূল্যায়নের ভিডিও টিকটকে ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এসেছে। উভয় ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মাউশি স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ব্যক্তিগত ফেসবুক, টিকটক বা ইউটিউব আইডিতে মত প্রকাশের সময় সরকারি চাকরির শৃঙ্খলা মেনে চলবেন। শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে স্কুল-কলেজ প্রশাসনকে সক্রিয় নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে, যাতে পরীক্ষার প্রশ্ন, ফলাফল বা গোপন নথি সামাজিক মাধ্যমে ছড়াতে না পারে। অধিদপ্তর মনে করছে, দায়িত্বশীল আচরণ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষকদের উপস্থিতি এখন বড় ঝুঁকিতে পরিণত হয়েছে। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘ডিজিটাল নৈতিকতা’ ও ‘সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা’ বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মশালা আয়োজনেরও সুপারিশ করা হয়েছে।
মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়াসহ তিন দফা দাবিতে আমরণ অনশনসহ টানা ১০ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। তাদের দাবিগুলোর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও। এ অবস্থায় শিক্ষকদের ক্লাসে ফেরাতে শেষ পর্যন্ত তাদের বাড়িভাড়া মূল বেতনের ১৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। অবশ্য, এখানেও জুড়ে দেওয়া হয়েছে শর্ত; এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে দুই ধাপে দেওয়া হবে বাড়িভাড়ার এই অর্থ। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরারের সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষক নেতাদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা থেকে বেরিয়ে শিক্ষক নেতা দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেছেন, বিষয়টির সুন্দরভাবে সমাধান হয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) থেকে শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরে যাবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা খালিদ মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, আজকের এই মুহূর্তটা শিক্ষা বিভাগের জন্য সত্যিই ঐতিহাসিক। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য চলতি বছরের নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া (ন্যূনতম দুই হাজার টাকা) এবং ২০২৬ সালের জুলাই থেকে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ মোট ১৫ শতাংশ বাড়িভাড়া কার্যকর হবে। সম্মানিত শিক্ষকদের দাবি অনুযায়ী শতাংশ হারে এই ভাতা নিশ্চিত করতে পেরে একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষা উপদেষ্টা নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে, শিক্ষকরা আরও অধিক সম্মানের দাবিদার এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নে রাষ্ট্রের সচেষ্ট থাকা দরকার। এতে আরও বলা হয়, এই পথটা সহজ ছিল না। নানা মতভেদ, বিতর্ক, অভিযোগ সবকিছুই ছিল। কোনো বিতর্কের উত্তর না দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ক্রমাগত একটা ন্যায্য, টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করে গেছে। নেপথ্যে থেকে শিক্ষা উপদেষ্টা ও মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, উপদেষ্টা পরিষদ, আর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কাজ করে গেছেন। যেন শিক্ষকদের দাবি শোনা হয়, বোঝা হয়। মন্ত্রণালয় মনে করে এটি কারও একার জয় নয়। এটি যৌথ সাফল্য। এছাড়া শিক্ষকদের আন্দোলন আমাদের বাস্তবতা বুঝিয়েছে। সরকার দায়িত্বশীলভাবে সাড়া দিয়েছে। আর সবাই মিলে আমরা আজ এমন এক অবস্থানে এসেছি যেখানে সম্মান, সংলাপ আর সমঝোতাই জিতেছে। এখন সময় ক্লাসে ফিরে যাওয়া। শিক্ষার্থীদের কাছে আমাদের আসল কাজের জায়গা এটি। আজকের এই সমঝোতা হোক নতুন সূচনা পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বোঝাপড়া ও শিক্ষাকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর প্রতিশ্রুতি নিয়ে। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা আর গুণগত মানসম্মত শিক্ষার বিস্তার ঘটিয়ে বাংলাদেশকে আমরা একটি মর্যাদাসম্পন্ন জায়গায় নিয়ে যেতে পারবো। এর আগে, গত রোববার আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা ৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে, শিক্ষকরা ওই দাবি না মেনে আন্দোলন চালিয়ে যান।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) এর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এক শিক্ষার্থী (২২) শনিবার ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় ধর্ষণে জড়িতদের বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিরপুর-১২ বাসস্ট্যান্ডে মানববন্ধন করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাতে, যখন ভুক্তভোগী টিউশন শেষ করে বাসায় ফেরার পথে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কমলাপুর এলাকায় তিনজন ব্যক্তি তাকে তুলে নিয়ে নির্জন এলাকায় নিয়ে যান এবং দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেন। মামলার তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্তরা হলেন: সোহেল রোজারিও (৩৭), তিলক রোজারিও (৪০) এবং মিঠু বিশ্বাস (৩৫)। স্থানীয়দের মতে, তারা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা ও অন্যান্য অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত। ভুক্তভোগীর পরিবার সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানতে চাইলে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারম্যান শায়লা সোলায়মান বলেন, “ভুক্তভোগী বর্তমানে আমাদের শিক্ষার্থী নন। তিনি অনার্স শেষ না করেই বাড়ি চলে গেছেন। তবে ধর্ষণের ঘটনা আমরা সম্প্রতি জানতে পেরেছি। আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব সহায়তা করা হবে।”
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষার ফলে বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটেছে। ইংরেজিসহ ৩টি সাবজেক্টে শিক্ষার্থীরা খারাপ করেছে। যারা ফল ভালো করেননি তাদের ফল পুনঃনিরীক্ষণের সুযোগ আছে। ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন আজ থেকে শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিক্ষার্থীরা ১৭ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে হবে ওয়েবসাইট থেকে। কোনো ম্যানুয়াল আবেদন গ্রহণ করা হবে না। আবেদনের সময় শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন নম্বর দিতে হবে। পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশিত হলে ওই নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে। প্রতিটি পত্রের জন্য ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০ টাকা। দ্বিপত্রবিশিষ্ট বিষয়ের ক্ষেত্রে উভয়পত্রের জন্য আবেদন করতে হবে। ফি পরিশোধ করা যাবে বিকাশ, নগদ, সোনালী সেবা, উপায়, রকেট ও টেলিটক সিমের মাধ্যমে। HSC রেজাল্ট চ্যালেঞ্জ ২০২৫: এক নজরে ফল পুনঃনিরীক্ষণের নিয়ম HSC Result 2025 পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ। টেলিটক সিম ছাড়াই শুধুমাত্র অনলাইন পোর্টালে গিয়ে আপনি এই কাজটি সম্পন্ন করতে পারবেন। প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে অনুসরণ করুন: স্টেপ-১: https://rescrutiny.eduboardresults.gov.bd - এ প্রবেশ ও তথ্য প্রদান করতে হবে। পোর্টালে লগইন : পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আপনাকে প্রথমে এই অফিশিয়াল পোর্টালে প্রবেশ করতে হবে: https://rescrutiny.eduboardresults.gov.bd তথ্য পূরণ: নির্ধারিত স্থানে আপনার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর পূরণ করুন এবং বোর্ড ড্রপ ডাউন মেনু থেকে আপনার শিক্ষা বোর্ড নির্বাচন করুন। সাবমিট: সব তথ্য নির্ভুলভাবে দেওয়ার পর "Submit" বাটনে ক্লিক করুন। স্টেপ-২: মোবাইল নম্বর ও বিষয় নির্বাচন পরবর্তী স্ক্রিনে আপনার তথ্য যাচাই হয়ে গেলে, আপনার সাথে যোগাযোগের মাধ্যমটি দিতে হবে। মোবাইল নম্বর প্রদান: একটি সক্রিয় মোবাইল নম্বর দিন। পুনঃনিরীক্ষণের ফল প্রকাশিত হলে এই নম্বরে এসএমএস (SMS) পাঠানো হবে। বিষয় নির্বাচন: আপনার বর্তমান বিষয় ভিত্তিক রেজাল্ট স্ক্রিনে দেখাবে। আপনি যে এক বা একাধিক বিষয়ে রেজাল্ট চ্যালেঞ্জ করতে চান, সেই বিষয়গুলো নির্বাচন করে ‘ফি প্রদান করুন’ বাটনে ক্লিক করুন। স্টেপ-৩: ফি প্রদান ও চূড়ান্ত জমা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য ফি পরিশোধ করা এই প্রক্রিয়ার শেষ ধাপ। আবেদন ফি: প্রতিটি পত্রের জন্য ১৫০ টাকা (TK 150/-) হারে ফি প্রযোজ্য হবে। পেমেন্ট মাধ্যম : ফি পরিশোধের জন্য আপনি বিকাশ, নগদ, সোনালী সেবা, ডিবিবিএল রকেট অথবা টেলিটক মোবাইল সিমের যেকোনোটি ব্যবহার করতে পারেন। আবেদন নিশ্চিতকরণ: সফলভাবে ফি পরিশোধ করার পর আবেদনের পোর্টালে ফিরে এসে অবশ্যই ‘জমা দিন’ (Submit) বাটনে ক্লিক করে আবেদনটি নিশ্চিত করুন। ফল পুনঃনিরীক্ষণ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা ফি ফেরত নেই : একবার ফি জমা দিলে আবেদনকৃত বিষয়গুলো আর বাতিল করা যাবে না এবং কোনো অবস্থাতেই ফি ফেরত দেওয়া হবে না। সময়সীমা : আবেদন শুরু হবে ১৭ অক্টোবর থেকে এবং চলবে ২৩ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে অবশ্যই আবেদন শেষ করতে হবে। অতিরিক্ত বিষয় যোগ : ফি দিয়ে একবার জমা দেওয়ার পরেও চাইলে আরও কয়েকটি বিষয়ে আবেদন যুক্ত করা যাবে। সেক্ষেত্রে নতুনভাবে তথ্য পূরণ করতে হবে না। ফল প্রকাশ : পুনঃনিরীক্ষণের ফল সাধারণত আবেদন শেষ হওয়ার প্রায় ৩০ দিনের মধ্যে প্রকাশিত হয়।
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে গড় পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ। এবার গত বছরের তুলনায় পাসের হার কমেছে ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন শিক্ষার্থী। সে হিসাবে এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন। এদিকে ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হবে। শিক্ষার্থীরা ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য আগেই জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে (https://rescrutiny.eduboardresults.gov.bd) ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। আবেদন প্রক্রিয়ার বিস্তারিত নির্দেশনা শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এতে আরও জানানো হয়, পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুধুমাত্র অনলাইন মাধ্যমে করা যাবে। শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা অন্য কোনো অফিসে সরাসরি আবেদন গ্রহণ করা হবে না। rescrutiny.eduboardresults.gov.bd
মায়ের অসুস্থতার কারণে কেন্দ্রে দেরিতে আসায় পরীক্ষা না দিতে পারা সেই আনিসা আহমেদ এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করেছেন। তিনি বাংলা ও ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে ফেল করেন। আনিসা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তিনি মানবিক বিভাগের পরীক্ষাথী। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনই (২৬ জুন) ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরীক্ষার্থী আনিসা মায়ের অসুস্থতার কারণে সময়মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছুতে পারেননি। দেরি হওয়ায় তাকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেননি দায়িত্বরতরা। এসময় ওই ছাত্রী পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। গেটের বাইরে দীর্ঘসময় অপেক্ষায় থেকে তিনি সেদিন ফিরে যান। ওই ছাত্রীর পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাঙলা কলেজ। আনিসার কান্না-আকুতি তখন নাড়িয়ে দেন বহু মানুষের বিবেক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন উঠে—আইন কি মানবিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে? নেটিজেনরা দাবি তোলেন—মানবিক বিবেচনায় হলেও তাকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। অন্তর্বর্তী সরকারও সেই দাবি আমলে নেয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে তখন শিক্ষা উপদেষ্টার বরাতে জানানো হয়, ‘পরীক্ষা দিতে না পারা আনিসার বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১৬ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এক নজরে নিয়োগের বিস্তারিত প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) বিভাগের নাম: অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদসংখ্যা: ০১ জন শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ১ বছর চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয় বয়সসীমা: নির্ধারিত নয় বেতন: ৪৫,০০০ টাকা কর্মস্থল: ঢাকা আবেদন প্রক্রিয়া: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ তারিখ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫
দেশের মেধাবী কিন্তু আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা করতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে ‘স্পন্দনবি’। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে অধ্যয়নরত স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ইমদাদ সিতারা খান ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এবারও বৃত্তি প্রদান করবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এই সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিষয়ে পড়ুয়া প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী এই বৃত্তির সুযোগ পাবেন। আগ্রহীরা আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ডাক, কুরিয়ার বা সরাসরি উপস্থিত হয়ে আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কারা আবেদন করতে পারবেন? বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের এইচএসসি উত্তীর্ণ এবং বর্তমানে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত নিম্নোক্ত বিষয়ের মেধাবী, আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন— বিএসসি অনার্স বিএসসি অনার্স (কৃষি, পশুপালনসহ সব অনুষদ) এমবিবিএস বিডিএস বিএসসি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং বিএ অনার্স বিএসএস অনার্স বিবিএ আবেদনপত্র সংগ্রহ আবেদনকারীরা নিচের যেকোনো মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন— 🔗 https://spaandanb.org/projects/imdad-sitara-khan-scholarship/ 🔗 https://www.facebook.com/share/g/1FXJc2NhHe অথবা ই-মেইলে যোগাযোগ করেও ফর্ম সংগ্রহ করা যাবে— mostafiz14@yahoo.com rajib.bd@spaandanb.org tuhin.bd@spaandanb.org sajedul1233@gmail.com zabbarbd5493@gmail.com আবেদন পাঠানোর ঠিকানা স্পন্দনবি বাংলাদেশ অফিস বাসা-৭/২, শ্যামলছায়া-১, ফ্ল্যাট-বি/২, গার্ডেন স্ট্রিট, রিং রোড, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, ঢাকা। যোগাযোগ বৃত্তি সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য অফিস সময়ে যোগাযোগ— ☎️ ০২-৪৮১১৪৪৯৯ 📱 ০১৭১৩-০৩৬৩৬০ 📱 ০১৭৭৩-৬১০০০৯ 📱 ০১৯৩৩-৫৬০৬৬৫ 📱 ০১৭৯৬-১০২৭০০
পোশাক প্রস্তুতকারক ও বিপণন প্রতিষ্ঠান আড়ং নতুন কিছু পদে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। পদের বিবরণ: পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট বিভাগ: হেলথ সিকিউরিটি স্কিম (HSS), সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স অ্যান্ড প্রোডিউসার ডেভেলপমেন্ট (SCPD) পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয় যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অন্য যোগ্যতা: এমএস এক্সেল এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে দক্ষতা ডকুমেন্টেশন ও ফাইল ব্যবস্থাপনায় পারদর্শিতা অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ১–২ বছর চাকরির ধরণ ও অন্যান্য তথ্য: চাকরির ধরন: ফুলটাইম কর্মক্ষেত্র: অফিসে প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন বয়সসীমা: উল্লেখ নেই কর্মস্থল: ময়মনসিংহ (ত্রিশাল) বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে অন্যান্য সুবিধা: প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি, উৎসব বোনাস, স্বাস্থ্য ও জীবন বিমা এবং প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী অন্যান্য সুবিধা আবেদন করার নিয়ম: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে আবেদন করতে পারেন।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে নিয়োগ দেশের অন্যতম মানবিক সংগঠন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে একজন যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা ২১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। পদসংক্রান্ত তথ্য প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পদের নাম: টেকনিক্যাল অফিসার পদসংখ্যা: ১ জন যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি বা ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ২ বছর বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৪০ বছর বেতন ও চাকরির ধরন বেতন: ৫০,০০০ টাকা চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন কর্মস্থল: কুড়িগ্রাম আবেদন প্রক্রিয়া আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ওয়েবসাইটে ক্লিক করুন।
দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান যমুনা গ্রুপ নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্লাজা সেলস বিভাগে ‘এক্সিকিউটিভ’ পদে ১০০ জন যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা ৮ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। পদসংক্রান্ত তথ্য প্রতিষ্ঠানের নাম: যমুনা গ্রুপ বিভাগ: প্লাজা সেলস পদের নাম: এক্সিকিউটিভ পদসংখ্যা: ১০০টি যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা প্রার্থীকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী হতে হবে। এ পদে অভিজ্ঞতা প্রয়োজন নেই, তাই নবীন প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। অন্যান্য তথ্য চাকরির ধরন: ফুল-টাইম বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে প্রার্থীর ধরন: নারী ও পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন বয়সসীমা: ন্যূনতম ২২ বছর কর্মস্থল: দেশের যেকোনো স্থানে আবেদন সংক্রান্ত তথ্য আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ সময়: ৮ নভেম্বর ২০২৫।