আন্তর্জাতিক

প্রতীকী ছবি
নারী চিকিৎসককে ৪ বার ধর্ষণ, অভিযুক্ত পুলিশের নাম হাতে লিখে আত্মহত্যা

এক পুলিশ কর্মকর্তার উপর ৪ বার ধর্ষণের অভিযোগ তুলে আত্মহত্যা করেছেন এক নারী চিকিৎসক। আত্মহত্যার আগে অভিযুক্ত পুলিশের নাম নিজের হাতে লিখেছেন ওই নারী। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে সাতারা জেলার একটি সরকারি হাসপাতালে।   এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। চিকিৎসকের বাম হাতের তালুতে লেখা নোটে বলা হয়েছে, ফালতান থানার সাব-ইন্সপেক্টর গোপাল বাদনে তাকে পাঁচ মাস ধরে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন এবং চারবার ধর্ষণ করেছেন। ওই নির্যাতনের কারণেই তিনি নিজের জীবন শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন। একই সঙ্গে আরেক পুলিশ কর্মকর্তা প্রশান্ত ব্যাংকারের বিরুদ্ধেও মানসিক হয়রানির অভিযোগ করেছেন তিনি। ওই চিকিৎসক ফালতান উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চলতি বছরের ১৯ জুন তিনি ফালতান উপবিভাগীয় পুলিশ কর্মকর্তাকে (ডিএসপি) পাঠানো এক চিঠিতে বাদনে, সাব-ডিভিশনাল পুলিশ ইন্সপেক্টর পাটিল ও সহকারী পুলিশ ইন্সপেক্টর লাডপুত্রের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ করেন এবং আইনি পদক্ষেপের আবেদন জানান।  তিনি লিখেছিলেন, আমি প্রচণ্ড মানসিক চাপে আছি। অনুগ্রহ করে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। সূত্রের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসের নির্দেশে অভিযুক্ত গোপাল বাদনেকে ইতোমধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।   বৃহস্পতিবারের এ আত্মহত্যার ঘটনায় শুক্রবার রাজ্যজুড়ে তীব্র রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিরোধী দল কংগ্রেস সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেছে, যখন রক্ষকই ভক্ষক হয়, তখন নাগরিকদের নিরাপত্তা কোথায়?   রাজ্য কংগ্রেস নেতা বিজয় ওয়াডেট্টিওয়ার বলেন, এই নারী চিকিৎসক আগেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন, কিন্তু সরকার ও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। মহায়ুতি সরকার পুলিশকে আড়াল করছে বলেই এ ধরনের নির্যাতন বাড়ছে।   তিনি আরও বলেন, শুধু তদন্ত কমিটি গঠন নয়, অভিযুক্তদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে এবং যারা অভিযোগ উপেক্ষা করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।  

অক্টোবর ২৫, ২০২৫ 0
স্ত্রীর নাম ফোনে ‘মোটু’ সেভ করায় ডিভোর্স!
স্ত্রীর নাম ফোনে ‘মোটু’ সেভ করায় ডিভোর্স!

স্ত্রীর ফোন নম্বর ‘মোটু’ নামে সেভ করাটা এক তুর্কি স্বামীর জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। মজার ছলে দেওয়া নামই শেষ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে তাদের দাম্পত্য জীবনের ইতি।   তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ জানায়, পশ্চিম তুরস্কের উশাক প্রদেশের এক নারী জানতে পারেন— তাঁর স্বামী মোবাইল কনট্যাক্টে তাঁর নাম সেভ করেছেন “চাবি” নামে। ইংরেজিতে শব্দটির অর্থ ‘চাবি’ হলেও তুর্কি ভাষায় এটি বোঝায় ‘মোটা’ বা ‘গুলুমুলু’। বিষয়টি জানার পর স্ত্রী তা অপমানজনক মনে করে আদালতের দ্বারস্থ হন এবং বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন।   আদালতের শুনানিতে ওই নারী জানান, স্বামী নিয়মিত অপমানজনক বার্তা পাঠাতেন ও ভয়ভীতি দেখাতেন। এক বার্তায় লিখেছিলেন, “দূর হও, তোমাকে আর দেখতে চাই না,” আরেকটিতে বলেন, “তোমার মুখ শয়তানকে দেখাও।” এমনকি তিনি নিজের বাবার চিকিৎসার খরচ বাবদ স্ত্রীর কাছ থেকেও টাকা দাবি করেছিলেন।   অন্যদিকে স্বামী দাবি করেন, স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িত ছিলেন এবং এক পুরুষকে বাড়িতে এনেছিলেন। তবে তদন্তে দেখা যায়, ওই ব্যক্তি কেবল একটি বই দিতে গিয়েছিলেন—কোনো অনৈতিক সম্পর্কের প্রমাণ মেলেনি। আদালত রায়ে জানায়, স্ত্রীর নাম অপমানজনক শব্দে সেভ করা, কটূ ভাষা ব্যবহার ও আর্থিক চাপ—সব মিলিয়ে এটি মানসিক ও অর্থনৈতিক নির্যাতনের শামিল। ফলে, বিবাহবিচ্ছেদের দায় স্বামীর ওপরই বর্তায়।   তুরস্কের আইনে কারও মর্যাদা বা ব্যক্তিগত সম্মানহানি ঘটালে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। আদালত স্বামীকে প্রাক্তন স্ত্রীকে মানসিক ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশ দিয়েছে, যদিও ক্ষতিপূরণের অঙ্ক প্রকাশ করা হয়নি।   ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কেউ মন্তব্য করেছেন, “মোটু বলে ডাকাটা আদুরে মনে হলেও সবার ক্ষেত্রে তা অপমানও হতে পারে।” আরেকজন লিখেছেন, “এই রায় পুরোপুরি ন্যায্য—অপমানেরও একটা সীমা থাকে।”   এ ঘটনায় অনেক তুর্কি এখন হাস্যরসের ছলে নিজেদের ফোন কনট্যাক্ট লিস্ট ঘেঁটে দেখছেন—কোথাও যেন ভুল করে ‘চাবি’ বা ‘তোম্বিক’ না থেকে যায়!

অক্টোবর ২৪, ২০২৫ 0
যে গ্রামে বাড়ি কিনলেই পাবেন ২৮ লাখ টাকা
যে গ্রামে বাড়ি কিনলেই পাবেন ২৮ লাখ টাকা

শুনতে অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি—ইতালির টুসকানি অঞ্চলের রাদিকনদোলি গ্রামটি নতুন প্রাণ ফিরে পেতে অনন্য উদ্যোগ নিয়েছে। একসময় ৩ হাজারেরও বেশি মানুষের বাস ছিল এই মধ্যযুগীয় গ্রামে, এখন সেখানে মাত্র ৯৬৬ জন বসবাস করছেন। ৪৫০টির মধ্যে শতাধিক বাড়ি আজও খালি পড়ে রয়েছে।   সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রামের জনজীবন ফিরিয়ে আনতে স্থানীয় প্রশাসন নগদ সহায়তা ও বাড়ি কেনার জন্য প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। গ্রামে বসবাস করলে মিলবে প্রায় ২৩ হাজার ডলার (২৮ লাখ টাকা) পর্যন্ত নগদ অর্থ।   চলতি বছর উদ্যোগটি আরও সম্প্রসারিত হয়েছে। এখন শুধু বাড়ি কেনাই নয়, যারা ভাড়া নিয়ে থাকতে চান তাদের জন্য প্রথম দুই বছরের ভাড়ার ৫০ শতাংশ সরকার বহন করবে।   রাদিকনদোলির মেয়র ফ্রানচেসকো গুয়ারগুয়ালিনি জানান, নতুন প্রোগ্রামের আওতায় বাড়ি কিনলে ২০ হাজার ইউরো সহায়তা, আর পরিবহন, সংস্কার ও অন্যান্য খরচে ৬ হাজার ইউরো পর্যন্ত অতিরিক্ত সাহায্য দেওয়া হবে। সাধারণভাবে গ্রামের ভাড়া মাসে প্রায় ৪০০ ইউরো হলেও, সরকারি ভর্তুকি দিয়ে তা কমে আসবে মাত্র ২০ থেকে ২০০ ইউরোতে।   এই সুযোগ নিতে কিছু শর্তও আছে। যারা বাড়ি কিনবেন, তাদের কমপক্ষে ১০ বছর, আর যারা ভাড়া থাকবেন তাদের অন্তত ৪ বছর গ্রামের সঙ্গে থাকতে হবে।   স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, রাদিকনদোলির বাড়ির দাম ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ ইউরো। বেশিরভাগ বাড়ি ভালো অবস্থায় রয়েছে, কিছুতে সামান্য সংস্কারের প্রয়োজন। মেয়র গুয়ারগুয়ালিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য রাদিকনদোলিকে আবার প্রাণবন্ত করা। এটি শুধু বাড়ি বিক্রির প্রকল্প নয়, নতুন জীবনের আমন্ত্রণ।”   ইতালির দ্রুত হ্রাসমান জনসংখ্যাকে মাথায় রেখে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে এর আগেও ‘এক ইউরোতে বাড়ি বিক্রি’ প্রোগ্রাম চালু হয়েছিল। তবে রাদিকনদোলির নতুন উদ্যোগকে বিশেষজ্ঞরা বাস্তবসম্মত ও টেকসই উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন। পাহাড়ঘেরা এই গ্রামটি এখন ইউরোপের আলোচিত বসবাস প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম। যেখানে নতুন জীবন শুরু করলেই মিলছে নগদ অর্থ, বাড়ি, আর প্রকৃতির শান্ত সৌন্দর্যের নিশ্চয়তা।

অক্টোবর ১৯, ২০২৫ 0
এবার মাঝ আকাশে বিমানে আগুন, জরুরি অবতরণ
এবার মাঝ আকাশে বিমানে আগুন, জরুরি অবতরণ

চীনের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের একটি বিমানে হঠাৎ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে হাংজৌ থেকে সিউল, দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী যাওয়ার পথে এয়ার চায়নার ফ্লাইট নম্বর CA139-এর যাত্রীর ব্যাগে থাকা লিথিয়াম ব্যাটারি বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। খবর দিয়েছে গলফ নিউজ।   চীনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এয়ার চায়না জানিয়েছে, যাত্রীদের উপরের লাগেজ ক্যাবিনে রাখা হাতব্যাগে থাকা লিথিয়াম ব্যাটারি জ্বলে ওঠে। বিমানের ক্রু সদস্যরা দ্রুত নিরাপত্তা নির্দেশিকা অনুসারে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে, ফলে কোনো যাত্রী আহত হননি এবং বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।   যাত্রীদের নিরাপত্তার কারণে বিমানটি জরুরি ভিত্তিতে সাংহাই পুডং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানটি সকাল ৯টা ৪৭ মিনিটে হাংজৌ থেকে উড্ডয়ন করেছিল এবং স্থানীয় সময় সকাল ১১টার কিছু পর নিরাপদে অবতরণ করে।   চীনা গণমাধ্যম জিমু নিউজ প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, বিমানের লাগেজ বগি থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। এয়ার চায়না জানিয়েছে, ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং ভবিষ্যতে যাত্রীদের লিথিয়াম ব্যাটারি বহনের নিয়ম আরও কঠোর করা হবে।

অক্টোবর ১৯, ২০২৫ 0
গাজায় এবার গৃহযুদ্ধের শঙ্কা, ফিলিস্তিনি সাংবাদিকসহ নিহত ২৮
গাজায় এবার গৃহযুদ্ধের শঙ্কা, ফিলিস্তিনি সাংবাদিকসহ নিহত ২৮

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ফিলিস্তিনের গাজায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে গাজা থেকে আংশিকভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ইসরায়েলি সেনাদের। কিন্তু, সেনা প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গেই গাজায় দানা বাঁধছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল। প্রভাবশালী দুগমুশ গোত্রের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী এক সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে হামাসের। এতে এখন পর্যন্ত এক ফিলিস্তিনি সাংবাদিকসহ অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন।    সোমবার (১৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।    প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার (১১ অক্টোবর) থেকে হামাস ও দুগমুশ গোত্রের মধ্যে শুরু হওয়া এই নজিরবিহীন অভ্যন্তরীণ সংঘাতে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় নতুন করে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই সংঘাতের খবর সংগ্রহ করতে গিয়েই রোববার গাজা শহরের সাবরা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান ফিলিস্তিনি সাংবাদিক সালেহ আল-জাফরাউয়ি (২৮)। যুদ্ধের খবরাখবর নিয়ে ভিডিও তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছিলেন তিনি।    আল-জাজিরা জানিয়েছে, ‘প্রেস’ লেখা জ্যাকেট পরা অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, ইসরায়েলি সেনারা সরে যাওয়ার পর বিভিন্ন এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে সম্প্রতি নিজেদের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় সাত হাজার সদস্যকে পুনরায় তলব করেছে হামাস। একইসঙ্গে সামরিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পাঁচজনকে নতুন গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে গোষ্ঠীটি।    ‘গাজাকে আইন অমান্যকারী এবং ইসরায়েলের সহযোগীদের থেকে মুক্ত করার’ লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে হামাসের পক্ষ থেকে।   ইসরায়েলি সেনারা সরে যেতেই গাজার বিভিন্ন জেলায় বেসামরিক পোশাকে এবং গাজা পুলিশের নীল উর্দিতে টহল দিতে দেখা যায় সশস্ত্র হামাস সদস্যদের। যদিও হামাসের মিডিয়া অফিস রাস্তায় যোদ্ধা মোতায়েনের বিষয়টি অস্বীকার করে।   এই তৎপরতার মধ্যেই গাজা শহরের সাবরা এলাকায় দুগমুশ গোত্রের বন্দুকধারীদের গুলিতে হামাসের এলিট ফোর্সের দুই সদস্য নিহত হলে ভয়ংকর হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। নিহতদের একজন ছিলেন হামাসের সশস্ত্র শাখার সামরিক গোয়েন্দা প্রধান ইমাদ আকেলের ছেলে।   প্রকাশ্য রাস্তায় তাদের মৃতদেহ ফেলে রাখা হলে হামাসের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। প্রতিক্রিয়াস্বরূপ দুগমুশ গোত্রের একটি বিশাল এলাকা ঘিরে ফেলে হামাস যোদ্ধারা। এরপরই উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হয়।   শনিবার থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে দুগমুশ গোত্রের ১৯ জন এবং হামাসের ৮ সদস্য নিহত হয়েছেন। হামাস পরিচালিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় তাদের আটজন সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন।   সংঘর্ষের সূত্রপাত নিয়ে উভয় পক্ষই পরস্পরকে দোষারোপ করেছে। দুগমুশ পরিবারের একটি সূত্র স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় তাদের বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় তারা সাবেক জর্ডান হাসপাতাল ভবনে আশ্রয় নিয়েছিল। হামাস সেখান থেকে তাদের উচ্ছেদ করে নিজেদের ঘাঁটি স্থাপন করতে চেয়েছিল।   যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় নতুন করে এই অভ্যন্তরীণ রক্তপাতের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে গভীর উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। গাজায় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকা একজন অবসরপ্রাপ্ত নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, যুদ্ধের সময় হামাসের অস্ত্রাগার থেকে হাজার হাজার অস্ত্র লুট হয়েছে, যা গৃহযুদ্ধের জন্য একটি ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে।  

অক্টোবর ১৩, ২০২৫ 0
জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপ সেরেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভয়ংকর পদক্ষেপের বার্তা ট্রাম্পের
জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপ সেরেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভয়ংকর পদক্ষেপের বার্তা ট্রাম্পের

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যক্রম শুরুর পর এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্ণ মনোযোগ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের দিকে। সবশেষ দুই দিনে দ্বিতীয়বারের মতো ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন তিনি। আর এই ফোনালাপের পরই রাশিয়ার উদ্দেশে কড়া এক বার্তা এসেছে তার পক্ষ থেকে।    সোমবার (১৩ অক্টোবর) এএফপি ও বিবিসির পৃথক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এ তথ্য।     ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ একটি পোস্ট করেছেন জেলেনস্কি। আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে উল্লেখ করে সেখানে তিনি লিখেছেন, আমরা পরিস্থিতির সব দিক নিয়ে আলোচনা করেছি। আমাদের দেশের মানুষ ও বিমান প্রতিরক্ষা এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা বৃদ্ধির ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে।   এদিকে মার্কিন এক সূত্রে জানা গেছে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ট্রাম্পের কাছে দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘টমাহক’ চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।  পরে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে প্রশ্ন করলে সে কথা স্বীকার করেন তিনি। এরপর জেলেনস্কির এই আবদার রাখবেন কি না, সেই প্রশ্নে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে ভাবছেন উল্লেখ করে ট্রাম্প উত্তর দেন ‘দেখা যাক... পাঠাতে পারি।’   তবে, এর আগে কিয়েভকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের ব্যাপারে ওয়াশিংটনকে সতর্ক করে দিয়েছে মস্কো। পুতিন প্রশাসন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি তেমন কোনও পদক্ষেপ নেয়, তবে তা সংঘাতের তীব্রতা বৃদ্ধি করবে এবং রুধ-মার্কিন সম্পর্কের উপর চাপ সৃষ্টি করবে।   উল্লেখ্য, টমাহক হচ্ছে এক ভয়ানক শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র, যা পাল্লা ২,৫০০ কিলোমিটার (১,৫০০ মাইল) পর্যন্ত হতে পারে। ইউক্রেন এটি পেয়ে গেলে মস্কোকে তারা নাগালের মধ্যে পেয়ে যাবে।   ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, আমি রাশিয়াকে এটা বলতে পারি, যদি যুদ্ধের মীমাংসা না হয়, তাহলে আমরা হয়তো টমাহক পাঠাতে পারি। রাশিয়া সম্ভবত চাইবে না যে, টমাহক তাদের দিকে এগিয়ে যাক।   অনেক দিন ধরেই দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অনুরোধ জানিয়ে আসছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কারণ, এর মাধ্যমে ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে রাশিয়ার অনেক গভীরে আঘাত করা সম্ভব।   রাশিয়া অবশ্য ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের টমাহক পাঠানোর সিদ্ধান্তকে খুব একটা পাত্তা দেয়নি। মস্কো বলেছে, টমাহক হোক বা অন্য কিছু; তা তাদের সিদ্ধান্তে তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না। 

অক্টোবর ১৩, ২০২৫ 0
শান্তিতে নোবেলজয়ী মাচাদো 'গণতন্ত্রকামী' নাকি 'মার্কিন পুতুল'
শান্তিতে নোবেলজয়ী মাচাদো 'গণতন্ত্রকামী' নাকি 'মার্কিন পুতুল'?

চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন ভেনেজুয়েলার সাবেক বিরোধী দলীয় নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করে নরওয়ের নোবেল কমিটি। আর নোবেল জেতার পরপরই পুরস্কারটি তিনি উৎসর্গ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে।   শুধু তাই নয়; ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর কট্টর বিরোধী এই রাজনীতিবিদ ইসরায়েল ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর একজন প্রকাশ্য সমর্থকও।    শনিবার (১১ অক্টোবর) জর্ডানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রোয়া নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এ তথ্য।     প্রতিবেদন অনুযায়ী, শান্তিতে নোবেল জয়ের পরপরই মাচাদোর একটি সাক্ষাৎকার ভাইরাল হয়েছে, যেটি তিনি এক ইসরায়েলি টিভিকে দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি গর্বের সঙ্গে বলেন, আমি বিশ্বাস করি এবং আমি ঘোষণা দিচ্ছি, ইসরায়েলের সমর্থনে আমাদের দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তর করা হবে।   এছাড়া, ২০১৮ সালে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কাছে একটি চিঠি লেখেন তিনি। ওই চিঠিতে নিকোলাস মাদুরোর সরকারকে উৎখাত করতে ভেনেজুয়েলায় সামরিক হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েলকে আহ্বান জানান তিনি।   এমনকি গাজায় ইসরায়েল যে বর্বরতা চালিয়ে আসছে, সেটির পক্ষেও নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেছিলেন ভেনেজুয়েলার এ নারী রাজনীতিবিদ।   সবশেষ নোবেল জয়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মাচাদো তার পুরস্কারটি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে উৎসর্গ করেছেন।   ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বেশ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে ভেনেজুয়েলার এ নেত্রীর। তিনি আত্মগোপনে থেকে ভেনেজুয়েলার সরকারের বিরুদ্ধে বিদেশি সমর্থন আদায়ের চেষ্টাও করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও মারিয়ার প্রশংসা করে বলেছিলেন, মারিয়া হলেন স্থিতিস্থাপকতা, দৃঢ়তা এবং দেশপ্রেমের মূর্ত প্রতীক।   ২০২৪ সালে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর এই মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে গ্রেপ্তার করেছিল মাদুরও সরকার। ওই সময় ট্রাম্প নিজে তার মুক্তির জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন।   এদিকে ‘গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী’ হিসেবে বিশ্বব্যাপী পরিচয় পাওয়া মারিয়া কোরিনা মাচাদো নোবেল পাওয়ার পর ভেনেজুয়েলায় তার কর্মকাণ্ড নিয়ে একটি কলাম লিখেছেন ‘কোডপিংকের’ লাতিন আমেরিকা ক্যাম্পেইন কো-অর্ডিনেটর ও জন্মসূত্রে ভেনেজুয়েলার নাগরিক মিচেল এলনার। সেখানে স্পষ্ট ভাষায় এ কলামিস্ট  লিখেছেন, ‘মারিয়ার মতো ডানপন্থিরা যখন নোবেল শান্তি পুরস্কার জেতে তখন শান্তির আসলে কোনো অর্থ হয় না।’   সেই লেখায় মাচাদোর ‘কালো কীর্তির’ একটি বড় তালিকা দিয়েছেন এলনার। এতে তিনি উল্লেখ করেছেন— মারিয়া মাচাদো ২০০২ সালের ভেনেজুয়েলার সামরিক অভ্যুত্থানে সহায়তা করেছিলেন, যেটি স্বল্প সময়ের জন্য একটি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করেছিল। এছাড়া, তিনি কারামোনা ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছিলেন, যেটি রাতারাতি ভেনেজুয়েলার সংবিধান এবং সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিলুপ্তি ঘটিয়েছিল।   ভেনেজুয়েলার সরকার উৎখাতে মাচাদো অনেকটা প্রকাশ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করেছেন। নিজের অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে ভেনেজুয়েলাকে ‘স্বাধীন’ করতে বিদেশি সেনাদের হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন।   মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েকদিন আগে ভেনেজুয়েলায় হামলার হুমকি দিয়েছিলেন এবং সেটিকে উৎফুল্লভাবে সমর্থন জানিয়েছিলেন মারিয়া। এছাড়া, ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েনকেও সমর্থন করেছেন তিনি।   ভেনেজুয়েলার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতেও যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছিলেন মারিয়া মাচাদো, যদিও তিনি জানেন এ নিষেধাজ্ঞার ফল ভোগ করবে গরীব, অসুস্থ ও কর্মজীবী মানুষরা।   এমনকি ভেনেজুয়েলায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় কথিত ‘অন্তর্বর্তী সরকার’ও গঠন করেছিলেন মাচাদো এবং নিজেই নিজেকে সেই সরকারের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেছিলেন তিনি।   প্রকাশ্যে ইসরায়েলকে সমর্থন জানিয়ে শান্তিতে নোবেলজয়ী এ নেত্রী জানিয়েছিলেন, কখনো ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হলে তিনি দেশটির ইসরায়েলি দূতাবাস ফিলিস্তিনের দখলকৃত জেরুজালেমে স্থানান্তর করবেন। ফিলিস্তিনের গাজায় আগ্রাসনের ব্যাপারে দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে একাত্বতাও প্রকাশ করে তিনি।   আর এখন মাচাদো বলছেন ভেনেজুয়েলার তেল, পানি এবং অবকাঠামো বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার কথা। ১৯৯০ সালের দিকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে লাতিন আমেরিকার বেশিরভাগ দেশের পরিস্থিতি শুধু খারাপই হয়েছিল।   এছাড়া, ২০১৪ সালে ভেনেজুয়েলাজুড়ে ‘লা সালিদা’ নামে একটি আন্দোলন শুরু করেন এই মারিয়া করিনা মাচাদো। পশ্চিমা গণমাধ্যম আন্দোলনটিকে শান্তিপ্রিয় হিসেবে দেখালেও; প্রকৃতপক্ষে সেটি ছিল সহিংস।  

অক্টোবর ১১, ২০২৫ 0
মারিয়া কোরিনা মাচাদো। প্রতীকী ছবি
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা

২০২৫ সালের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয় করেছেন ভেনেজুয়েলার রাজনীতিক ও গণতন্ত্রকর্মী মারিয়া কোরিনা মাচাদো। নরওয়ের রাজধানী অসলো থেকে শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩টায় নোবেল কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে তার নাম ঘোষণা করে।   দীর্ঘদিন ধরে ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার রক্ষায় নিরলসভাবে লড়াই করে যাচ্ছেন মাচাদো। নোবেল কমিটি জানিয়েছে, তিনি জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে অবিচল থেকেছেন এবং দেশকে একনায়কতন্ত্র থেকে শান্তিপূর্ণভাবে গণতন্ত্রে ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে উঠেছেন।   বিশ্বজুড়ে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারকে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০০৬ সালে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে এই পুরস্কার অর্জন করেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আর ২০১৪ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে মালালা ইউসুফজাই এই পুরস্কার পেয়ে ইতিহাসের সবচেয়ে কনিষ্ঠ নোবেলজয়ী হন। অপরদিকে, সবচেয়ে প্রবীণ বিজয়ী ছিলেন জোসেফ রটব্লাট, যিনি ১৯৯৫ সালে এই পুরস্কার পান।   এখন পর্যন্ত মোট ৩১টি প্রতিষ্ঠান শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের সম্মান পেয়েছে। গত বছর পুরস্কার জিতেছিল জাপানের সংগঠন নিহন হিদানকিও, যারা হিরোশিমা-নাগাসাকির পারমাণবিক বোমা হামলার বেঁচে থাকা মানুষদের প্রতিনিধিত্ব করে এবং পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত পৃথিবীর জন্য কাজ করছে।   এবারের শান্তি পুরস্কারের জন্য নোবেল কমিটির কাছে জমা পড়েছিল ৩৩৮টি মনোনয়ন, যার মধ্যে ছিল ২৪৪ জন ব্যক্তি ও ৯৪টি সংস্থা। আলোচনায় ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, সুদানের ইমারজেন্সি রেসপন্স রুমস, এবং কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (CPJ)—যারা যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে মানবাধিকার ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করছে।   প্রতিটি নোবেল পুরস্কারের আর্থিক মূল্য ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার (প্রায় ১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার), বিজয়ীরা পান একটি সোনার পদক ও ডিপ্লোমা। এদিকে, পুরস্কার ঘোষণার পর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমালোচনার সুরে বলেন, “ওবামা নোবেল পেয়েছিলেন, কিন্তু জানতেন না কেন। আমি আটটি যুদ্ধ বন্ধ করেছি, অথচ আমাকেই বঞ্চিত করা হলো।”   বিশ্লেষকরা বলছেন, মাচাদোর জয় শুধু ভেনেজুয়েলার নয়—এটি গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শান্তিপূর্ণ পরিবর্তনের পক্ষে এক বৈশ্বিক প্রতীকী বিজয়।

অক্টোবর ১০, ২০২৫ 0
সামরিক অভিযানে ১৯ ভারতীয় প্রক্সি সন্ত্রাসী নিহত, সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ল!
সামরিক অভিযানে ১৯ ভারতীয় প্রক্সি সন্ত্রাসী নিহত, সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ল!

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দেশটির সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে বড় ধরনের সাফল্য অর্জন করেছে। খাইবার পাখতুনখোয়ার ওরাকজাই জেলায় মঙ্গলবার গভীর রাতে পরিচালিত এক অভিযানে ১৯ ভারতীয় প্রক্সি সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। তবে অভিযানের সময় এক লেফটেন্যান্ট কর্নেল, এক মেজরসহ ১১ জন সেনা শহীদ হন।   পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআর বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান শুরু করে। উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র গোলাগুলিতে এই ফলাফল আসে। নিহত সন্ত্রাসীদের পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতীয় স্বার্থে কাজ করা প্রক্সি যোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।   অভিযানের সময় শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুনায়েদ তারিক (৩৯) ও মেজর তৈয়ব রাহাত (৩৩) ছাড়াও ৯ জন সেনা সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। আইএসপিআর বলেছে, সন্ত্রাসীদের নির্মূল ও সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে অভিযান চলবে।   প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফও এই অভিযানকে প্রশংসা করেছেন এবং শহীদ সেনাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সমবেদনা জানিয়েছেন। খাইবার পাখতুনখোয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা দীর্ঘদিন ধরেই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় পরিচালিত প্রক্সি গোষ্ঠীর কার্যক্রম রুখতে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।   সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সাম্প্রতিক এই অভিযান দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি শক্তিশালী করার গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। পাকিস্তান পুনরায় প্রমাণ করেছে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে এবং দেশকে নিরাপদ রাখতে তারা পিছু হটবে না।

অক্টোবর ৮, ২০২৫ 0
ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ বাংলাদেশি নিহত
ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ বাংলাদেশি নিহত

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের দুকুম সিদরা এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের সাত বাংলাদেশির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।   বুধবার (৮ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।    স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, দুকুম এলাকায় মাছধরা শেষে ফেরার পথে একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই কয়েকজনের মৃত্যু হয় এবং বাকিরা হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। বর্তমানে মরদেহগুলো দুকুম হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।    নিহতদের সবাই চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার সারিকাইত ইউনিয়নের বাসিন্দা। একসঙ্গে একই এলাকার সাত প্রবাসীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো এলাকায়।   সারিকাইতের এক বাসিন্দা বলেন, একটা পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য ছিলেন কেউ কেউ। এই দুর্ঘটনার খবর সহ্য করা সত্যিই কঠিন।   ওমানপ্রবাসী বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাংলাদেশ দূতাবাসও বিষয়টি তদারকি করছে বলে জানা গেছে।

অক্টোবর ৮, ২০২৫ 0
গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেই নেতানিয়াহুর ভয়ংকর হুমকি
গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেই নেতানিয়াহুর ভয়ংকর হুমকি

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি অমানবিক আগ্রাসনের দুই বছর পার হয়ে গেল। এখনও অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটিতে বন্ধ হয়নি দখলদারদের নৃশংস হত্যাকাণ্ড। বৈশ্বিক চাপের মুখে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে ইতোমধ্যে ২০ দফা পরিকল্পনা সামনে এনেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্রুত গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকরে একটি চুক্তি সম্পন্ন হতে যাচ্ছে বলে আশাও প্রকাশ করেছেন তিনি। এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে মিশরে আলোচনায় বসেছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের প্রতিনিধি দল।    অথচ, যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলমান থাকা অবস্থায়ই ভয়ংকর হুমকি দিয়ে বসেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সব উদ্দেশ্য হাসিল না হওয়া পর্যন্ত গাজায় নিজেদের আগ্রাসন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা এসেছে তার পক্ষ থেকে।    মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের দুই বছর পূর্ণ হয়। এদিন এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল যুদ্ধের সব লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে। এর মধ্যে রয়েছে বন্দিদের মুক্তি, হামাসের শাসন শেষ করা এবং গাজাকে আর কখনো ইসরায়েলের জন্য হুমকি হতে না দেওয়া।   অথচ একইদিন হোয়াইট হাউজে এক বক্তব্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, গাজা ইস্যুতে একটি ‌‘বাস্তব চুক্তির সম্ভাবনা’ তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার মিশরের শার্ম আল-শেইখ শহরে দ্বিতীয় দিনের আলোচনা শেষ হয়েছে।   বুধবারও আলোচনার ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে। এতে যুক্ত হতে যাচ্ছেন কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারাও।   মঙ্গলবার দিনের শুরুতেই হামাসসহ কয়েকটি ফিলিস্তিনি সংগঠন এক যৌথ বিবৃতিতে জানায়, তারা ‘যে কোনো উপায়ে প্রতিরোধ অব্যাহত রাখবে।’    বিবৃতিতে বলা হয়, ফিলিস্তিনিদের অস্ত্র কেড়ে নেওয়ার অধিকার কারো নেই। এটা সম্ভবত ট্রাম্পের পরিকল্পনায় হামাসকে নিরস্ত্র করার শর্তের জবাব ছিল।   হামাসের শীর্ষ নেতা ফাওজি বারহুম জানান, তারা যুদ্ধের সমাপ্তি ও ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার চান। তবে, ট্রাম্পের পরিকল্পনায় এই সেনা প্রত্যাহারের নির্দিষ্ট সময়সূচি উল্লেখ নেই। পরিকল্পনা অনুযায়ী, হামাস ৪৮ জন ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার পরই ধাপে ধাপে সেনা প্রত্যাহার শুরু হবে। এর মধ্যে ২০ জনকে জীবিত রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।   নাম প্রকাশ করা না শর্তে এক হামাস কর্মকর্তা আল জাজিরাকে বলেন, বন্দিদেরকে ধাপে ধাপে মুক্তি দিতে চান তারা, যা ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের অগ্রগতির সঙ্গে যুক্ত থাকবে। মঙ্গলবারের আলোচনায় বন্দি বিনিময়ের সময়সূচি ও সেনা প্রত্যাহারের মানচিত্র নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হামাস জানায়, শেষ বন্দি মুক্তির সময়ই ইসরায়েলের চূড়ান্ত সেনা প্রত্যাহার ঘটতে হবে।   হামাসের শীর্ষ আলোচক খালিল আল-হায়্যা বলেন, তারা ইসরায়েলের ওপর ‘এক মুহূর্তের জন্যও ভরসা করেন না’ এবং যুদ্ধ সম্পূর্ণভাবে বন্ধের বাস্তব নিশ্চয়তা চান। তিনি বলেন, ইতিহাস স্বাক্ষী যে ইসরাইল কোনো প্রতিশ্রুতি রাখেনি। গাজা যুদ্ধে এই অভিজ্ঞতা তাদের দু’বার হয়েছে।

অক্টোবর ৮, ২০২৫ 0
পাকিস্তানকে মানচিত্র থেকে মুছে দেব: ভারতীয় সেনাপ্রধান

বর্তমানে ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক উত্তেজনা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। যুদ্ধ থাকলেও কথা লড়াইয়ে কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছেনা। এবার পাকিস্তানকে মানচিত্র থেকে মুছে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী।  শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাজস্থানের অনুপগড়ে একটি সেনা পোস্ট পরিদর্শনে গিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, ভারত পাকিস্তানকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে। সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন বন্ধ করতে হবে। নয়তো তার ভৌগোলিক উপস্থিতি হারানোর ঝুঁকি নিতে হবে। বিশ্ব মানচিত্রে টিকে থাকতে চাইলে পাকিস্তানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়া থেকে সরে আসতে হবে। তিনি বলেন, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী অপারেশন সিঁদুর ১.০-এর সময় যে সংযম দেখিয়েছিল, তা এবার আর দেখাবে না। এবার আরও সিদ্ধান্তমূলক কঠোর প্রতিক্রিয়ার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, আমরা অপারেশন সিঁদুর ১.০-তে সংযম দেখিয়েছিলাম। আর তা বজায় রাখব না। সেনাপ্রধান আরও বলেন, আমরা এমন কিছু করব যা পাকিস্তানকে ভাবতে বাধ্য করবে যে তারা বিশ্ব মানচিত্রে তার স্থান ধরে রাখতে চায় কিনা। যদি পাকিস্তান মানচিত্রে তার স্থান ধরে রাখতে চায়, তাহলে তাদের অবশ্যই রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করতে হবে। তার মতে, সন্ত্রাসবাদে সম্পৃক্ত পাকিস্তান। এর ভুক্তভোগী ভারত। তাই নয়াদিল্লি তার সীমান্ত এবং নাগরিকদের রক্ষা করার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। ভারতের ধৈর্যের সীমা রয়েছে এবং উসকানি অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতের সামরিক প্রতিক্রিয়ায় সংযম দেখাবেন না তারা। জেনারেল দ্বিবেদী জোর দিয়ে বলেন, ভারতীয় বাহিনী যে কোনো পরিস্থিতির জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। রাষ্ট্র-সমর্থিত সন্ত্রাস সহ্য করা হবে না । আন্তর্জাতিক ও ভৌগোলিক প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখার জন্য পাকিস্তানকে তার পদক্ষেপ পুনর্বিবেচনা করতে হবে।

অক্টোবর ৩, ২০২৫ 0
ইসরায়েলের বাধা উপেক্ষা করে এগিয়ে যাচ্ছে ফ্লোটিলার ৩০টি নৌযান। ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলের বাধা উপেক্ষা করে এগিয়ে যাচ্ছে ফ্লোটিলার ৩০টি নৌযান

গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী জাহাজ বহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার’ ১৩টি নৌযান আটক করেছে ইসরায়েলের নৌবাহিনী। তবে এখনও গাজার উদ্দেশে এগিয়ে চলছে বহরের ৩০টি নৌযান। বুধাবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় ফ্লোটিলার ১৩টি নৌযান আটকের তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বার্তায় বলা হয়েছে, হামাস-সুমুদ ফ্লোটিলার বেশ কয়েকটি নৌযান থামিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং সেসব নৌযানে থাকা যাত্রীদের নিরাপদভাবে ইসরায়েলের বন্দরে নিয়ে আসা হয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ছিলেন ফ্লোটিলার নৌযানবহরে। তাকেসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক্সবার্তায় এ সম্পর্কে  বলা হয়েছে, গ্রেটা থুনবার্গ এবং তার বন্ধুরা নিরাপদ ও শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন, গ্লেবাল মুভমেন্ট টু গাজা, মাগরেব সুমুদ ফ্লোটিলা এবং সুমুদ নুসানতারা—এই চার আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ঐক্যমঞ্চ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বন্দর থেকে খাদ্য ও ওষুধে পূর্ণ ৪৩টি নৌযানের বহর নিয়ে গাজার উদ্দেশে রওনা দেয় গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। জাহাজগুলোতে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আছেন ৪৪টি দেশের ৫০০ জন নাগরিক। এই নাগরিকদের কেউ পার্লামেন্টারিয়ান, কেউ আইনজীবী, কেউ রাজনৈতিক আন্দোলনকর্মী এবং কেউ বা স্বেচ্ছাসেবী।   বুধবার ভূমধ্যসাগরের গাজা উপকূলের কাছাকাছি চলে এসেছিল গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার নৌবহর। সেদিন সন্ধ্যার পর গাজা উপকূল থেকে ১৩০ কিলোমিটার দূরে থাকা অবস্থায় নৌবহরের চারপাশ ঘিরে ধরে ইসরায়েলি নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ এবং বহরের ১৩টি নৌযান আটক করে। আটক নৌযানগুলোর মধ্যে ৩টির নাম জানা গেছে— স্পেক্টার, অ্যালমা এবং সাইরাস। ইসরায়েলি নৌবাহিনীর আটক করা নৌযানগুলোর যাত্রীরা সমাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করেছেন। গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য খাদ্য ও ওষুধ নিয়ে যাওয়ার মতো একটি অহিংস উদ্যোগে ইসরায়েলের বাধা প্রদানের নিন্দা জানিয়েছেন তারা। পাশাপাশি ইসরায়েলের নৌবাহিনীর দ্বারা অপহরণের শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তারা। অনেকে নিজের পাসপোর্টসহ ছবি-ভিডিও পোস্ট করেছেন। বুধবার রাতে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার নৌযান আটকের পর উদ্বেগ জানান আয়ারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা বার্তায় তিনি বলেন, আজ রাতে যা ঘটল— তা খুবই উদ্বেগজনক। এটি ছিল একটি শান্তিপূর্ণ মিশন, যার মূল লক্ষ্যছিল গাজায় চলমান ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতির শিকারদের পাশে দাঁড়ানো। তবে ইসরায়েলি নৌবাহিনী ১৩টি নৌযান আটকে দিলেও বাকি ৩০টি নৌযান গাজার উপকূলের উদ্দেশে তাদের যাত্রা অব্যাহত রেখেছে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। বুধবার ১৩টি জাহাজ আটকের পর এক বিবৃতিতে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার পক্ষ থেকে ভলা হয়েছে, ইসরায়েলের এসব অবৈধ পদক্ষেপ আমাদের আটকে রাখতে পারবে না। আমরা আমাদের মিশন চালিয়ে যাব এবং গাজায় একটি মানবিক করিডর খুলব। সূত্র: রয়টার্স, আলজাজিরা

অক্টোবর ২, ২০২৫ 0
গাজামুখী সুমুদ ফ্লোটিলা থেকে ৩৭ দেশের দুই শতাধিক মানুষ আটক। ছবি: সংগৃহীত
গাজামুখী সুমুদ ফ্লোটিলা থেকে ৩৭ দেশের দুই শতাধিক মানুষ আটক

গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী জাহাজ বহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার’ ১৩টি নৌযান আটক করেছে ইসরাইল।  এ ছাড়া নৌযানগুলোতে থাকা ৩৭ দেশের ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে আটক করেছে দখলদার বাহিনী। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।   সংগঠনটির মুখপাত্র সাইফ আবুকেশেক ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক বার্তায় জানিয়েছেন, আটক হওয়া নৌযানগুলোতে ৩৭ দেশের ২০১ জন কর্মী ছিলেন। তাদের মধ্যে কেবল স্পেন থেকেই ছিলেন ৩০ জন। এছাড়া আটককৃতদের মধ্যে ইতালি থেকে ২২ জন, তুরস্ক থেকে ২১ জন এবং মালয়েশিয়া থেকে ১২ জন রয়েছেন।   আবু কেশেক জানান, আটক ও  নৌযান ঘেরাও-এর পরও তাদের মিশন থেমে নেই।   তিনি বলেন, এখনও প্রায় ৩০টি নৌকা ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে গাজার উপকূলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। দখলদার বাহিনীর সামরিক জাহাজগুলোর বাধা ঠেকিয়ে এগিয়ে চলেছেন তারা। গাজায় অবরোধ ভাঙতে ভোরের মধ্যেই পৌঁছানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন অংশগ্রহণকারীরা।   এদিকে ফ্লোটিলার পথরোধের প্রতিবাদে ইতালিতে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে দেশটির বৃহত্তম শ্রমিক সংগঠন।   গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা। এই নৌবহরে রয়েছে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান। এই বহরে প্রায় ৪৪টি দেশের ৫০০ মানুষের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক।   গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার প্রথম বহর গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। এরপর ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরও নৌযান এই বহরে যুক্ত হয়। এ ছাড়া গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকে পরবর্তী সময়ে আরও কিছু নৌযান ত্রাণ নিয়ে বহরে যুক্ত হয়। বর্তমানে বহরটিতে ৪০টি বেশি নৌযান রয়েছে।

অক্টোবর ২, ২০২৫ 0
নতুন পে-স্কেল কার্যকর হলে বেতন বাড়বে যে হারে
নতুন পে-স্কেল কার্যকর হলে বেতন বাড়বে যে হারে

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদেই গেজেটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে। এজন্য পরবর্তী রাজনৈতিক সরকার পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে না। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটেই এ খাতে তহবিল বরাদ্দ রাখা হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ড. সালেহউদ্দিন বলেন, আগামী বছরের মার্চ বা এপ্রিলে নতুন পে-স্কেল কার্যকর করতে হলে চলতি বাজেটেই অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। ডিসেম্বরে বাজেট সংশোধন শুরু হলে সেখানে এ বিধান যুক্ত করা হবে। উপদেষ্টা আরো বলেন, আগামী বছরের মার্চ বা এপ্রিলে নতুন পে-স্কেল যদি কার্যকর করতে হয়, তাহলে চলতি অর্থবছরের বাজেটেই সে জন্য অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। বাজেট সংশোধন শুরু হবে ডিসেম্বরে, সেখানে নতুন পে-স্কেল কার্যকর করার বিধান যুক্ত করা হবে। সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করতে গত ২৪ জুলাই একটি পে কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খান সম্প্রতি বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই তারা সরকারের কাছে নিজেদের সুপারিশগুলো জমা দেবেন। এদিকে পে-স্কেল যদি আগামী অর্থবছরের আগেই কার্যকর হয়, সে ক্ষেত্রে কেমন হবে সেই বেতন কাঠামো—সেটি নিয়েও পর্যালোচনা করা হচ্ছে। জাতীয় বেতন কমিশন ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। কর্মচারীর পরিবারের সদস্য ছয়জন ধরে আর্থিক ব্যয় হিসাব করতে বলা হয়েছে। বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পর্যালোচনা করে সরকারের কাছে সুপারিশ দেবে এ কমিশন। কর্মচারীর পরিবারের সদস্য ছয়জন ধরে আর্থিক ব্যয় হিসাব করতে বলা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গেল ২৯ সেপ্টেম্বর প্রথম সভা করেছে কমিশন। সেই সভা থেকে পরবর্তী ছয় মাসের মধ্যে সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেবে কমিশন। কমিশনের একজন সদস্য বলেন, নতুন পে-স্কেলের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন গ্রেডের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। এ ছাড়া বিদ্যমান পে-স্কেলের তুলনায় গড়ে কী হারে বাড়ানো হবে, সেটাও চূড়ান্ত নয়। তবে ওই সদস্য আভাস দেন—বর্তমানে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতনের অনুপাত ১০:১, যা নতুন কাঠামোতেও ৮:১ থেকে ১০:১-এর মধ্যে থাকবে। প্রতিবেশী দেশগুলোতেও এ ধরনের অনুপাত প্রচলিত। ফলে বিদ্যমান ২০টি গ্রেড থেকে গ্রেডের সংখ্যা যদি কমানোও হয়, তার পরেও সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন বেতনের ক্ষেত্রে একই অনুপাত বহাল রাখার সুপারিশ করবে কমিশন। জানা গেছে, কমিশন চিকিৎসা ও শিক্ষা ভাতা বাড়ানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে একজন কর্মচারী চাকরির শুরু থেকে অবসর পর্যন্ত মাসে ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। কমিশন এ ভাতা বাড়ানোর পাশাপাশি অবসরোত্তর সময়ের জন্যও বাড়তি সুবিধা রাখার পরিকল্পনা করছে। সন্তানদের শিক্ষা ভাতাও বাড়ানোর সুপারিশ থাকবে।

অক্টোবর ১, ২০২৫ 0
৪৭টি নৌযান নিয়ে গাজামুখী বহরটি ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নামে পরিচিত। ছবি: সংগৃহীত
গাজার আরও কাছে ‘ফ্লোটিলা’, হামলার পরিকল্পনা ইসরায়েলের

মানবিক সাহায্য নিয়ে গাজার দিকে এগিয়ে যাওয়া ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ এখন উপত্যকা থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।  বুধবার (১ অক্টোবর) সকালে ফ্লোটিলার কর্মীরা এই ঘোষণা দিলেও ইসরায়েলি নৌবাহিনী এই নৌবহরকে জোরপূর্বক আটক করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।   ইতোমধ্যেই ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ফ্লোটিলার নেতাদের কাছে স্পষ্ট বার্তা পাঠিয়েছে যে, তাদের গাজা উপকূলে পৌঁছাতে দেওয়া হবে না। এর জবাবে ফ্লোটিলার কর্মীরা ত্রাণ নিয়ে সরাসরি গাজায় পৌঁছানোর বিষয়ে দৃঢ়তা দেখাচ্ছে এবং ইসরায়েলের সমস্ত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।   ইসরায়েলি ইয়নত নিউজের প্রতিবেদন অনুসারে, সামরিক ও নৌবাহিনী জোরপূর্বক নৌবহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সম্ভাবনার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। নৌবহরটিকে বন্দরে আনার জন্য ইতোমধ্যে আশদোদ বন্দরে প্রায় ৬০০ পুলিশ কর্মকর্তাকে মোতায়েন করা হয়েছে।   ফ্লোটিলার আয়োজকরা জানিয়েছেন, তারা একটি উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে প্রবেশ করেছেন এবং তাদের জাহাজের উপরে ড্রোনের তৎপরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ ভোরেও ইসরায়েলি নৌবাহিনীর একটি কৌশল ব্যর্থ হয়েছে বলে তারা দাবি করেন।   ইসরায়েলি বাহিনী জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থানবার্গ, আইনজীবী এবং বিভিন্ন দেশের সংসদ সদস্যসহ ফ্লোটিলার নেতাদের কাছে বার্তা পাঠিয়ে বিকল্প পথ দিয়েছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, যদি তারা মানবিক সাহায্য পৌঁছে দিতে চান, তবে তারা আশদোদ বন্দরে নোঙর করতে পারেন। সেখানে পণ্য খালাস হলে ইসরায়েল তা গাজায় স্থানান্তর করবে। তবে ফ্লোটিলার কর্মীরা এই বিকল্প প্রস্তাবে রাজি হননি।   প্রসঙ্গত, ৫০টি জাহাজ এবং প্রায় ৫০০ জন অংশগ্রহণকারী নিয়ে গঠিত বর্তমান এই ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ পূর্বের ত্রাণবাহী নৌবহরগুলোর চেয়ে অনেক বড়।

অক্টোবর ১, ২০২৫ 0
টানা ৫৪ ঘণ্টা এক কূপে আটকে ছিলেন এক চীনা নারী। ছবি: সংগৃহীত
কূপে পড়ে ৫৪ ঘণ্টা সাপ-মশার সঙ্গে লড়াই চীনা নারীর, অতঃপর...

দক্ষিণ-পূর্ব চীনে এক নারী দুর্ঘটনাক্রমে সাপ ও মশাভর্তি পরিত্যক্ত কূপে পড়ে যান। এরপর, সেখানেই ৫৪ ঘণ্টা ধরে বেঁচে থাকার লড়াই চালান। অবশেষে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। এই পুরো সময়ে তিনি ক্লান্তি, মশা ও পানিতে থাকা সাপের কামড়ের সঙ্গে লড়েছেন।   হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, ঘটনাটি ঘটে গত ১৩ সেপ্টেম্বর। ফুজিয়ান প্রদেশের কুয়ানঝোউয়ের বনের মধ্যে হাঁটতে গিয়ে ৪৮ বছর বয়সী কুইন নামের ওই নারী হঠাৎ করে গভীর কূপে পড়ে যান। পরে সঙ্গীরা দ্রুতই টের পান যে, তিনি নিখোঁজ হয়েছেন। প্রথমে খোঁজাখুঁজি করেও কোনো তথ্য পাননি তাঁরা। এরপর ১৪ সেপ্টেম্বর তিনি নিখোঁজ হওয়ার খবর পুলিশের কাছে জানান।   এরপর, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। সেই সকালেই তার ছেলে সব চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় জিনজিয়াং রুইটং ব্লু স্কাই ইমার্জেন্সি রেসকিউ সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ১০ জনের একটি উদ্ধারকারী দল পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধান শুরু করে। তাদের কাছে থার্মাল ইমেজিং ড্রোনও ছিল অনুসন্ধানের কাজে সহায়তার জন্য।   দলের ক্যাপ্টেন দু শিয়াহাং জানিয়েছেন, সেদিন বেলা ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে তারা হঠাৎ দুর্বল গলায় সাহায্যের ডাক শুনতে পান। সেই দিকে এগিয়ে গিয়ে দলটি ঘাস-গাছের আড়ালে ঢাকা গভীর কূপটি খুঁজে পান। উদ্ধারকারীরা দ্রুত কূপের মুখের চারপাশের উদ্ভিদ সরিয়ে কুইনকে পানির মধ্যে ভাসমান অবস্থায় দেখেন। তাঁর ফ্যাকাশে আঙুলগুলো কূপের দেওয়ালে চড়া ফাটলগুলো আঁকড়ে ধরে ছিল।   কুইন পরে জানান, সৌভাগ্যক্রমে সাঁতার জানা থাকায় কূপে পড়ার পর তিনি দ্রুতই দেয়ালের গায়ে বেরিয়ে থাকা একটি পাথর ধরে ভাসতে পেরেছিলেন। তবে কূপের অনন্য গঠনের—ওপরের দিকে সরু এবং নিচের দিকে প্রশস্ত—কারণে তিনি দেয়াল বেয়ে ওঠার শক্তি পাননি। এই অবস্থায় তিনি এক হাতে পাথরটি ধরে রাখেন এবং অন্য হাতে আরও তিনটি পাথর খুঁজে বের করে পা রাখার অস্থায়ী জায়গা বানান। দুই হাতে দেয়াল আঁকড়ে ধরে তিনি দুই দিনের বেশি সময় এই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিলেন।   কুইন স্মরণ করে বলেন, ‘অনেকবার আমি সম্পূর্ণভাবে হতাশ হয়ে গিয়েছিলাম। কূপের তলা অন্ধকারে ঢাকা, মশা ঘিরে রেখেছিল, এমনকি কিছু সাপও সেখানে ছিল। আমি মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলাম। একবার পানিতে থাকা সাপ আমার হাতে কামড় দিয়েছিল। ভাগ্যবশত, সেটি বিষধর ছিল না এবং কোনো গুরুতর ক্ষতি হয়নি।’   তিনি আরও বলেন, ‘অনেকবার আমি হাল ছেড়ে দিতে চেয়েছি। কিন্তু তখন আমার ৭০ বছর বয়সী মা, ৮০ বছর বয়সী বাবা, আর কলেজে নতুন ভর্তি হওয়া মেয়েটির কথা মনে পড়ত। যদি আমি তাদের ছেড়ে যেতাম, তারা কী করত? এই চিন্তাই আমাকে ৫৪ ঘণ্টা টিকে থাকার শক্তি জুগিয়েছে।’   উদ্ধারের পর কুইনকে সঙ্গে সঙ্গে জিনজিয়াং সিটি হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং পরে আরও চিকিৎসার জন্য কুয়ানঝোউ ফার্স্ট হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ডাক্তাররা তাঁর দুটি পাঁজর ভাঙা এবং ফুসফুসে সামান্য ক্ষতির কথা জানিয়েছেন। দীর্ঘক্ষণ কূপের দেয়ালে আঁকড়ে থাকার কারণে তাঁর হাত গুরুতরভাবে আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল এবং কয়েক দিনের মধ্যে তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

অক্টোবর ১, ২০২৫ 0
নোবেলের জন্য ট্রাম্পকে সমর্থন করার ব্যাখ্যা দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

২০২৬ সালের নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত বেশ কিছুদিন আগেই নিয়েছিল পাকিস্তান সরকার। তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আসল কারণ অনেকের কাছেই গোপন ছিল। এবার সেই রহস্য প্রকাশ্যে এনেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ট্রাম্প পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা কমিয়েছেন এবং এই অঞ্চলকে বড় ধরনের ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ট্রাম্প যদি পাকিস্তান-ভারত উত্তেজনায় হস্তক্ষেপ না করতেন, তাহলে ‘আরও ধ্বংসযজ্ঞ এবং প্রাণহানি ঘটত’। এ ছাড়াও ট্রাম্প ইথিওপিয়া এবং মিশরের মধ্যে উত্তেজনা কমিয়েছেন, এমনকি ইউক্রেনেও। এছাড়াও, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ফাঁকে ট্রাম্পের সাথে নিজের সাম্প্রতিক বৈঠকের কথা বলতে গিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী জানান, তার ওয়াশিংটন সফর ‘খুব ফলপ্রসূ এবং সফল হয়েছে।’  উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল ভারত-অধিকৃত কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার জন্য ইসলামাবাদকে দোষারোপ করে নয়াদিল্লি, তারা পরে পাকিস্তানে বিমান হামলাও চালায় এবং এরপর প্রতিশোধের মুখোমুখি হয়, যেখান থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।  ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পর উত্তেজনা প্রশমনের মধ্যেই ট্রাম্প দাবি করেন, মার্কিন হস্তক্ষেপই দেশ দুটির মধ্যে ‘পারমাণবিক যুদ্ধ’ ঠেকিয়েছে।   সূত্র: দ্য ডন

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫ 0
চীন সীমান্ত ঘেঁষে অবস্থিত লাদাখে ফুঁসে ওঠা বিক্ষোভ ভয়াবহ সহিংসতার জন্ম দিয়েছে ইতোমধ্যে। ছবি: সংগৃহীত
এবার ভারতে জেন-জি ঝড়, নেপথ্যে কী?

বাংলাদেশ-নেপালের পর এবার জেন জি ঝড় বইতে শুরু করেছে ভারতেও। চীন সীমান্ত ঘেঁষা অঞ্চল লাদাখে ফুঁসে ওঠা এ বিক্ষোভ ভয়াবহ রক্তপাতের জন্ম দিয়েছে ইতোমধ্যে।   সাংবিধানিক সুরক্ষা ও রাজ্য মর্যাদার দাবিতে শুরু হওয়া এই আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত চারজনের প্রাণ গেছে। এরই মধ্যে সহিংস হয়ে ওঠা এই আন্দোলনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে ক্ষমতাসীন বিজেপির কার্যালয়েও।    বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।   কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি বলছে, হিমালয়ের উচ্চভূমির শীতল মরুভূমি অঞ্চল লাদাখে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বারবারই দেখা দিয়েছে ভারত-চীন উত্তেজনা। আর সেখানেই জেন-জি প্রজন্মের নেতৃত্বে ভয়াবহ বিক্ষোভ শুরু হয় বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির আঞ্চলিক কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ তরুণরা।   লাদাখের আঞ্চলিক রাজধানী লেহ শহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ। এতে এখন পর্যন্ত চারজনের প্রাণহানি ঘটেছে; সঙ্গে আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ। সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনীরও বহু সদস্য আহত হয়েছেন।   উল্লেখ্য, রাজ্য মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সাংবিধানিক সুরক্ষার দাবিতে বিগত ছয় বছর ধরে স্থানীয় সিভিল সংগঠনের নেতৃত্বে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা, অনশন কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলেন লাদাখের মানুষ। কিন্তু, বুধবার শান্তিপূর্ণ সেই আন্দোলন ভেঙে সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ে বিক্ষুব্ধ তরুণরা।   অতীতে বহু অনশন কর্মসূচির নেতৃত্ব দিয়েছেন শিক্ষক সোনাম ওয়াংচুক। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, এটা তরুণদের এক ধরনের বিস্ফোরণ— একটা জেন-জি বিপ্লব। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন আর কাজে আসছে না বলে বিশ্বাস জন্মেছে তাদের মধ্যে।   লাদাখে শুরু এই আন্দোলনকে বাংলাদেশ-নেপালসহ সম্প্রতি দক্ষিণ এশিয়ায় ঘটে যাওয়া বিপ্লবগুলোর সঙ্গে তুলনা করছেন তিনি।   যেভাবে লাদাখের ‘শান্তিপূর্ণ’ আন্দোলন বিক্ষুব্ধ ঝড়ের রূপ নিল    বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে লাদাখ এপেক্স বডির নেতৃত্বে ১৫তম দিনে প্রবেশ করে স্থানীয় আন্দোলনকারীদের অনশন। আগের রাতে দুই প্রবীণ অনশনকারীকে হাসপাতালে নিতে হয়। এরপরই সংগঠকেরা লকডাউনের ডাক দেন। একইসঙ্গে মোদি সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনায় বিলম্ব হওয়ার কারণে ক্ষোভ বাড়তে থাকে।   এ পরিস্থিতিতে আন্দোলনের কেন্দ্র মার্টিয়ার্স মেমোরিয়াল পার্ক থেকে বেরিয়ে স্থানীয় সরকারি ভবন ও বিজেপি কার্যালয়ের দিকে অগ্রসর হন তরুণরা এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। এতে চারজন নিহত, আরও অনেকে আহত হন। আহতদের মধ্যে একজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।   লাদাখ এপেক্স বডির সমন্বয়ক জিগমাত পালজোর বলেন, এটা লাদাখের ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন। যারা রাস্তায় দাবি আদায়ে নেমেছিলেন, তাদের হত্যা করা হলো।   অন্যদিকে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, অশান্ত তরুণদের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩০ জনেরও বেশি পুলিশ আহত হয়েছে। আত্মরক্ষায় গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে পুলিশ।       মোদি সরকারের অভিযোগ, ওয়াংচুক বিক্ষোভকারীদের উসকে দিয়েছেন। তিনি আরব বসন্তধর্মী আন্দোলন ও নেপালের জেন-জি বিক্ষোভের উল্লেখ করে তরুণদের বিভ্রান্ত করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।    তবে, ওয়াংচুক জোর দিয়ে বলছেন, তিনি কখনোই সহিংসতার আহ্বান জানাননি; বরং সতর্ক করেছিলেন যে দাবিগুলো উপেক্ষা করলে তরুণদের ক্ষোভ ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।   উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে মোদি সরকার জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা ও রাজ্য পদমর্যাদা বাতিল করে। তখন ওই রাজ্যের তিনটি অঞ্চল ছিল— মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মির উপত্যকা, হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মু এবং মুসলিম-বৌদ্ধ সমান জনসংখ্যার লাদাখ।   পরে জম্মু-কাশ্মিরকে একটি আইনসভাসহ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং লাদাখকে আইনসভাহীন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বানানো হয়। এতে জম্মু-কাশ্মিরের জনগণ অন্তত স্থানীয় নেতাদের নির্বাচিত করার অধিকার পেলেও লাদাখ পুরোপুরি চলে যায় আমলাতান্ত্রিক শাসনের অধীনে।   লাদাখের ৯০ শতাংশ মানুষ ‘তফসিলি জনজাতি’ হিসেবে তালিকাভুক্ত। তাই তারা ভারতের সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের আওতায় স্বায়ত্তশাসন ও সাংবিধানিক সুরক্ষা চাইছেন, যা উত্তর-পূর্ব ভারতের কিছু অঞ্চলে বিদ্যমান।   কিন্তু, লাদাখকে এ পর্যন্ত রাজ্য মর্যাদা কিংবা ষষ্ঠ তফসিলের সুরক্ষা কোনোটাই দিতে রাজি হয়নি মোদি সরকার।   এর ফলে কর্মসংস্থানও কঠিন হয়ে পড়েছে লাদাখের তরুণদের জন্য। আগে জম্মু-কাশ্মির একত্রে থাকায় লাদাখের লোকজনও সেখানকার চাকরিতে আবেদন করতে পারতেন। এখন সেটা আর সম্ভব হচ্ছে না।   ওয়াংচুক বলেন, আমাদের তরুণরা পাঁচ বছর ধরে বেকার। তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এটাই অশান্তির মূল কারণ।   লাদাখ ভারতের হিমালয় সীমান্তে অবস্থিত। চীনের সঙ্গে সরাসরি সীমান্ত রয়েছে অঞ্চলটির। এই অঞ্চলেই গুরুত্বপূর্ণ পাহাড়ি গিরিপথ, বিমানঘাঁটি ও সরবরাহপথ রয়েছে, যা ভারত-চীন যুদ্ধে সামরিক দিক থেকে অপরিহার্য।   ২০২০ সালে লাদাখ সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল ভারত ও চীনের সেনারা। তাতে অন্তত ২০ ভারতীয় ও ৪ চীনা সেনা নিহত হয়। এরপর থেকে দুই দেশই সীমান্তে ব্যাপক সেনা মোতায়েন করেছে।   রাজনৈতিক বিশ্লেষক সিদ্দিক ওয়াহিদ বলেন, ২০১৯ সালে মোদি সরকারের পদক্ষেপ এখন বুমেরাং হয়ে ফিরে আসছে। আগে কাশ্মির ছিল অশান্তির কেন্দ্র, এখন লাদাখও তাতে যোগ হলো।  

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫ 0
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে এক বৈশ্বিক সম্মেলনের আয়োজন করে ফ্রান্স এবং সৌদি আরব।  ছবি: সংগৃহীত
‘রেড লাইন’ ঘোষণা করে ইসরায়েলকে কঠোর হুমকি দিল ফ্রান্স-সৌদি

গাজায় গণহত্যা বন্ধে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি ইসরায়েলের জন্য ‘রেড লাইন’ ঘোষণা করেছে ফ্রান্স ও সৌদি আরব। একইসঙ্গে দখলদার দেশটির উদ্দেশ্যে কঠোর হুঁশিয়ারি বার্তাও দিয়েছে তারা।       মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।     প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান এবং মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান (টু স্টেট সলিউশন) বাস্তবায়ন করতে জাতিসংঘ, ফ্রান্স এবং সৌদি আরবের উদ্যেগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক বৈশ্বিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই অন্যান্য উপস্থিত সবার মতামত সাপেক্ষে ইসরায়েলের উদ্দেশে পশ্চিম তীরে জোরপূর্বক বসতি সম্প্রসারণ কার্যক্রম নিয়ে ‘রেড লাইন’ ঘোষণা করেছে দুই আয়োজক দেশ ফ্রান্স এবং সৌদি।    সম্মেলন শেষে এক যৌথ ঘোষণাপত্রে ফ্রান্স এবং সৌদি আরব বলেছে, ইসরায়েলকে অবশ্যই অনতিবিলম্বে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে এবং গাজায় বন্দি সব ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে, ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিতে হবে এবং গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবেশ অবাধ রাখতে হবে। এছাড়া পশ্চিম তীরে ক্ষমতাসীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ব্যাপারে একমত হয়েছে সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলো। তাই এখন থেকে পশ্চিম তীর ইসরায়েলের জন্য রেড লাইন।    ইসরায়েলকে হুঁশিয়ার করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পশ্চিম তীরে যে কোনো ধরনের সম্প্রসারণ কার্যক্রম ইসরায়েলের গুরুতর পরিণতি বয়ে আনবে এবং বর্তমানে ইসরায়েলের সঙ্গে আমাদের শান্তিচুক্তিসহ অন্যান্য যেসব চুক্তি রয়েছে, সেগুলোকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে।    সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসকে অস্ত্র সমর্পণ ও গাজার প্রশাসন থেকে বিদায় নেওয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে।   প্রায় দুই মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত কাল সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মিলনায়তনে হয়েছে এই সম্মেলন। ইসরায়েল এবং তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই বর্জন করেছে এ সম্মেলন।   এই সম্মেলনেই ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, অ্যান্ডোরা, মোনাকো। সম্মেলনের আগে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য ও পর্তুগাল।   সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলের জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের সদস্য ড্যানি ডেনন বৈশ্বিক এ সম্মেলকে ‘সার্কাস’ উল্লেখ করে বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, এই সম্মেলনে কোনো কাজ হবে বলে আমাদের মনে হয় না এবং আমরা মনে করি, সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করতে এই সম্মেলনের ডাক দেওয়া হয়েছে।   তবে, আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওবার্তায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, আমরা চাই, আল আকসা অঞ্চলে পাশাপাশি দু’টি রাষ্ট্র থাকবে। একটি রাষ্ট্র হবে ইসরায়েল, যা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে; অপর রাষ্ট্রটি হবে ফিলিস্তিন— যা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে। আমাদের একমাত্র দাবি আল আকসা অঞ্চলে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান নীতির বাস্তবায়ন।  

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫ 0
দুটি পানিপুরি কম দেওয়ায় রাস্তায় অবরোধে বসলেন নারী
দুটি পানিপুরি কম দেওয়ায় রাস্তায় অবরোধে বসলেন নারী!

রাজনীতি বা বিভিন্ন দাবি আদায়ে রাস্তা আটকে অবরোধ প্রায়ই দেখা যায়। তবে এবার দুটি পানিপুরি কম দেওয়ায় এক নারী রাস্তা অবরোধে বসেন। পরে বাকি দুইটি পানিপুরি দেওয়ার পরই অবরোধ ছাড়েন তিনি। সম্প্রতি ভারতের গুজরাটের ভাদোদারায় নাটকীয় এই ঘটনা ঘটেছে।   সম্প্রতি গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোলগাপ্পা বা পানিপুরি কম দেওয়ায় সড়ক অবরোধ করেছেন এক নারী। তার দাবি, ২০ টাকার বিনিময়ে ছয়টা পুরি পাওয়ার কথা থাকলেও তিনি পেয়েছেন মাত্র চারটি। এ জন্য সড়ক অবরোধ করেন তিনি। বিচিত্র এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের গুজরাটের ভাদোদারা এলাকায়।   স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে গালফ নিউজ জানিয়েছে, ওই নারী এক পথ বিক্রেতার থেকে ২০ রুপি দিয়ে ৬টি পানিপুরি কিনেছিলেন। তবে বিক্রেতা তাকে ৪টি পানিপুরি দেয়। এ ঘটনায় প্রতারিত হয়েছেন এমন অভিযোগ গুলে রাস্তায় বসে পড়েন তিনি। এসময় গাড়ি চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়।   প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন। এমনই একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কান্নাজড়িত কণ্ঠে ওই নারী বলছেন— ২০ রুপিতে আমাকে পানিপুরি কম দিয়েছে। আর আমার সঙ্গে ঝগড়া করে।    কয়েক ঘণ্টা ধরে এই অবরোধ চলে।   পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। তখনই ঘটনাটি আরও নাটকীয় রূপ নেয় — ওই নারী কেঁদে ফেলেন এবং অনড়ভাবে নিজের দাবি জারি রাখেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চলা এই ‘গোলগাপ্পা আন্দোলন’ শেষ পর্যন্ত পুলিশের হস্তক্ষেপে শেষ হয়। তাকে রাস্তা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।   তবে বাকি দুটি পানিপুরি তিনি পেয়েছেন কি না সেটা জানা যায়নি।  In Vadodara, a bizarre incident unfolded when a woman staged a protest on the road after being served only 4 pani puris instead of 6 for ₹20. Upset, she sat down in protest, causing a traffic jam near Sursagar Lake. When police arrived, she tearfully demanded either two more… pic.twitter.com/TpxGGsXf3G— NDTV (@ndtv) September 19, 2025 সূত্র : গালফ নিউজ।

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫ 0
Popular post
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে চাকরির সুযোগ, বেতন ৪৫ হাজার

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১৬ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।   এক নজরে নিয়োগের বিস্তারিত   প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) বিভাগের নাম: অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদসংখ্যা: ০১ জন শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ১ বছর চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয় বয়সসীমা: নির্ধারিত নয় বেতন: ৪৫,০০০ টাকা কর্মস্থল: ঢাকা   আবেদন প্রক্রিয়া: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ তারিখ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫

৫০ হাজার টাকা বেতনে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে চাকরির সুযোগ

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে নিয়োগ   দেশের অন্যতম মানবিক সংগঠন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে একজন যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা ২১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।   পদসংক্রান্ত তথ্য   প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পদের নাম: টেকনিক্যাল অফিসার পদসংখ্যা: ১ জন   যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি বা ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ২ বছর বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৪০ বছর   বেতন ও চাকরির ধরন বেতন: ৫০,০০০ টাকা চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন কর্মস্থল: কুড়িগ্রাম   আবেদন প্রক্রিয়া   আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ওয়েবসাইটে ক্লিক করুন।

কৃষি ব্যাংকে চাকরি, নেবে ৩৯৮ জন

ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির তত্ত্বাবধানে নতুন সমন্বিত ব্যাংক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এই নিয়োগের আওতায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক-এ সিনিয়র অফিসার (সাধারণ) পদে ৩৯৮ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে।   পদসংক্রান্ত তথ্য   প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক পদের নাম: সিনিয়র অফিসার (সাধারণ) পদসংখ্যা: ৩৯৮টি   শিক্ষাগত যোগ্যতা   প্রার্থীদের যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা চার বছর মেয়াদি স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) বা সমমানসহ তদূর্ধ্ব পর্যায়ের পরীক্ষাগুলোর মধ্যে অন্তত দুইটিতে প্রথম বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে। কোনো পর্যায়েই তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি গ্রহণযোগ্য নয়।   বয়সসীমা   ১ জুলাই ২০২৫ তারিখে প্রার্থীর বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩২ বছর হতে হবে।   আবেদন সংক্রান্ত তথ্য   আবেদন ফি: ২০০ টাকা (অনগ্রসর নাগরিক গোষ্ঠীর প্রার্থীদের জন্য ৫০ টাকা)। আবেদনের শেষ সময়: ১০ নভেম্বর ২০২৫।   আবেদন পদ্ধতি   আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে এবং আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন।

৯২ হাজার টাকা বেতনে চাকরির সুযোগ

আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াটারএইড বাংলাদেশ জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ‘টেকনিক্যাল এক্সপার্ট’ পদে নতুন কর্মী নেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে ২৮ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।   নিয়োগের বিস্তারিত প্রতিষ্ঠানের নাম: ওয়াটারএইড বাংলাদেশ পদের নাম: টেকনিক্যাল এক্সপার্ট পদের সংখ্যা: নির্ধারিত নয় চাকরির ধরন: ফুল টাইম প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই কর্মস্থল: খুলনা   যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি বা স্নাতক (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং/এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে) অভিজ্ঞতা: সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫ বছর বয়সসীমা: নির্ধারিত নয় বেতন ও সুবিধা বেতন: প্রতি মাসে ৯২,৫০০ টাকা   আবেদন প্রক্রিয়া আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ তারিখ: ২৮ অক্টোবর ২০২৫

জানা গেল সেই আনিসার ফলাফল

মায়ের অসুস্থতার কারণে কেন্দ্রে দেরিতে আসায় পরীক্ষা না দিতে পারা সেই আনিসা আহমেদ এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করেছেন। তিনি বাংলা ও ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে ফেল করেন।   আনিসা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তিনি মানবিক বিভাগের পরীক্ষাথী।   বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।   এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনই (২৬ জুন) ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরীক্ষার্থী আনিসা মায়ের অসুস্থতার কারণে সময়মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছুতে পারেননি। দেরি হওয়ায় তাকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেননি দায়িত্বরতরা। এসময় ওই ছাত্রী পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। গেটের বাইরে দীর্ঘসময় অপেক্ষায় থেকে তিনি সেদিন ফিরে যান। ওই ছাত্রীর পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাঙলা কলেজ।   আনিসার কান্না-আকুতি তখন নাড়িয়ে দেন বহু মানুষের বিবেক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন উঠে—আইন কি মানবিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে? নেটিজেনরা দাবি তোলেন—মানবিক বিবেচনায় হলেও তাকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া উচিত।   অন্তর্বর্তী সরকারও সেই দাবি আমলে নেয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে তখন শিক্ষা উপদেষ্টার বরাতে জানানো হয়, ‘পরীক্ষা দিতে না পারা আনিসার বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’

Top week

৯২ হাজার টাকা বেতনে চাকরির সুযোগ
চাকরি

৯২ হাজার টাকা বেতনে চাকরির সুযোগ

অক্টোবর ২৩, ২০২৫ 0