আশপাশে থাকা মানুষ প্রায়ই প্রশ্ন করেন, “বিয়ে করছো না কেন?” আবার অনেকেই বলেন, বিয়ে হলেই জীবনের সব সমস্যা দূর হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবতা অন্য রকম। বিয়ে মানে শুধু পার্টনার পাওয়া নয়, বরং নতুন দায়িত্ব কাঁধে নেওয়া। এই দায়িত্ব নেওয়ার আগে নিজেকে পুরোপুরি প্রস্তুত করতে হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া অনুযায়ী, জীবনের নতুন অধ্যায় শুরুর আগে শুধুমাত্র আর্থিক স্বচ্ছলতা যথেষ্ট নয়। আরও কিছু মানসিক ও আচরণগত প্রস্তুতি থাকা দরকার। প্রধান বিষয়গুলো হলো: আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা বিয়ের আগে সহনশীল ও স্থির থাকা জরুরি। মতবিরোধ বা অসুবিধা হলে শান্তভাবে তা সমাধান করতে হবে। অল্পতেই রেগে যাওয়ার প্রবণতা থাকলে সংসারের দায়িত্বভার সামলানো কঠিন হয়ে যাবে। আর্থিক স্বাবলম্বী হওয়া বিয়ের পর নতুন সংসারের আর্থিক দায়িত্ব থাকে। খরচ, আয় ও লাইফস্টাইলের সামঞ্জস্য রাখতে হবে। “বিয়ে হোক, পরে দেখা যাবে” মানসিকতা ঠিক নয়। পরিণত আচরণের প্রতিশ্রুতি নতুন জীবনে ছোট-বড় সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। ইতিবাচকভাবে সমস্যার সমাধান করতে প্রস্তুত থাকতে হবে। নতুন অভিজ্ঞতা থেকে শেখার মানসিকতা থাকা দরকার। নিজ সম্পর্কে সচেতনতা নিজের ভালো-মন্দ দিক জানতে হবে। দুর্বলতা ও শক্তি মূল্যায়ন করে বুঝতে হবে, বিয়ে ও দাম্পত্য জীবনের দায়িত্ব নিতে আপনি কতটা প্রস্তুত। পরস্পর সহযোগিতামূলক আচরণ জীবনসঙ্গী, পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের সঙ্গে সবসময় সহযোগিতা থাকা উচিত। নতুন জীবনে পরিবারের প্রতি দায়িত্ব ও ইতিবাচক মনোভাব থাকা দরকার। হবু সঙ্গীর সঙ্গে মতামত ও লক্ষ্যের মিল যার সঙ্গে বিয়ে হবে, তার সঙ্গে জীবনের আদর্শ, বিশ্বাস ও লক্ষ্য মিল থাকা জরুরি। খাবার, পেশা, শখসহ বিভিন্ন বিষয় জানলে বিয়ের পরে বোঝাপড়ায় সহজ হয়। সংক্ষেপে, বিয়ে মানে শুধু সম্পর্ক নয়, এটি মানসিক, আর্থিক ও সামাজিক দায়িত্বের সমন্বয়। এই বিষয়গুলো যাচাই করে নিজেকে প্রস্তুত করা না হলে নতুন জীবন শুরু করা অনেক কঠিন হয়ে যাবে।
আজকের ব্যস্ত ও চাপপূর্ণ জীবনে অনেক দম্পতি সন্তান ধারণে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। কেউ দেরিতে গর্ভধারণ করছেন, কেউবা দীর্ঘ সময় চেষ্টা করেও সফল হচ্ছেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি কেবল ভাগ্যের বিষয় নয়—খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপন ও মানসিক চাপও প্রজনন ক্ষমতার ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। তবে আশার খবর হলো, প্রকৃতিতেই রয়েছে এমন অনেক খাবার যা নারী ও পুরুষ উভয়ের উর্বরতা বা ফার্টিলিটি বাড়াতে সাহায্য করে। সঠিক পুষ্টি হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে, পাশাপাশি ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর গুণগত মানও উন্নত করে। ফার্টিলিটি বাড়াতে সহায়ক ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান ভিটামিন ডি: যৌন হরমোন তৈরিতে সহায়তা করে ও হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। উৎস: ডিম, চর্বিযুক্ত মাছ (স্যামন, টুনা), দুধজাত খাবার, কড লিভার তেল, সূর্যের আলো। ভিটামিন ই: শুক্রাণুর গুণমান ও গতিশীলতা উন্নত করে, ডিএনএ রক্ষা করে। উৎস: সূর্যমুখী বীজ, বাদাম, জলপাই তেল, পালং শাক, পেঁপে। ভিটামিন সি: হরমোন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর স্বাস্থ্য ভালো রাখে, গর্ভপাতের ঝুঁকি কমায়। উৎস: আমলকী, পেয়ারা, লেবু জাতীয় ফল, ব্রোকলি, টমেটো। লাইপোইক অ্যাসিড: ডিম্বাশয় ও শুক্রাণুকে সুরক্ষা দেয়। উৎস: আলু, পালং শাক, লাল মাংস। ভিটামিন বি৬: হরমোন নিয়ন্ত্রণ ও রক্তে শর্করার ভারসাম্য রক্ষা করে। উৎস: কলা, টুনা, লিভার, স্যামন, পালং শাক, ব্রোকলি। ভিটামিন বি১২: জরায়ুর আস্তরণ শক্ত করে, শুক্রাণুর মান উন্নত করে ও গর্ভপাতের সম্ভাবনা হ্রাস করে। উৎস: ঝিনুক, লিভার, মাছ, ডিম, পনির। ফলিক অ্যাসিড: ভ্রূণের সঠিক গঠন নিশ্চিত করে ও জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধে সাহায্য করে। উৎস: শাকসবজি, ডাল, তিল, তিসি ও সূর্যমুখী বীজ। সেলেনিয়াম: ডিম্বাণু ও শুক্রাণুকে ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। উৎস: মাছ, চিংড়ি, ব্রাজিল নাট, মাশরুম, টার্কি। জিঙ্ক: হরমোন ভারসাম্য বজায় রেখে নারী ও পুরুষ উভয়ের প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায়। উৎস: কলিজা, ঝিনুক, কুমড়োর বীজ, তিল, দই। ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: জরায়ুর রক্তপ্রবাহ বাড়ায় ও হরমোন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। উৎস: চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড, আখরোট, সামুদ্রিক মাছ (স্যামন, সার্ডিন)। আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাবার সঠিক খাদ্য পরিকল্পনায় রাখতে পারেন— প্রোটিন: ডিম, মাছ, ডাল, মাংস কার্বোহাইড্রেট: ব্রাউন রাইস, ওটস, আলু ফাইবার: শাকসবজি, ফল, বাদাম হেলদি ফ্যাট: অলিভ অয়েল, নারকেল তেল, বাদামের তেল কিছু জরুরি পরামর্শ খাদ্য শুধু শরীর নয়, মন ও হরমোনের ভারসাম্যও নিয়ন্ত্রণ করে। দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও ফল না পেলে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন। ধূমপান, অতিরিক্ত চিনি ও ফাস্ট ফুড থেকে দূরে থাকুন। সন্তান ধারণ কোনো একদিনের বিষয় নয়—এটি একটি ধীর, সচেতন ও পুষ্টিকেন্দ্রিক প্রক্রিয়া। সঠিক খাবার ও জীবনযাপনই হতে পারে আপনার কাঙ্ক্ষিত সুখবরের প্রথম ধাপ।
পায়ের তলায় জ্বালা বা ঝাঁঝালো অনুভূতি? সাবধান, এটি হতে পারে গুরুতর রোগের লক্ষণ! অনেক সময় হঠাৎ পায়ের তলায় হালকা জ্বালা বা ঝাঁঝালো অনুভূতি দেখা দেয়। বেশিরভাগ মানুষই বিষয়টিকে সাধারণ ক্লান্তি বা বেশি সময় দাঁড়িয়ে থাকার ফল হিসেবে এড়িয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা সতর্ক করছেন—এই উপসর্গটি যদি বারবার দেখা দেয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে তা শরীরের ভেতরে লুকিয়ে থাকা বড় কোনো সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি পায়ের জ্বালার সঙ্গে ঝিমঝিম ভাব, অসাড়তা বা হাঁটতে সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সম্ভাব্য কারণসমূহ ভিটামিনের ঘাটতি: ভিটামিন বি-১২, বি-৫, ডি ও ই-এর অভাব স্নায়ু ও পেশিতে ব্যথা বা জ্বালাভাব সৃষ্টি করতে পারে। স্নায়ুর ক্ষতি (ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি): ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অনেকের ক্ষেত্রেই দীর্ঘমেয়াদি স্নায়ু ক্ষতির কারণে পায়ের তলায় এই ধরনের জ্বালা দেখা দেয়। ফাঙ্গাল সংক্রমণ: অতিরিক্ত ঘাম বা আর্দ্রতা ফাঙ্গাসের জন্ম দেয়, যা ত্বকে চুলকানি ও জ্বালাভাব সৃষ্টি করে। রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা: দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা বা টাইট জুতা পরার ফলে পায়ে রক্ত সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হয়ে জ্বালাভাব হতে পারে। থাইরয়েড ও কিডনি সমস্যা: হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বা কিডনির অসুস্থতা স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে, যার ফলে এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ঘরোয়া প্রতিকার ঠাণ্ডা পানিতে পা কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। অ্যালোভেরা জেল লাগালে আরাম পাওয়া যায়। নরম ও বাতাস চলাচল করতে পারে এমন জুতা পরুন। নিয়মিত পা পরিষ্কার রাখুন এবং হালকা ব্যায়াম বা ম্যাসাজ করুন, এতে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন যদি জ্বালার সঙ্গে অসাড়তা, ঝিমঝিম ভাব, হাঁটতে সমস্যা, ক্ষত, ফোলা বা ত্বকের রঙ পরিবর্তন দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ, এসব উপসর্গ অনেক সময় স্নায়ু বা কিডনি সংক্রান্ত গুরুতর রোগের প্রাথমিক সংকেত হতে পারে।
কলার সুতার মতো অংশ খাওয়া কি সত্যিই উপকারী? জানুন বিশেষজ্ঞদের মতামত কলা এমন একটি ফল যা প্রায় সবাই ভালোবাসেন। সহজলভ্য, সাশ্রয়ী ও পুষ্টিগুণে ভরপুর হওয়ায় একে অনেকেই “পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল” বলে থাকেন। কিন্তু খোসা ছাড়ানোর পর কলার গায়ে দেখা যায় সরু সরু সুতার মতো তন্তু—যেগুলো বেশিরভাগ মানুষই বিরক্তিকর ভেবে ফেলে দেন। অথচ এই সুতার মতো অংশই হতে পারে আপনার শরীরের জন্য বাড়তি পুষ্টির উৎস! বিশেষজ্ঞদের ভাষায়, এই সুতার নাম ‘ফ্লোয়েম বানডল’ (Phloem Bundle)। এটি কলা গাছের এমন একটি অংশ যার মাধ্যমে গাছ থেকে পুষ্টি ও পানি ফলের ভেতরে পৌঁছে যায়। অর্থাৎ কলার প্রতিটি কোষে পুষ্টি পৌঁছাতে এই তন্তুগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিবিদদের মতে, এই ফ্লোয়েম বানডলে রয়েছে প্রচুর ফাইবার, খনিজ উপাদান ও ভিটামিন। এমনকি কলার সাধারণ অংশের তুলনায় এই সুতাগুলোর ফাইবারের মান আরও উন্নত। নিয়মিত ফাইবারযুক্ত খাবার হজমে সহায়তা করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। বিজ্ঞানীরা আরও বলেন, কলার এই তন্তুগুলো খেলে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না, বরং নানা উপকার পাওয়া যায়। স্বাদের কারণে অনেকে এগুলো ফেলে দিলেও বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন—পরের বার কলা খাওয়ার সময় সুতাগুলো না ফেলে খেয়ে ফেলুন, কারণ এখানেই লুকিয়ে আছে অতিরিক্ত পুষ্টি ও শক্তির উৎস।
হার্ট অ্যাটাককে আমরা প্রায়ই ‘হঠাৎ ঘটে যাওয়া’ এক প্রাণঘাতী ঘটনা ভেবে থাকি। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, এর অন্তত এক মাস আগে শরীর নীরবে নানা সতর্ক সংকেত পাঠায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এগুলোকে বলা হয় ‘প্রোড্রোমাল সিম্পটম’ বা আগাম উপসর্গ। সময়মতো সতর্ক হলে এবং চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে জীবন বাঁচানো সম্ভব। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আগে অন্তত এক মাস পর্যন্ত কিছু সাধারণ উপসর্গ অনেকের শরীরে দেখা যায়। যেমন-মাঝে মাঝে বুক ব্যথা, হালকা মাথা ঘোরা, শ্বাসকষ্ট কিংবা অকারণে ক্লান্তি। এগুলো একে একে চিনে রাখলে জীবন বাঁচানো সম্ভব। হার্ট অ্যাটাকের আগাম ১২ সতর্ক সংকেত ১. বুকে ব্যথা গবেষণায় উঠে এসেছে, প্রায় ৬৮ শতাংশ রোগী হার্ট অ্যাটাকের আগে বুকে ব্যথা অনুভব করেন। এই ব্যথা কখনও আসে, কখনও চলে যায়। বিশেষ করে শারীরিক পরিশ্রম বা মানসিক চাপে এটি আরও তীব্র হতে পারে। অনেক সময় এটি এসিডিটির সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা হয়, যা বিপজ্জনক। ২. বুকে চাপ বা ভারী লাগা চলাফেরা বা কাজের সময় যদি বুক ভারী মনে হয়, চেপে ধরা অনুভূত হয়-তাহলে সেটি উপেক্ষা করা উচিত নয়। প্রায় ৪৪ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই এটি আসন্ন বিপদের পূর্বাভাস। ৩. হৃদস্পন্দনের গতি বেড়ে যাওয়া বা অনিয়মিত হওয়া হঠাৎ হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, অস্বাভাবিক দ্রুত বা অনিয়মিত ধুকপুক করা হার্টে রক্ত চলাচলের সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। গবেষণায় প্রায় ৪২ শতাংশ রোগী এ উপসর্গ জানিয়েছেন। ৪. শ্বাসকষ্ট সাধারণ কাজেই যদি দম নিতে সমস্যা হয়, মনে হয় যথেষ্ট অক্সিজেন পাচ্ছেন না,এটি হৃদরোগের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। ৫. বুকে জ্বালাপোড়া অনেকেই একে সাধারণ অ্যাসিডিটি ভেবে ভুল করেন। অথচ বারবার বুক জ্বলা হার্টের ধমনিতে ব্লকেজের ইঙ্গিতও দিতে পারে। ৬. অকারণে ক্লান্তি যথেষ্ট ঘুম হলেও সারাদিন অবসন্ন লাগা হৃদপিণ্ডে রক্ত প্রবাহে জটিলতার লক্ষণ। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায়। ৭. মাথা ঘোরা বা অস্থিরতা হঠাৎ মাথা ঘোরানো, ভারসাম্য হারানো বা অস্থিরতা শরীরে রক্তপ্রবাহ বিঘ্নিত হওয়ার কারণেই ঘটে থাকে। ৮. বমি বমি ভাব বা পেটের সমস্যা গ্যাস্ট্রিক বা হজমজনিত সমস্যা ভেবে অনেকে এড়িয়ে যান। তবে বারবার বমি বমি লাগা বা অস্বস্তি হৃদরোগের সঙ্গেও সম্পর্কিত হতে পারে। ৯. উদ্বেগ বা অজানা আতঙ্ক কোনও সুস্পষ্ট কারণ ছাড়াই উদ্বেগ বা অস্থিরতা দেখা দিলে সেটি মানসিক সমস্যাই নয়, হার্ট অ্যাটাকের আগাম সতর্কবার্তাও হতে পারে। ১০. ঘুমের সমস্যা রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়া, বারবার শ্বাসকষ্টে হঠাৎ জেগে ওঠা বা শোয়ার সময় দম বন্ধ হয়ে আসার মতো সমস্যা হার্টের অসুস্থতার সংকেত দেয়। ১১. পা বা গোড়ালি ফুলে যাওয়া হৃদপিণ্ড ঠিকমতো রক্ত পাম্প করতে না পারলে শরীরে পানি জমে যায়, যার প্রভাব পড়ে পা, গোড়ালি ও পায়ের পাতায়। ১২. শরীরের অন্য অংশে ব্যথা হার্ট অ্যাটাক মানেই যে শুধু বুকে ব্যথা হবে তা নয়। অনেক সময় হাত, পিঠ, ঘাড় বা চোয়ালে ব্যথা শুরু হয়—যা সপ্তাহখানেক আগেও টের পাওয়া যায়। নারী ও পুরুষের উপসর্গে পার্থক্য চিকিৎসকরা জানান, নারীদের ক্ষেত্রে উপসর্গগুলো অনেক সময় ভিন্নভাবে প্রকাশ পায়। যেমন-অতিরিক্ত ক্লান্তি, বমি বমি ভাব, পিঠে বা চোয়ালে ব্যথা এবং হজমে সমস্যা। এই লক্ষণগুলোকে অন্য অসুখ ভেবে অবহেলা করার ঝুঁকি বেশি, ফলে চিকিৎসা পেতে দেরি হয়। কেন আগে থেকেই সংকেত দেয় শরীর? হার্ট অ্যাটাকের মূল কারণ হলো হৃদপিণ্ডে রক্তপ্রবাহে বাধা। ধমনিতে জমতে থাকা চর্বি, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য পদার্থ প্লাক তৈরি করে। যখন এই প্লাক ফেটে যায়, তখন রক্ত জমাট বেঁধে ধমনী বন্ধ হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে শরীরে নানা পরিবর্তন ঘটায়, যেগুলো উপসর্গ হিসেবে প্রকাশ পায়। শেষ মুহূর্তে আরও তীব্র লক্ষণ হার্ট অ্যাটাকের ঠিক আগে শরীর আরও জোরালো সংকেত দেয়। যেমন-তীব্র বুক ব্যথা, ঘেমে যাওয়া, বুকে চাপ, শ্বাসকষ্ট, পিঠ বা চোয়ালে তীব্র ব্যথা। এগুলো একসঙ্গে দেখা দিলে চিকিৎসা নিতে দেরি করলে মারাত্মক বিপদ হতে পারে। হার্ট অ্যাটাক সবসময় হঠাৎ করে আসে না। শরীর এক মাস আগেই তার ইঙ্গিত দিতে থাকে। তাই নিয়মিত বুক ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ঘুমের সমস্যা বা অস্বাভাবিক ক্লান্তিকে ছোট করে দেখবেন না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে প্রাণঘাতী ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
দাঁতে চিনচিনে ব্যথা কিংবা মাড়ি ফুলে গেলে অনেকেই ব্যথানাশক খেয়ে ফেলেন বা অ্যান্টিসেপ্টিক মলম লাগান। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, এভাবে সমস্যা চেপে রাখা ঠিক নয়। কারণ দাঁত ও মাড়ির ছোটখাটো অস্বস্তিই অনেক সময় বড় রোগের পূর্বলক্ষণ হতে পারে। মাড়ি থেকে রক্তপাত, মুখে দুর্গন্ধ দিনে দু’বার ব্রাশ করা, মাউথওয়াশ ব্যবহার করেও যদি মুখের দুর্গন্ধ না যায় বা মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে, তবে সতর্ক হতে হবে। এটি পেরিয়োডন্টাইটিস-এর লক্ষণ হতে পারে, যার সঙ্গে ডায়াবেটিস বা রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এ অবস্থায় দাঁত ও মাড়ির সংলগ্ন কোষ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। দাঁতে ব্যথা, লাল হয়ে ফুলে ওঠা মাড়ি অতিরিক্ত ধূমপান, অপুষ্টি, ডায়াবিটিস কিংবা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধের কারণে মাড়িতে সংক্রমণ হয়। দাঁত শিরশির করে, মাড়ি লাল হয়ে যায় ও ব্যথা বাড়তে থাকে। এটিকে চিকিৎসা ভাষায় বলা হয় জিঞ্জিভাইটিস। এ সময় চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি। ব্রাশ করেও দুর্গন্ধ না যাওয়া অম্বল, সাইনাস ইনফেকশন বা ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির কারণেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। সাইনাস হলে নাক-মুখ দিয়ে হলুদ বা সবুজ রঙের মিউকাস বের হয়। আর ভিটামিন ডি কম থাকলে দাঁতের এনামেল ক্ষয়ে যায়। ফলে দাঁতের নানা সমস্যা দেখা দিয়ে মুখের গন্ধ বেড়ে যায়। জিভের নীচে মাংসপিণ্ড বা আলসার জিভের নীচে ছোট মাংসপিণ্ড বা আলসার হলে খাওয়া-দাওয়া ও কথা বলতে সমস্যা হয়। ভিটামিন সি ও বি-এর ঘাটতি, হরমোনের সমস্যা বা কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের কারণে এমন হতে পারে। তবে ক্ষত দ্রুত বাড়তে থাকলে, শক্ত হয়ে গেলে বা দাঁত নড়তে শুরু করলে, অবহেলা করা উচিত নয়। অনেক সময় এটি মুখগহ্বরের ক্যানসারেরও পূর্বলক্ষণ হতে পারে। দাঁত বা মাড়ির যেকোনো সমস্যাই দীর্ঘদিন উপেক্ষা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ, প্রাথমিক সতর্কতাই পারে বড় বিপদ থেকে রক্ষা করতে।
রাতের খাবার তো রাতেই খাবে মানুষ, এর মধ্যে আবার ‘কোন সময়’ কেন, তাই না? আসুন, দেখা যাক এখানে ‘কিন্তু’ আসে কেন। ইউরোপ-আমেরিকায় সাধারণত সন্ধ্যা না হতেই রাতের খাবারের পাট চুকে যায়, যাকে বলে ‘ডিনার’। আমাদের দেশেও গ্রামের মানুষ সাধারণত সন্ধ্যায়ই রাতের খাবার খেয়ে নেন। অবশ্য আগে বিদ্যুৎহীন গ্রামে বেশি রাত পর্যন্ত না খেয়ে জেগে থাকার উপায়ও ছিল না। এখন বিদ্যুৎ থাকলেও আগের সেই অভ্যাস রয়ে গেছে অনেকের মধ্যেই, বিশেষত প্রবীণদের মধ্যে। কিন্তু শহরের মানুষের অভ্যাস প্রায় বিপরীত। একটু বেশি রাতে খাওয়ার চলই বেশি। তবে বেশি রাতে খাবার খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। সাম্প্রতিক এক গবেষণা অনুযায়ী, সাধারণত রাতে ঘুমানোর ২-৩ ঘন্টা আগে থেকে খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। রাতে ঘুমানোর কতক্ষণ আগে খাওয়া উচিত? নিউট্রিয়েন্টস জার্নালে প্রকাশিত এবং ইউএস ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনের মাধ্যমে করা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় রাতে খাওয়ার উপর আরও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এতে আপনি কী খান, কখন এবং কীভাবে থাকেন তার উপর নির্ভর করে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। রাতে দেরিতে খাওয়ার কুফল আগের গবেষণাগুলোতে বেশি রাতে খাবার খাওয়া স্থূলতা, রক্তে শর্করার বৃদ্ধি এবং ইনসুলিন প্রতিরোধের সাথে যুক্ত। যারা রাতের শিফটে কাজ করেন বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খান তারা এই সমস্যাগুলি আরও তীব্রভাবে অনুভব করেন। বেশি রাতের খাবার এবং তাৎক্ষণিক ঘুম শরীরকে হজমের জন্য ন্যূনতম সময় দেয়, যার ফলে বিপাকীয় চাপ তৈরি হয়। নতুন দৃষ্টিভঙ্গি: রাতের সব খাবারই খারাপ নয় সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, রাতে ১৫০-২০০ ক্যালোরির কম, পুষ্টিকর খাবার কারও কারও জন্য ক্ষতিকর নাও হতে পারে। যেমন- সক্রিয় ব্যক্তিদের জন্য: রাতে প্রোটিন স্ন্যাক পেশি উন্নত করতে পারে, রাতের বিপাক উন্নত করতে পারে এবং এমনকি বিশ্রামের সময় ক্যালোরি ঝরাও বাড়িয়ে তুলতে পারে। কিছু নির্দিষ্ট চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের জন্য: গ্লাইকোজেন স্টোরেজ রোগ বা টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সারা রাত তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে ঘুমানোর আগে কাঁচা কর্নস্টার্চ বা প্রোটিন শেকের মতো খাবার খেতে পারেন। খাবার যখন আকর্ষণের মতো কাজ করে ওজন বেশি বা নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিদের জন্য, সন্ধ্যার সামান্য খাবারও ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। তবে নিয়মিত ব্যায়াম করলে এ সমস্যা অনেকটাই দূর হয়। সেই সঙ্গে হৃদরোগ এবং শরীরের গঠন উন্নত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। রাতের খাবারের ব্যাপারে বাড়তি সতর্কতা রাতে ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন। যদি হালকা নাশতার প্রয়োজন হয়, তাহলে হালকা, প্রোটিনযুক্ত এবং পুষ্টিকর খাবার বেছে নিন। সক্রিয় থাকুন। যদি আপনার অতিরিক্ত ক্যালোরির প্রয়োজন না হয়, তাহলে কেবল পানি পান এবং বিশ্রাম করুন। সূত্র: ইন্ডিয়া টিভি
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১৬ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এক নজরে নিয়োগের বিস্তারিত প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) বিভাগের নাম: অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদসংখ্যা: ০১ জন শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ১ বছর চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয় বয়সসীমা: নির্ধারিত নয় বেতন: ৪৫,০০০ টাকা কর্মস্থল: ঢাকা আবেদন প্রক্রিয়া: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ তারিখ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে নিয়োগ দেশের অন্যতম মানবিক সংগঠন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে একজন যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা ২১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। পদসংক্রান্ত তথ্য প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পদের নাম: টেকনিক্যাল অফিসার পদসংখ্যা: ১ জন যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি বা ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ২ বছর বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৪০ বছর বেতন ও চাকরির ধরন বেতন: ৫০,০০০ টাকা চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন কর্মস্থল: কুড়িগ্রাম আবেদন প্রক্রিয়া আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ওয়েবসাইটে ক্লিক করুন।
ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির তত্ত্বাবধানে নতুন সমন্বিত ব্যাংক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এই নিয়োগের আওতায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক-এ সিনিয়র অফিসার (সাধারণ) পদে ৩৯৮ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। পদসংক্রান্ত তথ্য প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক পদের নাম: সিনিয়র অফিসার (সাধারণ) পদসংখ্যা: ৩৯৮টি শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রার্থীদের যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা চার বছর মেয়াদি স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) বা সমমানসহ তদূর্ধ্ব পর্যায়ের পরীক্ষাগুলোর মধ্যে অন্তত দুইটিতে প্রথম বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে। কোনো পর্যায়েই তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি গ্রহণযোগ্য নয়। বয়সসীমা ১ জুলাই ২০২৫ তারিখে প্রার্থীর বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩২ বছর হতে হবে। আবেদন সংক্রান্ত তথ্য আবেদন ফি: ২০০ টাকা (অনগ্রসর নাগরিক গোষ্ঠীর প্রার্থীদের জন্য ৫০ টাকা)। আবেদনের শেষ সময়: ১০ নভেম্বর ২০২৫। আবেদন পদ্ধতি আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে এবং আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন।
আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াটারএইড বাংলাদেশ জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ‘টেকনিক্যাল এক্সপার্ট’ পদে নতুন কর্মী নেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে ২৮ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। নিয়োগের বিস্তারিত প্রতিষ্ঠানের নাম: ওয়াটারএইড বাংলাদেশ পদের নাম: টেকনিক্যাল এক্সপার্ট পদের সংখ্যা: নির্ধারিত নয় চাকরির ধরন: ফুল টাইম প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই কর্মস্থল: খুলনা যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি বা স্নাতক (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং/এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে) অভিজ্ঞতা: সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫ বছর বয়সসীমা: নির্ধারিত নয় বেতন ও সুবিধা বেতন: প্রতি মাসে ৯২,৫০০ টাকা আবেদন প্রক্রিয়া আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ তারিখ: ২৮ অক্টোবর ২০২৫
মায়ের অসুস্থতার কারণে কেন্দ্রে দেরিতে আসায় পরীক্ষা না দিতে পারা সেই আনিসা আহমেদ এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করেছেন। তিনি বাংলা ও ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে ফেল করেন। আনিসা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তিনি মানবিক বিভাগের পরীক্ষাথী। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনই (২৬ জুন) ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরীক্ষার্থী আনিসা মায়ের অসুস্থতার কারণে সময়মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছুতে পারেননি। দেরি হওয়ায় তাকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেননি দায়িত্বরতরা। এসময় ওই ছাত্রী পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। গেটের বাইরে দীর্ঘসময় অপেক্ষায় থেকে তিনি সেদিন ফিরে যান। ওই ছাত্রীর পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাঙলা কলেজ। আনিসার কান্না-আকুতি তখন নাড়িয়ে দেন বহু মানুষের বিবেক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন উঠে—আইন কি মানবিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে? নেটিজেনরা দাবি তোলেন—মানবিক বিবেচনায় হলেও তাকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। অন্তর্বর্তী সরকারও সেই দাবি আমলে নেয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে তখন শিক্ষা উপদেষ্টার বরাতে জানানো হয়, ‘পরীক্ষা দিতে না পারা আনিসার বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’