লাইফস্টাইল

পুরুষের যে ৫ গুণ নারীদের সহজে আকৃষ্ট করে
পুরুষের যে ৫ গুণ নারীদের সহজে আকৃষ্ট করে

নারী-পুরুষের সম্পর্কে আকর্ষণ একটি স্বাভাবিক ও মানসিক প্রবণতা। তবে লক্ষ্য করলে দেখা যায়—একজন পুরুষ খুব চেষ্টা করেও কোনো নারীর মনোযোগ পান না, আবার কেউ কেউ বিনা চেষ্টায়ই নারীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর পেছনে রয়েছে কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তিত্বগুণ, যা অজান্তেই নারীরা পুরুষের মধ্যে খুঁজে পান।   বিশেষজ্ঞদের মতে, নিচের পাঁচটি গুণ যাদের মধ্যে থাকে, তারা খুব সহজেই নারীদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়ে থাকেন—   ১. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও আকর্ষণীয় পোশাক-পরিচ্ছদ ‘আগে দর্শনধারী, তারপর গুণ বিচারী’—এই কথাটি সম্পর্কেও প্রযোজ্য। একজন পুরুষের সাজগোজ, পরিচ্ছন্নতা, সঠিকভাবে নিজেকে উপস্থাপন করা—এসবই প্রথম ইমপ্রেশন তৈরির মূল উপাদান।   ২. সুন্দরভাবে কথা বলার দক্ষতা ভদ্রতা, আত্মবিশ্বাস এবং পরিষ্কারভাবে বক্তব্য উপস্থাপন করার ক্ষমতা অনেক নারীর কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। সঠিক কমিউনিকেশন স্কিল যে কোনো সম্পর্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।   ৩. নেতৃত্ব দেওয়ার সামর্থ্য যিনি দায়িত্ব নিতে জানেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেন এবং সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে সক্ষম—তিনি নারীদের কাছে আরও বেশি নির্ভরযোগ্য ও আকর্ষণীয় বলে বিবেচিত হন।   ৪. সম্মান দেওয়ার মানসিকতা সম্মানজনক আচরণ সব সম্পর্কেরই ভিত্তি। নারীদের মর্যাদা দিতে জানেন এমন পুরুষের প্রতি দ্রুত বিশ্বাস জন্মায়। অন্যকে ছোট করা বা অসম্মান করা পুরুষ স্বভাবতই দূরে ঠেলে দেয়।   ৫. প্রতিশ্রুতি ও কথার মূল্য রাখা যে পুরুষ কথা রাখেন এবং দায়িত্বশীল আচরণ করেন, তারা নারীদের কাছে বেশি বিশ্বাসযোগ্য হন। কমিটমেন্ট বা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।   সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গুণগুলো চর্চা করলে পুরুষরা শুধু আকর্ষণীয়ই হবেন না, বরং আরও সুন্দর, স্থায়ী এবং সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন।

ডিসেম্বর ৪, ২০২৫ 0
লিভারে রোগ বাসা বাঁধছে? লক্ষণ ধরা পড়ে হাতে-পায়ে
লিভারে রোগ বাসা বাঁধছে? লক্ষণ ধরা পড়ে হাতে-পায়ে

লিভারের সমস্যা অনেক সময়ই নীরবে বাড়তে থাকে। অনেকে মনে করেন লিভারের অসুখ হলে জন্ডিস, পেট ভার বা পেট ফাঁপা ছাড়া উপসর্গ দেখা দেয় না। কিন্তু বাস্তবে লিভারের রোগ শরীরের অন্য অংশেও সংকেত পাঠায়—বিশেষ করে হাত ও পায়ে। লিভারে মেদ জমে যদি ফ্যাটি লিভার হয়, বা লিভারে প্রদাহ শুরু হয়, তাহলে তার প্রভাব স্পষ্টভাবে ফুটে উঠতে পারে ত্বক, নখ, শিরা ও স্নায়ুতন্ত্রে।   হাত ও পায়ে যে লক্ষণগুলো দেখা দিলে লিভারের সমস্যা সন্দেহ করবেন   ১. হাতের তালুতে লালচে ভাব দুই হাতের তালুতে হঠাৎ লালচে ছোপ দেখা দিতে পারে। এতে ব্যথা, চুলকানি বা জ্বালা থাকে না, তবে তালু ফুলে যায় এবং লালচে দাগ ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে। লিভারের অসুখে হরমোনের ক্ষরণ অনিয়মিত হয়, ফলে রক্তনালিগুলো প্রসারিত হয়ে প্রদাহ সৃষ্টি করে। দুই হাতের তালুতেই যদি এমন লালচে দাগ দেখা যায়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।   ২. নখের রঙে পরিবর্তন নখ শরীরের অভ্যন্তরীণ নানা অসুখের ইঙ্গিত দেয়। নখের রং যদি খুব ফ্যাকাশে, সাদাটে বা হলদেটে হয়ে যায়, তাহলে তা লিভারের সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। এটি লিভারের দুর্বলতার পাশাপাশি আয়রনের ঘাটতিরও ইঙ্গিত দেয়।   ৩. গোড়ালিতে কালচে ছোপ ও পায়ে ফোলা লিভারের অসুখে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটায় ধমনীগুলিতে চাপ পড়ে। ফলে হাতে-পায়ে পানি জমতে থাকে—বিশেষ করে গোড়ালিতে। গোড়ালি ফুলে ওঠা, পায়ের ত্বকে কালচে দাগ বা চুলকানি দেখা দিলে সতর্ক হতে হবে। লিভারে গভীর ক্ষত (সিরোসিস) হলে এ লক্ষণগুলো আরও স্পষ্ট হয়। অনেক ক্ষেত্রে ওজন কমে যাওয়া, খিদে না পাওয়া ও অতিরিক্ত ক্লান্তিও যুক্ত হয়।   ৪. স্পাইডার ভেন বা জালের মতো শিরা পায়ের পাতায় বা পায়ের ওপর নীল বা সবুজ রঙের জালের মতো শিরা দেখা দিলে তাকে বলা হয় ‘স্পাইডার ভেন’। লিভারের সমস্যা হলে শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোন বেড়ে যায়, যার কারণে এই ধরনের শিরা ত্বকে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।   ৫. হাত-পায়ের অসাড়তা ও ব্যথা হঠাৎ হাত বা পায়ে ঝিনঝিনি ভাব, অসাড়তা, টান ধরা বা ব্যথা—এসবও লিভার রোগের লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে হেপাটাইটিস সি বা অ্যালকোহলজনিত ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে স্নায়ু আক্রান্ত হয়, ফলে হাতে-পায়ে সংবেদনা কমে যায়।   হাত-পায়ে এসব উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ জরুরি। কারণ লিভারের সমস্যা যত তাড়াতাড়ি শনাক্ত করা যায়, তত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করে জটিলতা এড়ানো সম্ভব।

নভেম্বর ৩০, ২০২৫ 0
যেসব কারণে পরকীয়ায় লিপ্ত হয় নারীরা
যেসব কারণে পরকীয়ায় লিপ্ত হয় নারীরা

সঙ্গীর কাছে প্রতারিত হওয়া যেকোনো মানুষের কাছেই দুঃস্বপ্নের মতো। সেটা বিয়ের আগে হোক বা পরে। বিশ্বাস ভাঙা ভালোবাসার বন্ধন ভাঙার মতো। এমনকি মন ভাঙার পরে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও আগের সেই বন্ধন এবং পুরনো অনুভূতিগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা প্রায় অসম্ভব। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পুরুষদের ‘প্রতারক’ হিসেবে দেখানো হয়। তবে শুধু পুরুষ নয়, নারীরাও প্রতারণা করেন।   মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল ওপিনিয়ন রিসার্চ সেন্টারের (এনওআরসি) ২০২২ সালের গ্লোবাল সোশ্যাল সার্ভেতে (জিএসএস) এমন কিছু চমকপ্রদ বিষয় পাওয়া গেছে। সমীক্ষায় ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ১৩ শতাংশ নারী তাদের সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন। এ ছাড়া ইউকে গবেষণা এবং ডেটা অ্যানালিটিক্স ফার্ম ২০১৯ সালের সমীক্ষায় এক হাজারেরও বেশি বিবাহিত ব্যক্তির ওপর একই রকম ফলাফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ১০ শতাংশ নারী তাদের জীবনসঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন। গত কয়েক দশকে প্রতারণা করছেন, এরকম নারীর সংখ্যা ক্রমাগত বেড়েছে। ২০১০ সালে স্ত্রীরা তাদের স্বামীর সঙ্গে প্রতারণা করার প্রবণতা ২০ বছর আগের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি পাওয়া গেছে। তবুও এই পরিসংখ্যানের মধ্যেও একটি মৌলিক প্রশ্ন থেকে যায় এবং তা হলো কেন নারীরা প্রতারণা করেন? বিশেষজ্ঞরা সম্ভাব্য কারণগুলো জানিয়েছেন। সেগুলো হচ্ছে— একাকিত্ব নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি আবেগপ্রবণ হয়। তাদের সঙ্গীর কাছ থেকে একাকিত্ব বা মানসিক বিচ্ছেদের কারণে অপর ব্যক্তির সঙ্গে মানসিক ও রোম্যান্টিক সম্পর্ক নিয়ে কল্পনা করা শুরু করেন। সঙ্গী প্রচুর ভ্রমণ করলে স্বামী বা স্ত্রী দীর্ঘ সময় কাজ করলে বা স্ত্রীর অসুস্থতাসহ বিভিন্ন পরিস্থিতি থেকে এই ধরনের অনুভূতি দেখা দিতে পারে। সম্পর্ক যখন সহজলভ্য মনোবিদদের মতে, সমাজের সব থেকে বড় সমস্যাই হল সহজলভ্যতার ধারণা। অনেক কিছুর মতো সম্পর্কও এখন অনেক সহজলভ্য বলে মনে করেন অনেকেই। একটু চেষ্টা করতে পারলেই যেন মিলে যায় সব সমস্যার সহজ সমাধান। এই মানসিকতা ঢুকে পড়েছে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও। মানসিক ক্ষুধা গবেষণায় দেখা গেছে, নারীরা তাদের সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণা করে তাদের মানসিক চাহিদা মেটানোর জন্য। যৌনতা সমীকরণের অংশও নয়। সম্পর্কটি শারীরিক বা মানসিক প্রকৃতির হোক না কেন, সেই নারী অন্য ব্যক্তির কাছ থেকে কথোপকথন, সহানুভূতি, সম্মান, প্রশংসা, সমর্থন কামনা করে, যা সে তার বর্তমান সম্পর্ক থেকে পাচ্ছে না। সমাজে মানিয়ে নেওয়া মনোবিদদের মতে, আজকাল সমাজে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারটাই অনেক কমে গেছে। নিজের ক্যারিয়ারের ঝক্কি সামলে সম্পর্কের সূক্ষ্ম দিকগুলোর মানিয়ে নেওয়ার সময় কোথায়? এ ক্ষেত্রেও মেয়েরা সম্পর্ক থেকে মুক্তি পেতে প্রতারণার রাস্তাই বেছে নেন। যৌন স্বাদে ভিন্নতা আধুনিক যুগের ছেলেদের মত মেয়েরাও অনেক বেশি আধুনিক হয়ে গেছে। ছেলেরা যেমন বিভিন্ন যৌন স্বাদ পেতে ভালোবাসেন তেমনি এমন অনেক মেয়ে আছেন যারা বিভিন্ন ছেলেদের সঙ্গে যৌন স্বাদ গ্রহণ করতে চান। এরা এক পুরুষের মাঝে সকল সুখ খুঁজে পায় না। এ কারণেও এই মেয়েরা স্বামীর সঙ্গে প্রতারণা করে থাকে। রাগ বা প্রতিশোধ কিছু নারী তাদের মনে মধ্যে সঙ্গীর একটি আদর্শ ভাবমূর্তি নিয়ে একটি সম্পর্কে প্রবেশ করে। কিন্তু যখন সঙ্গী প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে না এবং তাদের প্রতিটি প্রয়োজন ও ইচ্ছা পূরণ করতে অক্ষম হয়, তখন এটি সম্পর্কের মধ্যে ফাটল সৃষ্টি করে। এ ছাড়া কিছু লোক তাদের অতীত সম্পর্কের মতো অন্য কোনো কারণে তাদের সঙ্গীর প্রতি রাগ করতে পারে, যার কারণে তারা নিজেরাই প্রতিশোধ হিসেবে প্রতারণা শুরু করে। সূত্র : আজতক বাংলা

নভেম্বর ২৯, ২০২৫ 0
যে ৫ লক্ষণ দেখলেই বুঝবেন কিডনি ক্যানসারে ভুগছেন
যে ৫ লক্ষণ দেখলেই বুঝবেন কিডনি ক্যানসারে ভুগছেন

কিডনি ক্যানসারকে বলা হয় ‘নীরব ঘাতক’। কারণ এটি শরীরে দীর্ঘ সময় সক্রিয় থাকলেও প্রাথমিক পর্যায়ে সাধারণত কোনো উপসর্গ প্রকাশ পায় না। ফলে অনেক রোগী দেরিতে চিকিৎসকের কাছে পৌঁছান, যা চিকিৎসাকে জটিল করে তোলে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে সফলভাবে চিকিৎসা সম্ভব। চিকিৎসকরা বলছেন, কিছু সাধারণ লক্ষণ আছে, যা লক্ষ্য করলে সমস্যা সময়মতো ধরা পড়তে পারে।   ১. প্রস্রাবে রক্ত (Hematuria) কিডনি ক্যানসারের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো প্রস্রাবে রক্ত দেখা। প্রস্রাব গোলাপি, লাল বা বাদামি রঙের হতে পারে এবং সাধারণত ব্যথাহীন হয়। অনেক সময় এটি কয়েক দিনের মধ্যে স্বাভাবিক মনে হলেও সংক্রমণ, কিডনিতে পাথর বা ক্যানসারের ইঙ্গিত হতে পারে। তাই এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা জরুরি।   ২. পিঠের নিচের দিকে বা পাশে স্থায়ী ব্যথা সাধারণ পিঠব্যথার সঙ্গে কিডনি ক্যানসারের ব্যথার পার্থক্য রয়েছে। কিডনিতে টিউমারের কারণে পিঠের নিচের দিকে বা পাশে (ফ্ল্যাংক) স্থায়ী ব্যথা হতে পারে। কোনো আঘাত ছাড়াই যদি এমন ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে, বিশেষ করে প্রস্রাবের রঙ পরিবর্তনের সঙ্গে, তবে পরীক্ষা করানো জরুরি।   ৩. হঠাৎ ও অকারণে ওজন কমে যাওয়া কোনো খাদ্যাভ্যাস বা ব্যায়ামের পরিবর্তন ছাড়াই দ্রুত ওজন কমতে থাকলে তা কিডনি ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। ক্যানসারের কারণে শরীরের বিপাকক্রিয়া ও হরমোন ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়, ক্ষুধা কমে যায় এবং শক্তি হ্রাস পায়। এই লক্ষণ ক্লান্তি বা দুর্বলতার সঙ্গে মিললে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।   ৪. কিডনির পাশে ফোলা বা গঠনগত পরিবর্তন কিডনির পাশে বা পাঁজরের নিচে ফোলা বা চাকা দেখা দিলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। কিছু ফোলা ক্যানসার না হলেও, ক্যানসার হলে এটি ধীরে ধীরে বড় হয়। স্ক্যান বা আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে নিশ্চিত হওয়া জরুরি।   ৫. দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি ও দুর্বলতা কিডনি ক্যানসার রক্তকণিকা উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, যা অ্যানিমিয়ার কারণ হয়। ফলে রোগীরা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভব করেন। বিশ্রামের পরও অবসাদ কাটতে না পারা, সঙ্গে ওজন কমে যাওয়া বা প্রস্রাবে রক্ত দেখা গেলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।   বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনি ক্যানসার শনাক্ত হলে চিকিৎসা অনেক সহজ এবং সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। তাই এসব লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।   সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

নভেম্বর ২৬, ২০২৫ 0
যে নিয়ম মানলে সহজ হবে আমেরিকার ভিসা পাওয়া
যে নিয়ম মানলে সহজ হবে আমেরিকার ভিসা পাওয়া

অনেকের কাছে আমেরিকা এখনও স্বপ্নের দেশ। কেউ সেখানে পড়াশোনার জন্য যেতে চান, কেউবা চাকরি বা ব্যবসার কারণে। আবার অনেকে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা করেন। তবে যেকোনো কারণেই যাওয়া হোক, প্রথম চ্যালেঞ্জ হলো ভিসা পাওয়া। অনেকেই আবেদন করেন, কিন্তু নানা কারণে প্রত্যাখ্যাত হন। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে এই প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়ে যায়। জেনে নিন, কিভাবে সঠিক প্রস্তুতি নিয়ে আমেরিকার ভিসা পাওয়া সম্ভব।   প্রোফাইল পরিষ্কার ও বাস্তবসম্মত রাখুন ভিসা আবেদনপত্রে দেওয়া সব তথ্য সত্য এবং সম্পূর্ণ হওয়া জরুরি। শিক্ষাগত যোগ্যতা, চাকরি বা ব্যবসার তথ্য—সবই সঠিকভাবে উল্লেখ করুন। ভুল বা মিথ্যা তথ্য ধরা পড়লে আবেদন বাতিল হতে পারে। তাই প্রতিটি তথ্য যাচাই করে ফর্ম পূরণ করুন।   প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত রাখুন পাসপোর্ট, ছবি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, আয়ের উৎস, শিক্ষাগত সনদপত্র, চাকরির লেটার বা ব্যবসায়িক নথি সব সময় হাতে রাখুন। বিশেষ করে আর্থিক সক্ষমতা প্রমাণের জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, দেশে ফিরে আসার নিশ্চয়তা দেখাতে প্রয়োজনীয় নথি সঙ্গে রাখুন।   সাক্ষাৎকারে মনোযোগী হোন ভিসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো সাক্ষাৎকার। এই সময় ভিসা অফিসার আপনার উদ্দেশ্য, ভ্রমণের কারণ এবং দেশে ফেরার নিশ্চয়তা জানতে চাইবেন। সংক্ষিপ্ত, স্বচ্ছন্দ এবং আত্মবিশ্বাসীভাবে কথা বলুন। অতিরিক্ত কথা বললে ভিসা পাওয়া কঠিন হতে পারে।   ভ্রমণের উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে জানান আপনি কেন আমেরিকা যেতে চান তা স্পষ্টভাবে বোঝাতে হবে। পড়াশোনা, ভ্রমণ, সাংবাদিকতা বা স্বেচ্ছাসেবী কাজের জন্য যাই হোক, সংশ্লিষ্ট নথিপত্র আপনার বক্তব্যের সঙ্গে মিলতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, সাংবাদিকতার উদ্দেশ্যে গেলে সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। পড়াশোনার জন্য গেলে ভর্তি নিশ্চিতকরণ এবং ফি প্রদানের প্রমাণ দেখাতে হবে।   দেশে ফিরে আসার প্রমাণ দিন ভিসা অফিসার দেখতে চান যে, আপনি খরচ সামলাতে পারবেন এবং দেশে ফিরে আসবেন। ব্যাংক ব্যালান্স, স্যালারি স্লিপ বা ব্যবসার আয়–সম্পর্কিত প্রমাণ গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া স্থায়ী চাকরি, পারিবারিক দায়িত্ব বা সম্পত্তির মতো প্রমাণ থাকলে দেশে ফেরার আশ্বাস আরও দৃঢ় হয়।   ভ্রমণ ইতিহাস হাইলাইট করুন আগে অন্য দেশে ভিসা পেয়ে থাকলে বা বিদেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থাকলে তা উল্লেখ করুন। এটি দেখায় যে আপনি নিয়ম মেনে ভ্রমণ করেছেন এবং দেশে ফিরে এসেছেন, যা ভিসা অফিসারের কাছে ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়।   আবেদনের সময় ও প্রস্তুতি পর্যাপ্ত সময় নিয়ে আবেদন করুন। অনলাইন ফর্ম পূরণ বা সাক্ষাৎকারের আগে সব কাগজপত্র গুছিয়ে রাখুন। এতে চাপ কমবে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়বে। সাক্ষাৎকারের দিনে পোশাক পরিষ্কার, পরিপাটি ও প্রফেশনাল হওয়া উচিত।   সঠিক প্রস্তুতি, সততা এবং আত্মবিশ্বাস থাকলে আমেরিকার ভিসা পাওয়া সম্ভব। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ইতিবাচক মানসিকতা এবং স্পষ্ট লক্ষ্য।   তথ্যসূত্র: রাজু মহাজন, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন আইনজীবী

নভেম্বর ১৯, ২০২৫ 0
ডিমের কুসুমে রক্তের দাগ, এই ডিম খেলে যা হয়
ডিমের কুসুমে রক্তের দাগ, এই ডিম খেলে যা হয়

প্রতিদিনের খাবারে অনেকেই ডিম খান, কারণ এটি প্রোটিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস। চিকিৎসকরা সুপারিশ করছেন, প্রতিদিনের স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকায় ডিম রাখাটা খুবই ভালো। পুষ্টিকর ডিমে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন এ, ডি, বি এবং বি-১২ থাকে। এছাড়াও এতে থাকে লুটেইন ও জিয়াস্যানথিন নামের দুটি উপাদান, যা চোখের ছানিপড়া ও অন্ধত্ব প্রতিরোধে সাহায্য করে। ডিমের ফসফরাস হাড় গঠনে ভূমিকা রাখে, আর কুসুমে থাকা জিংক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।   ডিম পোচ, অমলেট বা সিদ্ধ ডিম—এই তিন ধরনের খাবার সবচেয়ে জনপ্রিয়। কিন্তু কখনো কি খেয়াল করেছেন ডিম ভাঙার পর কুসুমে লাল দাগ বা মাংসের টুকরো থাকে? অনেকেই ভাবেন, এটি কি খাওয়ার জন্য নিরাপদ?   বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিমের কুসুমে রক্তের দাগ থাকলেও এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকারক নয়, যদি ডিমটি ভালোভাবে রান্না করা হয়। ডিম্বনালী দিয়ে ডিম যাওয়ার সময় মাঝে মাঝে এতে রক্ত বা মাংসের টুকরো মিশে যেতে পারে।   তবে সতর্ক থাকতে হবে: ডিমের সাদা অংশ যদি গোলাপি বা লাল হয়ে যায়, তা নষ্ট হয়েছে ধরে নিতে হবে। সিউডোমোনাস ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে এমন পরিবর্তন ঘটে, এবং এই ধরনের ডিম খাওয়া উচিত নয়। সবুজাভ ডিমেও সিউডোমোনাস ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে, যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর।   তথ্যসূত্র: নিউজ এইটিন

নভেম্বর ১৯, ২০২৫ 0
কম দামে সেরা ১০ বাইক
কম দামে সেরা ১০ বাইক

যানজটপূর্ণ শহরে দ্রুত এবং সুবিধাজনক যাতায়াতের জন্য মোটরসাইকেল এখন জনতার কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। বাংলাদেশে মোটরসাইকেল শুধু যাতায়াতের মাধ্যম নয়, এটি স্টাইল, স্বাধীনতা এবং ব্যক্তিত্বের প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত হয়। তবে কম বাজেটে ভালো বাইক খুঁজে পাওয়া সবসময় সহজ নয়। তাই আজ আমরা দেশের বাজারে ২ লাখ টাকার মধ্যে পাওয়া সেরা ১০ বাইকের তথ্য সংক্ষেপে উপস্থাপন করব, যা পারফরম্যান্স, লুক এবং ফিচারের দিক থেকে রাইডারদের মন জয় করেছে।   ১. Bajaj Pulsar 150: মজবুত বিল্ড কোয়ালিটি, নির্ভরযোগ্য মাইলেজ এবং আরামদায়ক রাইডের জন্য জনপ্রিয়। দাম: ১,৯৯,৮৫০ টাকা। ২. TVS Apache RTR 160 2V: স্পোর্টি ফিল এবং তীক্ষ্ণ গতির জন্য ‘গতির রাজা’ খ্যাত। দাম: ১,৮৯,৯০০ টাকা। ৩. Hero Thriller 160R: দ্রুতগতির পারফরম্যান্স এবং স্মুথ রাইডের জন্য পরিচিত। দাম: ২,০০,০০০ টাকা। ৪. Hero Hunk 150R (Dual Disc): মাসকুলার ডিজাইন এবং নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্সের জন্য জনপ্রিয়। দাম: ১,৯৩,৫০০ টাকা। ৫. Suzuki Samurai 150: সাশ্রয়ী মূল্যে শক্তিশালী পারফরম্যান্সের জন্য পরিচিত। দাম: ১,৪৯,৯৫০ টাকা। ৬. Lifan KPR 150: ফুল ফেয়ারিং ডিজাইন এবং লিকুইড কুলিং সুবিধা সহ স্পোর্টস বাইকের ফিল দেয়। দাম: ১,৯৯,০০০ টাকা। ৭. Loncin GP 150: বাজেট ফ্রেন্ডলি স্পোর্টি লুকের জন্য তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয়। দাম: ১,৮৫,০০০ টাকা। ৮. CFMOTO 150NK: ইউরোপিয়ান ডিজাইনের নেকেড স্পোর্টস বাইক, ভারসাম্যপূর্ণ পারফরম্যান্স সহ। দাম: ১,৯০,০০০ টাকা। ৯. Knight Rider V2: দেশীয় বাজেট রেসিং স্টাইল বাইক, ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। দাম: ১,৬৭,০০০ টাকা। ১০. Bolt 165R: স্পোর্টি ডিজাইন, শক্তিশালী ১৬৫ সিসি ইঞ্জিন এবং আকর্ষণীয় কালার স্কিম। দাম: ১,৮৯,০০০ টাকা।   এই বাইকগুলো তাদের নিজস্ব বিশেষত্ব ও পারফরম্যান্সের কারণে বাজারে ভালো প্রভাব ফেলেছে। যারা কম বাজেটে স্টাইল, পারফরম্যান্স এবং নির্ভরযোগ্যতা খুঁজছেন, তাদের জন্য এগুলো চমৎকার বিকল্প হতে পারে।   সংক্ষেপে, এই তালিকা আপনাকে কম দামে সেরা বাইক বাছাই করতে সহজেই সহায়তা করবে।

নভেম্বর ১৯, ২০২৫ 0
কম খরচে ঘুরে আসতে পারেন পৃথিবীর যেসব দেশ
কম খরচে ঘুরে আসতে পারেন পৃথিবীর যেসব দেশ

বাজেট সীমাবদ্ধতার কারণে অনেকের দেশ-বিদেশ ভ্রমণের ইচ্ছে থাকলেও সবসময় তা সম্ভব হয় না। তবে এমন কিছু দেশ আছে, যেখানে কম খরচে থাকা, খাওয়া ও পরিবহন মিলিয়ে ভ্রমণ করা যায়।   চলুন জেনে নিই অল্প বাজেটে ভ্রমণের জন্য সাশ্রয়ী কিছু দেশ— উগান্ডা উগান্ডার পর্যটক ভিসার খরচ প্রায় ৬,১০০ টাকা, যা ৯০ দিনের জন্য বৈধ। দেশটি তার পর্বতগোরিলা, জাতীয় উদ্যান এবং নীলনদের উৎস হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে বুইন্দি ইমপেনেট্রেবল জাতীয় উদ্যান পর্বতগোরিলা দেখার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয়। তানজানিয়া পর্যটক ভিসার খরচ প্রায় ৬,১০০ টাকা, এবং ৯০ দিন পর্যন্ত থাকার অনুমতি দেয়। সেরেনগেটির সাফারি, কিলিমাঞ্জারো পর্বত এবং জাঞ্জিবারের সৈকত দেখার জন্য এটি অত্যন্ত কম খরচে ভ্রমণ করা সম্ভব। কম্বোডিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাশ্রয়ী ভিসা সুবিধাসম্পন্ন দেশগুলোর মধ্যে কম্বোডিয়া অন্যতম। ৩০ দিনের পর্যটক ভিসা খরচ মাত্র ৩,৬০০ টাকা, আর ই-ভিসার খরচ প্রায় ৪,২০০ টাকা। ২০২৫ সালে এই সাশ্রয়ী খরচ আরও বেশি পর্যটককে আর্কন ওয়াটের প্রাচীন মন্দির, ফ্রোমপেনহের ঐতিহাসিক স্থান এবং কাম্পট ও কেপের সমুদ্রসৈকত ঘুরতে আকৃষ্ট করছে। নেপাল নেপালের ভিসার খরচ খুবই কম। ১৫ দিনের জন্য খরচ পড়বে প্রায় ৩,৬০০ টাকা, ৩০ দিনে ৬,০০০ টাকা, এবং ৯০ দিনে ১৫,০০০ টাকা। সহজে ভিসা বাড়ানোর সুবিধা ও কম খরচের কারণে নেপাল হিমালয়ের দিকে যাওয়া পর্যটকদের জন্য অন্যতম বাজেটবান্ধব দেশ। জর্ডান জর্ডানে ৩০ দিনের একক প্রবেশ ভিসার খরচ ৪০ জর্ডানীয় দিনার, অর্থাৎ প্রায় ৭,০০০ টাকা। ফ্রি না হলেও প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় এটি অনেক কম। যারা পেত্রা, ডেড সি বা ওয়াদি রুম মরুভূমি দেখতে চান, তাদের জন্য এটি যুক্তিসঙ্গত। এছাড়া জর্ডান পাস ব্যবহার করলে অনেক ক্ষেত্রে ভিসার খরচও মওকুফ করা হয়।   এই দেশগুলো বাজেট সচেতন পর্যটকদের জন্য সাশ্রয়ী ভিসা এবং ভ্রমণের সুযোগ দেয়। সময় ও সুযোগ থাকলে পরিকল্পনা করে সহজেই ঘুরে আসা যায়।

নভেম্বর ২, ২০২৫ 0
বিয়ের জন্য কি আপনি প্রস্তুত, বুঝবেন যেভাবে
বিয়ের জন্য কি আপনি প্রস্তুত, বুঝবেন যেভাবে

আশপাশে থাকা মানুষ প্রায়ই প্রশ্ন করেন, “বিয়ে করছো না কেন?” আবার অনেকেই বলেন, বিয়ে হলেই জীবনের সব সমস্যা দূর হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবতা অন্য রকম। বিয়ে মানে শুধু পার্টনার পাওয়া নয়, বরং নতুন দায়িত্ব কাঁধে নেওয়া। এই দায়িত্ব নেওয়ার আগে নিজেকে পুরোপুরি প্রস্তুত করতে হয়।   ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া  অনুযায়ী, জীবনের নতুন অধ্যায় শুরুর আগে শুধুমাত্র আর্থিক স্বচ্ছলতা যথেষ্ট নয়। আরও কিছু মানসিক ও আচরণগত প্রস্তুতি থাকা দরকার।   প্রধান বিষয়গুলো হলো:   আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা বিয়ের আগে সহনশীল ও স্থির থাকা জরুরি। মতবিরোধ বা অসুবিধা হলে শান্তভাবে তা সমাধান করতে হবে। অল্পতেই রেগে যাওয়ার প্রবণতা থাকলে সংসারের দায়িত্বভার সামলানো কঠিন হয়ে যাবে। আর্থিক স্বাবলম্বী হওয়া বিয়ের পর নতুন সংসারের আর্থিক দায়িত্ব থাকে। খরচ, আয় ও লাইফস্টাইলের সামঞ্জস্য রাখতে হবে। “বিয়ে হোক, পরে দেখা যাবে” মানসিকতা ঠিক নয়।   পরিণত আচরণের প্রতিশ্রুতি নতুন জীবনে ছোট-বড় সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। ইতিবাচকভাবে সমস্যার সমাধান করতে প্রস্তুত থাকতে হবে। নতুন অভিজ্ঞতা থেকে শেখার মানসিকতা থাকা দরকার।   নিজ সম্পর্কে সচেতনতা নিজের ভালো-মন্দ দিক জানতে হবে। দুর্বলতা ও শক্তি মূল্যায়ন করে বুঝতে হবে, বিয়ে ও দাম্পত্য জীবনের দায়িত্ব নিতে আপনি কতটা প্রস্তুত।   পরস্পর সহযোগিতামূলক আচরণ জীবনসঙ্গী, পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের সঙ্গে সবসময় সহযোগিতা থাকা উচিত। নতুন জীবনে পরিবারের প্রতি দায়িত্ব ও ইতিবাচক মনোভাব থাকা দরকার।   হবু সঙ্গীর সঙ্গে মতামত ও লক্ষ্যের মিল যার সঙ্গে বিয়ে হবে, তার সঙ্গে জীবনের আদর্শ, বিশ্বাস ও লক্ষ্য মিল থাকা জরুরি। খাবার, পেশা, শখসহ বিভিন্ন বিষয় জানলে বিয়ের পরে বোঝাপড়ায় সহজ হয়।   সংক্ষেপে, বিয়ে মানে শুধু সম্পর্ক নয়, এটি মানসিক, আর্থিক ও সামাজিক দায়িত্বের সমন্বয়। এই বিষয়গুলো যাচাই করে নিজেকে প্রস্তুত করা না হলে নতুন জীবন শুরু করা অনেক কঠিন হয়ে যাবে।

অক্টোবর ২৪, ২০২৫ 0
সন্তান ধারণে সমস্যার সমাধান মিলবে যেসব খাবারে
সন্তান ধারণে সমস্যার সমাধান মিলবে যেসব খাবারে

আজকের ব্যস্ত ও চাপপূর্ণ জীবনে অনেক দম্পতি সন্তান ধারণে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। কেউ দেরিতে গর্ভধারণ করছেন, কেউবা দীর্ঘ সময় চেষ্টা করেও সফল হচ্ছেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি কেবল ভাগ্যের বিষয় নয়—খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপন ও মানসিক চাপও প্রজনন ক্ষমতার ওপর গভীর প্রভাব ফেলে।   তবে আশার খবর হলো, প্রকৃতিতেই রয়েছে এমন অনেক খাবার যা নারী ও পুরুষ উভয়ের উর্বরতা বা ফার্টিলিটি বাড়াতে সাহায্য করে। সঠিক পুষ্টি হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে, পাশাপাশি ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর গুণগত মানও উন্নত করে।   ফার্টিলিটি বাড়াতে সহায়ক ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান ভিটামিন ডি: যৌন হরমোন তৈরিতে সহায়তা করে ও হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। উৎস: ডিম, চর্বিযুক্ত মাছ (স্যামন, টুনা), দুধজাত খাবার, কড লিভার তেল, সূর্যের আলো। ভিটামিন ই: শুক্রাণুর গুণমান ও গতিশীলতা উন্নত করে, ডিএনএ রক্ষা করে। উৎস: সূর্যমুখী বীজ, বাদাম, জলপাই তেল, পালং শাক, পেঁপে। ভিটামিন সি: হরমোন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর স্বাস্থ্য ভালো রাখে, গর্ভপাতের ঝুঁকি কমায়। উৎস: আমলকী, পেয়ারা, লেবু জাতীয় ফল, ব্রোকলি, টমেটো। লাইপোইক অ্যাসিড: ডিম্বাশয় ও শুক্রাণুকে সুরক্ষা দেয়। উৎস: আলু, পালং শাক, লাল মাংস। ভিটামিন বি৬: হরমোন নিয়ন্ত্রণ ও রক্তে শর্করার ভারসাম্য রক্ষা করে। উৎস: কলা, টুনা, লিভার, স্যামন, পালং শাক, ব্রোকলি। ভিটামিন বি১২: জরায়ুর আস্তরণ শক্ত করে, শুক্রাণুর মান উন্নত করে ও গর্ভপাতের সম্ভাবনা হ্রাস করে। উৎস: ঝিনুক, লিভার, মাছ, ডিম, পনির। ফলিক অ্যাসিড: ভ্রূণের সঠিক গঠন নিশ্চিত করে ও জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধে সাহায্য করে। উৎস: শাকসবজি, ডাল, তিল, তিসি ও সূর্যমুখী বীজ। সেলেনিয়াম: ডিম্বাণু ও শুক্রাণুকে ফ্রি র‍্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। উৎস: মাছ, চিংড়ি, ব্রাজিল নাট, মাশরুম, টার্কি। জিঙ্ক: হরমোন ভারসাম্য বজায় রেখে নারী ও পুরুষ উভয়ের প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায়। উৎস: কলিজা, ঝিনুক, কুমড়োর বীজ, তিল, দই। ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: জরায়ুর রক্তপ্রবাহ বাড়ায় ও হরমোন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। উৎস: চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড, আখরোট, সামুদ্রিক মাছ (স্যামন, সার্ডিন)।   আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাবার   সঠিক খাদ্য পরিকল্পনায় রাখতে পারেন— প্রোটিন: ডিম, মাছ, ডাল, মাংস কার্বোহাইড্রেট: ব্রাউন রাইস, ওটস, আলু ফাইবার: শাকসবজি, ফল, বাদাম হেলদি ফ্যাট: অলিভ অয়েল, নারকেল তেল, বাদামের তেল   কিছু জরুরি পরামর্শ খাদ্য শুধু শরীর নয়, মন ও হরমোনের ভারসাম্যও নিয়ন্ত্রণ করে। দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও ফল না পেলে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন। ধূমপান, অতিরিক্ত চিনি ও ফাস্ট ফুড থেকে দূরে থাকুন।   সন্তান ধারণ কোনো একদিনের বিষয় নয়—এটি একটি ধীর, সচেতন ও পুষ্টিকেন্দ্রিক প্রক্রিয়া। সঠিক খাবার ও জীবনযাপনই হতে পারে আপনার কাঙ্ক্ষিত সুখবরের প্রথম ধাপ।

অক্টোবর ২২, ২০২৫ 0
পায়ের তলায় জ্বালাপোড়া? হতে পারে যেসব রোগের লক্ষণ
পায়ের তলায় জ্বালাপোড়া? হতে পারে যেসব রোগের লক্ষণ

পায়ের তলায় জ্বালা বা ঝাঁঝালো অনুভূতি? সাবধান, এটি হতে পারে গুরুতর রোগের লক্ষণ! অনেক সময় হঠাৎ পায়ের তলায় হালকা জ্বালা বা ঝাঁঝালো অনুভূতি দেখা দেয়। বেশিরভাগ মানুষই বিষয়টিকে সাধারণ ক্লান্তি বা বেশি সময় দাঁড়িয়ে থাকার ফল হিসেবে এড়িয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা সতর্ক করছেন—এই উপসর্গটি যদি বারবার দেখা দেয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে তা শরীরের ভেতরে লুকিয়ে থাকা বড় কোনো সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।   বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি পায়ের জ্বালার সঙ্গে ঝিমঝিম ভাব, অসাড়তা বা হাঁটতে সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।   সম্ভাব্য কারণসমূহ   ভিটামিনের ঘাটতি: ভিটামিন বি-১২, বি-৫, ডি ও ই-এর অভাব স্নায়ু ও পেশিতে ব্যথা বা জ্বালাভাব সৃষ্টি করতে পারে।   স্নায়ুর ক্ষতি (ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি): ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অনেকের ক্ষেত্রেই দীর্ঘমেয়াদি স্নায়ু ক্ষতির কারণে পায়ের তলায় এই ধরনের জ্বালা দেখা দেয়।   ফাঙ্গাল সংক্রমণ: অতিরিক্ত ঘাম বা আর্দ্রতা ফাঙ্গাসের জন্ম দেয়, যা ত্বকে চুলকানি ও জ্বালাভাব সৃষ্টি করে।   রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা: দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা বা টাইট জুতা পরার ফলে পায়ে রক্ত সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হয়ে জ্বালাভাব হতে পারে।   থাইরয়েড ও কিডনি সমস্যা: হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বা কিডনির অসুস্থতা স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে, যার ফলে এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে।   ঘরোয়া প্রতিকার   ঠাণ্ডা পানিতে পা কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। অ্যালোভেরা জেল লাগালে আরাম পাওয়া যায়। নরম ও বাতাস চলাচল করতে পারে এমন জুতা পরুন। নিয়মিত পা পরিষ্কার রাখুন এবং হালকা ব্যায়াম বা ম্যাসাজ করুন, এতে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়।   কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন   যদি জ্বালার সঙ্গে অসাড়তা, ঝিমঝিম ভাব, হাঁটতে সমস্যা, ক্ষত, ফোলা বা ত্বকের রঙ পরিবর্তন দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ, এসব উপসর্গ অনেক সময় স্নায়ু বা কিডনি সংক্রান্ত গুরুতর রোগের প্রাথমিক সংকেত হতে পারে।

অক্টোবর ১৩, ২০২৫ 0
কলার সুতার মতো অংশ খাওয়া বিপজ্জনক নাকি উপকারী? জেনে নিন আসল সত্য!
কলার সুতার মতো অংশ খাওয়া বিপজ্জনক নাকি উপকারী? জেনে নিন আসল সত্য!

কলার সুতার মতো অংশ খাওয়া কি সত্যিই উপকারী? জানুন বিশেষজ্ঞদের মতামত কলা এমন একটি ফল যা প্রায় সবাই ভালোবাসেন। সহজলভ্য, সাশ্রয়ী ও পুষ্টিগুণে ভরপুর হওয়ায় একে অনেকেই “পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল” বলে থাকেন। কিন্তু খোসা ছাড়ানোর পর কলার গায়ে দেখা যায় সরু সরু সুতার মতো তন্তু—যেগুলো বেশিরভাগ মানুষই বিরক্তিকর ভেবে ফেলে দেন। অথচ এই সুতার মতো অংশই হতে পারে আপনার শরীরের জন্য বাড়তি পুষ্টির উৎস!   বিশেষজ্ঞদের ভাষায়, এই সুতার নাম ‘ফ্লোয়েম বানডল’ (Phloem Bundle)। এটি কলা গাছের এমন একটি অংশ যার মাধ্যমে গাছ থেকে পুষ্টি ও পানি ফলের ভেতরে পৌঁছে যায়। অর্থাৎ কলার প্রতিটি কোষে পুষ্টি পৌঁছাতে এই তন্তুগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।   পুষ্টিবিদদের মতে, এই ফ্লোয়েম বানডলে রয়েছে প্রচুর ফাইবার, খনিজ উপাদান ও ভিটামিন। এমনকি কলার সাধারণ অংশের তুলনায় এই সুতাগুলোর ফাইবারের মান আরও উন্নত। নিয়মিত ফাইবারযুক্ত খাবার হজমে সহায়তা করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে।   বিজ্ঞানীরা আরও বলেন, কলার এই তন্তুগুলো খেলে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না, বরং নানা উপকার পাওয়া যায়। স্বাদের কারণে অনেকে এগুলো ফেলে দিলেও বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন—পরের বার কলা খাওয়ার সময় সুতাগুলো না ফেলে খেয়ে ফেলুন, কারণ এখানেই লুকিয়ে আছে অতিরিক্ত পুষ্টি ও শক্তির উৎস।  

অক্টোবর ১৩, ২০২৫ 0
হার্ট অ্যাটাকের এক মাস আগেই দেখা দেয় ১২ সতর্ক সংকেত
হার্ট অ্যাটাকের এক মাস আগেই দেখা দেয় ১২ সতর্ক সংকেত

হার্ট অ্যাটাককে আমরা প্রায়ই ‘হঠাৎ ঘটে যাওয়া’ এক প্রাণঘাতী ঘটনা ভেবে থাকি। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, এর অন্তত এক মাস আগে শরীর নীরবে নানা সতর্ক সংকেত পাঠায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এগুলোকে বলা হয় ‘প্রোড্রোমাল সিম্পটম’ বা আগাম উপসর্গ। সময়মতো সতর্ক হলে এবং চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে জীবন বাঁচানো সম্ভব।   সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আগে অন্তত এক মাস পর্যন্ত কিছু সাধারণ উপসর্গ অনেকের শরীরে দেখা যায়। যেমন-মাঝে মাঝে বুক ব্যথা, হালকা মাথা ঘোরা, শ্বাসকষ্ট কিংবা অকারণে ক্লান্তি। এগুলো একে একে চিনে রাখলে জীবন বাঁচানো সম্ভব।   হার্ট অ্যাটাকের আগাম ১২ সতর্ক সংকেত ১. বুকে ব্যথা   গবেষণায় উঠে এসেছে, প্রায় ৬৮ শতাংশ রোগী হার্ট অ্যাটাকের আগে বুকে ব্যথা অনুভব করেন। এই ব্যথা কখনও আসে, কখনও চলে যায়। বিশেষ করে শারীরিক পরিশ্রম বা মানসিক চাপে এটি আরও তীব্র হতে পারে। অনেক সময় এটি এসিডিটির সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা হয়, যা বিপজ্জনক। ২. বুকে চাপ বা ভারী লাগা   চলাফেরা বা কাজের সময় যদি বুক ভারী মনে হয়, চেপে ধরা অনুভূত হয়-তাহলে সেটি উপেক্ষা করা উচিত নয়। প্রায় ৪৪ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই এটি আসন্ন বিপদের পূর্বাভাস। ৩. হৃদস্পন্দনের গতি বেড়ে যাওয়া বা অনিয়মিত হওয়া   হঠাৎ হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, অস্বাভাবিক দ্রুত বা অনিয়মিত ধুকপুক করা হার্টে রক্ত চলাচলের সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। গবেষণায় প্রায় ৪২ শতাংশ রোগী এ উপসর্গ জানিয়েছেন। ৪. শ্বাসকষ্ট   সাধারণ কাজেই যদি দম নিতে সমস্যা হয়, মনে হয় যথেষ্ট অক্সিজেন পাচ্ছেন না,এটি হৃদরোগের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। ৫. বুকে জ্বালাপোড়া   অনেকেই একে সাধারণ অ্যাসিডিটি ভেবে ভুল করেন। অথচ বারবার বুক জ্বলা হার্টের ধমনিতে ব্লকেজের ইঙ্গিতও দিতে পারে। ৬. অকারণে ক্লান্তি   যথেষ্ট ঘুম হলেও সারাদিন অবসন্ন লাগা হৃদপিণ্ডে রক্ত প্রবাহে জটিলতার লক্ষণ। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায়। ৭. মাথা ঘোরা বা অস্থিরতা   হঠাৎ মাথা ঘোরানো, ভারসাম্য হারানো বা অস্থিরতা শরীরে রক্তপ্রবাহ বিঘ্নিত হওয়ার কারণেই ঘটে থাকে। ৮. বমি বমি ভাব বা পেটের সমস্যা   গ্যাস্ট্রিক বা হজমজনিত সমস্যা ভেবে অনেকে এড়িয়ে যান। তবে বারবার বমি বমি লাগা বা অস্বস্তি হৃদরোগের সঙ্গেও সম্পর্কিত হতে পারে। ৯. উদ্বেগ বা অজানা আতঙ্ক   কোনও সুস্পষ্ট কারণ ছাড়াই উদ্বেগ বা অস্থিরতা দেখা দিলে সেটি মানসিক সমস্যাই নয়, হার্ট অ্যাটাকের আগাম সতর্কবার্তাও হতে পারে। ১০. ঘুমের সমস্যা   রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়া, বারবার শ্বাসকষ্টে হঠাৎ জেগে ওঠা বা শোয়ার সময় দম বন্ধ হয়ে আসার মতো সমস্যা হার্টের অসুস্থতার সংকেত দেয়। ১১. পা বা গোড়ালি ফুলে যাওয়া   হৃদপিণ্ড ঠিকমতো রক্ত পাম্প করতে না পারলে শরীরে পানি জমে যায়, যার প্রভাব পড়ে পা, গোড়ালি ও পায়ের পাতায়। ১২. শরীরের অন্য অংশে ব্যথা   হার্ট অ্যাটাক মানেই যে শুধু বুকে ব্যথা হবে তা নয়। অনেক সময় হাত, পিঠ, ঘাড় বা চোয়ালে ব্যথা শুরু হয়—যা সপ্তাহখানেক আগেও টের পাওয়া যায়।   নারী ও পুরুষের উপসর্গে পার্থক্য চিকিৎসকরা জানান, নারীদের ক্ষেত্রে উপসর্গগুলো অনেক সময় ভিন্নভাবে প্রকাশ পায়। যেমন-অতিরিক্ত ক্লান্তি, বমি বমি ভাব, পিঠে বা চোয়ালে ব্যথা এবং হজমে সমস্যা। এই লক্ষণগুলোকে অন্য অসুখ ভেবে অবহেলা করার ঝুঁকি বেশি, ফলে চিকিৎসা পেতে দেরি হয়।   কেন আগে থেকেই সংকেত দেয় শরীর? হার্ট অ্যাটাকের মূল কারণ হলো হৃদপিণ্ডে রক্তপ্রবাহে বাধা। ধমনিতে জমতে থাকা চর্বি, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য পদার্থ প্লাক তৈরি করে। যখন এই প্লাক ফেটে যায়, তখন রক্ত জমাট বেঁধে ধমনী বন্ধ হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে শরীরে নানা পরিবর্তন ঘটায়, যেগুলো উপসর্গ হিসেবে প্রকাশ পায়।   শেষ মুহূর্তে আরও তীব্র লক্ষণ   হার্ট অ্যাটাকের ঠিক আগে শরীর আরও জোরালো সংকেত দেয়। যেমন-তীব্র বুক ব্যথা, ঘেমে যাওয়া, বুকে চাপ, শ্বাসকষ্ট, পিঠ বা চোয়ালে তীব্র ব্যথা। এগুলো একসঙ্গে দেখা দিলে চিকিৎসা নিতে দেরি করলে মারাত্মক বিপদ হতে পারে।   হার্ট অ্যাটাক সবসময় হঠাৎ করে আসে না। শরীর এক মাস আগেই তার ইঙ্গিত দিতে থাকে। তাই নিয়মিত বুক ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ঘুমের সমস্যা বা অস্বাভাবিক ক্লান্তিকে ছোট করে দেখবেন না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে প্রাণঘাতী ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।    

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৫ 0
দাঁতে ব্যথা বা মাড়ি ফুলছে
দাঁতে ব্যথা বা মাড়ি ফুলছে, ডেকে আনছেন ঝুঁকি

দাঁতে চিনচিনে ব্যথা কিংবা মাড়ি ফুলে গেলে অনেকেই ব্যথানাশক খেয়ে ফেলেন বা অ্যান্টিসেপ্টিক মলম লাগান। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, এভাবে সমস্যা চেপে রাখা ঠিক নয়। কারণ দাঁত ও মাড়ির ছোটখাটো অস্বস্তিই অনেক সময় বড় রোগের পূর্বলক্ষণ হতে পারে।    মাড়ি থেকে রক্তপাত, মুখে দুর্গন্ধ দিনে দু’বার ব্রাশ করা, মাউথওয়াশ ব্যবহার করেও যদি মুখের দুর্গন্ধ না যায় বা মাড়ি থেকে রক্ত পড়ে, তবে সতর্ক হতে হবে। এটি পেরিয়োডন্টাইটিস-এর লক্ষণ হতে পারে, যার সঙ্গে ডায়াবেটিস বা রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এ অবস্থায় দাঁত ও মাড়ির সংলগ্ন কোষ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।   দাঁতে ব্যথা, লাল হয়ে ফুলে ওঠা মাড়ি অতিরিক্ত ধূমপান, অপুষ্টি, ডায়াবিটিস কিংবা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধের কারণে মাড়িতে সংক্রমণ হয়। দাঁত শিরশির করে, মাড়ি লাল হয়ে যায় ও ব্যথা বাড়তে থাকে। এটিকে চিকিৎসা ভাষায় বলা হয় জিঞ্জিভাইটিস। এ সময় চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি। ব্রাশ করেও দুর্গন্ধ না যাওয়া   অম্বল, সাইনাস ইনফেকশন বা ভিটামিন ডি-এর ঘাটতির কারণেও মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে। সাইনাস হলে নাক-মুখ দিয়ে হলুদ বা সবুজ রঙের মিউকাস বের হয়। আর ভিটামিন ডি কম থাকলে দাঁতের এনামেল ক্ষয়ে যায়। ফলে দাঁতের নানা সমস্যা দেখা দিয়ে মুখের গন্ধ বেড়ে যায়। জিভের নীচে মাংসপিণ্ড বা আলসার   জিভের নীচে ছোট মাংসপিণ্ড বা আলসার হলে খাওয়া-দাওয়া ও কথা বলতে সমস্যা হয়। ভিটামিন সি ও বি-এর ঘাটতি, হরমোনের সমস্যা বা কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের কারণে এমন হতে পারে। তবে ক্ষত দ্রুত বাড়তে থাকলে, শক্ত হয়ে গেলে বা দাঁত নড়তে শুরু করলে, অবহেলা করা উচিত নয়। অনেক সময় এটি মুখগহ্বরের ক্যানসারেরও পূর্বলক্ষণ হতে পারে।   দাঁত বা মাড়ির যেকোনো সমস্যাই দীর্ঘদিন উপেক্ষা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ, প্রাথমিক সতর্কতাই পারে বড় বিপদ থেকে রক্ষা করতে।

অক্টোবর ৭, ২০২৫ 0
রাতে ঘুমানোর কতক্ষণ আগে খাওয়া উচিত। ছবি: সংগৃহীত।
রাতে ঘুমানোর কতক্ষণ আগে খাওয়া উচিত

রাতের খাবার তো রাতেই খাবে মানুষ, এর মধ্যে আবার ‘কোন সময়’ কেন, তাই না? আসুন, দেখা যাক এখানে ‘কিন্তু’ আসে কেন।   ইউরোপ-আমেরিকায় সাধারণত সন্ধ্যা না হতেই রাতের খাবারের পাট চুকে যায়, যাকে বলে ‘ডিনার’। আমাদের দেশেও গ্রামের মানুষ সাধারণত সন্ধ্যায়ই রাতের খাবার খেয়ে নেন। অবশ্য আগে বিদ্যুৎহীন গ্রামে বেশি রাত পর্যন্ত না খেয়ে জেগে থাকার উপায়ও ছিল না। এখন বিদ্যুৎ থাকলেও আগের সেই অভ্যাস রয়ে গেছে অনেকের মধ্যেই, বিশেষত প্রবীণদের মধ্যে। কিন্তু শহরের মানুষের অভ্যাস প্রায় বিপরীত। একটু বেশি রাতে খাওয়ার চলই বেশি। তবে বেশি রাতে খাবার খাওয়া মোটেও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়।   সাম্প্রতিক এক গবেষণা অনুযায়ী, সাধারণত রাতে ঘুমানোর ২-৩ ঘন্টা আগে থেকে খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়।   রাতে ঘুমানোর কতক্ষণ আগে খাওয়া উচিত? নিউট্রিয়েন্টস জার্নালে প্রকাশিত এবং ইউএস ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনের মাধ্যমে করা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় রাতে খাওয়ার উপর আরও নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এতে আপনি কী খান, কখন এবং কীভাবে থাকেন তার উপর নির্ভর করে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।    রাতে দেরিতে খাওয়ার কুফল আগের গবেষণাগুলোতে বেশি রাতে খাবার খাওয়া স্থূলতা, রক্তে শর্করার বৃদ্ধি এবং ইনসুলিন প্রতিরোধের সাথে যুক্ত। যারা রাতের শিফটে কাজ করেন বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খান তারা এই সমস্যাগুলি আরও তীব্রভাবে অনুভব করেন। বেশি রাতের খাবার এবং তাৎক্ষণিক ঘুম শরীরকে হজমের জন্য ন্যূনতম সময় দেয়, যার ফলে বিপাকীয় চাপ তৈরি হয়।   নতুন দৃষ্টিভঙ্গি: রাতের সব খাবারই খারাপ নয় সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, রাতে ১৫০-২০০ ক্যালোরির কম, পুষ্টিকর খাবার কারও কারও জন্য ক্ষতিকর নাও হতে পারে। যেমন- সক্রিয় ব্যক্তিদের জন্য: রাতে প্রোটিন স্ন্যাক পেশি উন্নত করতে পারে, রাতের বিপাক উন্নত করতে পারে এবং এমনকি বিশ্রামের সময় ক্যালোরি ঝরাও বাড়িয়ে তুলতে পারে।   কিছু নির্দিষ্ট চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের জন্য: গ্লাইকোজেন স্টোরেজ রোগ বা টাইপ ১ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সারা রাত তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে ঘুমানোর আগে কাঁচা কর্নস্টার্চ বা প্রোটিন শেকের মতো খাবার খেতে  পারেন।    খাবার যখন আকর্ষণের মতো কাজ করে ওজন বেশি বা নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিদের জন্য, সন্ধ্যার সামান্য খাবারও ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। তবে নিয়মিত ব্যায়াম করলে এ সমস্যা অনেকটাই দূর হয়। সেই সঙ্গে হৃদরোগ এবং শরীরের গঠন উন্নত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। রাতের খাবারের ব্যাপারে বাড়তি সতর্কতা রাতে ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন। যদি হালকা নাশতার প্রয়োজন হয়, তাহলে হালকা, প্রোটিনযুক্ত এবং পুষ্টিকর খাবার বেছে নিন। সক্রিয় থাকুন। যদি আপনার অতিরিক্ত ক্যালোরির প্রয়োজন না হয়, তাহলে কেবল পানি পান এবং বিশ্রাম করুন। সূত্র: ইন্ডিয়া টিভি  

Unknown সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫ 0
Popular post
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে চাকরির সুযোগ, বেতন ৪৫ হাজার

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১৬ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।   এক নজরে নিয়োগের বিস্তারিত   প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) বিভাগের নাম: অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদসংখ্যা: ০১ জন শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ১ বছর চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয় বয়সসীমা: নির্ধারিত নয় বেতন: ৪৫,০০০ টাকা কর্মস্থল: ঢাকা   আবেদন প্রক্রিয়া: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ তারিখ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫

বৃত্তি পাবেন ৮০০ শিক্ষার্থী, আবেদন করবেন যেভাবে

দেশের মেধাবী কিন্তু আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা করতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে ‘স্পন্দনবি’। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে অধ্যয়নরত স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ইমদাদ সিতারা খান ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এবারও বৃত্তি প্রদান করবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এই সেবামূলক প্রতিষ্ঠান।   ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিষয়ে পড়ুয়া প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী এই বৃত্তির সুযোগ পাবেন। আগ্রহীরা আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ডাক, কুরিয়ার বা সরাসরি উপস্থিত হয়ে আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন।   বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।   কারা আবেদন করতে পারবেন? বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের এইচএসসি উত্তীর্ণ এবং বর্তমানে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত নিম্নোক্ত বিষয়ের মেধাবী, আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন— বিএসসি অনার্স বিএসসি অনার্স (কৃষি, পশুপালনসহ সব অনুষদ) এমবিবিএস বিডিএস বিএসসি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং বিএ অনার্স বিএসএস অনার্স বিবিএ আবেদনপত্র সংগ্রহ আবেদনকারীরা নিচের যেকোনো মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন— 🔗 https://spaandanb.org/projects/imdad-sitara-khan-scholarship/ 🔗 https://www.facebook.com/share/g/1FXJc2NhHe   অথবা ই-মেইলে যোগাযোগ করেও ফর্ম সংগ্রহ করা যাবে— mostafiz14@yahoo.com rajib.bd@spaandanb.org tuhin.bd@spaandanb.org sajedul1233@gmail.com zabbarbd5493@gmail.com আবেদন পাঠানোর ঠিকানা   স্পন্দনবি বাংলাদেশ অফিস বাসা-৭/২, শ্যামলছায়া-১, ফ্ল্যাট-বি/২, গার্ডেন স্ট্রিট, রিং রোড, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।   যোগাযোগ বৃত্তি সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য অফিস সময়ে যোগাযোগ— ☎️ ০২-৪৮১১৪৪৯৯ 📱 ০১৭১৩-০৩৬৩৬০ 📱 ০১৭৭৩-৬১০০০৯ 📱 ০১৯৩৩-৫৬০৬৬৫ 📱 ০১৭৯৬-১০২৭০০

নানান সুবিধাসহ আড়ংয়ে চাকরির সুযোগ

পোশাক প্রস্তুতকারক ও বিপণন প্রতিষ্ঠান আড়ং নতুন কিছু পদে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।   পদের বিবরণ: পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট বিভাগ: হেলথ সিকিউরিটি স্কিম (HSS), সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স অ্যান্ড প্রোডিউসার ডেভেলপমেন্ট (SCPD) পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয় যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অন্য যোগ্যতা: এমএস এক্সেল এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে দক্ষতা ডকুমেন্টেশন ও ফাইল ব্যবস্থাপনায় পারদর্শিতা অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ১–২ বছর চাকরির ধরণ ও অন্যান্য তথ্য: চাকরির ধরন: ফুলটাইম কর্মক্ষেত্র: অফিসে প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন বয়সসীমা: উল্লেখ নেই কর্মস্থল: ময়মনসিংহ (ত্রিশাল) বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে অন্যান্য সুবিধা: প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি, উৎসব বোনাস, স্বাস্থ্য ও জীবন বিমা এবং প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী অন্যান্য সুবিধা আবেদন করার নিয়ম:   আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে আবেদন করতে পারেন।

৫০ হাজার টাকা বেতনে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে চাকরির সুযোগ

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে নিয়োগ   দেশের অন্যতম মানবিক সংগঠন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে একজন যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা ২১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।   পদসংক্রান্ত তথ্য   প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পদের নাম: টেকনিক্যাল অফিসার পদসংখ্যা: ১ জন   যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি বা ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ২ বছর বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৪০ বছর   বেতন ও চাকরির ধরন বেতন: ৫০,০০০ টাকা চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন কর্মস্থল: কুড়িগ্রাম   আবেদন প্রক্রিয়া   আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ওয়েবসাইটে ক্লিক করুন।

অভিজ্ঞতা ছাড়াই ১০০ জনকে নিয়োগ দেবে যমুনা গ্রুপ

দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান যমুনা গ্রুপ নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্লাজা সেলস বিভাগে ‘এক্সিকিউটিভ’ পদে ১০০ জন যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা ৮ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।   পদসংক্রান্ত তথ্য   প্রতিষ্ঠানের নাম: যমুনা গ্রুপ বিভাগ: প্লাজা সেলস পদের নাম: এক্সিকিউটিভ পদসংখ্যা: ১০০টি   যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা   প্রার্থীকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী হতে হবে। এ পদে অভিজ্ঞতা প্রয়োজন নেই, তাই নবীন প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন।   অন্যান্য তথ্য চাকরির ধরন: ফুল-টাইম বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে প্রার্থীর ধরন: নারী ও পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন বয়সসীমা: ন্যূনতম ২২ বছর কর্মস্থল: দেশের যেকোনো স্থানে আবেদন সংক্রান্ত তথ্য   আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ সময়: ৮ নভেম্বর ২০২৫।

Top week

নেসকোতে বড় নিয়োগ, পদ ১৩৭
চাকরি

নেসকোতে বড় নিয়োগ, পদ ১৩৭

ডিসেম্বর ১৭, ২০২৫ 0