ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরীফ ওসমান বিন হাদি হত্যা মামলায় গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি এসেছে। মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে রাহুল দাউদ (৩৭) এবং তার সহযোগীদের নামে থাকা ৮টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই আদালত এই নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজ শেষে নির্বাচনি প্রচারণাকালে রাজধানীর পল্টন বক্স কালভার্ট রোডে শরীফ ওসমান হাদির ওপর হামলা চালানো হয়। মোটরসাইকেলে করে আসা রাহুল দাউদ ও তার সহযোগীরা চলন্ত অবস্থায় তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে তিনি শহীদ হন। প্রথমে ১৪ ডিসেম্বর হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হলেও হাদির মৃত্যুর পর তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে মামলায় ৩০২ ধারা (হত্যা) যুক্ত করা হয়। বর্তমানে মামলাটি ডিবি পুলিশের তত্ত্বাবধানে তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তের অংশ হিসেবে আসামিদের আর্থিক লেনদেন নিয়ন্ত্রণে আনতেই সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবগুলো জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যখন দেশজুড়ে নির্বাচনী প্রস্তুতি জোরদার হচ্ছে, ঠিক সেই সময়ে নির্বাচন স্থগিত চেয়ে দায়ের করা একটি রিট আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, দেশের সব মানুষ এখন নির্বাচনমুখী—এমন সময়ে নির্বাচন স্থগিতের আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজী ও বিচারপতি রিয়াজ উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। রিটকারী আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আদালতের মনোভাব বিবেচনায় নিয়ে বৃহত্তর স্বার্থে তিনি রিট আবেদনটি নট প্রেস (উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ) হিসেবে গ্রহণ করেছেন এবং আর এই মামলা পরিচালনা করবেন না। উল্লেখ্য, গত ৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট দায়ের করেন। রিটে নির্বাহী বিভাগ থেকে নির্বাচন কমিশনের সচিব, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা এবং ‘ইলেক্টোরাল সার্ভিস কমিশন’ গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। পাশাপাশি রুল জারি করে রুল নিষ্পত্তির আগ পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত রাখার আবেদন জানানো হয়। রিটে বলা হয়, নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তাদের দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। নির্বাচন কমিশনকে বিচার বিভাগের মতো স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজস্ব লোকবল দিয়ে পরিচালিত হওয়া উচিত। তাই স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব পর্যায় থেকে সচিব, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের দাবি জানানো হয়। অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম আরও জানান, সরকার ও নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে ডিসিদের সঙ্গে বৈঠক করছেন এবং তাদের নির্বাচন পরিচালনার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। একই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে আবারও প্রভাবিত নির্বাচনের আশঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা এবং নির্বাচন কমিশনের সচিবকে অপসারণ করা জরুরি; অন্যথায় নির্বাহী বিভাগের প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।
চব্বিশের জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে ফাঁসির দঁড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা এটিই প্রথম মামলা, যার রায় হলো আজ। সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে ছয় অধ্যায়ে ৪৫৩ পৃষ্ঠার রায়ের প্রথম অংশ পড়া শুরু করেন বিচারিক প্যানেলের সদস্য বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলের অপর সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ। ২ ঘণ্টা ১০ মিনিটের সংক্ষিপ্ত রায় পড়া শেষে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের বিরুদ্ধে এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। গত বছরের ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। তারপর থেকে সেই দেশেই আছেন তিনি। পলাতক আছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও। তবে, গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় বছরখানেক ধরে কারাগারে রয়েছেন সাবেক আইজিপি মামুন। যদিও রাজসাক্ষী হয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন তিনি। ফলে সাবেক এই আইজিপির শাস্তির বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের ওপর ছেড়ে দেন প্রসিকিউশন। একইসঙ্গে শেখ হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ সাজা চাওয়া হয়। তিন আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। এর মধ্যে রয়েছে উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, আবু সাঈদ হত্যা, চানখারপুলে হত্যা ও আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার ও শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার। সাক্ষী করা হয়েছে ৮৪ জনকে। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। সোমবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটের পর কড়া নিরাপত্তায় কারাগার থেকে প্রিজনভ্যানে করে মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে পুলিশ। অনেকটা মাথা নিচু করেই ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় ঢোকেন তিনি। এদিকে, শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বাড়ানো হয় কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। পুলিশ-র্যাব, এপিবিএন-বিজিবির পাশাপাশি নিয়োজিত রয়েছে সেনাবাহিনী। তৎপর গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও। নিরাপত্তার স্বার্থে রোববার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকেই দোয়েল চত্বর হয়ে শিক্ষাভবনমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সীমিত করা হয় জনসাধারণের চলাচলও। গত ১৩ নভেম্বর এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ দিন নির্ধারণ করেন। ট্রাইব্যুনালের বাকি সদস্যরা হলেন— বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। শেখ হাসিনার এ মামলায় মোট ২৮ কার্যদিবসে ৫৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য-জেরা শেষ হয়। আর ৯ কার্যদিনে চলে প্রসিকিউশন-স্টেট ডিফেন্সের যুক্তিতর্ক পাল্টা যুক্তিখণ্ডন। ২৩ অক্টোবর রাষ্ট্রের প্রধান আইনকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের সমাপনী বক্তব্য এবং চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেনের যুক্তিখণ্ডন শেষে রায়ের তারিখ নির্ধারণে সময় দেওয়া হয়। যুক্তিতর্কে শেখ হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ সাজা চায় প্রসিকিউশন। তবে, রাজসাক্ষী হওয়ায় মামলার অন্যতম আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের ব্যাপারে ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়।
হাইকোর্ট এলাকার জাতীয় ঈদগাহ মাঠের গেটের পাশে ড্রামভর্তি খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় প্রকাশ পেয়েছে নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, রংপুরের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আশরাফুল হককে হত্যা করে মরদেহ খণ্ডিত করার পর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে তা সরানোর প্রতিটি ধাপ ছিল অত্যন্ত পরিকল্পিত ও সংগঠিত। ফুটেজে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ২টা ৪৩ মিনিটে মূল অভিযুক্ত জরেজুল ইসলামের প্রেমিকা শামীমা আক্তার শনির আখড়ার বাসায় একটি সিএনজি ভাড়া করে আনেন। ধারণা করা হচ্ছে, খণ্ডিত মরদেহ সরানোর প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই যানটি ব্যবহার করা হয়। এর মাত্র নয় মিনিট পর, দুপুর ২টা ৫২ মিনিটে শামীমার বাসা থেকে দুটি ড্রামে ভরা আশরাফুলের খণ্ডিত মরদেহ সিএনজিতে তুলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে হত্যাকারীরা। পুরো ঘটনাজুড়ে তাদের আচরণ ছিল ঠাণ্ডা মাথার ও সুপরিকল্পিত। পুলিশ জানায়, ড্রামবাহী সিএনজি দুপুর ৩টা ১৩ মিনিটে হাইকোর্ট এলাকার মাজার গেট সংলগ্ন স্থানে পৌঁছে একটি বড় গাছের নিচে ড্রাম দুটি রেখে দ্রুত পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ড্রাম উদ্ধার করে এবং মরদেহ শনাক্ত করে। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) নিহতের বোন আনজিরা বেগম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় জরেজুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরে র্যাব-৩ ও ডিবির যৌথ অভিযানে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে জরেজুল ইসলাম ও তার সহযোগী শামীমা আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফোনে অশ্লীল বার্তা পাঠানোসহ টেলিযোগাযোগসংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধে কঠোর শাস্তির বিধান রেখে নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ সম্প্রতি ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া প্রকাশ করেছে। খসড়াটি বর্তমানে অংশীজন ও সাধারণ নাগরিকদের মতামতের জন্য বিভাগের ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে, এবং ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত মতামত জানানোর সুযোগ থাকবে। খসড়া অধ্যাদেশের প্রধান দণ্ড ও বিধানসমূহ অশ্লীল বা অশোভন বার্তা প্রেরণ: অধ্যাদেশের ধারা ৬৯ অনুযায়ী, টেলিযোগাযোগ বা বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে অশ্লীল, ভীতিকর, অপমানজনক বা অশোভন বার্তা, ছবি বা ভিডিও পাঠালে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড বা দেড় কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে। গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। বারবার ফোন করে বিরক্ত করা: ধারা ৭০ অনুসারে, যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া কারও কাছে বারবার ফোন করে বিরক্ত করা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ জন্য এক লাখ টাকা জরিমানা বা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড হতে পারে। বেআইনিভাবে আড়ি পাতা: কোনো ব্যক্তির যোগাযোগে বেআইনি আড়িপাতার অভিযোগ প্রমাণিত হলে দুই বছর কারাদণ্ড বা দেড় কোটি টাকা জরিমানা করা যাবে। অনলাইন ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মের ওপর নিয়ন্ত্রণ খসড়া অধ্যাদেশ অনুযায়ী, ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা যেমন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, অনলাইন মেসেজিং ও ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ—সবকিছুই সরকারের অনুমোদন ও নিবন্ধনের আওতায় আসবে। এসব প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে নিবন্ধন নিতে হবে এবং প্রয়োজনে নিরাপত্তা সংস্থাকে তথ্য সরবরাহ করতে হবে। এ ছাড়া অনুমতিহীনভাবে টেলিযোগাযোগ সেবা বা বিদেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার স্বার্থে সরকার প্রয়োজনে যেকোনো প্ল্যাটফর্ম স্থগিত বা বন্ধ করার ক্ষমতা রাখবে। টেলিযোগাযোগ কমিশন গঠন অধ্যাদেশে একটি স্বাধীন নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কমিশন’ গঠনের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। পাঁচ সদস্যের এই কমিশন লাইসেন্স প্রদান, নীতিনির্ধারণ, স্পেকট্রাম বণ্টন ও প্রযুক্তিগত মান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকবে। এই খসড়া আইনের মাধ্যমে দেশে টেলিযোগাযোগ ও অনলাইন যোগাযোগ ব্যবস্থায় আরও নিয়ন্ত্রণ, জবাবদিহিতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্য নিয়েছে সরকার।
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের সময় কুষ্টিয়ায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব উল আলম হানিফসহ চারজনের বিচার শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে, পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল। রোববার (২ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর। হানিফের পাশাপাশি মামলার অপর আসামিরা হলেন কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী এবং সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা। এর আগে, গত ৫ অক্টোবর প্রসিকিউশন তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে। অভিযোগে উসকানিমূলক বক্তব্য, ষড়যন্ত্র এবং কুষ্টিয়ায় ছয়জনকে হত্যা করার অভিযোগ আনা হয়। প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগটি গ্রহণ করে। গত ১৪ অক্টোবর হানিফসহ চারজন আসামি ট্রাইব্যুনালে হাজির না হওয়ায় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময় কুষ্টিয়ায় ছয়জন নিহত হন এবং আরও কয়েকজন আহত হন। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাসানুল হক ইনু ও মাহবুব উল আলম হানিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা হয় এবং পরে তদন্ত সংস্থা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেছেন, আসামি দোষী নাকি নির্দোষ, সেটি নির্ধারণের বাইরে অন্য কোনো মন্তব্য আদালতে গ্রহণযোগ্য নয়। রোববার (২ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন। চিফ প্রসিকিউটর জানান, ইনুর বিরুদ্ধে মোট আটটি অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আইনের বিধান অনুযায়ী, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হয়—তিনি নিজেকে দোষী মনে করেন নাকি নির্দোষ। যদি আসামি নিজেকে দোষী বলে, আদালত সেই ভিত্তিতেই রায় দিতে পারে। আর নির্দোষ থাকলে মামলাটি বিচারের সাক্ষ্য-প্রমাণ পর্যায়ে চলে যাবে। মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম স্পষ্ট করে বলেন, “এই প্রশ্নের জবাবে আমি শুধুমাত্র একটাই উত্তর দিতে পারি—দোষী না নির্দোষ। এর বাইরে আসামির অন্য কোনো বক্তব্যকে আদালত বিবেচনা করবে না।” তিনি আরও জানান, ইনু ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দলের সভাপতি হিসেবে প্রভাবশালী নেতা। জোটের মিটিংয়ে আন্দোলন দমন, কারফিউ আর শ্যুট অ্যাট সাইটের পরিকল্পনায় তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সময় উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়ে ছাত্রদের হত্যার যৌক্তিকতা তৈরি করেছেন। চিফ প্রসিকিউটর জানিয়েছেন, ইনু সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে ড্রোন-হেলিকপ্টার ব্যবহার, বোম্বিংসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি শেখ হাসিনাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, ছাত্র-জনতাকে আটক করা বা জেলে না পাঠিয়ে কীভাবে সামলানো যায়। আট নম্বর অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্ট কুষ্টিয়া শহরে ইনুর নির্দেশে পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ মিলে ছয় ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে। ট্রাইব্যুনাল আগামী ৩০ নভেম্বর মামলার সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন ও সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছে।
সরকারি চাকরিজীবীদের টার্গেট করে বিয়ে। কিছু দিন না যেতেই করেন যৌতুক ও ধর্ষণ মামলা। যার প্রতারণার শিকার খোদ এক বিচারক। ঢাকার নারী শিশু নির্যাতন আদালতে খোঁজ মিলেছে সেই নারীর। আর হাইকোর্টে মামলা করতে এসে ভুক্তভোগী বিচারক জানান, বিয়ের সাতদিনের মাথায় তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলার কথা। যদিও সেই নারী কথা বলতে রাজি হননি। পরপর ৭টি বিয়ে করেছেন এই নারী। যাদের সবাই সরকারি চাকুরীজীবি। যদিও এত বিয়ে করা অপরাধ নয়, তবে মদিনা মুনসুরের বিয়ে সংক্রান্ত মোট ৩টি মামলা ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিচারাধীন। মদিনা মুনসুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিবার বিয়ের পর স্বামীর নামে দেন যৌতুক ও ধর্ষণের মামলা। মদিনা সবশেষ যাকে বিয়ে করেছেন তিনি নিজেই একজন বিচারক। বর্তমানে ওএসডি হয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত আছেন তিনি। ভুক্তভোগী বিচারকের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, তিনি ২০০৬, ২০১০, ২০১৩, ২০১৫, ২০২০, ২০২২ এবং সর্বশেষ ২০২৫ সালে বিয়ে করেছেন, এটুকুই দালিলিক প্রমাণ। এর বাইরে আরও বিয়ে করে থাকতে পারেন। তার একটি নির্দিষ্ট কৌশল আছে। অপেক্ষাকৃত কম বয়সী এবং বিশেষ করে সরকারি চাকরিজীবীদের টার্গেট করেন। পরে ধর্ষণ মামলা দিয়ে চাকরি বাঁচানোর ভয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ২০-৪০ লাখ টাকা নিয়ে আপস করান। একাধিক বিয়ের অভিযোগ আসা নারী মদিনা মুনসুর বলেন, কে মামলা করেছে? নারী ও শিশু আদালতে আমি মামলা করেছি। আপনি কি শেখ মুহিব্বুল্লাহর কথা বলছেন। ক্রাইমটা যে ধরণের সেটা তো আমি এলিগেশন করেছি। তার জন্য তো আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। বিষয়টা নিয়ে আমি কোনো বক্তব্য দিতে চাচ্ছি না, কারণ এটা বিচারাধীন একটি বিষয়। বিচারকের আইনজীবী জানান, মদিনা বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন এতেই খুশি তারা। ভুক্তভোগী বিচারকের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, যাক উনি অন্তত কিছুটা হলেও ওনার কয়েকজন স্বামীকে চিনতে পেরেছেন। এ বিষয়ে আমরা খুশি। আর বাকি স্বামীদেরও উনি ভবিষ্যতে চিনতে পারবেন, যেহেতু উনি টাকা নিয়েছেন এবং ডকুমেন্টারি অর্থাৎ কোর্টের মামলার মাধ্যমে এগুলোর আপস হয়েছে। সেগুলোর সার্টিফাইড কপি আমাদের কাছে আছে। তিনি আরও বলেন, ওনার বিভিন্ন কাবিননামা আমাদের কাছে আছে। এমনকি ওনার প্রতারণার বিভিন্ন প্রমাণও আমাদের কাছে আছে। এগুলো নিয়ে ওনার প্রতারণার মামলায় সর্বোচ্চ সাত বছর (৪৯৫ ধারা) এবং তিন বছরের (৪১৭ ধারা) এদিকে, কাজ করতে গিয়ে নানা অসংলগ্ন কথাবার্তা পাওয়ায় এই মামলা ছেড়ে দিয়েছেন মদিনা মুনসুরের আইনজীবী। মদিনা মুনসুর এর আইনজীবী আহসান হাবীব বলেন, আপনি বলতে পারেন অর্থ আদায়ের একটি প্রক্রিয়া ব্যবহার করেন উনি পরিচালনা করছেন। এই প্যাটার্নটা যখন আমার চোখের সামনে আছে উনি বেশকিছু কর্থাবার্তা ও প্রস্তাব দিয়েছিলেন সেগুলো আসলে আমার ব্যক্তিগত, নীতিগত ও আমি যে আইন দ্বারা পরিচালিত তার সঙ্গে যায় না। সেহেতু আমি মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছি এবং ১২৬ দ্বারা বিজ্ঞ আদালতকে অবহিত করেছি।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রোববার (২৬ অক্টোবর) বাংলাদেশি পর্ন তারকা যুগল মো. জুয়েল রানা ও মেহেরা মাহাবুব পর্নোগ্রাফির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা আদালতে জানিয়ে দিয়েছেন, টাকা আয় করতে ভিগো এবং ট্যাঙ্গো অ্যাপস ব্যবহার করলেও সেখান থেকে পর্যাপ্ত আয় হয়নি। জবানবন্দিতে যুগলটি জানান, আন্তর্জাতিক পর্ন ওয়েবসাইটে শতাধিক ভিডিও আপলোড করেন। এছাড়া তারা টেলিগ্রামে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে পর্নোগ্রাফির ভিডিও ও লিঙ্ক শেয়ার করে অর্থ গ্রহণ করতেন। তারা জানান, ২০২০ সালে বিবাহিত হওয়ার পর ২০২১ সালে ভিগো অ্যাপে লাইভ অডিও এবং ভিডিও চালু করেন। তবে পর্যাপ্ত আয় না হওয়ায় পরে টেলিগ্রামের একটি ব্যবহারকারীর পরামর্শে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে পর্নোগ্রাফি ভিডিও তৈরি করতে শুরু করেন। ভিডিওগুলো আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইটে আপলোড করে তারা উল্লেখযোগ্য অর্থ আয় করেন। মামলার তদন্তে সিআইডি তাদের মোবাইল, সিমকার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করেছে। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে, যুগলটি শুধুমাত্র নিজের ভিডিও তৈরি করেননি, বরং অন্যদেরকেও এই শিল্পে প্রবেশ করাতে প্রলুব্ধ করতেন। গ্রেপ্তারের পর তাদের আদালতে হাজির করা হয় এবং ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এর আগে ২০ অক্টোবর বান্দরবানের হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডি তাদের গ্রেপ্তার করে।
গত বছরের ১৯ জুলাই রাজধানীর মিরপুর-১০ এ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন মাহফুজুর রহমান। ওইদিন বিকেলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা গুলি চালায়, সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি। আর এ ঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা করা হয়। আর এই মমলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। অন্য আসামিরা হলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, রাজধানীর কাফরুল থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন মোল্যা। এদিন আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো. তরিকুল ইসলাম। আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী। মামলার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৯ জুলাই রাজধানীর মিরপুর-১০ এ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অংশ নেন ভুক্তভোগী মাহফুজুর রহমান। ওইদিন বিকেলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা গুলি চালায়। এ সময় মাহফুজুর রহমানের ডান কানের পা পাশে গুলি লেগে মাথার অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। ফলে ঘটনাস্থলেই মাহফুজুর রহমান মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় পরে মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা করা হয়। মামলায় সালমান এফ রহমান ৭ নম্বর, আনিসুল হক ৮ নম্বর, জসিম ১৫ নম্বর ও আতিকুল ইসলাম ২০ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১৬ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এক নজরে নিয়োগের বিস্তারিত প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) বিভাগের নাম: অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদসংখ্যা: ০১ জন শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ১ বছর চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয় বয়সসীমা: নির্ধারিত নয় বেতন: ৪৫,০০০ টাকা কর্মস্থল: ঢাকা আবেদন প্রক্রিয়া: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ তারিখ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫
দেশের মেধাবী কিন্তু আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা করতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে ‘স্পন্দনবি’। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে অধ্যয়নরত স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ইমদাদ সিতারা খান ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এবারও বৃত্তি প্রদান করবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এই সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিষয়ে পড়ুয়া প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী এই বৃত্তির সুযোগ পাবেন। আগ্রহীরা আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ডাক, কুরিয়ার বা সরাসরি উপস্থিত হয়ে আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কারা আবেদন করতে পারবেন? বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের এইচএসসি উত্তীর্ণ এবং বর্তমানে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত নিম্নোক্ত বিষয়ের মেধাবী, আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন— বিএসসি অনার্স বিএসসি অনার্স (কৃষি, পশুপালনসহ সব অনুষদ) এমবিবিএস বিডিএস বিএসসি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং বিএ অনার্স বিএসএস অনার্স বিবিএ আবেদনপত্র সংগ্রহ আবেদনকারীরা নিচের যেকোনো মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন— 🔗 https://spaandanb.org/projects/imdad-sitara-khan-scholarship/ 🔗 https://www.facebook.com/share/g/1FXJc2NhHe অথবা ই-মেইলে যোগাযোগ করেও ফর্ম সংগ্রহ করা যাবে— mostafiz14@yahoo.com rajib.bd@spaandanb.org tuhin.bd@spaandanb.org sajedul1233@gmail.com zabbarbd5493@gmail.com আবেদন পাঠানোর ঠিকানা স্পন্দনবি বাংলাদেশ অফিস বাসা-৭/২, শ্যামলছায়া-১, ফ্ল্যাট-বি/২, গার্ডেন স্ট্রিট, রিং রোড, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, ঢাকা। যোগাযোগ বৃত্তি সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য অফিস সময়ে যোগাযোগ— ☎️ ০২-৪৮১১৪৪৯৯ 📱 ০১৭১৩-০৩৬৩৬০ 📱 ০১৭৭৩-৬১০০০৯ 📱 ০১৯৩৩-৫৬০৬৬৫ 📱 ০১৭৯৬-১০২৭০০
পোশাক প্রস্তুতকারক ও বিপণন প্রতিষ্ঠান আড়ং নতুন কিছু পদে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। পদের বিবরণ: পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট বিভাগ: হেলথ সিকিউরিটি স্কিম (HSS), সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স অ্যান্ড প্রোডিউসার ডেভেলপমেন্ট (SCPD) পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয় যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অন্য যোগ্যতা: এমএস এক্সেল এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে দক্ষতা ডকুমেন্টেশন ও ফাইল ব্যবস্থাপনায় পারদর্শিতা অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ১–২ বছর চাকরির ধরণ ও অন্যান্য তথ্য: চাকরির ধরন: ফুলটাইম কর্মক্ষেত্র: অফিসে প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন বয়সসীমা: উল্লেখ নেই কর্মস্থল: ময়মনসিংহ (ত্রিশাল) বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে অন্যান্য সুবিধা: প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি, উৎসব বোনাস, স্বাস্থ্য ও জীবন বিমা এবং প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী অন্যান্য সুবিধা আবেদন করার নিয়ম: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে আবেদন করতে পারেন।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে নিয়োগ দেশের অন্যতম মানবিক সংগঠন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে একজন যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা ২১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। পদসংক্রান্ত তথ্য প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পদের নাম: টেকনিক্যাল অফিসার পদসংখ্যা: ১ জন যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি বা ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ২ বছর বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৪০ বছর বেতন ও চাকরির ধরন বেতন: ৫০,০০০ টাকা চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন কর্মস্থল: কুড়িগ্রাম আবেদন প্রক্রিয়া আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ওয়েবসাইটে ক্লিক করুন।
দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান যমুনা গ্রুপ নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্লাজা সেলস বিভাগে ‘এক্সিকিউটিভ’ পদে ১০০ জন যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা ৮ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। পদসংক্রান্ত তথ্য প্রতিষ্ঠানের নাম: যমুনা গ্রুপ বিভাগ: প্লাজা সেলস পদের নাম: এক্সিকিউটিভ পদসংখ্যা: ১০০টি যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা প্রার্থীকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী হতে হবে। এ পদে অভিজ্ঞতা প্রয়োজন নেই, তাই নবীন প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। অন্যান্য তথ্য চাকরির ধরন: ফুল-টাইম বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে প্রার্থীর ধরন: নারী ও পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন বয়সসীমা: ন্যূনতম ২২ বছর কর্মস্থল: দেশের যেকোনো স্থানে আবেদন সংক্রান্ত তথ্য আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ সময়: ৮ নভেম্বর ২০২৫।