গত কয়েক দিনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থায় উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. জাহিদ হোসেন। তিনি জানান, বর্তমানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সম্পূর্ণ চিকিৎসক বোর্ডের তত্ত্বাবধানে আগের মতোই চলছে।
শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
ডা. জাহিদ বলেন, দেশি ও বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসা বোর্ডের পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশই ঠিক করবে—তাকে বিদেশে নেওয়ার প্রয়োজন আছে কি না।
তিনি আরও জানান, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, চীন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের চিকিৎসকদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করেই খালেদা জিয়ার চিকিৎসা পরিচালিত হচ্ছে এবং এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
ডা. জাহিদ বলেন, ডা. জোবায়দা রহমান দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে কাজ করছেন। চিকিৎসক দলের দেওয়া প্রতিটি চিকিৎসাই খালেদা জিয়া গ্রহণ করতে পারছেন বলে জানান তিনি।
হাসপাতালের সামনে অযথা ভিড় না করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, দেশবাসীর কাছে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চাওয়া হচ্ছে। সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে তার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ১৬ বছরের আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে রাজনৈতিক নির্যাতন, কারাভোগ এবং চিকিৎসার সুযোগ সীমিত থাকায় খালেদা জিয়ার শারীরিক বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়—হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস ও কিডনি জটিলতা তার মধ্যে অন্যতম।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পরদিন রাষ্ট্রপতির আদেশে মুক্তি পান খালেদা জিয়া। উন্নত চিকিৎসার জন্য তিনি গত ৭ জানুয়ারি লন্ডনে যান এবং ১১৭ দিন অবস্থান শেষে ৬ মে দেশে ফেরেন।
দেশে ফিরেও শারীরিক জটিলতার কারণে তাকে একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। সর্বশেষ ২৩ নভেম্বর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে দ্রুত এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।

