প্রথম স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্সের প্রায় পাঁচ বছর পর ফের বিয়ে পিঁড়িতে বসলেন আলোচিত মডেল ও অভিনয়শিল্পী শবনম ফারিয়া। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাদ আসর দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
দ্বিতীয় বার বিয়ের বিষয়টি শবনম ফারিয়া নিজেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানালেন তার পাত্রের নাম তানজিম তৈয়ব, তিনি রাজশাহীর ছেলে। অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ওয়েলস থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি ব্যাংকে অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত।
বিয়ের নিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, বিয়ে নিয়ে আমার অনুভূতি বরাবরই জটিল—আতঙ্কের চেয়ে কিছু কম নয়। বিবাহবিষয়ক বিভিন্ন জটিল ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর মনে করেছিলাম, এই অধ্যায় হয়তো আমার জীবনে আর আসবে না। তবে সময়ের প্রবাহে এবং পরিবারের আকস্মিক সিদ্ধান্তে এই পরিণয়।
ফারিয়া বলেন, ঢাকার অদূরে মাদানী অ্যাভিনিউতে অবস্থিত মসজিদ আল মুস্তাফায় নিকট আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। তবে বিয়ের সিদ্ধান্তটি হঠাৎ হওয়ায় তার একমাত্র ননদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। কারণ, তিনি দেশের বাইরে আছেন।
জীবনের নতুন যাত্রার জন্য সবার দোয়া ও শুভকামনা চেয়ে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে সহকর্মী, আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে একটি বিয়ে–পরবর্তী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
শবনম ফারিয়া ২০১৮ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন হারুনুর রশীদ অপুকে। প্রথম স্বামী তখন একটি বেসরকারি বিপণন সংস্থার জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিয়ের ঠিক এক বছর ৯ মাসের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে শবনম ফারিয়ার। অপুকে ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর ডিভোর্স দেন তিনি।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১৬ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এক নজরে নিয়োগের বিস্তারিত প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) বিভাগের নাম: অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদসংখ্যা: ০১ জন শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ১ বছর চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয় বয়সসীমা: নির্ধারিত নয় বেতন: ৪৫,০০০ টাকা কর্মস্থল: ঢাকা আবেদন প্রক্রিয়া: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ তারিখ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে নিয়োগ দেশের অন্যতম মানবিক সংগঠন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে একজন যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা ২১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। পদসংক্রান্ত তথ্য প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পদের নাম: টেকনিক্যাল অফিসার পদসংখ্যা: ১ জন যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি বা ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ২ বছর বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৪০ বছর বেতন ও চাকরির ধরন বেতন: ৫০,০০০ টাকা চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন কর্মস্থল: কুড়িগ্রাম আবেদন প্রক্রিয়া আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ওয়েবসাইটে ক্লিক করুন।
ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির তত্ত্বাবধানে নতুন সমন্বিত ব্যাংক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এই নিয়োগের আওতায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক-এ সিনিয়র অফিসার (সাধারণ) পদে ৩৯৮ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। পদসংক্রান্ত তথ্য প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক পদের নাম: সিনিয়র অফিসার (সাধারণ) পদসংখ্যা: ৩৯৮টি শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রার্থীদের যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা চার বছর মেয়াদি স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) বা সমমানসহ তদূর্ধ্ব পর্যায়ের পরীক্ষাগুলোর মধ্যে অন্তত দুইটিতে প্রথম বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে। কোনো পর্যায়েই তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি গ্রহণযোগ্য নয়। বয়সসীমা ১ জুলাই ২০২৫ তারিখে প্রার্থীর বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩২ বছর হতে হবে। আবেদন সংক্রান্ত তথ্য আবেদন ফি: ২০০ টাকা (অনগ্রসর নাগরিক গোষ্ঠীর প্রার্থীদের জন্য ৫০ টাকা)। আবেদনের শেষ সময়: ১০ নভেম্বর ২০২৫। আবেদন পদ্ধতি আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে এবং আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন।
আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াটারএইড বাংলাদেশ জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ‘টেকনিক্যাল এক্সপার্ট’ পদে নতুন কর্মী নেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে ২৮ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। নিয়োগের বিস্তারিত প্রতিষ্ঠানের নাম: ওয়াটারএইড বাংলাদেশ পদের নাম: টেকনিক্যাল এক্সপার্ট পদের সংখ্যা: নির্ধারিত নয় চাকরির ধরন: ফুল টাইম প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই কর্মস্থল: খুলনা যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি বা স্নাতক (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং/এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে) অভিজ্ঞতা: সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫ বছর বয়সসীমা: নির্ধারিত নয় বেতন ও সুবিধা বেতন: প্রতি মাসে ৯২,৫০০ টাকা আবেদন প্রক্রিয়া আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ তারিখ: ২৮ অক্টোবর ২০২৫
মায়ের অসুস্থতার কারণে কেন্দ্রে দেরিতে আসায় পরীক্ষা না দিতে পারা সেই আনিসা আহমেদ এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করেছেন। তিনি বাংলা ও ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে ফেল করেন। আনিসা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তিনি মানবিক বিভাগের পরীক্ষাথী। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনই (২৬ জুন) ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরীক্ষার্থী আনিসা মায়ের অসুস্থতার কারণে সময়মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছুতে পারেননি। দেরি হওয়ায় তাকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেননি দায়িত্বরতরা। এসময় ওই ছাত্রী পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। গেটের বাইরে দীর্ঘসময় অপেক্ষায় থেকে তিনি সেদিন ফিরে যান। ওই ছাত্রীর পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাঙলা কলেজ। আনিসার কান্না-আকুতি তখন নাড়িয়ে দেন বহু মানুষের বিবেক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন উঠে—আইন কি মানবিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে? নেটিজেনরা দাবি তোলেন—মানবিক বিবেচনায় হলেও তাকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। অন্তর্বর্তী সরকারও সেই দাবি আমলে নেয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে তখন শিক্ষা উপদেষ্টার বরাতে জানানো হয়, ‘পরীক্ষা দিতে না পারা আনিসার বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’
দুই মাস আগে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামিরা খান মাহির একগুচ্ছ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ছবিগুলো নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। কেউ কেউ প্রশংসা করলেও, অনেকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেন— ‘মিয়া খলিফার বাংলা ভার্সন!’ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই আলোচিত ছবি নিয়ে মুখ খুলেছেন মাহি। তিনি বলেন, ‘ছবিগুলো একটি নাটকের শুটিং সেটে তোলা হয়েছিল। এটা অনেক বিতর্কিত ছবি বলা হচ্ছে কেন, সেটাই এখন ব্যাখ্যা দিচ্ছি।’ মাহি জানান, ছবিগুলো আসলে ‘ভাত লাভার’ নামের একটি নাটকের দৃশ্যের অংশ। তিনি বলেন, ‘নাটকটি আমি আর আরশ করেছি, সকাল আহমেদের পরিচালনায়। যে চশমাটা (গ্লাস) পরে ছিলাম, সেটাও সকাল ভাইয়ের। ওই সিনে অফিসে বসে ছিলাম, তখন বলেছিলাম, “আমার একটা ছবি তুলো তো।”’ অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘আমার নিজের কোনো চশমা ছিল না। তাই ডিরেক্টরকে বলেছিলাম, “ভাইয়া, আপনার চশমাটা দেন তো, একটা ছবি তুলবো।” তখন আরশ বলল, “মাহি, তোমাকে কিন্তু দারুণ লাগছে!” এরপর আমি বিভিন্ন পোজে কিছু ছবি তুলেছিলাম।’ ছবিগুলো প্রকাশের পর সেগুলোকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। কেউ কেউ মাহির উদ্দেশে নেতিবাচক মন্তব্য করতে ছাড়েননি। এ বিষয়ে মাহি বলেন, ‘পরে যা হলো সেটা তো সবাই জানে। এটা অনেক কন্ট্রোভার্শিয়াল একটা বিষয় হয়ে গেল। তবে আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই— ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কোনো কিছু করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না।’ সামাজিকমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিগুলোতে দেখা যায়, মাহি নীল রঙের কোট পরে চোখে চশমা, হাতে কলম নিয়ে অফিসে বসে আছেন। আসলে এগুলো ছিল নাটকের দৃশ্যের প্রচারণার অংশ, কিন্তু অনেকেই ভুলভাবে তা ব্যাখ্যা করেছেন বলে জানান তিনি।
দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা ও চিকিৎসক ডা. এজাজুল ইসলাম আবারও প্রমাণ করেছেন, বিনয় ও মানবিকতার দিক থেকে তিনি সত্যিই অনন্য। সম্প্রতি তার একটি সাধারণ বাসযাত্রার ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যা তার সরলতা ও মানবিকতার সুন্দর উদাহরণ। ঘটনাটি যেভাবে ভাইরাল হয় ১৪ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী রাজিব পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন এক যাত্রী। তিনি ফেসবুকে পোস্ট করে জানান, গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে বাসে ওঠেন ডা. এজাজুল ইসলাম। সাধারণ পোশাকে, কোনো তারকাসুলভ আচরণ ছাড়াই তিনি যান ড্রাইভারের পাশের সিটে বসতে। যাত্রীরা তার পরিচয় টের পেয়ে আসন দিতে চাইলেও তিনি কারও আসন গ্রহণ করেননি। বরং পাশের সিট খালি হলে যখন এক যাত্রী তাকে বসার অনুরোধ করেন, তিনি নিজে বসার পরিবর্তে অন্য এক যাত্রীকে বসতে বলেন। যাত্রীর অভিজ্ঞতা পোস্টকারী যাত্রী লেখেন, “সাধারণত ডাক্তার বা অভিনেতাদের সঙ্গে একটা দূরত্ব থাকে। কিন্তু ডা. এজাজুল ইসলামের মতো একজন বিখ্যাত চিকিৎসক ও অভিনেতার এমন বিনয়ী আচরণ সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।” নেটদুনিয়ায় প্রশংসার ঝড় পোস্টটি ছড়িয়ে পড়তেই নেটিজেনরা ভরে দেন প্রশংসায়। কেউ লেখেন, “এটাই একজন প্রকৃত তারকার পরিচয়,” আবার কেউ বলেন, “এমন মানুষরাই সমাজে আলোর দিশা দেখান।” একজন সত্যিকারের মানুষ ডা. এজাজুল ইসলাম শুধু জনপ্রিয় অভিনেতা বা চিকিৎসকই নন, তিনি অনেকের কাছে “গরিবের ডাক্তার” নামেও পরিচিত। তার বিনয়ী ব্যবহার, মানবিক মানসিকতা ও সরল জীবনযাপন তাকে ভক্ত ও সহকর্মীদের কাছে বিশেষ সম্মান এনে দিয়েছে। বাংলাদেশের নাটক ও চলচ্চিত্রে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করছেন তিনি। প্রয়াত লেখক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের হাতে অভিনয়ে আসা এই গুণী অভিনেতা *‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘দুই দুয়ারী’*সহ বহু জনপ্রিয় নাটক ও চলচ্চিত্রে তার অসাধারণ অভিনয়ের ছাপ রেখে গেছেন। ডা. এজাজুল ইসলামের এই সাধারণ আচরণ আবারও প্রমাণ করল— তারকা হতে খ্যাতির প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন মানবিকতা ও বিনয়।
ভারতীয় অভিনেতা ও নবীন রাজনীতিক থালাপতি বিজয়ের রাজনৈতিক যাত্রা কালো অধ্যায়ে ঢেকে দিল ভয়াবহ এক দুর্ঘটনা। গত শনিবার তামিলনাড়ুর কারুর জেলায় তার সমাবেশে পদদলিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৪০ জনের। নিহতদের মধ্যে ১৭ নারী, ১৪ পুরুষ, চার কিশোর ও পাঁচ কিশোরী রয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ৬৭ জন, যাদের অনেকে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিজয়ের মঞ্চে আসতে দেরি হওয়ায় ভিড়ে সবাই অস্থির হয়ে ওঠে। পানি ও খাদ্যের সংকট পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করে তোলে। মুহূর্তের মধ্যেই হুড়োহুড়িতে ঘটে যায় পদদলনের মতো ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এ ঘটনার পর পুলিশ বিজয়ের দলের তিন শীর্ষ নেতা—বাসি আনন্দ, নির্মল কুমার ও ভিপি মথিয়ালাগানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে—সমাবেশে নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনায় টিভিকের মারাত্মক গাফিলতিই এই বিপর্যয়ের জন্য দায়ী। তদন্তের জন্য ইতোমধ্যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারকের নেতৃত্বে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে। ভক্তদের মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশ করে বিজয় নিহতদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, নিহত প্রত্যেক পরিবারের হাতে পৌঁছে দেওয়া হবে ২০ লাখ রুপি করে সহায়তা। আহতদের জন্যও আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হতে পারে। দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সহকর্মীরাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক জানিয়েছেন। কেউ লিখেছেন, যে ভালোবাসা বিজয়কে রাজনীতিতে শক্তি দিয়েছে, সেই ভালোবাসাই আজ করুরের মাটিতে পরিণত হলো শোকে।