মধ্যপ্রাচ্য

ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ বাংলাদেশি নিহত
ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ বাংলাদেশি নিহত

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানের দুকুম সিদরা এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের সাত বাংলাদেশির মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।   বুধবার (৮ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।    স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, দুকুম এলাকায় মাছধরা শেষে ফেরার পথে একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই কয়েকজনের মৃত্যু হয় এবং বাকিরা হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। বর্তমানে মরদেহগুলো দুকুম হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।    নিহতদের সবাই চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার সারিকাইত ইউনিয়নের বাসিন্দা। একসঙ্গে একই এলাকার সাত প্রবাসীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পুরো এলাকায়।   সারিকাইতের এক বাসিন্দা বলেন, একটা পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য ছিলেন কেউ কেউ। এই দুর্ঘটনার খবর সহ্য করা সত্যিই কঠিন।   ওমানপ্রবাসী বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাংলাদেশ দূতাবাসও বিষয়টি তদারকি করছে বলে জানা গেছে।

অক্টোবর ৮, ২০২৫ 0
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে এক বৈশ্বিক সম্মেলনের আয়োজন করে ফ্রান্স এবং সৌদি আরব।  ছবি: সংগৃহীত
‘রেড লাইন’ ঘোষণা করে ইসরায়েলকে কঠোর হুমকি দিল ফ্রান্স-সৌদি

গাজায় গণহত্যা বন্ধে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পাশাপাশি ইসরায়েলের জন্য ‘রেড লাইন’ ঘোষণা করেছে ফ্রান্স ও সৌদি আরব। একইসঙ্গে দখলদার দেশটির উদ্দেশ্যে কঠোর হুঁশিয়ারি বার্তাও দিয়েছে তারা।       মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।     প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান এবং মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান (টু স্টেট সলিউশন) বাস্তবায়ন করতে জাতিসংঘ, ফ্রান্স এবং সৌদি আরবের উদ্যেগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক বৈশ্বিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই অন্যান্য উপস্থিত সবার মতামত সাপেক্ষে ইসরায়েলের উদ্দেশে পশ্চিম তীরে জোরপূর্বক বসতি সম্প্রসারণ কার্যক্রম নিয়ে ‘রেড লাইন’ ঘোষণা করেছে দুই আয়োজক দেশ ফ্রান্স এবং সৌদি।    সম্মেলন শেষে এক যৌথ ঘোষণাপত্রে ফ্রান্স এবং সৌদি আরব বলেছে, ইসরায়েলকে অবশ্যই অনতিবিলম্বে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে এবং গাজায় বন্দি সব ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে, ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিতে হবে এবং গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবেশ অবাধ রাখতে হবে। এছাড়া পশ্চিম তীরে ক্ষমতাসীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ব্যাপারে একমত হয়েছে সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলো। তাই এখন থেকে পশ্চিম তীর ইসরায়েলের জন্য রেড লাইন।    ইসরায়েলকে হুঁশিয়ার করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পশ্চিম তীরে যে কোনো ধরনের সম্প্রসারণ কার্যক্রম ইসরায়েলের গুরুতর পরিণতি বয়ে আনবে এবং বর্তমানে ইসরায়েলের সঙ্গে আমাদের শান্তিচুক্তিসহ অন্যান্য যেসব চুক্তি রয়েছে, সেগুলোকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে।    সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসকে অস্ত্র সমর্পণ ও গাজার প্রশাসন থেকে বিদায় নেওয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে।   প্রায় দুই মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত কাল সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মিলনায়তনে হয়েছে এই সম্মেলন। ইসরায়েল এবং তার সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই বর্জন করেছে এ সম্মেলন।   এই সম্মেলনেই ফিলিস্তিনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে ফ্রান্স, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, অ্যান্ডোরা, মোনাকো। সম্মেলনের আগে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য ও পর্তুগাল।   সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলের জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলের সদস্য ড্যানি ডেনন বৈশ্বিক এ সম্মেলকে ‘সার্কাস’ উল্লেখ করে বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, এই সম্মেলনে কোনো কাজ হবে বলে আমাদের মনে হয় না এবং আমরা মনে করি, সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করতে এই সম্মেলনের ডাক দেওয়া হয়েছে।   তবে, আগের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওবার্তায় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, আমরা চাই, আল আকসা অঞ্চলে পাশাপাশি দু’টি রাষ্ট্র থাকবে। একটি রাষ্ট্র হবে ইসরায়েল, যা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে; অপর রাষ্ট্রটি হবে ফিলিস্তিন— যা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেবে। আমাদের একমাত্র দাবি আল আকসা অঞ্চলে দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান নীতির বাস্তবায়ন।  

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫ 0
মধ্যপ্রাচ্যে একটি ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ গঠনের পরিকল্পনা প্রকাশ্যে উচ্চারণ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ফাইল ছবি
শুধু ফিলিস্তিন নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্যই চান নেতানিয়াহু!

প্রায় দুই বছরে ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় ভয়াবহ আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। হামাস উৎখাত ও জিম্মি মুক্তির নামে প্রতিদিনই অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার সেনারা। শুধু গোলা আর গুলিই নয়; গাজা আগ্রাসনে ফিলিস্তিনিদের ক্ষুধা-তৃষ্ণাকেও অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর প্রশাসন। এছাড়া, প্রায়ই ইসরায়েলের আকস্মিক হামলার শিকার হচ্ছে লেবানন, সিরিয়া আর ইয়েমেনও। এক কথায় গত দুই বছরে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে ইসরায়েল।    পুরো বিশ্ব তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানালেও নেতানিয়াহু প্রশাসনকে আগ্রাসনমূলক এসব কর্মকাণ্ডে নিরঙ্কুশ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আর পরম বন্ধুর এমন সমর্থন পেয়ে যেন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে দখলদার রাষ্ট্রটি। এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে একটি ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ গঠনের পরিকল্পনা প্রকাশ্যে উচ্চারণ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সবশেষ ইসরায়েলের হামলার শিকার হয়েছে কাতার ও তিউনিসিয়াও। এ অবস্থায় গভীর উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে পুরো আরব রাষ্ট্রে।    বিশেষ করে কাতারে হামলার পর থেকেই ইসরায়েলকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হচ্ছে আরব রাষ্ট্রগুলো। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর থেকেও ভরসা অনেকটা উঠে গেছে তাদের।    রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) এমনই তথ্য উঠে এসেছে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে।    সে অনুযায়ী, মার্কিন মদদপুষ্ট বেপরোয়া ইসরায়েল যে এখন যেকোনো দেশকেই আক্রমণ করে বসতে পারে ইতোমধ্যে এমন ধারণার জন্ম হয়ে গেছে আরব বিশ্বের সদস্যদের মধ্যে।    বিশেষত, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ উপসাগরীয় মিত্র কাতারে বিমান হামলা চালানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইসরায়েলি বিশ্লেষকদের দৃষ্টি ঘুরে গেছে তুরস্কের দিকে। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম পরাশক্তি হিসেবে বিবেচিত এ দেশটির ওপর নজর রাখতে সম্প্রতি সাইপ্রাসকে শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও সরবরাহ করেছে ইসরায়েল।    এ নিয়ে আমেরিকান এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ গবেষক মাইকেল রুবিন বলেন, এবার তুরস্ক হতে পারে দখলদার ইসরায়েলের পরবর্তী টার্গেট। এমনকি ন্যাটো সদস্যপদও হয়তো রক্ষা করতে পারবে না তুরস্ককে।    ইসরায়েলি অ্যাকাডেমিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মেইর মাসরি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখেন, আজ কাতার, কাল তুরস্ক।    এছাড়া, বিগত কয়েক মাস ধরেই ইসরায়েলি মিডিয়াগুলোতে তুরস্ককে চিত্রিত করা হচ্ছে ‘ইসরায়েলের সবচেয়ে বিপজ্জনক শত্রু’ হিসেবে। বিশেষ করে, পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তুরস্কের উপস্থিতি ও যুদ্ধ-পরবর্তী সিরিয়ায় দেশটির পুনর্গঠনে ভূমিকা—এ বিষয়গুলোকে ‘নতুন হুমকি’ হিসেবে উপস্থাপন করছেন ইসরায়েলি বিশ্লেষকরা।   এ অবস্থায় ইসরায়েলকে নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে আঙ্কারায়। নেতানিয়াহুর উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে এখন বেশ সতর্ক অবস্থানে তুরস্ক। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে হিটলারের আত্মীয় বলে আখ্যা দিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তার এক উপদেষ্টা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল যদি তুরস্কের ওপর হামলার চিন্তাও করে, তাহলে তাদের জন্য ভয়াবহ শাস্তি অপেক্ষা করছে।    আটলান্টিক কাউন্সিলের নন-রেসিডেন্ট ফেলো ওমর ওজকিজিলসিক আল জাজিরাকে বলেন, আঙ্কারায় ইসরায়েলের হুমকি হয়ে ওঠার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ইসরায়েল আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তারে বদ্ধপরিকর। তুরস্ক বিশ্বাস করে, ইসরায়েল সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে এবং এর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সমর্থন রয়েছে।   এছাড়া, কাতারে হামলার পর তুরস্কের মধ্যে আরেকটি শঙ্কা জন্মেছে; আর তা হলো— ন্যাটো জোটের প্রতিশ্রুতি কতটা কার্যকর? কারণ, কাতার ‘মেজর নন-ন্যাটো অ্যালাই’ হলেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো দৃশ্যমান প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।    ওজকিজিলসিক বলেন, তুরস্ক বহু আগেই বুঝে গেছে, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য কেবল যুক্তরাষ্ট্র বা ন্যাটোর ওপর নির্ভর করা যাবে না।   এছাড়া সম্প্রতি কাতারে ইসরায়েলি হামলা তুরস্কের মার্কিন নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে সন্দেহ আরও বাড়িয়েছে। কারণ কাতার যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়া সত্ত্বেও ইসরায়েল তার ওপর হামলা চালিয়েছে এবং ওয়াশিংটনের কোনও দৃশ্যমান প্রতিরোধ দেখা যায়নি।   এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নিজেই তার দখলনীতি প্রকাশ্যে এনে চূড়ান্ত লক্ষ্যের কথা ফলাও করে প্রচার করছেন। ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ গঠন করে তিনি চাইছেন পুরো মধ্যপ্রাচ্যের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিতে। আর নেতানিয়াহুর সেই লক্ষ্যের পথে  তুরস্ক ও ইসরায়েলের প্রথম সংঘর্ষের ক্ষেত্র হতে পারে সিরিয়ার স্থল ও আকাশসীমা।   তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান বলেন, নেতানিয়াহুর ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ ভিশনের লক্ষ্যই হলো মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোকে দুর্বল, অকার্যকর করে ফেলা; বিশেষ করে ইসরায়েল প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোকে বিভক্ত করে রাখা; আর এভাবে পুরো মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নিজের ক্ষমতা বলবৎ করা।   সাবেক তুর্কি নৌ-অ্যাডমিরাল এবং ‘ব্লু হোমল্যান্ড’ কৌশলের রূপকার সেম গুরদেনিজ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ছায়ায় গ্রিস, গ্রিক সাইপ্রাস ও ইসরায়েলের সমন্বয়ে সাইপ্রাসে যে সামরিক ও গোয়েন্দা ঘাঁটি শক্তিশালী হচ্ছে, তা তুরস্কসহ পুরো মধ্যপ্রাচ্যকেই চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে।  

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫ 0
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর তিন রাষ্ট্র। প্রতীকী ছবি
মহাবিজয়ের পথে ফিলিস্তিন, একসঙ্গে তিন ক্ষমতাধর দেশের স্বীকৃতি

দীর্ঘ ২৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় ভয়াবহ আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। হামাস উৎখাত ও জিম্মি মুক্তির নামে প্রতিদিনই অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার সেনারা। পুরো বিশ্ব তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানালেও নেতানিয়াহু প্রশাসনকে আগ্রাসনমূলক এসব কর্মকাণ্ডে নিরঙ্কুশ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। পরম বন্ধুর এমন সমর্থন পেয়ে যেন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে দখলদার রাষ্ট্রটি। এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে একটি ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ গঠনের পরিকল্পনা প্রকাশ্যে উচ্চারণ করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।    এ অবস্থায় বেশ নড়েচড়ে বসেছে আরব বিশ্ব ও অন্যান্য পরাশক্তি দেশগুলো। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের দিক থেকে একে একে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে তাদের ইউরোপীয় বন্ধুরাও। কারণ, তারা বিশ্বাস করতে শুরু করেছে, ইসরায়েলের দখলনীতিকে আরও প্রশ্রয় দিলে তারা হুমকি হয়ে উঠতে পারে যে কোনও দেশের জন্য। অর্থাৎ, বছরের পর বছর ধরে মার্কিন মদদে যে আগ্রাসনমূলক মনোভাব জন্ম নিয়েছে ইসরায়েলের মধ্যে, সেটিই হয়তো মহাবিজয় এনে দিতে যাচ্ছে ফিলিস্তিনিদেরকে।   গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন ও নারকীয় গণহত্যা বন্ধের জন্য এবার শেষ পর্যন্ত ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবেই স্বীকৃতি দিয়ে বসেছে বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর তিন রাষ্ট্র। এদের মধ্যে আছে খোদ ইসরায়েল রাষ্ট্র সৃষ্টির মূল কারিগর যুক্তরাজ্য। অন্য দুটি দেশও ইসরায়েলের বন্ধু হিসেবে পরিচিত—কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া।    রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) পর্যায়ক্রমে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করে দেশ তিনটি।   এর মধ্যে প্রথম ঘোষণাটি আসে কানাডার পক্ষ থেকে। এরপর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া ও সবশেষে যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয় ফিলিস্তিনিকে।   ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার তার আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় বলেন, শান্তি ও দ্বিরাষ্ট্র সমাধান পুনর্জীবিত করতে আমি আজ অসাধারণ এ দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করছি যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।   এর আগে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে কানাডা; একইসঙ্গে ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যত গঠনে অংশীদারিত্বের প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছে।   কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া অবশ্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনিকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলেছিল। তবে, এর আগেই স্বীকৃতির ঘোষণা দিয়ে ফেলল তারা। অপরদিকে রোববার ফিলিস্তিনিকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আভাস আগেই দিয়েছিল যুক্তরাজ্য।    চলতি বছরের জুলাইয়েই অবশ্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যে যদি ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হয় এবং দীর্ঘমেয়াদি টেকসই শান্তিচুক্তির প্রতিশ্রুতি না দেয়, তবে যুক্তরাজ্য তাদের অবস্থান পাল্টাবে।    আর ব্রিটেনের এই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করে ইসরায়েলি সরকার, বন্দিদের পরিবার এবং কিছু কনজারভেটিভ নেতা। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, এমন পদক্ষেপ সন্ত্রাসবাদকে পুরস্কৃত করবে।   সম্প্রতি কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলের হামলার জেরে যখন থমকে গেছে গাজা যুদ্ধবিরতির আলোচনা, এ অবস্থায় গাজায় গণহত্যা বন্ধের একটাই কার্যকর পথ রয়ে গেছে। আর সেটা হলো ফিলিস্তিনকে বেশি বেশি স্বীকৃতি দিয়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে চাপে ফেলা। আর এক্ষেত্রে বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোকেই মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের।    এই বিবেচনায় যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার এই স্বীকৃতি ফিলিস্তিনের বিজয়ের পথে গুরুত্বপূর্ণ এক ধাপ। অনুমিতভাবেই তাদেরকে অনুসরণ করে পশ্চিমা আরও অনেক দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে দ্রুত এগিয়ে আসবে। এতে করে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার প্রক্রিয়াও আরও তরান্বিত হবে। এরই মধ্যে পর্তুগাল ও ফ্রান্সও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।    এছাড়া, ইউরোপের আরও তিনটি দেশ স্পেন, আয়ারল্যান্ড ও নরওয়ে গত বছরই এই পদক্ষেপ নিয়েছে। সব মিলিয়ে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশের প্রায় ৭৫ শতাংশ এরই মধ্যে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।   এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শুরু হয়ে গেছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের প্রাথমিক কার্যক্রম। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে সাধারণ অধিবেশনের মূল পর্ব ‘হাই-লেভেল জেনারেল ডিবেট’, যা চলবে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সেখানে আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে বিশেষভাবে গুরুত্ব পাবে গাজা যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা প্রসঙ্গ।    

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৫ 0
আল্লাহর সঙ্গে মুসা (আ.)-এর কথা বলার স্থানে ব্যবসা ফাঁদছে মিশর!

পৃথিবীর অন্যতম পবিত্র স্থানগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে সিনাই বা মুসার পর্বত। মিসরে অবস্থিত এ পাহাড়ে মহান আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছিলেন হযরত মুসা (আ.)।   পবিত্র এ স্থানটিকেই এখন বিলাসবহুল মেগা হোটেল-রিসোর্টে রূপান্তরিত করছে মিশর। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। খবর বিবিসির।  ঐতিহাসিক সিনাই পর্বত শুধু ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের কাছেই নয়, পাশাপাশি খ্রিস্টান এবং ইহুদিদের কাছেও অত্যন্ত পবিত্র। বিশ্বাস করা হয় যে এখানেই আল্লাহ তা’আলার কাছ থেকে ঐশ্বরিক বাণী পেয়েছিলেন হযরত মুসা (আ.)। স্থানীয়রা একে ‘জাবাল মুসা’ নামে চেনেন।   বহু বছর ধরে এখানে দর্শনার্থীরা বেদুইন গাইডদের সঙ্গে নিয়ে পাহাড়ে উঠতেন, ভোরে সূর্যোদয় দেখতেন বা অন্যান্য পদযাত্রায় অংশ নিতেন। কিন্তু, এখন এই পবিত্র স্থানটিকে পর্যটকদের জন্য বিলাসবহুল গন্তব্য বানানোর পরিকল্পনায় এগিয়ে যাচ্ছে মিশর। সুবিস্তৃত মরুময় বিচ্ছিন্ন এ জায়গাটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানেরও অন্তর্ভুক্ত। এখানে একটি মঠ, শহর এবং পাহাড় রয়েছে। কিন্তু এই স্থানটির চিত্র এখন বদলে ফেলা হচ্ছে। বর্তমানে এখানে বিলাসবহুল হোটেল, ভিলা এবং কেনাকাটার জন্য মার্কেট তৈরি হচ্ছে। অভিযোগ আছে, সেখানকার স্থানীয় বেদুইন সম্প্রদায়ের মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এ কাজ করছে মিশর সরকার। ব্রিটিশ ভ্রমণ লেখক বেন হফলার বলেছেন, এ প্রকল্পটি বেদুইনদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা এমন কোনো উন্নয়ন নয়, যা জেবেলিয়ারা (স্থানীয়রা) চেয়েছিল। বরং এটি এমন একটি প্রকল্প, যা স্থানীয় সম্প্রদায়ের স্বার্থের চেয়ে বাইরের মানুষের স্বার্থ রক্ষা করছে। পবিত্র ওই স্থানে রয়েছে খ্রিষ্টানদের ষষ্ঠ শতাব্দির একটি মঠ। এটির সঙ্গে গ্রিসেরও সংযোগ রয়েছে। এ কারণে মিশরের এই পরিকল্পনার বিরুদ্ধে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার গ্রীস। গত মে মাসে মিশরের একটি আদালত রায় দেন, বিশ্বের প্রাচীনতম খ্রিস্টান মঠ, সেন্ট ক্যাথেরিনস সরকারি জমিতে অবস্থিত। এই রায়ের পরই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়। তবে, তা সত্ত্বেও বিতর্কিত ওই পরিকল্পনা এগিয়ে নিচ্ছে মিশর সরকার। সেখানে দ্রুত গতিতে তৈরি করা হচ্ছে বিলাসবহুল হোটেল-মোটেল আর রিসোর্ট। জেরুজালেমের গ্রিক অর্থোডক্স প্যাট্রিয়ার্কেট জানিয়েছেন, এই পবিত্র স্থানটির ওপর তাদের ধর্মীয় কর্তৃত্ব রয়েছে। এবং স্বয়ং হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এই মঠের জন্য একটি সুরক্ষাপত্র দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, বাইজেন্টাইন আমলের মঠটির ভেতর একটি ছোট মসজিদও আছে। যা ফাতেমি যুগে বানানো হয়েছিল। মসজিদটিকে ‘খ্রিস্টান ও মুসলিমদের মধ্যে শান্তির এক চমৎকার প্রতীক এবং সংঘাতময় বিশ্বে আশার এক আশ্রয়স্থল’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি।  

সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৫ 0
Popular post
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে চাকরির সুযোগ, বেতন ৪৫ হাজার

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১৬ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।   এক নজরে নিয়োগের বিস্তারিত   প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) বিভাগের নাম: অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদসংখ্যা: ০১ জন শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ১ বছর চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয় বয়সসীমা: নির্ধারিত নয় বেতন: ৪৫,০০০ টাকা কর্মস্থল: ঢাকা   আবেদন প্রক্রিয়া: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ তারিখ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫

৫০ হাজার টাকা বেতনে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে চাকরির সুযোগ

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে নিয়োগ   দেশের অন্যতম মানবিক সংগঠন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে একজন যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা ২১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।   পদসংক্রান্ত তথ্য   প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পদের নাম: টেকনিক্যাল অফিসার পদসংখ্যা: ১ জন   যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি বা ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ২ বছর বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৪০ বছর   বেতন ও চাকরির ধরন বেতন: ৫০,০০০ টাকা চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন কর্মস্থল: কুড়িগ্রাম   আবেদন প্রক্রিয়া   আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ওয়েবসাইটে ক্লিক করুন।

কৃষি ব্যাংকে চাকরি, নেবে ৩৯৮ জন

ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির তত্ত্বাবধানে নতুন সমন্বিত ব্যাংক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এই নিয়োগের আওতায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক-এ সিনিয়র অফিসার (সাধারণ) পদে ৩৯৮ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে।   পদসংক্রান্ত তথ্য   প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক পদের নাম: সিনিয়র অফিসার (সাধারণ) পদসংখ্যা: ৩৯৮টি   শিক্ষাগত যোগ্যতা   প্রার্থীদের যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা চার বছর মেয়াদি স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) বা সমমানসহ তদূর্ধ্ব পর্যায়ের পরীক্ষাগুলোর মধ্যে অন্তত দুইটিতে প্রথম বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে। কোনো পর্যায়েই তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি গ্রহণযোগ্য নয়।   বয়সসীমা   ১ জুলাই ২০২৫ তারিখে প্রার্থীর বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩২ বছর হতে হবে।   আবেদন সংক্রান্ত তথ্য   আবেদন ফি: ২০০ টাকা (অনগ্রসর নাগরিক গোষ্ঠীর প্রার্থীদের জন্য ৫০ টাকা)। আবেদনের শেষ সময়: ১০ নভেম্বর ২০২৫।   আবেদন পদ্ধতি   আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে এবং আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন।

৯২ হাজার টাকা বেতনে চাকরির সুযোগ

আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াটারএইড বাংলাদেশ জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ‘টেকনিক্যাল এক্সপার্ট’ পদে নতুন কর্মী নেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে ২৮ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।   নিয়োগের বিস্তারিত প্রতিষ্ঠানের নাম: ওয়াটারএইড বাংলাদেশ পদের নাম: টেকনিক্যাল এক্সপার্ট পদের সংখ্যা: নির্ধারিত নয় চাকরির ধরন: ফুল টাইম প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই কর্মস্থল: খুলনা   যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি বা স্নাতক (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং/এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে) অভিজ্ঞতা: সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫ বছর বয়সসীমা: নির্ধারিত নয় বেতন ও সুবিধা বেতন: প্রতি মাসে ৯২,৫০০ টাকা   আবেদন প্রক্রিয়া আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ তারিখ: ২৮ অক্টোবর ২০২৫

জানা গেল সেই আনিসার ফলাফল

মায়ের অসুস্থতার কারণে কেন্দ্রে দেরিতে আসায় পরীক্ষা না দিতে পারা সেই আনিসা আহমেদ এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করেছেন। তিনি বাংলা ও ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে ফেল করেন।   আনিসা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তিনি মানবিক বিভাগের পরীক্ষাথী।   বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।   এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনই (২৬ জুন) ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরীক্ষার্থী আনিসা মায়ের অসুস্থতার কারণে সময়মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছুতে পারেননি। দেরি হওয়ায় তাকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেননি দায়িত্বরতরা। এসময় ওই ছাত্রী পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। গেটের বাইরে দীর্ঘসময় অপেক্ষায় থেকে তিনি সেদিন ফিরে যান। ওই ছাত্রীর পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাঙলা কলেজ।   আনিসার কান্না-আকুতি তখন নাড়িয়ে দেন বহু মানুষের বিবেক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন উঠে—আইন কি মানবিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে? নেটিজেনরা দাবি তোলেন—মানবিক বিবেচনায় হলেও তাকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া উচিত।   অন্তর্বর্তী সরকারও সেই দাবি আমলে নেয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে তখন শিক্ষা উপদেষ্টার বরাতে জানানো হয়, ‘পরীক্ষা দিতে না পারা আনিসার বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’

Top week

৯২ হাজার টাকা বেতনে চাকরির সুযোগ
চাকরি

৯২ হাজার টাকা বেতনে চাকরির সুযোগ

অক্টোবর ২৩, ২০২৫ 0