কিডনি ক্যানসারকে বলা হয় ‘নীরব ঘাতক’। কারণ এটি শরীরে দীর্ঘ সময় সক্রিয় থাকলেও প্রাথমিক পর্যায়ে সাধারণত কোনো উপসর্গ প্রকাশ পায় না। ফলে অনেক রোগী দেরিতে চিকিৎসকের কাছে পৌঁছান, যা চিকিৎসাকে জটিল করে তোলে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে সফলভাবে চিকিৎসা সম্ভব। চিকিৎসকরা বলছেন, কিছু সাধারণ লক্ষণ আছে, যা লক্ষ্য করলে সমস্যা সময়মতো ধরা পড়তে পারে। ১. প্রস্রাবে রক্ত (Hematuria) কিডনি ক্যানসারের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো প্রস্রাবে রক্ত দেখা। প্রস্রাব গোলাপি, লাল বা বাদামি রঙের হতে পারে এবং সাধারণত ব্যথাহীন হয়। অনেক সময় এটি কয়েক দিনের মধ্যে স্বাভাবিক মনে হলেও সংক্রমণ, কিডনিতে পাথর বা ক্যানসারের ইঙ্গিত হতে পারে। তাই এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা জরুরি। ২. পিঠের নিচের দিকে বা পাশে স্থায়ী ব্যথা সাধারণ পিঠব্যথার সঙ্গে কিডনি ক্যানসারের ব্যথার পার্থক্য রয়েছে। কিডনিতে টিউমারের কারণে পিঠের নিচের দিকে বা পাশে (ফ্ল্যাংক) স্থায়ী ব্যথা হতে পারে। কোনো আঘাত ছাড়াই যদি এমন ব্যথা শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে, বিশেষ করে প্রস্রাবের রঙ পরিবর্তনের সঙ্গে, তবে পরীক্ষা করানো জরুরি। ৩. হঠাৎ ও অকারণে ওজন কমে যাওয়া কোনো খাদ্যাভ্যাস বা ব্যায়ামের পরিবর্তন ছাড়াই দ্রুত ওজন কমতে থাকলে তা কিডনি ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। ক্যানসারের কারণে শরীরের বিপাকক্রিয়া ও হরমোন ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়, ক্ষুধা কমে যায় এবং শক্তি হ্রাস পায়। এই লক্ষণ ক্লান্তি বা দুর্বলতার সঙ্গে মিললে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ৪. কিডনির পাশে ফোলা বা গঠনগত পরিবর্তন কিডনির পাশে বা পাঁজরের নিচে ফোলা বা চাকা দেখা দিলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। কিছু ফোলা ক্যানসার না হলেও, ক্যানসার হলে এটি ধীরে ধীরে বড় হয়। স্ক্যান বা আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে নিশ্চিত হওয়া জরুরি। ৫. দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি ও দুর্বলতা কিডনি ক্যানসার রক্তকণিকা উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, যা অ্যানিমিয়ার কারণ হয়। ফলে রোগীরা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ক্লান্তি ও দুর্বলতা অনুভব করেন। বিশ্রামের পরও অবসাদ কাটতে না পারা, সঙ্গে ওজন কমে যাওয়া বা প্রস্রাবে রক্ত দেখা গেলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনি ক্যানসার শনাক্ত হলে চিকিৎসা অনেক সহজ এবং সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। তাই এসব লক্ষণ দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
প্রতিদিনের খাবারে অনেকেই ডিম খান, কারণ এটি প্রোটিনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস। চিকিৎসকরা সুপারিশ করছেন, প্রতিদিনের স্বাস্থ্যকর খাদ্যতালিকায় ডিম রাখাটা খুবই ভালো। পুষ্টিকর ডিমে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন এ, ডি, বি এবং বি-১২ থাকে। এছাড়াও এতে থাকে লুটেইন ও জিয়াস্যানথিন নামের দুটি উপাদান, যা চোখের ছানিপড়া ও অন্ধত্ব প্রতিরোধে সাহায্য করে। ডিমের ফসফরাস হাড় গঠনে ভূমিকা রাখে, আর কুসুমে থাকা জিংক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ডিম পোচ, অমলেট বা সিদ্ধ ডিম—এই তিন ধরনের খাবার সবচেয়ে জনপ্রিয়। কিন্তু কখনো কি খেয়াল করেছেন ডিম ভাঙার পর কুসুমে লাল দাগ বা মাংসের টুকরো থাকে? অনেকেই ভাবেন, এটি কি খাওয়ার জন্য নিরাপদ? বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিমের কুসুমে রক্তের দাগ থাকলেও এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকারক নয়, যদি ডিমটি ভালোভাবে রান্না করা হয়। ডিম্বনালী দিয়ে ডিম যাওয়ার সময় মাঝে মাঝে এতে রক্ত বা মাংসের টুকরো মিশে যেতে পারে। তবে সতর্ক থাকতে হবে: ডিমের সাদা অংশ যদি গোলাপি বা লাল হয়ে যায়, তা নষ্ট হয়েছে ধরে নিতে হবে। সিউডোমোনাস ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে এমন পরিবর্তন ঘটে, এবং এই ধরনের ডিম খাওয়া উচিত নয়। সবুজাভ ডিমেও সিউডোমোনাস ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে, যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তথ্যসূত্র: নিউজ এইটিন
আজকের ব্যস্ত ও চাপপূর্ণ জীবনে অনেক দম্পতি সন্তান ধারণে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। কেউ দেরিতে গর্ভধারণ করছেন, কেউবা দীর্ঘ সময় চেষ্টা করেও সফল হচ্ছেন না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি কেবল ভাগ্যের বিষয় নয়—খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপন ও মানসিক চাপও প্রজনন ক্ষমতার ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। তবে আশার খবর হলো, প্রকৃতিতেই রয়েছে এমন অনেক খাবার যা নারী ও পুরুষ উভয়ের উর্বরতা বা ফার্টিলিটি বাড়াতে সাহায্য করে। সঠিক পুষ্টি হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে, পাশাপাশি ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর গুণগত মানও উন্নত করে। ফার্টিলিটি বাড়াতে সহায়ক ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান ভিটামিন ডি: যৌন হরমোন তৈরিতে সহায়তা করে ও হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে। উৎস: ডিম, চর্বিযুক্ত মাছ (স্যামন, টুনা), দুধজাত খাবার, কড লিভার তেল, সূর্যের আলো। ভিটামিন ই: শুক্রাণুর গুণমান ও গতিশীলতা উন্নত করে, ডিএনএ রক্ষা করে। উৎস: সূর্যমুখী বীজ, বাদাম, জলপাই তেল, পালং শাক, পেঁপে। ভিটামিন সি: হরমোন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর স্বাস্থ্য ভালো রাখে, গর্ভপাতের ঝুঁকি কমায়। উৎস: আমলকী, পেয়ারা, লেবু জাতীয় ফল, ব্রোকলি, টমেটো। লাইপোইক অ্যাসিড: ডিম্বাশয় ও শুক্রাণুকে সুরক্ষা দেয়। উৎস: আলু, পালং শাক, লাল মাংস। ভিটামিন বি৬: হরমোন নিয়ন্ত্রণ ও রক্তে শর্করার ভারসাম্য রক্ষা করে। উৎস: কলা, টুনা, লিভার, স্যামন, পালং শাক, ব্রোকলি। ভিটামিন বি১২: জরায়ুর আস্তরণ শক্ত করে, শুক্রাণুর মান উন্নত করে ও গর্ভপাতের সম্ভাবনা হ্রাস করে। উৎস: ঝিনুক, লিভার, মাছ, ডিম, পনির। ফলিক অ্যাসিড: ভ্রূণের সঠিক গঠন নিশ্চিত করে ও জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধে সাহায্য করে। উৎস: শাকসবজি, ডাল, তিল, তিসি ও সূর্যমুখী বীজ। সেলেনিয়াম: ডিম্বাণু ও শুক্রাণুকে ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। উৎস: মাছ, চিংড়ি, ব্রাজিল নাট, মাশরুম, টার্কি। জিঙ্ক: হরমোন ভারসাম্য বজায় রেখে নারী ও পুরুষ উভয়ের প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায়। উৎস: কলিজা, ঝিনুক, কুমড়োর বীজ, তিল, দই। ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: জরায়ুর রক্তপ্রবাহ বাড়ায় ও হরমোন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। উৎস: চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিড, আখরোট, সামুদ্রিক মাছ (স্যামন, সার্ডিন)। আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাবার সঠিক খাদ্য পরিকল্পনায় রাখতে পারেন— প্রোটিন: ডিম, মাছ, ডাল, মাংস কার্বোহাইড্রেট: ব্রাউন রাইস, ওটস, আলু ফাইবার: শাকসবজি, ফল, বাদাম হেলদি ফ্যাট: অলিভ অয়েল, নারকেল তেল, বাদামের তেল কিছু জরুরি পরামর্শ খাদ্য শুধু শরীর নয়, মন ও হরমোনের ভারসাম্যও নিয়ন্ত্রণ করে। দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও ফল না পেলে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন। ধূমপান, অতিরিক্ত চিনি ও ফাস্ট ফুড থেকে দূরে থাকুন। সন্তান ধারণ কোনো একদিনের বিষয় নয়—এটি একটি ধীর, সচেতন ও পুষ্টিকেন্দ্রিক প্রক্রিয়া। সঠিক খাবার ও জীবনযাপনই হতে পারে আপনার কাঙ্ক্ষিত সুখবরের প্রথম ধাপ।
পায়ের তলায় জ্বালা বা ঝাঁঝালো অনুভূতি? সাবধান, এটি হতে পারে গুরুতর রোগের লক্ষণ! অনেক সময় হঠাৎ পায়ের তলায় হালকা জ্বালা বা ঝাঁঝালো অনুভূতি দেখা দেয়। বেশিরভাগ মানুষই বিষয়টিকে সাধারণ ক্লান্তি বা বেশি সময় দাঁড়িয়ে থাকার ফল হিসেবে এড়িয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা সতর্ক করছেন—এই উপসর্গটি যদি বারবার দেখা দেয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে তা শরীরের ভেতরে লুকিয়ে থাকা বড় কোনো সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি পায়ের জ্বালার সঙ্গে ঝিমঝিম ভাব, অসাড়তা বা হাঁটতে সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সম্ভাব্য কারণসমূহ ভিটামিনের ঘাটতি: ভিটামিন বি-১২, বি-৫, ডি ও ই-এর অভাব স্নায়ু ও পেশিতে ব্যথা বা জ্বালাভাব সৃষ্টি করতে পারে। স্নায়ুর ক্ষতি (ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি): ডায়াবেটিসে আক্রান্ত অনেকের ক্ষেত্রেই দীর্ঘমেয়াদি স্নায়ু ক্ষতির কারণে পায়ের তলায় এই ধরনের জ্বালা দেখা দেয়। ফাঙ্গাল সংক্রমণ: অতিরিক্ত ঘাম বা আর্দ্রতা ফাঙ্গাসের জন্ম দেয়, যা ত্বকে চুলকানি ও জ্বালাভাব সৃষ্টি করে। রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা: দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা বা টাইট জুতা পরার ফলে পায়ে রক্ত সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হয়ে জ্বালাভাব হতে পারে। থাইরয়েড ও কিডনি সমস্যা: হরমোনের ভারসাম্যহীনতা বা কিডনির অসুস্থতা স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে, যার ফলে এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ঘরোয়া প্রতিকার ঠাণ্ডা পানিতে পা কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। অ্যালোভেরা জেল লাগালে আরাম পাওয়া যায়। নরম ও বাতাস চলাচল করতে পারে এমন জুতা পরুন। নিয়মিত পা পরিষ্কার রাখুন এবং হালকা ব্যায়াম বা ম্যাসাজ করুন, এতে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন যদি জ্বালার সঙ্গে অসাড়তা, ঝিমঝিম ভাব, হাঁটতে সমস্যা, ক্ষত, ফোলা বা ত্বকের রঙ পরিবর্তন দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কারণ, এসব উপসর্গ অনেক সময় স্নায়ু বা কিডনি সংক্রান্ত গুরুতর রোগের প্রাথমিক সংকেত হতে পারে।
কলার সুতার মতো অংশ খাওয়া কি সত্যিই উপকারী? জানুন বিশেষজ্ঞদের মতামত কলা এমন একটি ফল যা প্রায় সবাই ভালোবাসেন। সহজলভ্য, সাশ্রয়ী ও পুষ্টিগুণে ভরপুর হওয়ায় একে অনেকেই “পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল” বলে থাকেন। কিন্তু খোসা ছাড়ানোর পর কলার গায়ে দেখা যায় সরু সরু সুতার মতো তন্তু—যেগুলো বেশিরভাগ মানুষই বিরক্তিকর ভেবে ফেলে দেন। অথচ এই সুতার মতো অংশই হতে পারে আপনার শরীরের জন্য বাড়তি পুষ্টির উৎস! বিশেষজ্ঞদের ভাষায়, এই সুতার নাম ‘ফ্লোয়েম বানডল’ (Phloem Bundle)। এটি কলা গাছের এমন একটি অংশ যার মাধ্যমে গাছ থেকে পুষ্টি ও পানি ফলের ভেতরে পৌঁছে যায়। অর্থাৎ কলার প্রতিটি কোষে পুষ্টি পৌঁছাতে এই তন্তুগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুষ্টিবিদদের মতে, এই ফ্লোয়েম বানডলে রয়েছে প্রচুর ফাইবার, খনিজ উপাদান ও ভিটামিন। এমনকি কলার সাধারণ অংশের তুলনায় এই সুতাগুলোর ফাইবারের মান আরও উন্নত। নিয়মিত ফাইবারযুক্ত খাবার হজমে সহায়তা করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং কোলেস্টেরল কমাতেও সাহায্য করে। বিজ্ঞানীরা আরও বলেন, কলার এই তন্তুগুলো খেলে শরীরের কোনো ক্ষতি হয় না, বরং নানা উপকার পাওয়া যায়। স্বাদের কারণে অনেকে এগুলো ফেলে দিলেও বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন—পরের বার কলা খাওয়ার সময় সুতাগুলো না ফেলে খেয়ে ফেলুন, কারণ এখানেই লুকিয়ে আছে অতিরিক্ত পুষ্টি ও শক্তির উৎস।
হার্ট অ্যাটাককে আমরা প্রায়ই ‘হঠাৎ ঘটে যাওয়া’ এক প্রাণঘাতী ঘটনা ভেবে থাকি। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, এর অন্তত এক মাস আগে শরীর নীরবে নানা সতর্ক সংকেত পাঠায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এগুলোকে বলা হয় ‘প্রোড্রোমাল সিম্পটম’ বা আগাম উপসর্গ। সময়মতো সতর্ক হলে এবং চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে জীবন বাঁচানো সম্ভব। সম্প্রতি প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আগে অন্তত এক মাস পর্যন্ত কিছু সাধারণ উপসর্গ অনেকের শরীরে দেখা যায়। যেমন-মাঝে মাঝে বুক ব্যথা, হালকা মাথা ঘোরা, শ্বাসকষ্ট কিংবা অকারণে ক্লান্তি। এগুলো একে একে চিনে রাখলে জীবন বাঁচানো সম্ভব। হার্ট অ্যাটাকের আগাম ১২ সতর্ক সংকেত ১. বুকে ব্যথা গবেষণায় উঠে এসেছে, প্রায় ৬৮ শতাংশ রোগী হার্ট অ্যাটাকের আগে বুকে ব্যথা অনুভব করেন। এই ব্যথা কখনও আসে, কখনও চলে যায়। বিশেষ করে শারীরিক পরিশ্রম বা মানসিক চাপে এটি আরও তীব্র হতে পারে। অনেক সময় এটি এসিডিটির সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা হয়, যা বিপজ্জনক। ২. বুকে চাপ বা ভারী লাগা চলাফেরা বা কাজের সময় যদি বুক ভারী মনে হয়, চেপে ধরা অনুভূত হয়-তাহলে সেটি উপেক্ষা করা উচিত নয়। প্রায় ৪৪ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রেই এটি আসন্ন বিপদের পূর্বাভাস। ৩. হৃদস্পন্দনের গতি বেড়ে যাওয়া বা অনিয়মিত হওয়া হঠাৎ হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, অস্বাভাবিক দ্রুত বা অনিয়মিত ধুকপুক করা হার্টে রক্ত চলাচলের সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। গবেষণায় প্রায় ৪২ শতাংশ রোগী এ উপসর্গ জানিয়েছেন। ৪. শ্বাসকষ্ট সাধারণ কাজেই যদি দম নিতে সমস্যা হয়, মনে হয় যথেষ্ট অক্সিজেন পাচ্ছেন না,এটি হৃদরোগের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। ৫. বুকে জ্বালাপোড়া অনেকেই একে সাধারণ অ্যাসিডিটি ভেবে ভুল করেন। অথচ বারবার বুক জ্বলা হার্টের ধমনিতে ব্লকেজের ইঙ্গিতও দিতে পারে। ৬. অকারণে ক্লান্তি যথেষ্ট ঘুম হলেও সারাদিন অবসন্ন লাগা হৃদপিণ্ডে রক্ত প্রবাহে জটিলতার লক্ষণ। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এটি বেশি দেখা যায়। ৭. মাথা ঘোরা বা অস্থিরতা হঠাৎ মাথা ঘোরানো, ভারসাম্য হারানো বা অস্থিরতা শরীরে রক্তপ্রবাহ বিঘ্নিত হওয়ার কারণেই ঘটে থাকে। ৮. বমি বমি ভাব বা পেটের সমস্যা গ্যাস্ট্রিক বা হজমজনিত সমস্যা ভেবে অনেকে এড়িয়ে যান। তবে বারবার বমি বমি লাগা বা অস্বস্তি হৃদরোগের সঙ্গেও সম্পর্কিত হতে পারে। ৯. উদ্বেগ বা অজানা আতঙ্ক কোনও সুস্পষ্ট কারণ ছাড়াই উদ্বেগ বা অস্থিরতা দেখা দিলে সেটি মানসিক সমস্যাই নয়, হার্ট অ্যাটাকের আগাম সতর্কবার্তাও হতে পারে। ১০. ঘুমের সমস্যা রাতে ঘুম ভেঙে যাওয়া, বারবার শ্বাসকষ্টে হঠাৎ জেগে ওঠা বা শোয়ার সময় দম বন্ধ হয়ে আসার মতো সমস্যা হার্টের অসুস্থতার সংকেত দেয়। ১১. পা বা গোড়ালি ফুলে যাওয়া হৃদপিণ্ড ঠিকমতো রক্ত পাম্প করতে না পারলে শরীরে পানি জমে যায়, যার প্রভাব পড়ে পা, গোড়ালি ও পায়ের পাতায়। ১২. শরীরের অন্য অংশে ব্যথা হার্ট অ্যাটাক মানেই যে শুধু বুকে ব্যথা হবে তা নয়। অনেক সময় হাত, পিঠ, ঘাড় বা চোয়ালে ব্যথা শুরু হয়—যা সপ্তাহখানেক আগেও টের পাওয়া যায়। নারী ও পুরুষের উপসর্গে পার্থক্য চিকিৎসকরা জানান, নারীদের ক্ষেত্রে উপসর্গগুলো অনেক সময় ভিন্নভাবে প্রকাশ পায়। যেমন-অতিরিক্ত ক্লান্তি, বমি বমি ভাব, পিঠে বা চোয়ালে ব্যথা এবং হজমে সমস্যা। এই লক্ষণগুলোকে অন্য অসুখ ভেবে অবহেলা করার ঝুঁকি বেশি, ফলে চিকিৎসা পেতে দেরি হয়। কেন আগে থেকেই সংকেত দেয় শরীর? হার্ট অ্যাটাকের মূল কারণ হলো হৃদপিণ্ডে রক্তপ্রবাহে বাধা। ধমনিতে জমতে থাকা চর্বি, ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য পদার্থ প্লাক তৈরি করে। যখন এই প্লাক ফেটে যায়, তখন রক্ত জমাট বেঁধে ধমনী বন্ধ হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে শরীরে নানা পরিবর্তন ঘটায়, যেগুলো উপসর্গ হিসেবে প্রকাশ পায়। শেষ মুহূর্তে আরও তীব্র লক্ষণ হার্ট অ্যাটাকের ঠিক আগে শরীর আরও জোরালো সংকেত দেয়। যেমন-তীব্র বুক ব্যথা, ঘেমে যাওয়া, বুকে চাপ, শ্বাসকষ্ট, পিঠ বা চোয়ালে তীব্র ব্যথা। এগুলো একসঙ্গে দেখা দিলে চিকিৎসা নিতে দেরি করলে মারাত্মক বিপদ হতে পারে। হার্ট অ্যাটাক সবসময় হঠাৎ করে আসে না। শরীর এক মাস আগেই তার ইঙ্গিত দিতে থাকে। তাই নিয়মিত বুক ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, ঘুমের সমস্যা বা অস্বাভাবিক ক্লান্তিকে ছোট করে দেখবেন না। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে প্রাণঘাতী ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১৬ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এক নজরে নিয়োগের বিস্তারিত প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) বিভাগের নাম: অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদসংখ্যা: ০১ জন শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ১ বছর চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয় বয়সসীমা: নির্ধারিত নয় বেতন: ৪৫,০০০ টাকা কর্মস্থল: ঢাকা আবেদন প্রক্রিয়া: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ তারিখ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫
দেশের মেধাবী কিন্তু আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা করতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে ‘স্পন্দনবি’। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে অধ্যয়নরত স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ইমদাদ সিতারা খান ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এবারও বৃত্তি প্রদান করবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এই সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিষয়ে পড়ুয়া প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী এই বৃত্তির সুযোগ পাবেন। আগ্রহীরা আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ডাক, কুরিয়ার বা সরাসরি উপস্থিত হয়ে আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কারা আবেদন করতে পারবেন? বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের এইচএসসি উত্তীর্ণ এবং বর্তমানে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত নিম্নোক্ত বিষয়ের মেধাবী, আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন— বিএসসি অনার্স বিএসসি অনার্স (কৃষি, পশুপালনসহ সব অনুষদ) এমবিবিএস বিডিএস বিএসসি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং বিএ অনার্স বিএসএস অনার্স বিবিএ আবেদনপত্র সংগ্রহ আবেদনকারীরা নিচের যেকোনো মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন— 🔗 https://spaandanb.org/projects/imdad-sitara-khan-scholarship/ 🔗 https://www.facebook.com/share/g/1FXJc2NhHe অথবা ই-মেইলে যোগাযোগ করেও ফর্ম সংগ্রহ করা যাবে— mostafiz14@yahoo.com rajib.bd@spaandanb.org tuhin.bd@spaandanb.org sajedul1233@gmail.com zabbarbd5493@gmail.com আবেদন পাঠানোর ঠিকানা স্পন্দনবি বাংলাদেশ অফিস বাসা-৭/২, শ্যামলছায়া-১, ফ্ল্যাট-বি/২, গার্ডেন স্ট্রিট, রিং রোড, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, ঢাকা। যোগাযোগ বৃত্তি সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য অফিস সময়ে যোগাযোগ— ☎️ ০২-৪৮১১৪৪৯৯ 📱 ০১৭১৩-০৩৬৩৬০ 📱 ০১৭৭৩-৬১০০০৯ 📱 ০১৯৩৩-৫৬০৬৬৫ 📱 ০১৭৯৬-১০২৭০০
পোশাক প্রস্তুতকারক ও বিপণন প্রতিষ্ঠান আড়ং নতুন কিছু পদে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। পদের বিবরণ: পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট বিভাগ: হেলথ সিকিউরিটি স্কিম (HSS), সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স অ্যান্ড প্রোডিউসার ডেভেলপমেন্ট (SCPD) পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয় যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অন্য যোগ্যতা: এমএস এক্সেল এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে দক্ষতা ডকুমেন্টেশন ও ফাইল ব্যবস্থাপনায় পারদর্শিতা অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ১–২ বছর চাকরির ধরণ ও অন্যান্য তথ্য: চাকরির ধরন: ফুলটাইম কর্মক্ষেত্র: অফিসে প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন বয়সসীমা: উল্লেখ নেই কর্মস্থল: ময়মনসিংহ (ত্রিশাল) বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে অন্যান্য সুবিধা: প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি, উৎসব বোনাস, স্বাস্থ্য ও জীবন বিমা এবং প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী অন্যান্য সুবিধা আবেদন করার নিয়ম: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে আবেদন করতে পারেন।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে নিয়োগ দেশের অন্যতম মানবিক সংগঠন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে একজন যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা ২১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। পদসংক্রান্ত তথ্য প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পদের নাম: টেকনিক্যাল অফিসার পদসংখ্যা: ১ জন যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি বা ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ২ বছর বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৪০ বছর বেতন ও চাকরির ধরন বেতন: ৫০,০০০ টাকা চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন কর্মস্থল: কুড়িগ্রাম আবেদন প্রক্রিয়া আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ওয়েবসাইটে ক্লিক করুন।
দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান যমুনা গ্রুপ নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্লাজা সেলস বিভাগে ‘এক্সিকিউটিভ’ পদে ১০০ জন যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা ৮ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। পদসংক্রান্ত তথ্য প্রতিষ্ঠানের নাম: যমুনা গ্রুপ বিভাগ: প্লাজা সেলস পদের নাম: এক্সিকিউটিভ পদসংখ্যা: ১০০টি যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা প্রার্থীকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী হতে হবে। এ পদে অভিজ্ঞতা প্রয়োজন নেই, তাই নবীন প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। অন্যান্য তথ্য চাকরির ধরন: ফুল-টাইম বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে প্রার্থীর ধরন: নারী ও পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন বয়সসীমা: ন্যূনতম ২২ বছর কর্মস্থল: দেশের যেকোনো স্থানে আবেদন সংক্রান্ত তথ্য আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ সময়: ৮ নভেম্বর ২০২৫।