দ্রুতই ঘনিয়ে আসছে বহুল কাঙ্খিত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এখন পর্যন্ত তফসিল ঘোষণা না হলেও আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে শান্তিতে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। অবশ্য, সেই পথে বেশ কিছু বাধা মোকাবিলা করে যেতে হচ্ছে এ সরকারকে। একদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইস্যুতে অনৈক্য, অন্যদিকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের নিয়ে আশংকা।
এছাড়া, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার এক বছর পেরিয়ে গেলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে কাঙ্খিত উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় নির্বাচন ঘিরে মাথাব্যাথার আরেক কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিভিন্ন সময়ে জামিনে ছাড়া পাওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা। শঙ্কা জেগেছে, দূর্বল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে আসন্ন নির্বাচনে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে অপরাধীরা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মোটা অঙ্কের অর্থ উপার্জন ও হারানো ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার জন্য আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে কিলার আব্বাস, সুইডেন আসলাম, পিচ্চি হান্নান, ফ্রিডম রাসুর মতো সন্ত্রাসীরা।
ঢাকার অপরাধ জগত নিয়ে খোঁজখবর রাখে এমন একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে জামিনে বের হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বেশ কয়েকজন পুরোনো রাজনৈতিক পরিচয় কাজে লাগিয়ে মূলধারার রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার আশায় আছেন। এছাড়া, কারাগারে থাকা অবস্থায় শীর্ষ সন্ত্রাসীদের অনেকের সঙ্গে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের কারও কারও সখ্য হয়েছে। সেই সুযোগও কাজে লাগাতে চাচ্ছেন কেউ কেউ।
এ অবস্থায় জামিনে মুক্ত এই শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ওপর নজরদারি জোরদার করার কথা ভাবছে সরকার। এ ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। সন্ত্রাসীরা পুনরায় অপরাধে জড়ালে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের গতিবিধি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, পুলিশ সদর দপ্তর, বিজিবি, কোস্টগার্ড, এনএসআই, ডিজিএফআই ও এসবিকে।
একইসঙ্গে বৈঠকে নিষিদ্ধ দল বা সংগঠন ও ফ্যাসিস্ট কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিরা যেন জামিন না পায়, সে বিষয়েও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
বৈঠকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে মসজিদ, মন্দিরসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য প্রচার অব্যাহত রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, জামিনে মুক্ত নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের চিহ্নিত সদস্যদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। এজন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, পুলিশ সদর দপ্তর ও বিজিবির পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় তিন গোয়েন্দা সংস্থাকে সমন্বিতভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হিযবুত তাহরীরের প্রচারণা মোকাবিলায় পাল্টা কৌশল নিতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে– ইসলামী বক্তাদের মাধ্যমে কোরআন-হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা প্রচার করা। মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে ওয়াজ মাহফিল ও জুমার খুতবায় নিয়মিতভাবে এ ব্যাখ্যা তুলে ধরা। একইসঙ্গে অনলাইনে সঠিক তথ্যভিত্তিক পাল্টা বক্তব্য (কাউন্টার-ন্যারেটিভ) প্রচার চালানো।
এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়েও নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। শুধু সরকারি কর্মকর্তা ও অনুমোদিত সিকিউরিটি সার্ভিস ছাড়া অন্য কাউকে অস্ত্রের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সভায় সারা দেশের চাঁদাবাজদের শনাক্ত করে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ তালিকাভুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তৎপরতা জোরদার ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ব্যবহার করে কোনো ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি যেন দেশত্যাগ করতে না পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এ কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিজিএফআইসহ সব গোয়েন্দা সংস্থাকে।
মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প এলাকায় বিশেষ নজরদারি চালানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বৈঠক থেকে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও গুজবের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ ব্যাপারে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সরকার মোহাম্মদ শামসুদ্দিনের মতে, নির্বাচনের সময় জামিনে থাকা সন্ত্রাসীরা সক্রিয় হলে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে পড়তে পারে। তাই সরকারের নজরদারি জোরদার সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ওপর কঠোর নজরদারির সিদ্ধান্তটি অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। কিন্তু শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বাইরে থাকা সবসময়ই দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি। সেই জায়গায় জাতীয় নির্বাচনের সময় সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষার প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো আরও বেশি নাজুক। তাই শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ওপর শুধু কড়া নজর রাখলেই চলবে না, তাদের জরুরি ভিত্তিতে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিশেষ অপারেশন পরিচালনা করতে হবে। এজন্য সব গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করে নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে কাজ করতে হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বাংলাদেশে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, জামিনে মুক্ত অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী মুক্তির পরপরই আবার চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি কিংবা মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়ে। এ কারণে নির্বাচনের আগে তাদের কার্যকলাপ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি। কেবল নজরদারিই নয়, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধে আইনি কাঠামো আরও শক্তিশালী করতে হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. রাশেদা রওনক খান বলেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সরকার জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে, এটি সময়োপযোগী উদ্যোগ। কারণ নির্বাচনের সময় এ ধরনের সন্ত্রাসীরা সক্রিয় হলে ভোটকেন্দ্র দখল, ভীতি সৃষ্টি কিংবা ভোটারদের ওপর প্রভাব বিস্তার করার মতো কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়তে পারে। এতে সামগ্রিকভাবে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১৬ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এক নজরে নিয়োগের বিস্তারিত প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) বিভাগের নাম: অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদসংখ্যা: ০১ জন শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ১ বছর চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয় বয়সসীমা: নির্ধারিত নয় বেতন: ৪৫,০০০ টাকা কর্মস্থল: ঢাকা আবেদন প্রক্রিয়া: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ তারিখ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫
দেশের মেধাবী কিন্তু আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা করতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে ‘স্পন্দনবি’। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে অধ্যয়নরত স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ইমদাদ সিতারা খান ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এবারও বৃত্তি প্রদান করবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এই সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিষয়ে পড়ুয়া প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী এই বৃত্তির সুযোগ পাবেন। আগ্রহীরা আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ডাক, কুরিয়ার বা সরাসরি উপস্থিত হয়ে আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কারা আবেদন করতে পারবেন? বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের এইচএসসি উত্তীর্ণ এবং বর্তমানে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত নিম্নোক্ত বিষয়ের মেধাবী, আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন— বিএসসি অনার্স বিএসসি অনার্স (কৃষি, পশুপালনসহ সব অনুষদ) এমবিবিএস বিডিএস বিএসসি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং বিএ অনার্স বিএসএস অনার্স বিবিএ আবেদনপত্র সংগ্রহ আবেদনকারীরা নিচের যেকোনো মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন— 🔗 https://spaandanb.org/projects/imdad-sitara-khan-scholarship/ 🔗 https://www.facebook.com/share/g/1FXJc2NhHe অথবা ই-মেইলে যোগাযোগ করেও ফর্ম সংগ্রহ করা যাবে— mostafiz14@yahoo.com rajib.bd@spaandanb.org tuhin.bd@spaandanb.org sajedul1233@gmail.com zabbarbd5493@gmail.com আবেদন পাঠানোর ঠিকানা স্পন্দনবি বাংলাদেশ অফিস বাসা-৭/২, শ্যামলছায়া-১, ফ্ল্যাট-বি/২, গার্ডেন স্ট্রিট, রিং রোড, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, ঢাকা। যোগাযোগ বৃত্তি সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য অফিস সময়ে যোগাযোগ— ☎️ ০২-৪৮১১৪৪৯৯ 📱 ০১৭১৩-০৩৬৩৬০ 📱 ০১৭৭৩-৬১০০০৯ 📱 ০১৯৩৩-৫৬০৬৬৫ 📱 ০১৭৯৬-১০২৭০০
পোশাক প্রস্তুতকারক ও বিপণন প্রতিষ্ঠান আড়ং নতুন কিছু পদে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। পদের বিবরণ: পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট বিভাগ: হেলথ সিকিউরিটি স্কিম (HSS), সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স অ্যান্ড প্রোডিউসার ডেভেলপমেন্ট (SCPD) পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয় যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অন্য যোগ্যতা: এমএস এক্সেল এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে দক্ষতা ডকুমেন্টেশন ও ফাইল ব্যবস্থাপনায় পারদর্শিতা অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ১–২ বছর চাকরির ধরণ ও অন্যান্য তথ্য: চাকরির ধরন: ফুলটাইম কর্মক্ষেত্র: অফিসে প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন বয়সসীমা: উল্লেখ নেই কর্মস্থল: ময়মনসিংহ (ত্রিশাল) বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে অন্যান্য সুবিধা: প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি, উৎসব বোনাস, স্বাস্থ্য ও জীবন বিমা এবং প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী অন্যান্য সুবিধা আবেদন করার নিয়ম: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে আবেদন করতে পারেন।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে নিয়োগ দেশের অন্যতম মানবিক সংগঠন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে একজন যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা ২১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। পদসংক্রান্ত তথ্য প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পদের নাম: টেকনিক্যাল অফিসার পদসংখ্যা: ১ জন যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি বা ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ২ বছর বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৪০ বছর বেতন ও চাকরির ধরন বেতন: ৫০,০০০ টাকা চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন কর্মস্থল: কুড়িগ্রাম আবেদন প্রক্রিয়া আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ওয়েবসাইটে ক্লিক করুন।
দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান যমুনা গ্রুপ নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্লাজা সেলস বিভাগে ‘এক্সিকিউটিভ’ পদে ১০০ জন যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা ৮ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। পদসংক্রান্ত তথ্য প্রতিষ্ঠানের নাম: যমুনা গ্রুপ বিভাগ: প্লাজা সেলস পদের নাম: এক্সিকিউটিভ পদসংখ্যা: ১০০টি যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা প্রার্থীকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী হতে হবে। এ পদে অভিজ্ঞতা প্রয়োজন নেই, তাই নবীন প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। অন্যান্য তথ্য চাকরির ধরন: ফুল-টাইম বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে প্রার্থীর ধরন: নারী ও পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন বয়সসীমা: ন্যূনতম ২২ বছর কর্মস্থল: দেশের যেকোনো স্থানে আবেদন সংক্রান্ত তথ্য আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ সময়: ৮ নভেম্বর ২০২৫।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে, আর রাজনৈতিক সম্পর্কও স্বাভাবিক করার জন্য সরকার সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “আমি সবসময় বলি, আমাদের বাণিজ্য ও রাজনীতিকে আলাদা করে দেখার প্রয়োজন। কূটনৈতিক নানা বিষয় থাকলেও অর্থনীতিতে বাস্তবতার দিকে নজর দিতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আমরা ভারতের বদলে ভিয়েতনাম থেকে চাল আনতে যাই, তবে প্রতি কেজিতে আরও ১০ টাকা খরচ বাড়বে।” ড. সালেহউদ্দিন আরও উল্লেখ করেন, ভারতের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক খুব খারাপ অবস্থায় নেই, তবে সরকার চেষ্টা করছে যাতে তা অস্বাভাবিক না হয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ কোনো প্রতিবেশীর সঙ্গে তিক্ত সম্পর্ক চায় না এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য প্রধান উপদেষ্টা নিজেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত শুটার ফয়সালের অবস্থান নিয়ে এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় নানা ধরনের গুঞ্জন ও দাবি সামনে এলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে এখন পর্যন্ত নির্ভরযোগ্য তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত আইজিপি খন্দকার রফিকুল ইসলাম। রোববার (২১ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি। অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, ফয়সালের সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। বিষয়টি জানার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো একযোগে কাজ করছে। তবে, সে যে দেশের বাইরে চলে গেছে—এমন কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। অনেক সময় অপরাধীদের অবস্থান নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভ্রান্তি ছড়ানো হয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। হত্যাকাণ্ডটি রাজনৈতিক কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে প্রকৃত তথ্য উদঘাটনে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে ডিবি প্রধান শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে। তবে ব্যক্তিগত শত্রুতার কোনো দিক এখন পর্যন্ত স্পষ্ট হয়নি। ঘটনার শুরু থেকেই সব সংস্থা সমন্বিতভাবে মাঠে কাজ করছে এবং সম্ভাব্য সব দিক গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে, ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হাদিকে হত্যার পর শুটার ফয়সাল কৌশলে ভারতে পালিয়ে গেছেন। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে, হাদি হত্যাকাণ্ডে জড়িত কেউ ভারতে অবস্থান করলে তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দেশে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে নয়াদিল্লিকে চিঠি দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। উল্লেখ্য, জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণাকালে গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে গুলিবিদ্ধ হন শরিফ ওসমান হাদি। মাথায় গুলি লাগায় তিনি গুরুতর আহত হন। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নবম পে-স্কেল প্রণয়নের রুদ্ধদ্বার বৈঠক বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বেশকিছু খসড়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তবে চূড়ান্ত সুপারিশ এখনও প্রকাশ করা হয়নি। সভা সূত্রে জানা গেছে, পে কমিশনের পূর্ণ কমিশনের সভায় খসড়া ড্রাফট নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। কিছু বিষয়ে সংশোধনী আনার পর পরবর্তীতে আরও অন্তত তিনটি পূর্ণ কমিশনের সভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভার পর তিন ধাপে পে-স্কেলের সুপারিশ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা জানানো হয়েছে। প্রথম ধাপে কমিশন তাদের রিপোর্ট জমা দেবে, দ্বিতীয় ধাপে সচিব কমিটি অনুমোদন দেবে, এবং তৃতীয় ধাপে উপদেষ্টা পরিষদ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এরপর গেজেট প্রকাশ করা হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কমিশন সদস্য জানিয়েছেন, খসড়া ড্রাফট প্রস্তুত হলেও কিছু বিষয়ে সংশোধনী প্রয়োজন। চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত বেতন ও গ্রেডের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হবে না। তবে সুপারিশ বাস্তব সম্মত এবং অতিরঞ্জিত হবে না। পে কমিশন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিভিন্ন সংস্থা-সংগঠনের মতামত বিশ্লেষণ করছে। পাশাপাশি আন্দোলনের হুঁশিয়ারি থাকা সত্ত্বেও, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাম্প্রতিক আন্দোলন ও সচিবালয়ের সিদ্ধান্তের কারণে আপাতত কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে না। বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদের মুখ সমন্বয়ক ওয়ারেছ আলী জানিয়েছেন, কর্মসূচি সবসময় সরকারি বিধিমালা ও শৃঙ্খলার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন পে কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান, উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য ও কর্মকর্তারা। প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়নের লক্ষ্যে জুলাইয়ে গঠিত কমিশনের দায়িত্বের মধ্যে ছিল ছয় মাসের মধ্যে সুপারিশ জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা। তবে সরকারি কর্মচারীরা আশা করছেন, নতুন পে-স্কেলের গেজেট ডিসেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে প্রকাশিত হবে।