দ্রুতই ঘনিয়ে আসছে বহুল কাঙ্খিত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এখন পর্যন্ত তফসিল ঘোষণা না হলেও আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে শান্তিতে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। অবশ্য, সেই পথে বেশ কিছু বাধা মোকাবিলা করে যেতে হচ্ছে এ সরকারকে। একদিকে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইস্যুতে অনৈক্য, অন্যদিকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের নিয়ে আশংকা।
এছাড়া, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার এক বছর পেরিয়ে গেলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে কাঙ্খিত উন্নতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় নির্বাচন ঘিরে মাথাব্যাথার আরেক কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিভিন্ন সময়ে জামিনে ছাড়া পাওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা। শঙ্কা জেগেছে, দূর্বল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে আসন্ন নির্বাচনে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে অপরাধীরা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মোটা অঙ্কের অর্থ উপার্জন ও হারানো ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার জন্য আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে কিলার আব্বাস, সুইডেন আসলাম, পিচ্চি হান্নান, ফ্রিডম রাসুর মতো সন্ত্রাসীরা।
ঢাকার অপরাধ জগত নিয়ে খোঁজখবর রাখে এমন একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে জামিনে বের হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বেশ কয়েকজন পুরোনো রাজনৈতিক পরিচয় কাজে লাগিয়ে মূলধারার রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার আশায় আছেন। এছাড়া, কারাগারে থাকা অবস্থায় শীর্ষ সন্ত্রাসীদের অনেকের সঙ্গে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের কারও কারও সখ্য হয়েছে। সেই সুযোগও কাজে লাগাতে চাচ্ছেন কেউ কেউ।
এ অবস্থায় জামিনে মুক্ত এই শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ওপর নজরদারি জোরদার করার কথা ভাবছে সরকার। এ ব্যাপারে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। সন্ত্রাসীরা পুনরায় অপরাধে জড়ালে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের গতিবিধি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, পুলিশ সদর দপ্তর, বিজিবি, কোস্টগার্ড, এনএসআই, ডিজিএফআই ও এসবিকে।
একইসঙ্গে বৈঠকে নিষিদ্ধ দল বা সংগঠন ও ফ্যাসিস্ট কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিরা যেন জামিন না পায়, সে বিষয়েও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
বৈঠকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে মসজিদ, মন্দিরসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য প্রচার অব্যাহত রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, জামিনে মুক্ত নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের চিহ্নিত সদস্যদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বৈঠকে। এজন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, পুলিশ সদর দপ্তর ও বিজিবির পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় তিন গোয়েন্দা সংস্থাকে সমন্বিতভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হিযবুত তাহরীরের প্রচারণা মোকাবিলায় পাল্টা কৌশল নিতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে– ইসলামী বক্তাদের মাধ্যমে কোরআন-হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা প্রচার করা। মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে ওয়াজ মাহফিল ও জুমার খুতবায় নিয়মিতভাবে এ ব্যাখ্যা তুলে ধরা। একইসঙ্গে অনলাইনে সঠিক তথ্যভিত্তিক পাল্টা বক্তব্য (কাউন্টার-ন্যারেটিভ) প্রচার চালানো।
এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়ার বিষয়েও নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। শুধু সরকারি কর্মকর্তা ও অনুমোদিত সিকিউরিটি সার্ভিস ছাড়া অন্য কাউকে অস্ত্রের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সভায় সারা দেশের চাঁদাবাজদের শনাক্ত করে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ তালিকাভুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তৎপরতা জোরদার ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ব্যবহার করে কোনো ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি যেন দেশত্যাগ করতে না পারে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এ কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ডিজিএফআইসহ সব গোয়েন্দা সংস্থাকে।
মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প এলাকায় বিশেষ নজরদারি চালানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বৈঠক থেকে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও গুজবের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ ব্যাপারে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সরকার মোহাম্মদ শামসুদ্দিনের মতে, নির্বাচনের সময় জামিনে থাকা সন্ত্রাসীরা সক্রিয় হলে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে পড়তে পারে। তাই সরকারের নজরদারি জোরদার সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ওপর কঠোর নজরদারির সিদ্ধান্তটি অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। কিন্তু শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বাইরে থাকা সবসময়ই দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি। সেই জায়গায় জাতীয় নির্বাচনের সময় সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষার প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো আরও বেশি নাজুক। তাই শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ওপর শুধু কড়া নজর রাখলেই চলবে না, তাদের জরুরি ভিত্তিতে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বিশেষ অপারেশন পরিচালনা করতে হবে। এজন্য সব গোয়েন্দা সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করে নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে কাজ করতে হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বাংলাদেশে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায়, জামিনে মুক্ত অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী মুক্তির পরপরই আবার চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি কিংবা মাদক কারবারে জড়িয়ে পড়ে। এ কারণে নির্বাচনের আগে তাদের কার্যকলাপ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা অত্যন্ত জরুরি। কেবল নজরদারিই নয়, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধে আইনি কাঠামো আরও শক্তিশালী করতে হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. রাশেদা রওনক খান বলেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সরকার জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে, এটি সময়োপযোগী উদ্যোগ। কারণ নির্বাচনের সময় এ ধরনের সন্ত্রাসীরা সক্রিয় হলে ভোটকেন্দ্র দখল, ভীতি সৃষ্টি কিংবা ভোটারদের ওপর প্রভাব বিস্তার করার মতো কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়তে পারে। এতে সামগ্রিকভাবে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১৬ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এক নজরে নিয়োগের বিস্তারিত প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) বিভাগের নাম: অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদসংখ্যা: ০১ জন শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ১ বছর চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয় বয়সসীমা: নির্ধারিত নয় বেতন: ৪৫,০০০ টাকা কর্মস্থল: ঢাকা আবেদন প্রক্রিয়া: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ তারিখ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে নিয়োগ দেশের অন্যতম মানবিক সংগঠন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে একজন যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা ২১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। পদসংক্রান্ত তথ্য প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পদের নাম: টেকনিক্যাল অফিসার পদসংখ্যা: ১ জন যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি বা ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ২ বছর বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৪০ বছর বেতন ও চাকরির ধরন বেতন: ৫০,০০০ টাকা চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন কর্মস্থল: কুড়িগ্রাম আবেদন প্রক্রিয়া আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ওয়েবসাইটে ক্লিক করুন।
ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির তত্ত্বাবধানে নতুন সমন্বিত ব্যাংক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এই নিয়োগের আওতায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক-এ সিনিয়র অফিসার (সাধারণ) পদে ৩৯৮ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। পদসংক্রান্ত তথ্য প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক পদের নাম: সিনিয়র অফিসার (সাধারণ) পদসংখ্যা: ৩৯৮টি শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রার্থীদের যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা চার বছর মেয়াদি স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে। মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) বা সমমানসহ তদূর্ধ্ব পর্যায়ের পরীক্ষাগুলোর মধ্যে অন্তত দুইটিতে প্রথম বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে। কোনো পর্যায়েই তৃতীয় বিভাগ/শ্রেণি গ্রহণযোগ্য নয়। বয়সসীমা ১ জুলাই ২০২৫ তারিখে প্রার্থীর বয়স সর্বনিম্ন ২১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৩২ বছর হতে হবে। আবেদন সংক্রান্ত তথ্য আবেদন ফি: ২০০ টাকা (অনগ্রসর নাগরিক গোষ্ঠীর প্রার্থীদের জন্য ৫০ টাকা)। আবেদনের শেষ সময়: ১০ নভেম্বর ২০২৫। আবেদন পদ্ধতি আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে এবং আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন।
আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াটারএইড বাংলাদেশ জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ‘টেকনিক্যাল এক্সপার্ট’ পদে নতুন কর্মী নেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে ২৮ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। নিয়োগের বিস্তারিত প্রতিষ্ঠানের নাম: ওয়াটারএইড বাংলাদেশ পদের নাম: টেকনিক্যাল এক্সপার্ট পদের সংখ্যা: নির্ধারিত নয় চাকরির ধরন: ফুল টাইম প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই কর্মস্থল: খুলনা যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি বা স্নাতক (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং/এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে) অভিজ্ঞতা: সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫ বছর বয়সসীমা: নির্ধারিত নয় বেতন ও সুবিধা বেতন: প্রতি মাসে ৯২,৫০০ টাকা আবেদন প্রক্রিয়া আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ তারিখ: ২৮ অক্টোবর ২০২৫
মায়ের অসুস্থতার কারণে কেন্দ্রে দেরিতে আসায় পরীক্ষা না দিতে পারা সেই আনিসা আহমেদ এইচএসসি পরীক্ষায় ফেল করেছেন। তিনি বাংলা ও ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে ফেল করেন। আনিসা ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তিনি মানবিক বিভাগের পরীক্ষাথী। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনই (২৬ জুন) ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরীক্ষার্থী আনিসা মায়ের অসুস্থতার কারণে সময়মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছুতে পারেননি। দেরি হওয়ায় তাকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেননি দায়িত্বরতরা। এসময় ওই ছাত্রী পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। গেটের বাইরে দীর্ঘসময় অপেক্ষায় থেকে তিনি সেদিন ফিরে যান। ওই ছাত্রীর পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাঙলা কলেজ। আনিসার কান্না-আকুতি তখন নাড়িয়ে দেন বহু মানুষের বিবেক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্ন উঠে—আইন কি মানবিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে? নেটিজেনরা দাবি তোলেন—মানবিক বিবেচনায় হলেও তাকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া উচিত। অন্তর্বর্তী সরকারও সেই দাবি আমলে নেয়। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে তখন শিক্ষা উপদেষ্টার বরাতে জানানো হয়, ‘পরীক্ষা দিতে না পারা আনিসার বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’
চলতি বছরে একাধিক দীর্ঘ ছুটি উপভোগ করেছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। সবশেষ শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে টানা চারদিনের ছুটি কাটানোর পর এবার সামনে আসছে আরও একটি লম্বা সরকারি ছুটি। বুধবার (২২ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ছুটির ক্যালেন্ডার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তিকে চাকরিজীবীরা আরও দুটি সাধারণ ছুটি পাবেন। এর মধ্যে একটির সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি মিলে টানা তিন দিনের ছুটি ভোগ করতে পারবেন তারা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের বাকি সময়ের দুটি সাধারণ ছুটি হলো— ১৬ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) বিজয় দিবস ২৫ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন বা বড়দিন এর মধ্যে বড়দিনের ছুটি বৃহস্পতিবার পড়ায় এর পরের দুই দিন শুক্রবার ও শনিবারের সাপ্তাহিক বন্ধ মিলে টানা তিন দিনের ছুটি উপভোগ করবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এর আগে, চলতি বছরের শারদীয় দুর্গাপূজায় ১ অক্টোবর নির্বাহী আদেশে ছুটি, ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীর ছুটি এবং ৩ ও ৪ অক্টোবর শুক্র-শনিবারের সাপ্তাহিক বন্ধ মিলিয়ে টানা চারদিনের ছুটি কাটান তারা। চলতি বছর সবচেয়ে বড় ছুটি আসে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায়। ঈদুল ফিতরে সরকারি চাকরিজীবীরা টানা ৯ দিন, আর ঈদুল আজহায় টানা ১০ দিন ছুটি কাটিয়েছেন। বছরের শেষ দিকে বড়দিনের টানা ছুটি সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বছরের সমাপ্তিকে আরও আনন্দময় করে তুলবে বলে অনেকে মনে করছেন।
দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের প্রতিটি ঘটনা নিরাপত্তা বাহিনী গভীরভাবে তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নাশকতা বা অগ্নিসংযোগের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে সরকার তাৎক্ষণিক ও কঠোর পদক্ষেপ নেবে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে—অন্তর্বর্তী সরকার বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলো প্রতিটি ঘটনা বিস্তারিতভাবে তদন্ত করছে এবং মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে। এতে আরও বলা হয়, যদি কোনো ঘটনার পেছনে নাশকতা বা অগ্নিসংযোগের প্রমাণ মেলে, সরকার তাৎক্ষণিকভাবে দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে। কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বা উসকানির মাধ্যমে জনজীবন ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করতে দেওয়া হবে না। বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই—যদি এসব অগ্নিকাণ্ড নাশকতা হিসেবে প্রমাণিত হয় এবং এর উদ্দেশ্য হয় আতঙ্ক বা বিভাজন সৃষ্টি করা, তবে তারা সফল হবে কেবল তখনই, যখন আমরা ভয়কে আমাদের বিবেচনা ও দৃঢ়তার ওপর প্রাধান্য দিতে দেব।” অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, বাংলাদেশ অতীতেও বহু কঠিন সময় অতিক্রম করেছে। ঐক্য, সংযম ও দৃঢ় সংকল্প নিয়ে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় যেকোনো হুমকির মোকাবিলা করা হবে। “আমাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই,”—বিবৃতিতে যোগ করা হয়। এরই মধ্যে শনিবার দুপুরে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট কাজ করে, সঙ্গে যোগ দেয় নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, সিভিল অ্যাভিয়েশন, দুই প্লাটুন বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। সন্ধ্যার দিকে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার একটি তোয়ালে কারখানায় এবং ১৪ অক্টোবর রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়ির একটি রাসায়নিক গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক ধাক্কায় রিজার্ভের ধারাবাহিক পতন শুরু হলে ২০২২ সালে আইএমএফের (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল) দারস্থ হয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। সে সময় নানা শর্তে ঋণ চুক্তি হয় ৪৭০ কোটি ডলারের। চুক্তি অনুযায়ী, তিন কিস্তিতে ২৩০ কোটি টাকা পায় বাংলাদেশ। কিন্তু, ২০২৪ সালে জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বন্ধ হয়ে যায় আইএমএফের ঋণের বাকি কিস্তি ছাড়। নানা শর্তের বেড়াজালে আটকে যায় অন্তর্বর্তী সরকার। তবে, কয়েক দফায় আলোচনার পর আইএমএফ অবশেষে আগামী বছরের জুনে ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি একসঙ্গে ছাড় করতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সেইসঙ্গে আরও ৮০ কোটি ডলারের আরেকটি ঋণ চুক্তি হয়েছে আইএমএফের সঙ্গে। কিন্তু, এর জেরে সংস্কার প্রশ্নে আরও বাড়তি কঠিন শর্ত জুড়ে দিতে চাইছে সংস্থাটি। এ অবস্থায় প্রতিশ্রুত ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আইএমএফ যদি আরও নতুন বা কঠোর কোনো শর্ত আরোপ করে, তাহলে আইএমএফকে বাদ দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ঋণের বিকল্প উৎস চিন্তা করবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বার্ষিক সভায় দ্বিতীয় দিনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আইএমএফের (আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল) নতুন কোনো শর্ত আরোপ বা কঠোর হিসাব নির্ধারণ করা হলে সরকার তা পুনর্বিবেচনা করবে। আমরা বিকল্প উৎস নিয়ে চিন্তা করব, কারণ আমাদের অর্থনীতি আগের থেকে অনেক স্থিতিশীল। তিনি জানান, বাজেট সহায়তা নেওয়া হবে কি না—তা এখনো চূড়ান্ত নয়। তবে আইএমএফের শর্তসমূহ যদি দেশের জন্য অনুকূল না হয়, তাহলে সরকার বিকল্প উৎস থেকে সহায়তা নেওয়ার দিকেই নজর দেবে। অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা এখন চেষ্টা করছি বিকল্প বাজেট সহায়তার ব্যবস্থা করতে—এডিবি, এআইআইবি’র মতো সংস্থাগুলোর সহযোগিতা নেওয়ার সুযোগ আছে। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমরা আইএমএফের চলমান প্রোগ্রামে আছি, তবে নতুন প্রোগ্রামে যাব কি না, সেটি সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। তবে, বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ বার্ষিক সভার পাশাপাশি একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে দাবি করে উপদেষ্টা বলেন, আমরা এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি, ওপেকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে উন্নয়ন ঋণ, অনুদান ও বাজেট সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যৎ সহযোগিতা ও সংস্কার কর্মসূচি নিয়েও মতবিনিময় চলছে। অর্থ উপদেষ্টা জানান, সম্প্রতি এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে এবং আরও কয়েকটি বৈঠক নির্ধারিত রয়েছে। এছাড়া তিনি কমনওয়েলথ ফাইন্যান্স ব্রিজ ফোরাম-এ অংশ নিয়ে বাংলাদেশের আর্থিক অগ্রগতি ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নেওয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেছেন। সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গত বছর যেখানে আমরা ছিলাম, তার চেয়ে এখন বাংলাদেশের অবস্থান অনেক ভালো। অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা এসেছে, বৈদেশিক মুদ্রাবাজার ও রিজার্ভের অবস্থান উন্নত হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা কমেছে এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রমে গতি ফিরেছে। অর্থনৈতিক উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকার ব্যাংকিং খাতসহ বিভিন্ন সেক্টরে ব্যাপক সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে, যা উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে বিস্তারিতভাবে আলোচিত হয়েছে। ‘সংস্কার কার্যক্রম এখনো চলমান এবং রেগুলেটরি কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করতে কিছু সময় লাগবে। তিনি উল্লেখ করেন, সংস্কারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং পরবর্তী সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার দিকনির্দেশনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। নতুন প্রজন্ম যেন এসব সংস্কারের সুফল পায়, সেদিকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের অর্থনীতির ইতিবাচক রূপান্তর এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দৃশ্যমান। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে দুটি নতুন প্রকল্পের নকশা চূড়ান্ত হয়েছে, যা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। চলমান স্থিতিশীলতা ও সংস্কার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের অর্থনীতি আগামী বছরগুলোতে আরো ভালো হবে।