লিভারের সমস্যা অনেক সময়ই নীরবে বাড়তে থাকে। অনেকে মনে করেন লিভারের অসুখ হলে জন্ডিস, পেট ভার বা পেট ফাঁপা ছাড়া উপসর্গ দেখা দেয় না। কিন্তু বাস্তবে লিভারের রোগ শরীরের অন্য অংশেও সংকেত পাঠায়—বিশেষ করে হাত ও পায়ে। লিভারে মেদ জমে যদি ফ্যাটি লিভার হয়, বা লিভারে প্রদাহ শুরু হয়, তাহলে তার প্রভাব স্পষ্টভাবে ফুটে উঠতে পারে ত্বক, নখ, শিরা ও স্নায়ুতন্ত্রে।
দুই হাতের তালুতে হঠাৎ লালচে ছোপ দেখা দিতে পারে। এতে ব্যথা, চুলকানি বা জ্বালা থাকে না, তবে তালু ফুলে যায় এবং লালচে দাগ ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে। লিভারের অসুখে হরমোনের ক্ষরণ অনিয়মিত হয়, ফলে রক্তনালিগুলো প্রসারিত হয়ে প্রদাহ সৃষ্টি করে। দুই হাতের তালুতেই যদি এমন লালচে দাগ দেখা যায়, তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
নখ শরীরের অভ্যন্তরীণ নানা অসুখের ইঙ্গিত দেয়। নখের রং যদি খুব ফ্যাকাশে, সাদাটে বা হলদেটে হয়ে যায়, তাহলে তা লিভারের সমস্যার প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। এটি লিভারের দুর্বলতার পাশাপাশি আয়রনের ঘাটতিরও ইঙ্গিত দেয়।
লিভারের অসুখে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটায় ধমনীগুলিতে চাপ পড়ে। ফলে হাতে-পায়ে পানি জমতে থাকে—বিশেষ করে গোড়ালিতে। গোড়ালি ফুলে ওঠা, পায়ের ত্বকে কালচে দাগ বা চুলকানি দেখা দিলে সতর্ক হতে হবে। লিভারে গভীর ক্ষত (সিরোসিস) হলে এ লক্ষণগুলো আরও স্পষ্ট হয়। অনেক ক্ষেত্রে ওজন কমে যাওয়া, খিদে না পাওয়া ও অতিরিক্ত ক্লান্তিও যুক্ত হয়।
পায়ের পাতায় বা পায়ের ওপর নীল বা সবুজ রঙের জালের মতো শিরা দেখা দিলে তাকে বলা হয় ‘স্পাইডার ভেন’। লিভারের সমস্যা হলে শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোন বেড়ে যায়, যার কারণে এই ধরনের শিরা ত্বকে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
হঠাৎ হাত বা পায়ে ঝিনঝিনি ভাব, অসাড়তা, টান ধরা বা ব্যথা—এসবও লিভার রোগের লক্ষণ হতে পারে। বিশেষ করে হেপাটাইটিস সি বা অ্যালকোহলজনিত ফ্যাটি লিভারের ক্ষেত্রে স্নায়ু আক্রান্ত হয়, ফলে হাতে-পায়ে সংবেদনা কমে যায়।
হাত-পায়ে এসব উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসকের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ জরুরি। কারণ লিভারের সমস্যা যত তাড়াতাড়ি শনাক্ত করা যায়, তত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করে জটিলতা এড়ানো সম্ভব।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদে জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১৬ অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। এক নজরে নিয়োগের বিস্তারিত প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (BDRCS) বিভাগের নাম: অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রজেক্ট অফিসার পদসংখ্যা: ০১ জন শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক বা সমমান অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ১ বছর চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয় বয়সসীমা: নির্ধারিত নয় বেতন: ৪৫,০০০ টাকা কর্মস্থল: ঢাকা আবেদন প্রক্রিয়া: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ তারিখ: ১৬ অক্টোবর ২০২৫
দেশের মেধাবী কিন্তু আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা করতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে ‘স্পন্দনবি’। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে অধ্যয়নরত স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ইমদাদ সিতারা খান ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে এবারও বৃত্তি প্রদান করবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এই সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন বিষয়ে পড়ুয়া প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী এই বৃত্তির সুযোগ পাবেন। আগ্রহীরা আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে ডাক, কুরিয়ার বা সরাসরি উপস্থিত হয়ে আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন দফতরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কারা আবেদন করতে পারবেন? বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের এইচএসসি উত্তীর্ণ এবং বর্তমানে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত নিম্নোক্ত বিষয়ের মেধাবী, আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন— বিএসসি অনার্স বিএসসি অনার্স (কৃষি, পশুপালনসহ সব অনুষদ) এমবিবিএস বিডিএস বিএসসি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং বিএ অনার্স বিএসএস অনার্স বিবিএ আবেদনপত্র সংগ্রহ আবেদনকারীরা নিচের যেকোনো মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন— 🔗 https://spaandanb.org/projects/imdad-sitara-khan-scholarship/ 🔗 https://www.facebook.com/share/g/1FXJc2NhHe অথবা ই-মেইলে যোগাযোগ করেও ফর্ম সংগ্রহ করা যাবে— mostafiz14@yahoo.com rajib.bd@spaandanb.org tuhin.bd@spaandanb.org sajedul1233@gmail.com zabbarbd5493@gmail.com আবেদন পাঠানোর ঠিকানা স্পন্দনবি বাংলাদেশ অফিস বাসা-৭/২, শ্যামলছায়া-১, ফ্ল্যাট-বি/২, গার্ডেন স্ট্রিট, রিং রোড, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, ঢাকা। যোগাযোগ বৃত্তি সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য অফিস সময়ে যোগাযোগ— ☎️ ০২-৪৮১১৪৪৯৯ 📱 ০১৭১৩-০৩৬৩৬০ 📱 ০১৭৭৩-৬১০০০৯ 📱 ০১৯৩৩-৫৬০৬৬৫ 📱 ০১৭৯৬-১০২৭০০
পোশাক প্রস্তুতকারক ও বিপণন প্রতিষ্ঠান আড়ং নতুন কিছু পদে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। পদের বিবরণ: পদের নাম: অ্যাসিস্ট্যান্ট বিভাগ: হেলথ সিকিউরিটি স্কিম (HSS), সোশ্যাল কমপ্লায়েন্স অ্যান্ড প্রোডিউসার ডেভেলপমেন্ট (SCPD) পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয় যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অন্য যোগ্যতা: এমএস এক্সেল এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে দক্ষতা ডকুমেন্টেশন ও ফাইল ব্যবস্থাপনায় পারদর্শিতা অভিজ্ঞতা: কমপক্ষে ১–২ বছর চাকরির ধরণ ও অন্যান্য তথ্য: চাকরির ধরন: ফুলটাইম কর্মক্ষেত্র: অফিসে প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন বয়সসীমা: উল্লেখ নেই কর্মস্থল: ময়মনসিংহ (ত্রিশাল) বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে অন্যান্য সুবিধা: প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি, উৎসব বোনাস, স্বাস্থ্য ও জীবন বিমা এবং প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী অন্যান্য সুবিধা আবেদন করার নিয়ম: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে আবেদন করতে পারেন।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে নিয়োগ দেশের অন্যতম মানবিক সংগঠন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রকল্প কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘টেকনিক্যাল অফিসার’ পদে একজন যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা ২১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। পদসংক্রান্ত তথ্য প্রতিষ্ঠানের নাম: বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পদের নাম: টেকনিক্যাল অফিসার পদসংখ্যা: ১ জন যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি বা ডিপ্লোমা ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অভিজ্ঞতা: ন্যূনতম ২ বছর বয়সসীমা: সর্বোচ্চ ৪০ বছর বেতন ও চাকরির ধরন বেতন: ৫০,০০০ টাকা চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন কর্মস্থল: কুড়িগ্রাম আবেদন প্রক্রিয়া আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ওয়েবসাইটে ক্লিক করুন।
দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান যমুনা গ্রুপ নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্লাজা সেলস বিভাগে ‘এক্সিকিউটিভ’ পদে ১০০ জন যোগ্য প্রার্থী নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা ৮ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। পদসংক্রান্ত তথ্য প্রতিষ্ঠানের নাম: যমুনা গ্রুপ বিভাগ: প্লাজা সেলস পদের নাম: এক্সিকিউটিভ পদসংখ্যা: ১০০টি যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা প্রার্থীকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী হতে হবে। এ পদে অভিজ্ঞতা প্রয়োজন নেই, তাই নবীন প্রার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন। অন্যান্য তথ্য চাকরির ধরন: ফুল-টাইম বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে প্রার্থীর ধরন: নারী ও পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন বয়সসীমা: ন্যূনতম ২২ বছর কর্মস্থল: দেশের যেকোনো স্থানে আবেদন সংক্রান্ত তথ্য আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ সময়: ৮ নভেম্বর ২০২৫।
নারী-পুরুষের সম্পর্কে আকর্ষণ একটি স্বাভাবিক ও মানসিক প্রবণতা। তবে লক্ষ্য করলে দেখা যায়—একজন পুরুষ খুব চেষ্টা করেও কোনো নারীর মনোযোগ পান না, আবার কেউ কেউ বিনা চেষ্টায়ই নারীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর পেছনে রয়েছে কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তিত্বগুণ, যা অজান্তেই নারীরা পুরুষের মধ্যে খুঁজে পান। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিচের পাঁচটি গুণ যাদের মধ্যে থাকে, তারা খুব সহজেই নারীদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়ে থাকেন— ১. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও আকর্ষণীয় পোশাক-পরিচ্ছদ ‘আগে দর্শনধারী, তারপর গুণ বিচারী’—এই কথাটি সম্পর্কেও প্রযোজ্য। একজন পুরুষের সাজগোজ, পরিচ্ছন্নতা, সঠিকভাবে নিজেকে উপস্থাপন করা—এসবই প্রথম ইমপ্রেশন তৈরির মূল উপাদান। ২. সুন্দরভাবে কথা বলার দক্ষতা ভদ্রতা, আত্মবিশ্বাস এবং পরিষ্কারভাবে বক্তব্য উপস্থাপন করার ক্ষমতা অনেক নারীর কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। সঠিক কমিউনিকেশন স্কিল যে কোনো সম্পর্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। ৩. নেতৃত্ব দেওয়ার সামর্থ্য যিনি দায়িত্ব নিতে জানেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেন এবং সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে সক্ষম—তিনি নারীদের কাছে আরও বেশি নির্ভরযোগ্য ও আকর্ষণীয় বলে বিবেচিত হন। ৪. সম্মান দেওয়ার মানসিকতা সম্মানজনক আচরণ সব সম্পর্কেরই ভিত্তি। নারীদের মর্যাদা দিতে জানেন এমন পুরুষের প্রতি দ্রুত বিশ্বাস জন্মায়। অন্যকে ছোট করা বা অসম্মান করা পুরুষ স্বভাবতই দূরে ঠেলে দেয়। ৫. প্রতিশ্রুতি ও কথার মূল্য রাখা যে পুরুষ কথা রাখেন এবং দায়িত্বশীল আচরণ করেন, তারা নারীদের কাছে বেশি বিশ্বাসযোগ্য হন। কমিটমেন্ট বা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গুণগুলো চর্চা করলে পুরুষরা শুধু আকর্ষণীয়ই হবেন না, বরং আরও সুন্দর, স্থায়ী এবং সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন।
অনেকের কাছে আমেরিকা এখনও স্বপ্নের দেশ। কেউ সেখানে পড়াশোনার জন্য যেতে চান, কেউবা চাকরি বা ব্যবসার কারণে। আবার অনেকে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা করেন। তবে যেকোনো কারণেই যাওয়া হোক, প্রথম চ্যালেঞ্জ হলো ভিসা পাওয়া। অনেকেই আবেদন করেন, কিন্তু নানা কারণে প্রত্যাখ্যাত হন। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে এই প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়ে যায়। জেনে নিন, কিভাবে সঠিক প্রস্তুতি নিয়ে আমেরিকার ভিসা পাওয়া সম্ভব। প্রোফাইল পরিষ্কার ও বাস্তবসম্মত রাখুন ভিসা আবেদনপত্রে দেওয়া সব তথ্য সত্য এবং সম্পূর্ণ হওয়া জরুরি। শিক্ষাগত যোগ্যতা, চাকরি বা ব্যবসার তথ্য—সবই সঠিকভাবে উল্লেখ করুন। ভুল বা মিথ্যা তথ্য ধরা পড়লে আবেদন বাতিল হতে পারে। তাই প্রতিটি তথ্য যাচাই করে ফর্ম পূরণ করুন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত রাখুন পাসপোর্ট, ছবি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, আয়ের উৎস, শিক্ষাগত সনদপত্র, চাকরির লেটার বা ব্যবসায়িক নথি সব সময় হাতে রাখুন। বিশেষ করে আর্থিক সক্ষমতা প্রমাণের জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, দেশে ফিরে আসার নিশ্চয়তা দেখাতে প্রয়োজনীয় নথি সঙ্গে রাখুন। সাক্ষাৎকারে মনোযোগী হোন ভিসার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো সাক্ষাৎকার। এই সময় ভিসা অফিসার আপনার উদ্দেশ্য, ভ্রমণের কারণ এবং দেশে ফেরার নিশ্চয়তা জানতে চাইবেন। সংক্ষিপ্ত, স্বচ্ছন্দ এবং আত্মবিশ্বাসীভাবে কথা বলুন। অতিরিক্ত কথা বললে ভিসা পাওয়া কঠিন হতে পারে। ভ্রমণের উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে জানান আপনি কেন আমেরিকা যেতে চান তা স্পষ্টভাবে বোঝাতে হবে। পড়াশোনা, ভ্রমণ, সাংবাদিকতা বা স্বেচ্ছাসেবী কাজের জন্য যাই হোক, সংশ্লিষ্ট নথিপত্র আপনার বক্তব্যের সঙ্গে মিলতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, সাংবাদিকতার উদ্দেশ্যে গেলে সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। পড়াশোনার জন্য গেলে ভর্তি নিশ্চিতকরণ এবং ফি প্রদানের প্রমাণ দেখাতে হবে। দেশে ফিরে আসার প্রমাণ দিন ভিসা অফিসার দেখতে চান যে, আপনি খরচ সামলাতে পারবেন এবং দেশে ফিরে আসবেন। ব্যাংক ব্যালান্স, স্যালারি স্লিপ বা ব্যবসার আয়–সম্পর্কিত প্রমাণ গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া স্থায়ী চাকরি, পারিবারিক দায়িত্ব বা সম্পত্তির মতো প্রমাণ থাকলে দেশে ফেরার আশ্বাস আরও দৃঢ় হয়। ভ্রমণ ইতিহাস হাইলাইট করুন আগে অন্য দেশে ভিসা পেয়ে থাকলে বা বিদেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থাকলে তা উল্লেখ করুন। এটি দেখায় যে আপনি নিয়ম মেনে ভ্রমণ করেছেন এবং দেশে ফিরে এসেছেন, যা ভিসা অফিসারের কাছে ইতিবাচক ইঙ্গিত দেয়। আবেদনের সময় ও প্রস্তুতি পর্যাপ্ত সময় নিয়ে আবেদন করুন। অনলাইন ফর্ম পূরণ বা সাক্ষাৎকারের আগে সব কাগজপত্র গুছিয়ে রাখুন। এতে চাপ কমবে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়বে। সাক্ষাৎকারের দিনে পোশাক পরিষ্কার, পরিপাটি ও প্রফেশনাল হওয়া উচিত। সঠিক প্রস্তুতি, সততা এবং আত্মবিশ্বাস থাকলে আমেরিকার ভিসা পাওয়া সম্ভব। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ইতিবাচক মানসিকতা এবং স্পষ্ট লক্ষ্য। তথ্যসূত্র: রাজু মহাজন, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন আইনজীবী
আশপাশে থাকা মানুষ প্রায়ই প্রশ্ন করেন, “বিয়ে করছো না কেন?” আবার অনেকেই বলেন, বিয়ে হলেই জীবনের সব সমস্যা দূর হয়ে যাবে। কিন্তু বাস্তবতা অন্য রকম। বিয়ে মানে শুধু পার্টনার পাওয়া নয়, বরং নতুন দায়িত্ব কাঁধে নেওয়া। এই দায়িত্ব নেওয়ার আগে নিজেকে পুরোপুরি প্রস্তুত করতে হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া অনুযায়ী, জীবনের নতুন অধ্যায় শুরুর আগে শুধুমাত্র আর্থিক স্বচ্ছলতা যথেষ্ট নয়। আরও কিছু মানসিক ও আচরণগত প্রস্তুতি থাকা দরকার। প্রধান বিষয়গুলো হলো: আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা বিয়ের আগে সহনশীল ও স্থির থাকা জরুরি। মতবিরোধ বা অসুবিধা হলে শান্তভাবে তা সমাধান করতে হবে। অল্পতেই রেগে যাওয়ার প্রবণতা থাকলে সংসারের দায়িত্বভার সামলানো কঠিন হয়ে যাবে। আর্থিক স্বাবলম্বী হওয়া বিয়ের পর নতুন সংসারের আর্থিক দায়িত্ব থাকে। খরচ, আয় ও লাইফস্টাইলের সামঞ্জস্য রাখতে হবে। “বিয়ে হোক, পরে দেখা যাবে” মানসিকতা ঠিক নয়। পরিণত আচরণের প্রতিশ্রুতি নতুন জীবনে ছোট-বড় সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। ইতিবাচকভাবে সমস্যার সমাধান করতে প্রস্তুত থাকতে হবে। নতুন অভিজ্ঞতা থেকে শেখার মানসিকতা থাকা দরকার। নিজ সম্পর্কে সচেতনতা নিজের ভালো-মন্দ দিক জানতে হবে। দুর্বলতা ও শক্তি মূল্যায়ন করে বুঝতে হবে, বিয়ে ও দাম্পত্য জীবনের দায়িত্ব নিতে আপনি কতটা প্রস্তুত। পরস্পর সহযোগিতামূলক আচরণ জীবনসঙ্গী, পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের সঙ্গে সবসময় সহযোগিতা থাকা উচিত। নতুন জীবনে পরিবারের প্রতি দায়িত্ব ও ইতিবাচক মনোভাব থাকা দরকার। হবু সঙ্গীর সঙ্গে মতামত ও লক্ষ্যের মিল যার সঙ্গে বিয়ে হবে, তার সঙ্গে জীবনের আদর্শ, বিশ্বাস ও লক্ষ্য মিল থাকা জরুরি। খাবার, পেশা, শখসহ বিভিন্ন বিষয় জানলে বিয়ের পরে বোঝাপড়ায় সহজ হয়। সংক্ষেপে, বিয়ে মানে শুধু সম্পর্ক নয়, এটি মানসিক, আর্থিক ও সামাজিক দায়িত্বের সমন্বয়। এই বিষয়গুলো যাচাই করে নিজেকে প্রস্তুত করা না হলে নতুন জীবন শুরু করা অনেক কঠিন হয়ে যাবে।